• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রতারক চক্রের বিষয়ে তিতাস গ্যাসের যে বার্তা
তিতাস গ্যাসের নাম ব্যবহার করে প্রতারক চক্রের প্রতারণার বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ মার্চ) সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রতারক চক্র মোবাইলে ফোন কলের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে মর্মে খবর পাওয়া যাচ্ছে।  তাই গ্রাহকদের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তিতাস গ্যাস কোনো ধরনের নগদ বা ক্যাশে লেনদেন করে না, সব লেনদেন ব্যাংক ও এমএফএসের (বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়) মাধ্যমে হয়ে থাকে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে অথবা নগদ অর্থে কোনো লেনদেন না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০০

গ্যাসের মিটারে দ্বিগুণ ভাড়ার ব্যাখ্যা দিলো তিতাস
চলতি বছরের শুরুতেই গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে, যা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। মিটার ভাড়া এক লাফে ১০০ থেকে ২০০ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে মিটার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস বলেছে, প্রতিটি প্রিপেইড মিটারের আয়ুষ্কাল ১০ বছর বিবেচনা করে এর মূল্য, স্থাপন, ওয়েব সিস্টেম, মিটার ও সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ খচরসহ প্রতিটি মিটারের মূল্য কমবেশি ২৫ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। তিতাস গ্যাস কম্পানি ঋণ নিয়ে এসব মিটারের ব্যবস্থা করেছে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিটারের পুরো দাম একসঙ্গে না নিয়ে গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মাসিক ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে এই খাত সমন্বয় করা হচ্ছে। সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেট্রোবাংলার আওতাধীন সকল গ্যাস বিতরণ কম্পানির আবাসিক প্রিপেইড মিটারের মাসিক ভাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তিতাস আরও দাবি করেছে, গ্রাহকদের সুবিধার্থে সরকার আবাসিক গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার মাত্র ১৮ টাকা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করেছে। অথচ ২০২৩ সালে দেশে উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানীকৃত এলএনজি মিশ্রিত মূল্য গড়ে প্রতি ঘনমিটারে ১৮ টাকার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ আবাসিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিপরীতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই আবাসিক খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি অবান্তর। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতাও চেয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪২

ঘোষণা ছাড়াই গ্যাসের মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করলো তিতাস!
কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হুট করে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার অভিযোগ উঠেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি জানুয়ারি মাসে হুট করেই গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কেটে নিচ্ছে তিতাস। দোকানে কার্ড রিচার্জ করতে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এম রহমান নামে এক গ্রাহক বলেন, গ্যাস বিল দিতে গিয়ে দেখি মিটার ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আগে যা ছিল ১০০ টাকা। আমাদের কিছু না জানিয়ে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা হলো। এমনিতেই সব কিছুর দাম বেশি। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অর্ডার দেখেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’  অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। তথ্যমতে, ২০১৭ সালে বাসাবাড়িতে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সে সময় প্রিপেইড মিটার ভাড়া ছিল ৬০ টাকা। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ভাড়া ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়। বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে তিতাসের তিন লাখ ২৮ হাজার ৬০০টি প্রিপেইড মিটার রয়েছে। জানুয়ারির আগে প্রতি মাসে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মিটার ভাড়া চার্জ হিসেবে আদায় করা হতো। আইন অনুযায়ী তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন চার্জ ও ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে আগ্রহী পক্ষগণকে গণশুনানি প্রদানপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে আদেশ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে মিটার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কিছুই জানে না সংস্থাটি। এ বিষয়ে বিইআরসি’র সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তিতাস মিটার ভাড়া বাড়িয়েছে কিনা এর সত্যতা আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে তিতাসের কোনো ফাংশনাল সম্পর্ক নেই। বিইআরসি শুধু একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের বিলের মধ্যেই মিটার চার্জ সমন্বয় করে নেওয়ার কথা। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে মিটার চার্জ নিচ্ছে। এটা নেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। বিল বাড়ানোর কোনো এখতিয়ারও তিতাসের নেই।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়