• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাজধানীতে বাসার ছাদে তরুণীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামি গালিফকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান। গ্রেপ্তার গালিফ খিলক্ষেত থানা এলাকার আহম্মদ মোক্তাদির আরিফ ওরফে সুমনের ছেলে। র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি (২১)। পরে মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল চৌরাস্তার জান্নাতি আই অপটিকস দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত আসামি রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। এর আগে মামলার এজাহারে ভিকটিম অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শো-রুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি সানি ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত গেলে আসামিরা একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করে। এরই একপর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৭

কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, মূলহোতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মূলহোতা ফাহিম হাসান দিহানকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলে কনসার্টে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতের পাতিরা এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এদিন র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান। মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, চলতি মাসের ৩ তারিখ রাতে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলের ময়েজ উদ্দিন চত্বরে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রাতে ওই তরুণীর নিকটাত্মীয় সাব্বির (১৯) তাকে কনসার্টে নিয়ে যায়। সেখানেই সাব্বির ও আনাস কাজী তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর কনসার্ট শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে দিহান তার প্রাইভেটকার নিয়ে আসে। গাড়িতে দিহান, শাকিল, জাহিদ ওরফে শুভ, সালমান ও আরাফাত অবস্থান করে। সাব্বির একটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগীকে কনসার্ট এলাকা থেকে একটু দূরে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায়। আসামী দিহান তার প্রাইভেটকারে শাকিল, জাহিদ, সালমান ও আরাফাতকে নিয়ে সেখানে যায়। সেখানে পৌঁছে তারা ৭ জন আবার পরামর্শ করে ও ভুক্তভোগীকে প্রাইভেটকারের পেছনে বসায়। অল্প কিছুক্ষণ আসামি সাব্বির ও আনাস কাজী ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে তারা ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত আড়াইটার পর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।  এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-১ এর দল রাজধানী ঢাকা খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরা এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার মূল হোতা ফাহিম হাসান দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহান দলবেঁধে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২

হাসপাতাল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে প্রকাশ্যে অপহরণ 
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে প্রকাশ্যে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে ওই তরুণীকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানতে পেরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা ওসিসির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন। তখন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যান। এ সময় আগে থেকে সেখানে অপেক্ষায় থাকা দুর্বৃত্তরা ওই তরুণী ও তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ ছাড়া তারা ২ থেকে ৩ জন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত মাইক্রোবাসটি মেডিকেল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও হামলার কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। ঘটনাস্থল থেকে রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই তরুণী। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

বাগেরহাটে ২ তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের দুই তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাকিল সরদার (২৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফকিরহাটের জারিয়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও পড়ুন : গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা   এর আগে নির্যাতিতা এক তরুণী (২১) বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামি মেহেদী হাসান (২০) পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার শাকিল সরদার ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া-চৌমাথা এলাকার মোস্তাব সরদারের ছেলে। তিনি ফকিরহাট কাজী আজহার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্য আসামি মেহেদী হাসান একই এলাকার সেখ মাসুমমেল হকের ছেলে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও এক বন্ধুর সঙ্গে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে যান। পরে সেখান থেকে রাত ১১টার সময় খানজাহান আলী মাজারে যান। বেড়ানোর শেষে আনুমানিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে তারা খুলনার দিকে রওনা দেন। পরে ফকিরহাটের জারিয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরেন। এতে ওই তরুণী ও তার বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার ওপর পড়ে যান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলের চালক ও তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। মোটরসাইকেলের তরুণ-তরুণীরা কোনো কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদের মারধর করতে থাকেন।   আরও পড়ুন : যুবলীগ কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা   অভিযোগে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী ওই তরুণীদের পার্শ্ববর্তী স্বপন দেবনাথের চায়ের দোকানের ভেতরে নিয়ে যান। একজনকে চায়ের দোকানের বেঞ্চের ওপর এবং অন্যজনকে পার্শ্ববর্তী প্রশান্ত ব্যানার্জির সেড দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে ধর্ষণকারীরা দুই তরুণী ও তরুণদের পার্শ্ববর্তী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে নিয়ে যান। সেখানে আবারও ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে তরুণীদের সঙ্গে থাকা এক তরুণ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শাকিল ও মেহেদী তরুণ-তরুণীদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরে রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে তরুণীদের উদ্ধার করা হয়।   ফকিরহাট থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার ২ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে শাকিল সরদার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শাকিল সরদারকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অপর আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়