• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্যতিক্রমধর্মী কাজ দিয়ে আলোচনায় নির্মাতা তারেক মাহমুদ সুমন
ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেলগুলোতে নানান নতু নতুন কাজ দেখা যায়। সেই কাতারে আছে নানান বিজ্ঞাপনও। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সকল বিজ্ঞাপটনের মাঝে দর্শকদের মন জয় করেছে এক মুঠোফোন কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন।  বিজ্ঞাপন চিত্রটিকে আলাদা করে দেখার অন্যতম মূল কারণ হলো এর স্টোরি প্লট। মূলত বাক প্রতিবন্ধিদের প্লট নিয়ে বিজ্ঞাপনটির নির্মাণ। বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে, গুনিশিল্পী আশোক বেপারী সাথে নবাগত মিরাজ এবং সাবরিন আজাদকে। বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নির্মাতা তারেক মাহমুদ সুমন জানান, সাধারণত বিজ্ঞাপনচিত্রর ক্ষেত্রে আমারা প্রোডাকশন হাউজ কোম্পানিরা মার্কেটিং এজেন্সি থেকে গল্পের ব্রিফ পেয়ে থাকি, এরপর গল্পের উপর ভিজুয়াল এর কাজ করা হয় আর কি। তবে এই মুঠোফোনটির বিজ্ঞাপনটির ক্ষেত্রে গল্পটা একটু আলাদা, অনেকেই জানেন না হয়তো, এই গল্পটা আমার নিজের লিখা, কিছু বাস্তবিক অনুপ্রেরনা থেকে। তাই মূলত ব্র্যান্ড পিচিং থেকে শুরু করে টিল এন্ড সবখানেই আমার ইনভলবেন্স ছিলো। সামনের নতুন কাজ নিয়ে তিনি বলেন, ঈদের পর ২০ তারিখ একটা ব্র্যান্ড-এর শুট আছে। ইতোমধ্যে আমার টিম সহ আমরা প্রি-প্রোডাকশন এর কাজ শুরু করে দিয়েছি। সো এটা আসলে চমক না, অন্য কি! সেটা আপাতত বলতে পারছি না।   
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

তারেককে ত্যাগ করতে না পারলে বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য : পাটমন্ত্রী
তারেক রহমানকে ত্যাগ করতে না পারলে বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।  বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে- দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, কোন দল ভাঙে? যেটা আস্ত থাকে সেটা ভাঙা যায়! যে দলটি (বিএনপি) ভাঙা ট্রেনে উঠে গিয়েছে, সে দল নিয়ে আওয়ামী লীগ কেন, বাংলার জনগণেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। কত রাজনৈতিক দল ভুল রাজনীতির কারণে বিলীন হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এমন নজিরও রয়েছে। বিএনপিও সেদিকে যাচ্ছে। যারা নির্বাচন ত্যাগ করেছে, যারা জনগণের রায় মেনে নেয়নি তাদের রাজনৈতিক অবশিষ্ট অংশটুকু বিলীন হয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী এরপর বলেন, আপনাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতা, কাপুরুষতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। এসব বলে লন্ডনে বসে থাকা পলাতক কুলাঙ্গার তারেক রহমানের ব্যর্থতা ঢেকে রাখতে পারবেন না। লন্ডনের সুতা পরিহার করতে না পারলে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না, বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য। এ দেশের রাজনীতিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং বিএনপিকে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে আসতে হবে। একতরফা নির্বাচনের কারণে এ সরকার টিকবে না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কেন্দ্রে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কোনো যুক্তি নেই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠন করে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, আব্দুল আলীম বেপারী, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব, শাহ্ জালাল মুকুল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান নাঈম প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:০৮

লন্ডনে বসে বিএনপিকে ধ্বংস করছেন তারেক রহমান : নানক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে দলটিকে ধ্বংস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির নেতা পলাতক আসামি তারেক রহমান দলটিকে ধ্বংস করতে চান। লন্ডনে বসে বিএনপিকে ধ্বংস করছেন তিনি। বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে আগে তারেক রহমানকে পরিত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, ড. মঈন খান তাদের অপরাধ আড়াল করতে চান। তিনি বিএনপির ব্যর্থতা আড়াল করতে চান। তারা এখনই যদি তাদের ধ্বংসের কারণ বুঝতে ব্যর্থ হন, তবে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। তিনি আরও বলেন,  আমি ড. মঈন খানসহ বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, আপনারা আসল তথ্য বের করুন, আসল রহস্য বের করুন। জনসমক্ষে বলুন আর না বলুন, দলের অভ্যন্তরীণ সভায় আপনারা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। নয়তো তারেক রহমান এ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিরোধীদের সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানাই। আমরা চাই দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল। সেই ক্ষেত্রে যারা শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে এমন একটি শক্তিশালী বিরোধী দলকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫

ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে সেটা স্বাক্ষর করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।  চার্জশিটে জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা দিয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনা হয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান চার্জশিটে উল্লেখ করেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম শাহবাগ থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।  মামলায় বলা হয়, মামলার বাদী ও তার বন্ধুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বসে ২৩ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলেন। এ সময় ‘জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতা ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান’ শিরোনামে একটি ভিডিও তাদের নজরে আসে।  ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মিসভায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্য রাখছেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আজ এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন, এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কি আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারি? আমাদের নেতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। তিনি শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করেন, যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করেন, যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেন, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সবাই মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলো, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।’
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮

ক্লাসিফাইড নথি প্রকাশ / তারেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সুপারিশ করেছিল মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন নথি অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি বার্তা পাঠানো হয়। যেখানে তারেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারেকের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের পক্ষে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় ওই বার্তায়। নথিটি সম্প্রতি ক্লাসিফাইড হওয়ায় সামনে এসেছে।  নথিতে দেখা যায়, দূতাবাস অভিবাসন ও  জাতীয়তা আইন ধারা ২১২(এফ) এবং রাষ্ট্রপতির ঘোষণা ৭৭৫০ মোতাবেক নিরাপত্তা পরামর্শও চায়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে, রাষ্ট্রপতি বুশ ঘোষণা ৭৭৫০ স্বাক্ষর করেন ‘দুর্নীতিতে জড়িত বা সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের অভিবাসী বা অ-অভিবাসী হিসাবে প্রবেশ ঠেকানোর জন্য।’ নথিতে উল্লেখ করা হয়, তারেকের বেপরোয়া দুর্নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র মিশনের লক্ষ্যগুলোও ব্যাপকভাবে হুমকিতে পড়েছে। ঢাকা দূতাবাসের বাংলাদেশের জন্য তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার রয়েছে। গণতন্ত্রায়ন, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসীদের জায়গা না দেওয়া। তারেকের দুর্নীতিতে তিনটি লক্ষ্য অর্জনই বিঘ্নিত হয়েছে। তার অর্থআত্মসাৎ, চাঁদাবাজি ও বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের কারণে আইনের শাসন ব্যাহত হয়েছে এবং স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যকে হুমকিতে ফেলেছে। ‘চূড়ান্তভাবে, আইনের শাসনের প্রতি তার চরম অবাধ্যতা বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরিরে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে। সংক্ষেপে বলা হয়, বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার বেশির ভাগের জন্যই তারেক ও তার সহযোগীদের দায়ী করা যায়।’ এতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেক দায়ী বলে দূতাবাস মনে করে। তার দুর্নীতির কারণে মার্কিন ঘোষণাপত্রের ৪ নম্বর ধারায় বর্ণিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে।’ তবে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা ও মা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়নি দূতাবাস থেকে। বার্তায় তারেক রহমানকে ‘কুখ্যাত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে, যাকে সবাই ভয় পায়’ বলে বর্ণনা করা হয়। বার্তায় তারেক জিয়া সম্পর্কে বলা হয়, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বিষয় এবং রাজনৈতিক পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে যত্রতত্র ঘুষ চাওয়ার জন্য তারেক জিয়া কুখ্যাত। দুর্নীতিপ্রবণ সরকার এবং বাংলাদেশের সহিংস রাজনীতি এক দৃষ্টান্ত সে।’ ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অর্থআত্মসাৎ ও কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা চললেও তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি তারেক জিয়ার বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট আছে। গত সেপ্টেম্বরে তার একটিতে যুক্তরাজ্য ভিসা দিয়েছে। ২০০৫ সালের ১১ মে ইস্যু করা অন্য একটি পাসপোর্টে পাঁচ বছর মেয়াদি (বি১/বি২ ভিসা) ভিসা লাগানো আছে। সরকার সেটি জব্দ করেছে বলে আমাদের ধারণা।’ ‘তারেক কয়েক শ’ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে খবর রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী জবানবন্দি দিয়েছেন, যিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন। তার বার্তায় বলা হয়, ‘একটি মামলায় তারেক আল আমিন কনস্ট্রাকশনের মালিক আমিন আহমেদকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দেড় লাখ ডলার না দিলে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন খান, মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের মীর জহির হোসেন ও হারুণ ফেরদৌসিসহ অন্য অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে  কয়েক মিলিয়ন ডলারের চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ফাঁকির মামলা দিয়েছে।’ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘তারেকের দুর্নীতির কর্মকাণ্ড শুধু স্থানীয় কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অনেকগুলো ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।’ সিমেন্সের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তারেক ও তার ভাই কোকো দেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনের সাক্ষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সিমেন্সের সব চুক্তির ক্ষেত্রে তারেক প্রায় দুই শতাংশ ঘুষ নিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তারেক রহমানকে সাড়ে সাত লাখ ডলার দেয়। তারেকের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এ ঘুষের অর্থ নিয়ে তা সিঙ্গাপুরে সিটিব্যাংকে রাখে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা দূতাবাসকে জানিয়েছেন, মোনেম কনস্ট্রাকশন একটি কার্যাদেশ পেতে তারেক রহমানকে সাড়ে চার লাখ ডলার দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তথ্য রয়েছে যে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সানভীর সোবহানকে একটি হত্যা মামলা থেকে ‘রক্ষায়’ ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেন তারেক রহমান। বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবীর হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে একজন ছিলেন সানভীর। এ হত্যা মামলা থেকে সানভীরকে রেহাই দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তারেক ওই অর্থ নেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়