• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদের জন্য জোর চেষ্টা ডিসি ও তাঁত বোর্ডের
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে এখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ড। যদিও সনদ পেতে এখনও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যটি সম্পর্কে জার্নাল প্রকাশের পর জিআই স্বীকৃতি পেতে সময় লাগে অন্তত দুই মাস। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের কাছে যেতে পারবে বাংলাদেশ। সেই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। আর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা অ্যাসোসিয়েশন অথবা উপযুক্ত কোনো অধিদপ্তর প্রথমে এই আবেদন করার নিয়ম। সেই হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের এটি করার কথা ছিল। এতদিন গরজ না থাকলেও টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে ভারতের দাবির পর সরকারের চাপে এখন দুই পক্ষ রীতিমতো আবেদনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।  তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, এতদিন তেমন কারও আগ্রহ না দেখা গেলেও ভারত ইস্যু সামনে আসায় এখন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের মধ্যে এটি নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেনের অবশ্য দাবি, ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার আগেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, ভারতের ইস্যু সামনে না আসলেও আমরা আবেদন করতাম। আপনারা কাগজপত্রগুলো দেখবেন, এটা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। জার্নালে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অন্তত দুই মাস লাগে এই স্বীকৃতি পেতে। এরপর এটি কীভাবে ভারতের জিআই পণ্য হলো সেই প্রশ্ন তুলবে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ঐতিহ্য বলে দাবি করেছে ভারত। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমন দাবি করার পর এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে নয়াদিল্লি। এরপর এক সপ্তাহ বাদেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। শিল্প নকশা ওট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের পেটেন্ট পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, টাঙ্গাইল থেকেই কিছু তাঁতি ভারতে গিয়েছেন। আমাদের শাড়ির নমুনা দেখেই তারা ওখানে শাড়ি বুনছেন। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়