• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তরুণদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : ফখরুল
দেশে গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় গণফোরাম (মন্টু)-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দেশের অর্থনীতি, মানুষের ভোটাধিকার, স্বাধীনতা ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের বাঁচানোর জন্য সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশ ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকার সরে যেতে বাধ্য হবে। রাজপথে আন্দোলনরত সকল দলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের দুঃসময়ে অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা সোচ্চার ছিলেন। আমরা যখন কারাগারে ছিলাম, সমস্ত দলগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছিলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সেই লড়াই জাতি সবসময় স্মরণ রাখবে। জনগণকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার। সভাপতির বক্তব্যে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আহ্বানের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করছি।  উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সমাজকর্মীবৃন্দ।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪০

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের তামাক থেকে দূরে থাকতে হবে’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের তামাক থেকে দূরে থাকতে বলেছেন ঢাকা-১০ আস‌নের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফের‌দৌস আহমেদ। শনিবার (৯ মার্চ ) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশ (ইউল্যাব) প্রাঙ্গণে বেসরকা‌রি স্বেচ্ছা‌সে‌বী সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত তামাক‌বি‌রোধী যুব সম্মেলন-২০২৪ এ তিনি এ আহ্বান জানান। ফের‌দৌস আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাক থেকে দূরে থাকার বিকল্প নাই। ফেরদৌস বলেন, আজকের তরুণরাই স্মার্ট বাংলা‌দেশ গড়ার হা‌তিয়ার। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ তামাকমুক্ত দেশ গড়তে তরুণ‌দের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আজকের তরুণদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। তরুণদের অংশগ্রহণে তামাক ও ধূমপানবিরোধী প্রচারণাকে আরও বেগবান করতে হবে এবং নিজেদের দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এসময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকর‌ণে জোর দেওয়ার তা‌গিদ দেন এই চিত্রনায়ক। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দুই শতা‌ধিক তরুণ শিক্ষার্থী তামাকের বিরু‌দ্ধে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপা‌শি তামাকমুক্ত আগামী প্রজন্ম গড়‌তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শ‌ক্তিশালী করা আহ্বান জানান। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের উপাচার্য ইমরান রহমান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আবদুস সালাম মিয়াহসহ সংগঠনটির সদস্যরা।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৫

বাংলাদেশি তরুণদের সহযোগিতা বাড়াতে চায় রাশিয়া
রাশিয়া বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের আরও সহযোগিতা বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান হাউসের মস্কোর প্রধান কার্যালয়ের উপ-প্রধান পাভেল সেভেস্তোভ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাডেমির সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘রোল অব রোসোত্রুদ ইন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইয়োথ অ্যাকটিভিটি’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায়, তা জানতেই আমি ঢাকা সফরে এসেছি। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে পারি। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা রাশিয়ায় পড়াশোনা করছেন। রাশিয়ায় পড়াশোনার প্রতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন পাভেল সেভেস্তাভ। বিজ্ঞানে বাংলাদেশি তরুণদের তৎপরতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় রাশিয়া। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশি তরুণরাও যুক্ত হতে পারবে। এ জন্য অর্থায়ন করা হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যেসব স্কলারশিপ রয়েছে, সবগুলোই বিশেষ। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী পড়তে যান, তাদেরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। বর্তমানে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কিছুটা সমস্যায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। রাশিয়ান হাউসের উপ-প্রধান বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। রাশিয়ার জনগণ তা জানে। আমাদের ইতিহাসও অনেক বিশাল। শিল্প-সংস্কৃতিতে অনেক খ্যাতি রয়েছে। সাংস্কৃতিক ভাবে দুদেশের বোঝাপড়া অনেক ভালো এবং সেটা অব্যাহত রাখা দরকার। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। আমাদের দুদেশের অংশীদারিত্বও বন্ধুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। শেষে বাংলাদেশী শিল্পীরা অনুপ্রেরণামূলক দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

তরুণদের তুলে নিয়ে সেনাবাহিনীতে ঢুকতে বাধ্য করছে মিয়ানমার জান্তা!
মিয়ানমারে তরুণদের ধরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার। নির্দেশ না মানলে পাঠানো হচ্ছে জেলে। বিশেষ করে রাতের বেলা কোনও তরুণকে একা পেলেই তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সেনাসদস্যরা। এরপর তাদের সামনে রাখা হয় দুটি পথ; হয় সেনাবাহিনীতে যোগদান, নয় জেল! এমনই একজন কো ওয়াই ফিও। গেলো অক্টোবরের ২৭ তারিখে মন স্টেটের রাজধানী মাওলামিয়ানে রাতের বেলা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে সেনাসদস্যরা। ফুটবল ম্যাচ শেষ করে একটি চায়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন ১৯ বছরের এ তরুণ। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সেনাসদস্যরা মোটরসাইকেলসহ তাকে তুলে নেন নিজেদের টহল ট্রাকে। ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ইউ সোয়ে। দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে খবরটা দেন তিনি। এরপর ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন পুলিশ স্টেশনে ওয়াইকে খুঁজতে যান। কিন্তু পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের জানানো হয়, অনেক রাত হয়ে গেছে; তাদের সকালে আসতে হবে। ওয়াইয়ের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটায় পুলিশ স্টেশনে গেলাম। কিন্তু ওয়াই ফিও সেখানে ছিল না। অফিসাররা জানাল, তারা তাকে আটক করেননি। তবে সে সামরিক কম্পাউন্ডে থাকতে পারে। এরপর  বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে আমাদেরকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন তারা।’ পরে বিকেলে পুলিশ ওয়াইয়ের বাবা-মাকে ফোন করে জানায়, শহরের বাইরে একটি মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও তারা আলোচনা করছে, কী করা যায়! পরে আবার পুলিশ জানাল যে, তাদেরকে কিছু টাকা দিতে হবে। না হলে ওয়াইকে বের করা যাবে না। ওয়াইয়ের মুক্তির জন্য তিন মিলিয়ন কায়েত (মিয়ানমারের মুদ্রা) দাবি করা হয় বলে দাবি তার বাবা-মায়ের। ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ও ওয়ার্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানতেন কীভাবে বিষয়টি ডিল করতে হবে। তিনি ওয়াইয়ের বাবা-মাকে টাকা দিতে বললেন। অবশেষে টাকার বিনিময়ে ওয়াই মুক্তি পেলেন।   ওয়াই ফিয়ের ভাগ্য ভালো ছিল যে তাকে মুক্ত করা গেছে। কিন্তু তাকে যতদিন আটকে রাখা হয়েছিল, প্রতিদিনই তাকে মারধর করতেন জান্তা বাহিনীর অফিসাররা। তাকে বলা হয়েছিল- হয় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে আরও অনেকে আছে ওয়াইয়ের মত। যারা দিনের পর দিন মার খাচ্ছেন। সূত্র :  দ্য ফ্রন্টিয়ার
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২

তরুণদের ৪১ শতাংশ কাজে নিষ্ক্রিয়, মেয়েরা বেশি
‘পড়াশোনায় নেই, কর্মসংস্থানে নেই’ বাংলাদেশে এমন নিষ্ক্রিয় তরুণের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। অর্থাৎ, দেশের মোট তরুণদের ৪১ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। এরমধ্যে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ ছেলে এবং ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২’ প্রতিবেদনে এ হার তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলছে, নিষ্ক্রিয় তরুণের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৪ বছর ধরা হয়েছে। এ হিসাবে দেশে নিষ্ক্রিয় তরুণের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। বিবিএসের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন-২০২২ বলছে, দেশে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশের বেশি। ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ অনুযায়ী ওই জনসংখ্যার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। তাদের সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। বিবিএসের ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে নিষ্ক্রিয় ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণের হার ২২ শতাংশ। সংজ্ঞাগত ভিন্নতায় স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের সঙ্গে শ্রমশক্তি জরিপের ফলাফলের কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিষ্ক্রিয় তরুণের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, কম বরিশাল বিভাগে। সিলেটে ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪৩ দশমিক ৭৭, ময়মনসিংহে ৪০ দশমিক ৫০, খুলনায় ৩৯ দশমিক ৬৬, ঢাকায় ৩৯ দশমিক ৫৩, রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক শূন্য ৯, রংপুরে ৩৯ দশমিক ৪ এবং বরিশালে ৩৮ দশমিক ৩২ তরুণ নিষ্ক্রিয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, মেয়েদের বাল্যবিয়ে, শিক্ষার মানে ঘাটতি, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়া, শোভন কাজের অভাব ও সামাজিক পরিস্থিতি নিষ্ক্রিয় তরুণের হার বেশি হওয়ার কারণ। এ হার কমাতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দেওয়া, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা ও নারীদের বিনামূল্যের পারিবারিক শ্রমের বোঝাও কমাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭

তরুণদের নিয়ে হতাশ বিসিবি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই যেন একঝাঁক অভিযোগ। দল গঠন থেকে অনুশীলন; সব মিলিয়ে ডালাভর্তি সুযোগ-সুবিধার অভিযোগের পসরা। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের গত নয়টি আসরের চিত্র এমনটাই বলছে। এ ছাড়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না মোটানোর অভিযোগ তো নিত্যদিনের সঙ্গী।  তবে দেশের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের চলতি আসরে ভিন্ন চিত্রও লক্ষ্য করা গেছে। এবার আসরের শুরু থেকেই আধুনিক প্রযুক্তির (ডিআরএস সিস্টেম, স্পাইডার ক্যাম ও রোবটিক ক্যামেরা) ব্যবহার চোখে পড়ার মতোই। এদিকে ‘হোম অব ক্রিকেটে’র রহস্যময় উইকেট সমালোচকদের আবারও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। দিনের ম্যাচগুলোয় রান খরার দেখা মিললেও রাতের ম্যাচে রান বন্যা দেখা যাচ্ছে। যদিও উইকেট নিয়ে ক্রিকেটারদের কোনো অভিযোগ নেই। আর এমন উইকেটে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষিত সিনিয়র ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে পারলেও আহামরি ভালো কিছুই করতে পারছেন না নতুন ও উঠতি ক্রিকেটাররা। যা কিনা বিসিবি পরিচালক আকরাম খানের কাছে হতাশার। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকরামের মন্তব্য, ওরকম পারফরম্যান্স চোখে পড়ছে না। বিসিবির এই পরিচালকের ভাষ্যমতে, এখনও খেলোয়াড়দের অনেক সুযোগ আছে। তরুণদের নিয়ে যে আশা করেছিলাম, বিপিএল থেকে বের হয়ে আসবে, ওরকম পারফরম্যান্স চোখে পড়ছে না। সিনিয়র খেলোয়াড়রাই পারফর্ম করছে। রিয়াদ, মুশফিক, তামিম, ইমরুল কায়েস ওরাই পারফর্ম করছে। তিনি যোগ করেন, এটা পারফর্ম করার যথার্থ জায়গা। এখানে এক্সপোজার বেশি। বাংলাদেশের সেরা টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো ফিল্ডিং করলেও চোখে পড়বে। এই সুযোগ খেলোয়াড়দের ভালোভাবে নেওয়া উচিত।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

তরুণদের কথা শুনলেন সাকিব, দিলেন দিক-নির্দেশনা
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তরুণদের নানান দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হলে মাগুরায় কী কী করতে চান সে বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অধিনায়ক। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানের উন্মুক্ত মঞ্চে স্থানীয় তরুণদের কথা শোনেন সাকিব। এসময় তিনি তাদের নানান দিক-নির্দেশনা দেন। যেখানে সাকিব তরুণদের প্রশ্নের উত্তর দেন। জেলা শহরের তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মাগুরা জেলার বেকার সমস্যা সমাধান ও শিল্পনগরী গঠনে কী ভূমিকা রাখবেন?- এমন প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠান উপস্থাপক সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর। জবাবে সাকিব জানান, মাগুরা জেলা কৃষিনির্ভর হওয়ায় কৃষিকে বেশি প্রধান্য দিতে হবে। পাশাপাশি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে।  সাকিব বলেন, ‘মাগুরা ছোট একটি জেলা হলেও উন্নয়ন সম্ভবনা রয়েছে এখানে। জেলাটি কৃষিনির্ভর। তাই কৃষিকে বেশি প্রধান্য দিতে হবে। পাশপাশি জেলায় একটি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে। সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে বেকার সমস্যার সমাধান হবে।’ তিনি বলেন, ‘সুন্দর ও সফল আগামীর মাগুরা গঠনে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। রাস্তার ধারে এলোমেলো অবস্থায় যেসব স্ট্রিট ফুডের দোকান আছে, এগুলোকে একটি সুন্দর পরিবেশ দেওয়া দরকার। সেজন্য আমাদের শহরের নবগঙ্গা নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে করে সেখানে স্থানান্তর করা দরকার। তাহলে শহরের পরিবেশ সুন্দর হবে যেমন, তেমনি নদী ঘিরে বিনোদনের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।’ অনুষ্ঠানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তনুশ্রী বিশ্বাস মাগুরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেন। এ সময় সাকিব আল হাসান বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। মাগুরার সবক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।’ তরুণদের উদ্দেশ্যে সাকিব বলেন, ‘কোনো কিছু না পেয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমরা সুন্দর একটি পৃথিবী পেয়েছি। এখানে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হবে। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দরকার। সেজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। মাঝপথে থেমে গেলে হবে না। একবার না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে। তবে লক্ষ্যটা সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি একটি লক্ষ্য নিয়ে লেগে থাকে তবে সফলতা আসবেই। সময় লাগতে পারে। কারও ক্ষেত্রে অল্প সময়, কারও ক্ষেত্রে ১০ বছর। কারও ক্ষেত্রে তারও বেশি। কিন্তু সফলতার ক্ষেত্রে হতাশার কোনো জয়গা নেই। হাল ছাড়লে হবে না।’
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়