• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ছুটির দিনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট
আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত। সকালে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকেল ৩টার পর তীব্র যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, বাংলামটর, ধানমন্ডি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরের পর সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের সিগন্যাল থেকে শুরু করে গুলিস্তান হল মার্কেট পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি। এ ছাড়া শাহবাগ হয়ে পরীবাগ ও বাংলামটর এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত উভয় পাশেই যানজটে আটকে আছে অসংখ্য গাড়ি। রোজা রেখে রোদ-গরমে গাড়িতে দীর্ঘ সময় বসে থেকে অস্বস্তি এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী-চালক উভয়ই।  এদিকে মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত উভয় সড়কেই দীর্ঘ গাড়ির সারি। যানজটে আটকে আছে মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য গণপরিবহন। বিশেষ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে শাহবাগ অভিমুখে প্রবেশের জন্য এবং শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মিরপুর সড়কে প্রবেশ করতে অপেক্ষা করছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। আর নিউমার্কেট এবং নীলক্ষেত মোড়েও রয়েছে যানজট। তাছাড়া, গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও। ভুক্তভোগী মানুষ বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা না থাকায় দিনদিন বাড়ছে যানজট। বৃহৎ নগরীতে সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকে, যেটা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। ফলে যানজটের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে না মেট্রোপলিটন ঢাকা। ভুক্তভোগীরা আরও বলছেন, সরকারি ছুটির দিনেও এত যানজট। এ জন্য শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা দায়ী। সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ (মঙ্গলবার) নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। ফলে নিউমার্কেটে সকাল থেকেই কেনাকাটা করতে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়। এই ভিড় মার্কেট থেকে ফুটপাত হয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ ফলে তৈরি হয়েছে যানবাহনের ধীরগতি এবং যানজট। বাসচালক ও তাদের সহকারীরা বলছেন, অন্যান্য এলাকার সড়ক ফাঁকা থাকলেও এই এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় যানজটে নাকাল হতে হয়েছে। ভিআইপি ২৭ পরিবহনের সহকারী রজ্জব মিয়া বলেন, শুধুমাত্র সায়েন্সল্যাব পার হতেই প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখন আবার নিউমার্কেট এলাকায় যানজট। অনেক মানুষ। গাড়ি চালানোর জায়গাই নেই৷ সকালে আপ ট্রিপে খুবই ফাঁকা রাস্তা পেয়েছি। এখন ডাউন ট্রিপে স্ট্যান্ডে যেতেই অনেক সময় লাগছে। মানুষ-দোকানপাট ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় চলে এসেছে। আর মূল সড়কে অনেক রিকশা। যার জন্য গাড়ির যেতে পারছে না৷ অপরদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হালদার অর্পিত ঠাকুর। তিনি বলেন, কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

রাজধানীতে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী
তিনদিন ছুটির পর রাজধানীতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে চাপ বেড়েছে সড়কে। পাড়া-মহল্লার গলি থেকে শুরু করে ভিআইপি সড়কেও যানজট দেখা যায়। যানজট থেকে বাদ যায়নি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও। মূল সড়কে নামার মুখে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় গাড়িগুলোকে। কোথাও কোথাও যেন ঘুরছিল না গাড়ির চাকা। এতে যানজটে নাকাল নগরবাসী।  রমজানের কারণে পুলিশের নজর বিশেষ করে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যেন অফিস থেকে বাসায় ফিরে প্রিয়জনের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন সে লক্ষ্য ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগও কাজ করছে সড়কে। গত কয়েকদিন সকালে সড়কের অবস্থা স্বস্তিদায়ক থাকলেও আজকের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।  সোমবার (১৮ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর মোহম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, কাওরানবাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, লিংকরোড, প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র। আগারগাঁও মোড়ে গুলশানগামী একজন মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা করা হয়েছে। বিকেলে তাই সময় থাকতে বাসায় পৌঁছানো যাচ্ছে। সকালেও ক’দিন স্বস্তিতে অফিসে এলাম। আজ চিত্র উল্টো। আগারগাঁও থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠতেই ৩৫ মিনিট। এরপর কাকলী, বনানী, গুলশান-২ পেরিয়ে অফিসে ঢুকতে দেড় ঘণ্টা। এক বাস যাত্রী বলেন, মিরপুর-১০ থেকে বাসে উঠেছি। আগারগাঁও ক্রসিং থেকে বিজয় সরনি পার হতেই ৪০ মিনিট। গাড়ির চাকা ঘুরেছে তবে খুবই মন্থর গতিতে। একটা পর্যায়ে বাসের নিকট গন্তব্যের অনেক যাত্রীকে হেঁটে রওয়ানা করতেও দেখি। আমাকে অগত্যা বসে থাকতে হচ্ছে মতিঝিল যাবো বলে। তিনি বলেন, রোজা রেখে কতক্ষণ হাঁটতে পারবো জানি না। তবে সড়কের যে অবস্থা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে হাঁটা ছাড়া কোনো উপায়ও দেখছি না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের শেরে বাংলা নগর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারেক সেকান্দার বলেন, ভয়াবহ অবস্থা। অফিস টাইম ও স্কুল টাইম একই সময় হয়ে গেছে। যে পরিমাণ যানবাহন সড়কে সকাল আটটা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে নামছে তা সামাল দেয়া কঠিন। শুধু শেরে বাংলা নগর এলাকায় নয় এব জায়গাতেই। তবে রাস্তা এখন সচল। ট্র্যাফিক গুলশানের (ট্রাফিক-মহাখালী জোন) সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম রনি জানান, মহাখালীতেও একই অবস্থা। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাস বিভিন্ন জেলার গন্তব্যে ছাড়ার চাপ বেড়েছে। তাছাড়া ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে যানজট বেড়েছে। ট্রাফিক-গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মোমেন বলেন, রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। কিছুই করার নাই। গাড়ির পেছনে গাড়ি। এক ইঞ্চি জায়গাও তো খালি রাখার উপায় নাই। সামনের গাড়ি এগুতে না পারলে পেছনের গাড়ির তো সামনে যাবার উপায় নাই। আমাদের ট্রাফিকের সব সদস্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য। যানজট বা গাড়ির চাপ কমাতে। তবে আজকে একাধিক স্থানে ভিভিআইপি মুভমেন্ট আছে। তার উপর তিনদিন পর মানুষ ঘর থেকে বেশি বের হয়েছে। তাই গাড়ির সংখ্যাও বেশি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৭

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট
সপ্তাহের প্রথম ও শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। শেষ কর্মদিবসে অফিস শেষে অনেকে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় সড়কে গাড়ির চাপ যেমন বাড়ে তেমনই বাড়ে যানজট। আজ সকাল থেকে যানজটের মুখে পড়েছে নগরবাসী। দুপুরের পর অফিস ছুটির সময় যানজট আরও তীব্র হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টু রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।  সকালে সড়কে যানজটের ফলে অফিসগামী অনেককেই হেঁটে রওনা দিতেও দেখা গেছে। বেশি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিদের। বাড্ডা থেকে বিজয় সরণি যাবেন একজন চাকরিজীবী। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম শুরু। থেমে থেমে মহাখালী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে। আরেক চাকরিজীবী বলেন, রোজা রেখে জ্যামের মধ্যে বসে থাকা কষ্টকর। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি। শিক্ষার্থী মেজবাহ যাবেন ফার্মগেটে। তিনি বলেন, বনানী থেকে বাসে উঠেছি। প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়ে যাবে, এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রোজা রেখে এমন ভোগান্তি বেশ কষ্টকর। বাসচালকরা বলছেন, সড়কে অন্যান্য দিন যানজট থাকলেও বৃহস্পতিবার গাড়ির চাপ বেশি থাকে। সে কারণে এদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে। বাসের জন্য অপেক্ষা করা একজন যাত্রী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাস নেই। বাস এলেও উঠতে পারব কি না সন্দেহ। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার জ্যামের কারণে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কি না কে জানে।   এদিকে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশির ভাগ গণপরিবহনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তা-ও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার। এবার রমজানে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে। এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার ওপর আজকে শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ, রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। গতকাল গাড়ির চাপ আরও বেশি ছিল, সেই তুলনায় আজকে একটু কম। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছি আনতে কাজ করছি।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:২৮

তীব্র ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা
ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলায় তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।   তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৭

তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে, রয়েছে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস
চলতি মাসে (মার্চ) তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। একই সঙ্গে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (৩ মার্চ) আবহাওয়ার মাসব্যাপী পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।  পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৫

রমজানে খেজুরের তীব্র সংকটের শঙ্কা
দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১২ অথবা ১৩ মার্চ শুরু হতে পারে ২০২৪ সালের রমজান মাস। এ মাসে রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান আইটেম খেজুর। ধনী-গরিব সবাই একটা হলেও খেজুর দিয়ে ইফতার করতে চেষ্টা করে। এরই মধ্যে বাজার থেকে খেজুর উধাও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি শুল্কের কারণে খেজুর আমদানি করা যাচ্ছে না। জানা গেছে, পাইকারি বাজারে গত বছর রোজায় ৯০-১১০ টাকা দরের খেজুর এবার ১৪০-১৫০ টাকা, ১২০-১৩০ টাকার খেজুর ২৫০ টাকারও বেশি, ২০০ টাকার খেজুর ৪০০ টাকার বেশি এবং ৩০০-৩৫০ টাকার খেজুর ৬০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আতিকুর রহমান রাজধানীর চকবাজারে তিনটি দোকানে দরদাম করলেন। কিন্তু খেজুর কিনলেন না। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দুই মাসের ব্যবধানে খেজুরের দাম কেজিতে ২০০টাকা বেড়েছে। খেজুর কেনার জন্য যে টাকা এনেছিলাম তা যথেষ্ট নয়। এ জন্য খেজুর কেনা হলো না। খেজুর বিক্রেতা মকসুদ মোল্লা বলেন, গত ২ মাসে হাজার টাকার নিচের খেজুরের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমাদের ক্রেতা ছাড়তে ইচ্ছে করেনা। দাম বাড়ায় এক কার্টন খেজুর বিক্রি করতে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লেগে যাচ্ছে। এদিন রাজধানীর পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সবগুলো দোকান খেজুর শূন্য। হাতে গোনা কয়েকটিতে খেজুরের কার্টন সাজানো। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন তারা কবে খেজুর পাবেন? এ বিষয়ে পাইকারি দোকান সাফওয়ানা ফ্রুটস ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার দোকানে খেজুর নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে খেজুর আমদানিও করতে পারছি না। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, গত রমাজানে যে খেজুর পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, এবার সেই খেজুরের ওপরই আমদানি শুল্ক গুনতে হচ্ছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরটির দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএফএফআইএ নেতারা দাবি করেন, খেজুরের দাম বাড়ার কারণ কাস্টমসের শুল্কায়নের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ। তারা এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী শুল্কায়ন করার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইরাক থেকে কার্টুনে ৮০০-৯০০ ডলারে যে খেজুর আমদানি করছি, সেটার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ ডলারে। প্রায় তিন গুণ বেশি দাম দেখিয়ে যে খেজুরটার শুল্ক নেওয়া হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। কাস্টমস আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও আমাদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত দামের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করুক, এটাই আমরা চাই। না হলে খেজুরের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। দামের কারণে মানুষও খেজুর কিনতে পারছে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর রোজায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি খেজুরের চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা রোজার আগে বাড়তি খেজুর আমদানি করেছে। এবারও ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে এবং শুল্কায়নের অপেক্ষায় ৪০০-৫০০ কন্টেইনার খেজুর বন্দরে আটকে আছে, যেখানে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খেজুর রয়েছে। বাড়তি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালুর কারণে এই খেজুরগুলো ব্যবসায়ীরা ছাড়াচ্ছে না। আর নতুন করে আমদানিও করতে চাচ্ছে না। বিএফএফআইএ সভাপতি বলেন, বাজারে ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা রোজায় আরও বাড়তে পারে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলো এবার খেজুর কিনতে পারবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থার নিরসনের একমাত্র উপায় প্রকৃত দামে অ্যাসেমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করা। তিনি বলেন, প্রকৃত দামের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ না করার কারণে আমদানিকারকদের অযৌক্তিকভাবে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। গত রোজার আগে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরে যেখানে শুল্ক দিতে হতো ৫.৪৫ টাকা থেকে ২১.৮৪ টাকা, সেটি এবার দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা থেকে ২০৮ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। কিন্তু এতেও খরচের খুব বেশি হেরফের হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি মেট্রিক টন খেজুর ৫০০-১৩০০ ডলার দিয়ে কিনে দেশের তার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরা হয়েছে ক্যাটাগরি ভেদে ১০০০-২৭৫০ ডলার। অর্থাৎ প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম ধরে শুল্ক আদায় করছে কাস্টমস। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের কাস্টমস শুল্কসহ মোট ৫৩ শতাংশের মতো বিভিন্ন শুল্ককর দিতে হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- কাস্টমস শুল্ক ২৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ৫ শতাংশ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিগত রমজানে ৬-৭টা আইটেমের ওপর কড়া নজরদারি থাকত। এবার রমজানের অনেক আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষ কষ্টে আছে। যদি রমজানে পণ্যের দাম বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। অথচ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেই দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ 
টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুর।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  এটি আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় এ অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।  এ দিকে গতকাল রোববার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রার হিসেবে দিনাজপুরে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও সোমবার সকাল থেকে দেখা মিলেছে সূর্যের। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আজ সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ ভাগ। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বাতাস বইছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ / তীব্র শীতে থমকে গেছে জনজীবন
তীব্র শীতে থমকে গেছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল শীত মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ দেশের ১২ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঢাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আকবর বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে  মনে হয় এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি শীত। এত ঠান্ডা যে বাসা থেকে বের হলেই হাত পা বরফ হয়ে আসে।  এই এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারনে বাইরে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম করতে পারছি না। বিপদে আছি। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। খুব সমস্যার মধ্যে আছি।  আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কয়েকটি জেলা ও বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন থাকবে এবং শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পার বলেও জানান তিনি। নাজমুল আরও বলেন, আগামী চার দিন দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে। গত কিছু দিন যেমন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘন কুয়াশা পড়ছিল, এখন সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুঁড়িগুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এ ছাড়া তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১

তীব্র শীতের মধ্যেও যেসব জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি
তীব্র শীতের মধ্যেও দেশের চার বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের বেশির ভাগ স্থানে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক পরিবহন চলাচল ব্যহত হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭

সাভারে তীব্র গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি
গ্যাস নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না সাভারবাসীর। আবাসিক ও শিল্প গ্রাহক সবাই গ্যাস সংকটে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সারা বছর গ্যাস সংকট থাকলেও গত ১৪ দিনে তা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ও ব্যক্তি জীবনে।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সাভার ও আশুলিয়া ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক মানুষকে রান্না না করে বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ রান্নার জন্য বিকল্প হিসেবে রাইসকুকার, ইন্ডাকশন ও স্টোভ ব্যবহার করছেন। সাভার পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকার বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল বলেন, সারাদিনই বাসা-বাড়িতে গ্যাস থাকে না। সন্ধ্যার পর লাইনে কিছুটা গ্যাস পাওয়া যায় তবে তাতে রান্না সেরে রাখতে কষ্ট হয়। এ দিকে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৫০০ এর মতো ছোটবড় শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) চাপের গ্যাস প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কারখানা মালিকরা বলছেন, এ চাপ সংকটের কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। এতে তাদের পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাভারের আল মুসলিম গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবু রায়হান জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমাদের গ্যাস সংকট পোহাতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের কারখানায় উৎপাদন চালিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।  এ ছাড়াও সিএনজি স্টেশনগুলোতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গ্যাস। দিনের বেলায় লাইনে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) না থাকায় সারাদিনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাত ১১টার পর থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন চালকরা। এ ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. খাদেম উদ্দিন বলেন, শীতের এ সময় গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। চাহিদা অনুপাতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।  তবে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়