• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে গ্রাম আদালত বিল
গ্রাম আদালতের জরিমানা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করা হচ্ছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এমন বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়, একজন চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-  ১. কোনো চুক্তি রসিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়;  ২. কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা;  ৩. স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা;  ৪. কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা;  ৫. গবাদি পশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা;  ৬. কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা; ৭. কোনো স্ত্রী কর্তৃক তার বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দিলেও আইনের ব্যত্যয় হবে না : তাজুল ইসলাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়া হলেও তা আইনের ব্যত্যয় হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। গত সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। আইন থাকার পরও এটা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটা যেভাবে করা আছে, তাতে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে।’   ‘‘কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দিয়ে প্রতীক দেয়, সেখানে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরও বিকল্প আছে। কেউ কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারে। আমি আইনটি পড়েছি, আইনটি ঠিক আছে,”। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা দলীয় মনোনয়ন দেবে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু দল যদি মনে করে মনোয়ন দেবে না বা কোথাও কোথাও দেবে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধনের কোনো দরকার পড়বে না। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও যার যার পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৪

ওয়াসার এমডি বারবার দায়িত্ব পাওয়ায় যা বললেন মন্ত্রী
নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার (২১ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, বারবার কেন ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বে বর্তমান এমডি? এমন প্রশ্নে সাংবাদিকরা আমাকে বিভিন্ন সময় শক্ত করে ধরেছেন। বারবার সমালোচনা হয়েছে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে নিয়ে। তারা বলেছেন, কেন বারবার ওয়াসা এমডি হিসেবে বর্তমান এমডি থাকেন। কেন এতবার তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবে আমি সাংবাদিকদের বলেছি, কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০, ৩০ অথবা ৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন, কারণ তিনি তার যোগ্যতা সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন দেখেই বিবেচনা করা হয় একটা রাষ্ট্র কতটা উন্নত। সে কারণে ঢাকা ওয়াসাকেও এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা আমাদের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসা তাদের গুণগতমান, অগ্রগতির দিক থেকে তার প্রমাণ দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা তাদের কোয়ান্টিটি, কোয়ালিটি এবং মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে। তাদের অগ্রগতি অবশ্যই প্রশংসনীয়।  তাজুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমডির নেতৃত্বে কাজ করে ঢাকা ওয়াসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার সময় আমি বলেছি, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয় তাহলে সেটা যদি আমি ১৫ টাকায় বিক্রি করি, তবে বাকি ১৫ টাকা আমি কোথা থেকে পাব? তাহলে এটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারাদেশের মানুষের থেকে সরকার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আর সেই অর্থ দিয়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাব? তিনি বলেন, একজন মানুষ গুলশানে বসবাস করে সেখানে তার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ওয়াসার পানির দাম মাসে ১০০ বা ২০০ টাকা বেড়ে গেলে তাদের সহ্য হবে না। তাহলে কি গরিব মানুষের থেকে টাকা এনে সরকার এই গুলশানের মানুষের জন্য পানিতে ভর্তুকি দেবে? তাহলে গরিব মানুষের প্রতি যে আমাদের কমিটমেন্ট আছে তার কি হবে? তিনি আরও বলেন, ওয়াসার নিজেদের মধ্যেকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে তা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

‘নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডায় লবিস্ট নিয়োগ’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটসের বরাত দিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডায় সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কারা এটা করেছে সেটা পরিষ্কার করেননি পর্যবেক্ষকরা।   মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষক জিম বেটসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।  তিনি বলেন, মার্কিন সাবেক কংগ্রেস ম্যান জিম বেটস তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। উনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের মতামত হলো এখানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোনো রকম গোলযোগ হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোট পড়ার হার নিয়ে তাদের অভিমত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে এক মাসের মতো সময় লাগে। ই-ভোট, পোস্টাল ব্যালটে ভোট এবং সরাসরি গিয়ে ভোট দিতে হয়। আর এখানে আট ঘণ্টার মধ্যে এত লোকের ভোট দেওয়াকে প্রশংসনীয় বলেছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলেছেন কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তারা কথা বলেনি। তারা বলেছেন ইলেকশন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা মনে করে এখানে কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে। কথাটা তারা বলেছেন, কোট করেছেন। তাদের কাছে তথ্য আছে। সেগুলো দিয়ে কিছু রকম প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব পরিবর্তনকে সমর্থন করেন তারা। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, এই কথাটা বলেছেন তারা। কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, এটা সুনির্দিষ্ট করে তারাও বলেনি, আমিও জিজ্ঞেস করিনি।  যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‌বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দেশ, এ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।   
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৬

বিএনপি-জামায়াত মানুষ মেরে ক্ষমতায় যেতে চায়
বিএনপি-জামায়াত মানুষ মেরে ও ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুরের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাপ্টেন তাজ যে কথা দেয়, সেই কথা বাস্তবায়ন করে। আমি কথা দিয়েছি, আমার জীবন গেলেও আমি বাঞ্ছারামপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে ছাড়বো। নির্বাচন আসে পাঁচ বছরের জন্য। ১৮২৬ দিন লাগে পাঁচ বছর হইতে, লিপ ইয়ার হলে একদিন বাড়ে। আমিতো আপনাদের সন্তান এবং ভাই হিসেবে বিগত ২০ বছর ধরে আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। সেই সেবার সূত্র ধরে আগামী পাঁচ বছর আপনাদের সেবা করার জন্য আমি কি একটি দিন ধার চাইতে পারি না? একটা দিন ৭ জানুয়ারি আপনাদের কাছে ধার চাই। এই একটা দিন যদি আমাকে দেন, আমি এর বিনিময়ে আমার জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছু দেখভাল করে ওই একদিন বোনাসসহ ফেরত দেবো, এটা আমার প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েকে পয়সা খরচ করে লেখাপড়া করান। আপনারা যখন আমাকে ভোটই দেবেন, তাহলে ৯৫ পার্সেন্ট ভোট দেবেন। আমি আপনাদের জন্য খাটিনি? সেবা করিনি? দিনরাত পরিশ্রম করিনি? এটা আমার অধিকার। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। ভোটারদের উদ্দেশে তাজুল ইসলাম বলেন, ৯৫ শতাংশ ভোট যেন নৌকা পায় সেজন্য আপনারা কেন্দ্রে আসবেন, ঘরে বসে থাকবেন না। প্রত্যেকটা লোককে কেন্দ্রে যেতে হবে, কোনো গাফিলতি চলবে না। আপনারা ওয়াদা করেছেন। ওয়াদা বরখেলাপ করলে পাপ হবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়