• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সূর্যের তাণ্ডব আর শেষের রোমাঞ্চে মুম্বাইয়ের দাপুটে জয়
লড়াইটা ছিল আইপিএলের লিগ টেবিলের ৮ আর ৯ নম্বরের দলের। আগের ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ নেওয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আর পাঞ্জাব কিংসের কাছে এই ম্যাচটি জয়ের ধারায় ফেরার একমাত্র চাবিকাঠি ছিল। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদবের বিস্ফোরক ইনিংস আর শেষ দিকের রোমাঞ্চে পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারিয়েছে মুম্বাই। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে বড়সড় পরিবর্তন না এলেও প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল হার্দিক পান্ডিয়ারা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মুল্লানপুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দল। এরপর শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মার ব্যাটে ম্যাচে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত জয়ের দেখা পায়নি পাঞ্জাব। টস হেরে ব্যাট করতে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বাই। দলীয় ১৮ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার ঈশান কিষাণ। ফেরার আগে উইকেটকিপার এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৮ রান। দ্রুত উইকেট হারালেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি টুর্নামেন্টের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা। এই জুটিতে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৫৪ রান তোলে মুম্বাই। এরপরও রোহিত এবং সূর্যকুমারের তাণ্ডব চলতে থাকে। তবে দলীয় ৯৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন রোহিত। স্যাম কারানের স্লোয়ারে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ব্রার তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩ ছক্কা আর দুই চারে ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস সাজান দলটির সাবেক এই অধিনায়ক। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন সূর্যকুমার। রোহিতের পর তাকে সঙ্গ দেন তিলক ভার্মা। মারমুখী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন সূর্য। তার সামনে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ারও সুযোগ ছিল। তবে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি তিনি। কারানের ফুল অ্যান্ড ওয়াইড লেন্থের ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭ বাউন্ডারি আর ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৩ বলে ৭৮ রানের মারকাটারি এক ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। শেষ দিকে তিলকের তাণ্ডব আর টিম ডেভিডের ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় মুম্বাই। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিলক। পাঞ্জাবের হয়ে হার্শাল প্যাটেল তিনটি, স্যাম কারান দুটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া কাগিসো রাবাদার শিকার এক উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। দলীয় ১৪ রানের মাথায় টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে তারা। দুই অঙ্কের কোটা ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্যাম কারান, প্রভসিমরন সিং, রাইলি রুশো এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। এরপর শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেন হারপ্রিত ও শশাঙ্ক। পাওয়ারপ্লে শেষে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৪০ রান। এরপর স্কোরশিটে ৯ রান যোগ করতেই ফেরেন হারপ্রিত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আবারও নিজের জাত চেনান ভুলক্রমে পাঞ্জাবের দলে জায়গা পাওয়া শশাঙ্ক। শেষ দিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আশুতোষ শর্মা। এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন বুনেছিল পাঞ্জাব। তবে দলীয় ১১১ রানে ব্যক্তিগত ৪১ রানে শশাঙ্ক ফিরলে আবারও ফিকে হয়ে যায় স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্ন। এরপর প্রীতি জিন্নাতার দলের নিবু নিবু হারের মুহূর্তে জ্বলে উঠেন আশুতোষ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন এই ব্যাটার। তবে দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় ২৮ বলে ৬১ রানে আশুতোষ ফিরলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি পাঞ্জাবের। শেষ পর্যন্ত ৯ রানের নাটকীয় জয় পায় মুম্বাই। মুম্বাইয়ের হয়ে বুমরাহ ও কোয়েৎজি তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আকাশ মাধেওয়াল, হার্দিক পান্ডিয়া এবং শ্রেয়াস গোপালের শিকার একটি করে উইকেট।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৪

পিরোজপুরে ঝড়ের তাণ্ডব : ২ দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
পিরোজপুরে হঠাৎ করে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। স্বল্প পরিসরে পিরোজপুর শহরে রাতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা গেলেও অধিকাংশ এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় ঝড়। আর মুহূর্তের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার পৌরএলাকা এবং শারিকতলা ইউনিয়ন। এর প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায়ও। সদর উপজেলার দক্ষিণ মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপা পড়ে মারা যান এক নারী এবং একই এলাকায় পানিতে পড়ে মারা যান আরেক বৃদ্ধ। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। অন্যদিকে ঝড়ে গাছে থাকা আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলের গুটি এবং গাছে থাকা কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  তবে ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পিরোজপুর সদর, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা। তবে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলো থেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করা সম্ভব হলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখনও যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। এতে করে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায়।  তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার মধ্যে অধিকাংশ এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

গাজায় দুর্ভিক্ষ, রমজানেও ইসরায়েলি তাণ্ডব
ইসরায়েলি চলমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। রমজানেও নজিরবিহীন খাদ্যসংকটে দিন পার করছে গাজাবাসী। ত্রাণের খাদ্য সংগ্রহের লাইনে খালি পাত্র নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে শিশুরা। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িঘর। মুসলিমদের পবিত্র মাসেও থেমে নেই ইসরায়েলি নির্মমতা। দক্ষিণ গাজার রাফাহ, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চল, নুসেইরাত শরণার্থীশিবির এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত দুই দিন ধরে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছে শিশুসহ ৯৩ জন। এর মধ্যে জাবালিয়ার একটি স্কুলের সামনে ইসরায়েলি হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উপপরিচালক ডা. আমজাদ এলিওয়া বলেছেন, এখানকার মানুষ এরই মধ্যে কয়েক মাস ধরে উপবাস করছে। গাজাবাসী পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করছে। ইসরায়েল ও মিসরের অবরোধের কারণে গাজার জনগোষ্ঠী যুদ্ধ শুরুর আগেও বিদেশি ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী স্থলপথে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্যসংকট। চলছে দুর্ভিক্ষ। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মন্তব্য করেছেন, গাজার প্রতিটি মানুষ তীব্র মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার। মঙ্গলবার ফিলিপাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন আরও বলেন, গাজার ১০০ শতাংশ মানুষই তীব্র মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। এই প্রথমবারের মতো সমগ্র জনগোষ্ঠী এভাবে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সেখানে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে বিপর্যয়কর ক্ষুধায় ভুগছে। উত্তর গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অনাহার ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। চলতি মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ করাল থাবা বসাতে পারে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আইপিসির প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন, এটি ‘এ পর্যন্ত নথিভুক্ত বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন মানুষের সর্বোচ্চ সংখ্যা। উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এটি পুরোপুরি ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয়। গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছতে কাতারে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে বলে মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। অপরদিকে চলমান সংঘাতে গাজায় মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘাতে ১৭ হাজার শিশু এতিম অথবা মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়