• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঝালকাঠিতে ১৪ মৃত্যু : বৌভাতে আর যাওয়া হলো না তাদের
ঝালকাঠিতে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গাবখান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।   বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)।  ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট হাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত চারটি ইজিবাইক ও একটি মাইক্রোযোগে প্রায় ২৫ জন নিয়ে গাবখান ইউনিয়নের ওস্তাখাল গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। আমার শ্যালিকার বৌভাতের আয়োজন ছিল। পথে গাবখান টোলে গাড়িগুলো টোল দিচ্ছিল। এরই মধ্যে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে আমাদের গাড়িগুলো, পথচারী ও টোলকর্মীদের চাপা দেয়। শেখেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতফি আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেনের শ্যালিকার বৌভাতে যাচ্ছিল। কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১০ জন নিজের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ জন নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

ইফতার পার্টি করতে তাদের লজ্জা করে না : কাদের
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই রমজানে তারা একজন গরিব মানুষকেও সাহায্য করেনি। তারা মানুষকে কোনো প্রকার সাহায্য না করে বড় বড় হোটেলে গিয়ে ইফতার পার্টি করেছে। অথচ তারাই আবার বলেন, ঢাকা শহরে এত ভিক্ষুক কেন? তাদের কি লজ্জা করে না? বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা ১০ আসনের জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে গরিব মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। তিনি বলেন, ঈদের সময় দান-খয়রাত ও জাকাত পাওয়ার আশায় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ না খেয়ে রাস্তায় পড়ে মারা গেছেন এমন একটা দৃষ্টান্তও শেখ হাসিনার আমলে নাই। বিশ্বে সংকট, বাংলাদেশে সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করে কমিয়েছি। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে তারা (বিএনপি) বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়াকান্না করেন। তারা কি ভুলে যান জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে নারীরা অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস কি তারা ভুলে যায়? তিনি আরও বলেন, তারাবির নামাজের পর সারারাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনও কারো নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তাদের কথায় কান দেবেন না।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

‘জনগণের আমানতকে যারা খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত’
জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে যারা খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত বলে মনে করেন আদালত।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে হলমার্ক কেলেঙ্কারি মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত এ কথা বলেন।  হলমার্ক কেলেঙ্কারি দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা উল্লেখ করে বিচারক বলেন, এসব অপরাধীদের মৃত্যুণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এর আগে, এই মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান।  ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৪

‘পুতুল সরকার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও ভোটই পছন্দ হবে না’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার (১৮ মার্চ) তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র যতদিন বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার বসাতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত কোনও নির্বাচনই তাদের পছন্দ হবে না।” ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনডিআই ও আইআরআই প্রতিবেদন প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়। ওই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এনডিএ ও আইআরআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতা কম হয়েছে। তার কারণ হিসাবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

যেভাবে সোমালীয় জলদস্যুদের উত্থান, যেমন আয় তাদের
সোমলীয় জলদস্যুরা ফের ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর কিছুটা নীরব ছিল বিশ্বের কুখ্যাত এই দস্যুবাহিনীটি। লোহিত সাগরে হুথিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশি ব্যস্ত থাকার সুযোগে ভারত মহাসাগরের গালফ অফ এডেনে তারা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এই দস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ২৩ জন নাবিকসহ জিম্মি করেছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে তারা সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে কর্মরতরা অডিওবার্তায় জানিয়েছে। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণও চেয়ে বসেছে ভয়াবহ এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটি। ব্যর্থতায় নাবিকদের একে একে সাবাইকে মেরে ফেরার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  যেভাবে উত্থান এই জলদস্যুদের : ইতালিয়ান ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার জন্ম। পরের দুই দশকের বেশি সময় যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়াতে কার্যকর কোন সরকার ছিল না। এই সময়টায় আফ্রিকার মধ্যে দীর্ঘতম উপকূল সমৃদ্ধ দেশটির জলসীমার নিরাপত্তায় কোনো কোস্টগার্ড বা বাহিনী ছিল না। এতে এই অঞ্চলে বিদেশি মাছ ধরা নৌযানের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্থানীয় জেলেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে, তারা দস্যুবৃত্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে। ইন্ডিয়ান ওশান কমিশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতেও ওই সময়ের দস্যুতার নেপথ্যে এই কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাছাড়া, মৎস্য শিকারের চেয়ে দস্যুতায় আয়ের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি। তবে, কয়েক বছর তাদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ওই রুটে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায়। এর ফলে ২০১২ সাল নাগাদ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসে দস্যুবৃত্তি। ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর অপারেশন কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ডানকান পটস তখন বিবিসিকে বলেছিলেন, সামুদ্রিক দস্যুতার ‘বিজনেস মডেল’ কার্যকরভাবে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছেন তারা। সাম্প্রতিক হামলা : কিন্তু গত কয়েক মাসে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়েছে। পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বা ইইউন্যাভ ফর আটালান্টা। তাদের মতে, গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সোমালি উপকূলে অন্তত ১৪ টি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার নৌকা এবং লাইবেরিয়ান-পতাকাবাহী সেন্ট্রাল পার্ক নামের একটি জাহাজের জেলে ও নাবিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেন্ট্রাল পার্কের উদ্ধার তৎপরতায় মার্কিন নৌবাহিনী জড়িত ছিল। পরে তারা জানায়, এটা স্পষ্টতই দস্যুতা এবং আক্রমণকারীরা সম্ভবত সোমালিই ছিল। ডিসেম্বরে এমভি রুয়েন নামে মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়। এখনও জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হামলাকারীদের হাতে। জিম্মি আছেন ১৭ জন ক্রু। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো- আইএমবি’র মতে, এটি ছিল ছয় বছরের মধ্যে সোমালিয়ায় প্রথম সফল হাইজ্যাকিং। আইএমবি একটি প্রভাবশালী অলাভজনক সংস্থা যা সামুদ্রিক অপরাধ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করে।   ভারতীয় নৌবাহিনীর ব্যাপক অভিযান জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে তিনটি অভিযানে ১৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় তারা। তাদের মধ্যে ১১ জন ইরানি নাগরিক বাকিরা পাকিস্তানি। ভারতীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়, ‘এদের সবাই সোমালি দস্যুদের হাতে বন্দী ছিলেন।’ বিবিসি’র রিয়েলিটি চেক টিমের প্রতিবেদন বলছে, শুধু ২০১৮ সালেই পূর্ব আফ্রিকান জলসীমায় ১১২ টি নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ২৩ জন ক্রু সহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। দস্যুদের উদ্দেশ্য কী? আয় কেমন? ২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে হর্ন অফ আফ্রিকার দস্যুরা কী পরিমাণ অর্থ আদায় করেছে তার একটি আনুমানিক হিসাব করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী জলদস্যুরা ক্রুদের জিম্মি করে সাড়ে তিনশো থেকে সোয়া চারশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আদায় করেছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাইজেরিয়ার ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার স্যামুয়েল ওয়েওল বলেন, ছিনতাইয়ের পেছনে মূল লক্ষ্য মুক্তিপণ আদায় বলেই ধারণা করা যায়। অন্তত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর নেপথ্য এটিই মূল কারণ। ২০১১ সালে একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে দস্যুরা। দুশো মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি ছিল নৌযানটিতে। আটক দুই ফিলিপিনো ক্রুকে হত্যা করা হয়। সূত্র : বিবিসি
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৯

‘যারা ৭ মার্চ পালন করে না তাদের নিয়ে সন্দেহ আছে’
‘যারা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে না, তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না, সন্দেহ আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।  ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৭ মার্চকে যারা অস্বীকার করে বা যারা ৭ মার্চ পালন করে না, তারা আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে, এটিই সন্দেহের বিষয়। কারণ, বাংলাদেশের ইতিহাস, আমাদের স্বাধীনতা ৭ মার্চ ছাড়া হতে পারে না। এর আগে, সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও একবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৭

‘পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে’
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফারুক খান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা অনুসরণ করতে হবে। যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। এ বিদ্রোহের অবসান হয় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। রক্ত বয়ে যায় পিলখানায়। পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না : নুর
ওবায়দুল কাদেররা যতই হুমকি-ধমকি দিক, তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ভালো করেই জানে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তারা জোর-জবরদস্তি করে সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো পরিচয় নেই। এদের কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। এদের কথা কেউ শুনছে না। কতগুলো অশিক্ষিত, দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী আজকে সংসদে বসে আছে। ওদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। এরা আছে টাকা বানানোর ধান্দায়। ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে ৬০০-এর বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে তুলে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে সীমান্তের ওপারে পাওয়া গেছে। ইলিয়াস আলীকে এখনও পাওয়া যায়নি। সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৩

‘আমি তাদের হয়ে ভালো বোলিং করে দিতে পারব না’
চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লাকে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ঢাকা। এরপর আটটি ম্যাচ খেলে ফেললেও একটিতেও জয় পায়নি তাসকিন-শরিফুল। ভালো শুরু করে শেষটা সঠিকভাবে করতে পারছে না দলটি। বিদেশি ক্রিকেটাররাও পারফর্ম করছেন না। বোলিংয়ে সেই তাসকিন ও শরিফুলই শেষ ভরসা। বরিশালের বিপক্ষে হারের পর বিদেশিদের পারফম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ঢাকার অধিনায়ক। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট তুলে নেয় তাসকিন ও শরিফুলরা। কিন্তু পরের ওভার গুলোতে রান দিতে থাকে বোলাররা। এ ছাড়াও ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করেও বড় পুঁজি গড়তে না পারায় বেশ কিছু ম্যাচ কাছে গিয়ে হেরেছে। দলের এমন মাঝ পথে ছন্দ হারানোর কারণ জানতে চাইলে তাসকিন বলেন, দেখেন এই একটা কারণে আমরা কয়েক ম্যাচ কাছে গিয়ে হেরেছি। এখন বোলিংয়ে আমি বা শরিফুল ভালো করছি। যেমনটা আজকে দেখেন, আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝে বোলাররা রান খরচ করেছে। ‘ এখন তারা বিদেশ থেকে এসেছে আমি তো তাদের হয়ে ভালো বল করে দিতে পারব না। আমি তাদের মতো করে ফিল্ড সেট করে দিতে পারব। তা ছাড়া তারাও এসেছে ভালো খেলার জন্য, চেষ্টা করছে।’ টানা আট ম্যাচ হারের পর তাসকিন বলেন, দেখেন আমাদেরও হারতে ভালো লাগে না, আমাদেরও কিন্তু পরিবার আছে। চেষ্টা করছি না হলে কি করব। চলমান বিপিএলে দল খারাপ করলেও বোলিংয়ে সঙ্গে ব্যাটিংয়ে রান করছেন দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক। ব্যাটিং সাফল্য নিয়ে টাইগার পেসার বলেন, আমি অনুশীলন করেছি, তার ফল পাচ্ছি। আমি চায় একজন ভালো মানের টেলেন্ডার ব্যাটার হতে। চলতি বিপিএলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ইনজুরিতে পড়ায় দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়কের দায়িত্ব উঠেছে তাসকিনের কাঁধে। নেতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, এটাই প্রথম। তবে এটা খুব কঠিন দায়িত্ব। এখন থেকে অনেক কিছু শিখতে চায়। সুযোগ গেলে লোকাল লিগগুলোতেও দায়িত্ব নিতে চায়
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৭

কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন, যেসব কথা হলো তাদের
গত বছর নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে বাহাস হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও  বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থার প্রধানের মধ্যকার এই কথার লড়াই শুরু করেছিলেন বাফুফে সভাপতি, আর তাকে জবাব দেন বিসিবি বস। সে সময়ে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠেছিল তাদের কথার লড়াই। তাদের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১০ মাস। এদিকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার সভাপতির পাশাপাশি পাপন এখন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে আগের পদেই আছেন সালাউদ্দিন। সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি হয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের। এরপর থেকে বাসাতেই থাকছেন তিনি।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সালাউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার বারিধারার বাসায় যান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল। এ সময়ে পাপনের সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।  বৈঠক শেষে পাপনের দাবি,‌ এতদিনের সম্পর্ক একদিনে নষ্ট হয় না। প্রায় ২০ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে নাজমুল হাসানের ভাষ্য, ওনার যখন সার্জারিটা হয়, তখন তো নির্বাচনে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) শেষ মুহূর্ত। আমি তখন এলাকায় ছিলাম। তখন থেকেই ওনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। ঢাকায় এসেই ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে দেখতে যেতে চাই, কী অবস্থা আমাকে জানাতে বলি। ওনারা বলেন, জানাবেন। আমি আবার বাইরে চলে গেলাম এসিসির এজিএমের জন্য। আসার পর বললেন যেকোনো সময় আসতে পারেন। পরশু দিন বলল, আমি আজ চলে এলাম দেখতে। নাজমুল যোগ করেন, দেখে মনে হলো আল্লাহর রহমতে উনি খুব ভালো আছেন এখন। অনেক সুস্থ। হাঁটাচলা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, সেটা দেখে ভালো লেগেছে। সার্জারির পর পুনর্বাসন দরকার আছে। আরও কিছুদিন সেটা করতে হবে। সৌজন্য সাক্ষাতে ফুটবল নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রীর মন্তব্য, ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমি আগেই বসেছি। তখনই ওনাদের মূল ইস্যুগুলো শুনেছি। আজকে উনি (কাজী সালাউদ্দিন) কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছেন। আমি বলেছি, ঠিক আছে আপনি একেবারে সুস্থ হয়ে আসেন। এর মধ্যে কিছু কাগজপত্র পাঠাতে বলেছি, আমি দেখব। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, একই জিনিস। একটা হচ্ছে, খেলার মাঠ নেই। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম লম্বা সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে, ওনাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। এটা বড় সমস্যা। পরশু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখতে যাচ্ছি আমি। কীভাবে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, আপ্রাণ চেষ্টা করব। খেলার কোনো জায়গা বের করতে পারি কি না, দেখব। দুজনের বৈরিত প্রশ্নে নাজমুলের জবাব, এতো বছরের সম্পর্ক একদিনের কথায় তো আর শেষ হয়ে যায় না। ছোটবেলা থেকে মাঠে যেতামই ওনার খেলা দেখতে। এটা তো অস্বীকার করার পথ নেই। ওনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার বাংলাদেশে আর নেই। অনেক সময় অনেক কথায় উনি আহত হতে পারেন, আমিও পারি। সেটা ওখানেই শেষ। এর আগে, গত বছরের মার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে ফোন করেছিল। দল পাঠাতে আর্থিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাইনি, এ কথাও আমাকে বলা হয়েছে। সে সময়ে নাজমুলকে খোঁচা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফুটবলেরও প্রিয়। সবার ব্যক্তিত্ব তো এক নয়। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। স্বাধীনতা থেকে আজ পর্যন্ত। আমি ওই নাটক করতে পারব না। লোক দেখাতে পারব না। দুঃখিত, এটাই আমার চরিত্র। সালাউদ্দিনের কথার জবাবে বিসিবিপ্রধান বলেছিলেন, যে যত কথাই বলুক, এসব নিয়ে আমি মন খারাপ করি না। তবে আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লাগছে মেয়েরা (অলিম্পিক বাছাই) যেতে পারল না! তা–ও মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য! এর চেয়ে দুঃখ, কষ্ট… মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী কষ্টটাই না পেয়েছেন! নাজমুল তখন এ-ও বলেছিলেন, আমি জানি না, এটা নিয়ে কেন বলেছে। আমার মনে হয় সমস্যাটা আপনাদের (গণমাধ্যম), আপনারা (সাংবাদিক) এতো বাজে প্রশ্ন করলেন কেন। আপনারা হিসাব চাচ্ছেন, টাকা কী করেছেন। এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে যান কেন। এটা করলে তো উনার মাথা খারাপ হবে, এটা সবাই জানেন। এমন প্রশ্ন করেন কেন। করলে মাথা ঠিক থাকবে?
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়