• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জয় বাংলা না বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের তালা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কলেজ অনুষ্ঠানে জয় বাংলা না বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।   রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ওই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা মারা হয়।  এ সময় কক্ষের গেটে পোস্টার লাগিয়ে দেয় দলটির নেতাকর্মীরা। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু না বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, লড়াই চলবে ছাত্রলীগ লড়বে।’   জানা যায়, গত ৭ মার্চ জাতীয় দিবস পালন না করে অধ্যক্ষ একজন বিএনপিপন্থী শিক্ষককে অনুষ্ঠান পালনের দায়িত্ব দিয়ে নিজে ছুটিতে ছিলেন। এরপর ওই শিক্ষক অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ না বলে অনুষ্ঠান শেষ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলসহ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন।  এ নিয়ে গত ২০ মার্চ সুরাহার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে সেখানেও কোনো সুরাহা হয়নি। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।   এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ঢাকায় অবস্থান করছি। তালা ঝুলানোর কথা জেনেছি। ঢাকা থেকে ফিরে অভিভাবক ও সুধীজনদের সামনে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৪

জাবিতে হলের তালা ভেঙে কক্ষ দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের একটি কক্ষের তালা ভেঙে দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের অষ্টম তলার ৮০৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কক্ষের বাসিন্দারা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ৪৯ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শী-সূত্রে ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনুরাগ দাসের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ৮০৮ নং কক্ষের দরজা ও তালা ভেঙে হামলা করে কক্ষ দখলের চেষ্টা করে। সেসময় ওই কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিতে গেলে দুইজন গুরুতর আহত হয়।  এ সময় অভিযুক্ত রাফি উচ্চস্বরে চেচিয়ে জানায় হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে সে তালা ভাঙতে এসেছে। তালা ভাঙার সময় তাদের হাতে রড দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এ সময় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারায় আমার পা কেটে যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনুরাগ দাস বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটি মিস ইনফরমেশন ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নিবো।’ কক্ষ বণ্টন ও ফাঁকার খোঁজ রাখার দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষের, আপনি কেন তা করতে গিয়েছেন জানতে চাইলে অনুরাগ বলেন, ‘চারতলা ও পাঁচতলা তো ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি পোর্শন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্লকে যারা এলোটেড তারা অনেকেই নন-পলিটিকাল। আবার নন-এলোটেড অনেকেই পলিটিক্যালি এখানে এসেছে, সিট নিয়েছে। এই একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রশাসন শুরু থেকে চার ও পাঁচতলা ফাঁকা করে নাই। এলোট দিয়ে ফেলেছে। এখন নন-পলিটিকাল যাদের আর্জেন্সি আছে ও ব্লকে থাকতে চায় না তাদের থাকার জন্য ওই কক্ষটিতে ব্যবস্থা করতে গিয়ে তালা ভেঙেছি।’ অপর দুই অভিযুক্ত রাফি ও আরমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবীর বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরই রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাতেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

কিস্তির টাকা না পেয়ে ঘরে তালা, খোলা আকাশের নিচে পরিবার
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি বিকেল থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে তিন সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া (ফকির বাড়ি জামে মসজিদ) এলাকায়।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় আম্বালা ফাউন্ডেশন ওই দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।     পরিবহন শ্রমিক আলাউদ্দিন (৩৪) বাসের সুপারভাইজার এবং তার স্ত্রী ঋণ গ্রহীতা শামীমা আক্তার (২৮) স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক। শামীমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের দেওয়ানিবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার শ্বশুরের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বাসায় ফিরে তাদের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন চলতি মাসের ঋণ দিতে না দেওয়ায় এনজিও কর্মীরা তার ঘরে তালা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে শামীমার শ্বশুর আবুল বাশার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরের বাড়িতে থেকে শামীমা পাশের গিলাবেড়াইদ এলাকার ভিনটেজ ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ওই কারখানা থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার স্বামী আলাউদ্দিন এনা পরিবহন সুপারভাইজার। তাদের আমি এখন আমার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শাহরিয়া আফরিন (১৫), ছেলে মিনহাজ (১৩) মাদরাসায় লেখাপড়া করছে, আরেক মেয়ে আলভি (৬) রয়েছে। শামীম আক্তার জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময় আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পোশাক কারখানা থেকে তার চাকরি চলে গলে সে ফেব্রুয়ারি মাসের ঋণ পরিশোধ করতে পারে নাই। পরিবারের অপর সদস্য হয়ে, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা চালিয়ে তার স্বামীর একার পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা সম্বভ হয়নি।   তিনি বলেন, এক লাখ টাকার বিপরীতে তারা (আম্বালা ফাউন্ডেশন) আমাকে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিন ধরিয়ে দেয়। সেলাই মেশিন নিতে না চাইলে তারা ঋণ দেওয়া হবে না বলে জানায়। ঋণ ও যাবতীয় খরচসহ সঞ্চয় বাদে আমাকে এক লাখ টাকা না দিয়ে ৫৮ হাজার টাকা দেয়। প্রতি মাসে যথা নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি বকেয়া থাকায় এনজিও অফিসের লোকজন আমার ঘরে তালা দিয়ে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সময়মতো ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় কিস্তির টাকা জমা না দেয়ায় এনজিও কর্মীরা ঘরে তালা দিয়েছে। শামীমার স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আম্বালা ফাউন্ডেশন  শ্রীপুর শাখার মাঠকর্মী কবির হোসেন বলেন, আমাদের লোনটা নিতে গেলে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বীমা, আনুষঙ্গিক ২৬৫ টাকা খরচ আছে। ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে বলেন, ঋণ গ্রহীতা বাসায় থাকেন না। ফোন দিলে রিসিভ করে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাসায় গিয়ে না পেয়ে জামিনদারের উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আশিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের কিস্তি শামীমা আক্তারকে সঠিক সময়ে পরিশোধ করছিল না। কিস্তি দেওয়ার সময় প্রতি মাসেই পাঁচ’শ এক হাজার টাকা কম দিতো। কিস্তির টাকা আনার জন্য মাঠ কর্মী বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও শামীমাকে বাসায় পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও না আসলে ঋণের জামিনদারকে ডেকে এনে তার উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার টিটু চক্রবর্তীর বলেন, কিস্তি দেওয়ার কথা বলে কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায় ঋণ গ্রহীতা। ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, কিস্তি না দেওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১

দোকা‌নের তালা ভেঙে মিলল যুবকের লাশ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ থেকে নাহিদ (১৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বীরঘাটাইল গ্যারেজের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  নিহত নাহিদ পোয়া কোলাহা গ্রামের ধলা মিয়ার ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বীর ঘাটাইল মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে নাহিদ দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছিল। প্রতি দিনের মতো কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়ে সে। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্কশপ বন্ধ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খরব দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ দোকানের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।  তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম মিয়া।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১

বাকৃবিতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি : বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে ওই অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।  এ সময় আমার বোন লাঞ্চিত কেন প্রশাসন জবাব চাই, বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে, সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই, নিরাপত্তা কোথায়, ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন এমন সব স্লোগান ও পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।   রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনার পরবর্তীতে সম্মানহানির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছেন। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগপত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।  শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং রিকশার নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গতদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো ও সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে সোমবার থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শ্লীলতাহানির এ ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।  প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে তিনি জানান, প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। ২-১ দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবেন। উল্লেখ্য, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তায় সিএনজি প্রবেশ করান চালক। সেই সময়, তার সিএনজিতে কোনও যাত্রী ছিলো না। পরবর্তীতে সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

ববির প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দিল ছাত্রলীগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউমের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার কক্ষে তালা দেওয়া হয়।  ছাত্রলীগের এই একাংশের দাবি, তাদের মিথ্যা মামালার আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। রোববার তাদের এক নেতাকে জামিন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। এ বিষয়ে প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, তামজিদ মনঝুরকে রোববার জামিন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় তার গ্রুপ প্রক্টর অফিসে এসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তামজিদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে তামজিদের গ্রুপের আরেক নেতা মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা হয়েছে। কিন্তু প্রক্টর এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ দাবিতে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি। এটা পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হাসান বলেন, বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাদের পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে প্রশাসন। প্রক্টরের পদত্যাগের জন্য প্রয়োজনে আমরা আরও বড় কর্মসূচি পালন করব।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৯

তিন দফা দাবিতে রাবির রোকেয়া হল ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের তালা
খাবারের মান বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ক্যান্টিনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যান্টিনে তালা দিয়ে হল গেটে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ১০টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে প্রাধ্যক্ষ সাত দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ক্যান্টিন ব্যবস্থাপকের অপসারণ, খাবারের মান বাড়ানো এবং নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা। এ সময় ‌‘খাবারের মান বাড়ানো হোক, নাহলে গণরুমের জন্য ব্লকে রান্নাঘর চাই’, ‘খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে দায়ভার হবে কার?’, ‘খালাদের ভালো ব্যবহার চাই’, ‘খিচুড়িতে কি শুধু হলুদই দেয়া হয়?’ এই ধরনের বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সাতদিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো পূরণ না করলে, আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা। এ ছাড়া, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিনের তালা খুলবেন না। তবে নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ না হওয়ার আগে হল কর্তৃপক্ষ বিকল্পভাবে খাবারের ব্যবস্থা করলে তারা তালা খুলে দেবেন। আন্দোলনকারীদের একজন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম পলি বলেন, ক্যান্টিনের নতুন ব্যবস্থাপক আসার পর থেকেই ক্রমাগতভাবে খাবার নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা বলতে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই খাবার শেষ হয়ে যায়। খাবার মানসম্পন্ন হয় না। রুটি বানায় টিস্যু পেপারের মত পাতলা করে। খিচুড়িতে ডাল থাকে না, আবার শুকনা মরিচ দিয়ে রান্না করে। সবজি পাওয়া যায় না। হালুয়ার মত ডাল রান্না করে। এককথায় ওইসব খাবার মেয়েরা খেতে পারে না। গুটিকয়েক যারা ওই খাবার খায়, তাদের অনেকের আবার পেটে সমস্যা হয়। তিনি বলেন, এই সমস্যাগুলো নিয়ে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রীরা অনেকবার কথা বললেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই একই দাবিতে তৃতীয়বারের মত আজ আমাদের আন্দোলন করা লাগছে। মূলত, আজ সকালে কয়েকজন খেতে গিয়ে খাবার না পেলে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকেই আন্দোলন শুরু হয়। সাতদিনের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ না করলে, আবারও আন্দোলনে নামব আমরা। আরেক শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার বলেন, এর আগেও একই দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনের পর কিছুদিন খাবার ভালো দিলেও পরে পূর্বের মত দিতে শুরু করে। এ ছাড়া ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ক্যান্টিনের মধ্যে থাকা দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস রাখা হয়। আবার জিনিসপত্রের দামও তুলনামূলক বেশি। দোকানে লিখে রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস ফেরত নেওয়া হয় না, অথচ বিক্রিই করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস। তাই ক্যান্টিন ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়ন্তী রানী বসাক বলেন, যেহেতু ক্যন্টিনের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না, সেহেতু আমরা তাদের দাবিগুলো মানার কথা বলেছি। তবে আমরা চাইনি, ক্যান্টিনটা আপাতত বন্ধ থাকুক। আমরা চাচ্ছিলাম, ক্যান্টিন চলুক, এরমধ্যেই আমরা বিকল্প কাউকে খোঁজার চেষ্টা করব। কিন্তু তারা সেটাতে রাজি হয়নি। সাতদিনের মধ্যে দাবি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দুইদিনের মধ্যেই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবি করেছিল। আমরা জানিয়েছি, এতো কম সময়ে সম্ভব না। কারণ এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। এরপর তারা সাতদিনের কথা বলেছে। সাতদিন সময়টা তাদের কথা। আমি তাদের বলেছি, আমি আমার মত চেষ্টা করব। কারণ অফিসই খোলা থাকে সপ্তাহে পাঁচদিন, সাতদিন আমি কিভাবে কাজ করব?
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪০

নওগাঁয় তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা
আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর নওগাঁয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢুকে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে শহরের কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মোস্তাকিন আহমেদ নিপু, রুবেল হোসেন ও নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া আলম রোমিও।  নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হাদয়ার টিপু বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ আড়াই মাস যাবৎ বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার ফিরে দেওয়ার লড়াই সংগ্রামে, সরকারের দেওয়া মিথ্যা মামলায় আমাদের জেলে যেতে হয়। দীর্ঘ ৪৫ দিন কারাভোগ শেষে আমাদের মুক্তি মিলেছে।  আমরা সবাই একতিত্র হয়ে যুবদল, ছাত্রদলসহ আজ কার্যালয়ে এসেছি। এসে আমরা তালা ভেঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করি। আজ থেকে কার্যালয়ে পূর্বের ন্যায় প্রতিদিন খোলা থাকবে। এবং আগামীকাল শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। এবং যথারীতি দলীয় কার্যালয়ে সকল কার্যক্রম চলমান থাকবে। উলেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশ ঘিরে প্রাণহানি ও সংঘাত হয়। ওই দিনই থেকেই নওগাঁ কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। তবে তালা কে দিয়েছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচন বর্জন করে। 
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৯

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয়নি পুলিশ : ডিএমপি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তালা দেয়নি এমনটাই দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সংক্রান্ত প্রমাণ পুলিশের কাছে আছে বলেও দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে পুলিশ তালা দিয়েছে বলে যে দাবি বৃহস্পতিবার সকালে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করেছেন, তা সত্য নয়। এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি জানায়, আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতা-কর্মীদের নিয়ে তালা ভেঙে দলের কার্যালয়ে ঢোকেন। বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি আরও জানায়, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে কর্মসূচিটি পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছিল। এদিকে ডিএমপি বলছে, কার্যালয়ের ফটকের তালার চাবি ফেরত পাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি পত্র পাঠান রুহুল কবির রিজভী। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কার্যালয়ে পুলিশ তালা দিয়ে রেখেছিল। ডিএমপি বলছে, বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ কখনো তালা দেয়নি। বিষয়টি একাধিকবার স্পষ্ট করা হয়েছে। এরপরও এ নিয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশ শেষে সে রাতে কার্যালয়েই ছিলেন ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সোহাগ। পরদিন সকালে ফটকে তালা লাগিয়ে চলে যান তিনি। ফলে তালা দেওয়া নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ও চাবি ফেরত চাওয়ার এই পত্র যথাযথ নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিজভী সকালে একটি হাতুড়ি দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভাঙেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছিল। এরপর পুলিশ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দুই মাসের বেশি সময় পুলিশ কাউকে ঢুকতে দেয়নি, আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে। পুলিশ চাবি না দেওয়ায় তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকেছেন তারা।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯

তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
টানা ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে তালা ভেঙে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে এগারোটার দিকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা পৌনে এগারোটার দিকে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মীসহ অফিস স্টাফরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ ছিল দলটির কার্যালয়। এই সময়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে নিয়মিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতি পাঠিয়ে আসছিল তারা।  এর আগে, বুধবার দলীয় কার্যালয় খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রহসনের এক নির্বাচন। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। 
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়