• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‌‘যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তা আ.লীগ ধূলিসাৎ করেছে’
যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকার ধূলিসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র নেই। যা দেশ স্বাধীনের ছয় মাস পরেই বুঝে গিয়েছিলাম আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে। যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই গণতন্ত্র তারা ধূলিসাৎ করেছে। আজ মানুষের স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক আন্দোলন করেছে। তবে আমরা এখনও আশা রাখি যে, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, নিশ্চয়ই এখনও মুক্তিযুদ্ধের সেই আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে আনতে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে যে সাহস দেখিয়েছে, তা অবাক করার মতো। কিন্তু দেশের সকল কৃতিত্ব একটি রাজনৈতিক দল নিতে চায়। তারা ছাত্রদের কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। কিন্তু ছাত্রদের জন্যই ভাষা আন্দোলনে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছে।’ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম, কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

দেশের মানুষ সুখে থাকুক বিএনপি তা চায় না : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, ভালো থাকুক এটা বিএনপি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কাদেরীয়া বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধা ভিত্তিক জাদুঘরের স্থান পরিদর্শনকালে মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রী আ. খ ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এখন পেঁয়াজের দাম কমেছে। জিনিসপত্রের দাম কমেছে। মানুষ একটু স্বস্তিতে আছে। এখন তারা (বিএনপি) ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। দেশের মানুষ ভালো থাকুক তারা তা চায় না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশে শোষণ ও দারিদ্র্য মুক্ত হবে। সেটা যেন না হয়, সেজন্য এখনও তারা পাকিস্তানকেই হৃদয়ে ধারণ করে নানা সমালোচনা করছে।  এ সময় টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর সভাপিতিত্বে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ও টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভসহ প্রমুখ।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০০

‘মানুষ যে আশা নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল, তা আজও পূরণ হয়নি’
১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ এ জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে অরাজকতা কায়েম করা হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন। সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।  বাণীতে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, দলমত নির্বিশেষে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৬

আমার জীবনে যা যা হয়েছে তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল : মাহি
সময়টা ২০১২ সাল, ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় নিজের নাম লেখান মাহিয়া মাহি। এরপর বেশকিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের একযুগ। কিন্তু কখনও ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ছিলেন না এই অভিনেত্রী। তবে জীবনে বড় একটি ধাক্কা খেয়ে এখন ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন মাহি। নতুন ভাবনায় এই ‘অগ্নি’ কন্যা।                                          সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, চলতি বছর থেকে আমি যত সিনেমা করব সব ভালো প্রজেক্ট। আমি আর কোন নরমাল কাজ করব না। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে মানুষের একেক রকেমর একেক অভিজ্ঞতা হয়। প্রত্যেকটা শিল্পী যদি বড় রকমের ধাক্কা না খায় তাহলে সে প্রকৃত শিল্পী হতে পারে না। এটা আমার কাছে এই সময়ে মনে হচ্ছে। এখন আমি কাজ নিয়ে যেভাবে সিরিয়াস, ক্যারিয়ার নিয়ে যেভাবে চিন্তা করছি ১২ বছরে ক্যারিয়ার নিয়ে এত চিন্তা করিনি। মাহি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এখন আবার আমার জিরো থেকে সবকিছু শুরু করি। নতুন করে শুরু করে ‘অগ্নি’ ও ‘পোড়ামন’ সিনেমার সময়ে যে রকম জনপ্রিয়তা ছিল, সে রকম আরও একবার কিভাবে অর্জন করা যায় কিংবা সেটা কিভাবে ছাড়িয়ে যাব তা নিয়ে রাত-দিন যেভাবে চিন্তা করি আমার কাছে মনে হয়, আমার জীবনে যা যা হয়েছে তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়ত নতুন করে জীবনটা আরও আগে শুরু করতে পারতাম। আমি কখনোই ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ছিলাম না। তবে আমার ভাগ্য খুবই ভালো। সে জন্যই আপনাদের সামনে এখনো বসে আছি। কখনোই আমি বেশি প্রফেশনাল ছিলাম না। এখন যেভাবে চিন্তা করছি, সেটা যদি আগে থেকে চিন্তা করতাম তাহলে আমার অবস্থা আরও অনেক ভালো থাকত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্তব্য করে বলেছিলেন, মাহি যদি ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন থাকত তাহলে শাকিব খানকে টপকে যেত। একথা মাহি নিজেও মনে করেন। তিনি বলেন, নিজেকে শাকিব খানের সঙ্গে তুলনা করব না। কারণ, তিনি অনেক বড় মাপের একজন শিল্পী। অনেক যুগ পর এ রকম শিল্পী আসে। তবে আজিজ ভাই যেটা বলেছেন সেটা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মাহির অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসলে মিশা ভাইয়ের প্যানেল থেকেই অংশ নেব। কারণ, এই প্যানেলে গুণী সব শিল্পীরা আছেন। তাই এ প্যানেলের প্রতি দুর্বলতা বেশি। আমার যে কোনো বিপদে যাকে আমি পাশে পাব তাদেরকেই তো সবসময় সাপোর্ট করব। যখন যে সমস্যা হয়েছে মিশা ভাইদের ফোন করা মাত্রই তারা এগিয়ে এসেছেন। রিয়াজ ভাইকেও পাশে পেয়েছি। কিন্তু অন্য কাউকে কখনোই পাশে পাইনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন করলে মাহিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হতো না—জাতীয় নির্বাচনের সময় চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরেক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার ভাষ্যমতে, মাহি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিলে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারত। তার এমন মন্তব্যর পর শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছেন মাহি। তিনি বলেন, তিনি (নিপুণ) সিনিয়র শিল্পী, যেহেতু বলেছেন এ জন্যই নির্বাচন নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করছি। তার এ কথার জন্য নির্বাচনে আসার সম্ভাবনা বেশি। আমার নির্বাচনে কাউকে পাশে পাইনি। একমাত্র ফেরদৌস ভাই ফোন করেছিল। তিনি অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছিলেন। যোগ করে ‘তবুও ভালবাসি’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, সে সময় সবচেয়ে আমার বড় শক্তি সাংবাদিক ভাইয়েরা পাশে ছিল। পুরো বাংলাদেশ সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার কার্যক্রম দেখেছেন। এখন সহকর্মীদের চেয়ে অনেক আপন লাগে সাংবাদিকদের।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

গণতন্ত্র নিয়ে কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে। তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশে যদি গণতন্ত্রের চর্চা না হয় যারা বলেন, তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করব। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন প্রমুখ। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

বিএনপি-জামায়াত না আসলেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা যেভাবে প্রমাণিত
উপমহাদেশের উপকূল ঘেঁসে উর্বর ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এক সোনার দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আয়তনে নগণ্য হলেও গুরুত্বে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নানান দেশের কাছে নানাভাবে প্রয়োজন এই দেশ।  রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, ভ্রমণসহ নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকে বাংলাদেশ। ১৬ শতকের পর্তুগিজ আগমনের সময় থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসন, দেশভাগ, পাকিস্তান শাসনামল সব সময়ই আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বর্তমান বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।  ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম, বুদ্ধিজীবীসহ নানাবিধ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।  ছোট্ট এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির মানুষের অবস্থানের কারণেই দেখা দেই বিভিন্ন ধরণের মতানৈক্য, ফলাফল একাধিক রাজনৈতিক আদর্শ। একারণে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিরোনামে বিভিন্ন দেশ ও পত্র-পত্রিকার আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয় এই বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মুখ্য আলোচ্য ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।  এ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থ ও সর্বমোট পঞ্চমবারের মত সরকার গঠন করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মূলত স্বাধীন দেশে নির্বাচন ও সরকার গঠন একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক ঘটনা। সেটিই ঘটেছে গত ৭ জানুয়ারি।  যেখানে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।  অর্থাৎ একাধিক দলের অংশগ্রহণ যা ছিল সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মূল নির্বাচনী প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচন একপাক্ষিক, নির্বাচন স্বচ্ছ হয় নাই এধরণের বক্তব্য উঠে আসছে দেশের ও বাইরের বিভিন্ন মহল থেকে। আমার মতে নির্বাচনের মত কর্মযজ্ঞের জন্য এধরণের বক্তব্যও স্বাভাবিক।  তবে নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করত বা জয়লাভ করত তাহলে আর এধরণের বক্তব্য আসত না। আসলে এধরণের বক্তব্য মিশে আছে দুইটা দলের আদর্শের মাঝেই। যেখানে আওয়ামী লীগ মনে করে এই দেশটা এদেশের জনগণের আর বিএনপি মনে করে দেশটা তাদের দলের।  মজার ব্যাপার হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য বর্তমানে নিজের দেশের জনগণ তথা নির্বাচনে অংশগ্রহণকে নয় বরং বিদেশি সাহায্যের উপরই বেশি ভর করতে চাই। যে কারণেই দলটি আজ জনতা বর্জিত। এজন্যই জনসাধারণের সংস্পর্শে নেই এমন একটি দল নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচকে অস্বচ্ছতার তকমা দেয়া সমীচীন নয়।  যদি গণতন্ত্রের কথায় বলতে হয় তাহলে গণতন্ত্র সম্পর্কিত আব্রাহাম লিংকনের কথা স্মরণ করেই বলতে চাই, এদেশ জনগণের। সেকথা মেনেই আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং বিপুল ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে।  আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন খাত গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাক। মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্য, প্রবৃদ্ধির হার, রপ্তানি, জিডিপির আকার, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, এডিপি, শস্য উৎপাদনসহ অন্যান্য সকল খাতেই পূর্বের তুলনায় ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে যে যুগান্তকারী অর্জন; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্র বিজয়, ছিটমহল বিনিময়, স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন সংযুক্ত,সাবমেরিন ক্যাবল, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য সফলতা তা দেশের এবং বহির্বিশ্বের ষড়যন্ত্রকারীদের কপালে ভাঁজ তৈরি করেছে।  কারণ এসকল উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে যেমন করেছে সম্মানিত তেমন আওয়ামী লীগকেও নিজস্ব রাজনীতিতে আসীন করেছে সফলতার শিখরে। যারই ফলাফল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসন নিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ।  তারপরেও শকুনের চোখ ও সমালোচনা এদেশে বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমর্থকদের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন। অর্জন কেন বললাম? না হলে, যে দেশের নামকরণ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান,ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে মহানায়ক থেকে এদেশ স্বাধীন করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে শেখ মুজিবকে কিভাবে এদেশের মানুষের হাতেই হত্যা হতে হয়?  সুতরাং সমালোচনাতে কান দিয়ে নয় বরং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নির্বাচন হতে হবে নিয়মিত এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিই পাক বিজিত আসন।  লেখক : প্রভাষক, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়