• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। মারধরের ঘটনা সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, কমিটির অপর দু’সদস্য নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থল সোনাগাজী ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র রেগুলেটর এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করছেন।  এর আগে, মঙ্গলবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকারকে প্রধান করে নোয়াখালী ও ফেনীর দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। তদন্ত কমিটি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্ত ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন, ভিকটিম আলী আজগর সজলও উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ঈদের পরের দিন শুক্রবার আলী আজগর সজল, তার স্ত্রী ফারজাহান আক্তার, দুই সন্তান, ভাই পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুক ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুরাঘুরি শেষে নিজ এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। ওই মোটরসাইকেলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। কিছু পথ আসার পর বিপরীত দিক থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে জ্যামের সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে গাড়ি থেকে একজন (সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন) একটি লাঠি নিয়ে নেমে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই লোকজনকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। এ সময় গালাগালি করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আজগরকে কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আহতরা সবাই নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অবশ্যই বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি দাবি করে সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন বলেন, সড়কে জ্যাম থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাই। কাউকে মারেননি বলে দাবি করেন সহকারী পুলিশ সুপার। বিষয়টি তাদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি 
রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের ৫ জন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম। আর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য।  কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন পেশ করতে হবে। এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারে মা-বাবাসহ তাদের শিশু মেয়ে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মোটবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও শিশু মেয়ে সাইমা (৩), ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুরের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালী সদরের মো. রিপন হাওলাদার(৩৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তারা মারা যান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মী নিহতের তদন্ত চায় জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৯৬ ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আর কোনো ত্রাণকর্মীর মৃত্যু চাই না। এদিকে, ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবেন বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ছয়টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

৭ দিনের আশ্বাসের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি ১৭ দিনেও
শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাৎক্ষণিক গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। নির্দেশনার ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন।তদন্ত কমিটি বলছে প্রতিবেদন কবে জমা দিতে হবে তার স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়নি। গত ১৬ মার্চ মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। উপাচার্য বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তাছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো।’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর আগেও বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। আজ পর্যন্ত সেসব তদন্তের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।  নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সব আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে প্রশাসন যদি আমাদের আন্দোলন হালকাভাবে নেয় তাহলে হয়তো এরপরের আন্দোলনগুলো শান্তিপূর্ণ থাকবে না। ক্যাম্পাস এখন অফিসিয়ালি বন্ধ তাই প্রশাসন প্রকৃতিগত ভাবে এর সুবিধাটি পেয়ে গেছে।ঈদের পরেই প্রশাসনকে আমাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং ছাত্ররা আরও কঠোর হবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, আমরা যখন উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিই তখন তাদের পক্ষ হতে বলা হয়েছিল তদন্তের বিষয়গুলো একটা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যায়। তাই একটু সময় লাগতে পারে। আর এখন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আন্দোলন করাও সম্ভব নয়। আমরা দেখবো এই বন্ধের ভেতরে প্রশাসন কতটুকু কাজ করে৷ প্রশাসনের ঢিলেমি থাকলে আমরা ক্যাম্পাস খুললে আবারও আন্দোলন করবো। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা এখনও কাজ শেষ করতে পারিনি। তবে আমরা প্রতিদিনই এটা নিয়ে বসছি। এর আগে বর্তমান ও সাবেক প্রক্টর, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান, তৎকালীন প্রোভস্ট ও একজন হাউজ টিউটরের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল। নতুন কিছু ইনফরমেশনের জন্য তাদের পুনরায় ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সাত দিনের ভেতরে রিপোর্ট দিলে সেই রিপোর্ট অত্যন্ত কাঁচা হয়। যেহেতু রিপোর্টের কাজ চলছে, আমাদের শিক্ষকরা কেউ বসে নেই৷ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকবার কুমিল্লাতেও গিয়েছেন তারা। আশা করছি ঈদের পরপরই আমরা রিপোর্ট হাতে পাবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

তদন্ত কমিটি গঠন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে সময় সাপেক্ষ বিষয় এটি। নিয়ম অনুয়ায়ী শাস্তি দেয়া হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েট উপাচার্য বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। এদিকে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মূল ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুর সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৬ জনকে ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এর আগে তারা সকাল থেকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে শুক্রবার বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি পেশ করেছিলাম। তারা বলেন, বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রথম দাবি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সাথে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত। বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করায় এদের সকলের বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক এবং হল বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করতে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ। শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। রাত ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:০২

অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা কথা বলেছে তদন্ত কমিটি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও এলাকায় অবন্তিকার বাড়িতে যান তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য। এ সময় তারা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা হলেন- তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সদস্য সচিব ও আইন বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন জানান, অবন্তিকার মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে বেলা দেড়টার দিকে তারা ঢাকার পথে রওনা হন।  অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যা জানেন সেগুলো আমাদের বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা গত শুক্রবার (১৫) মার্চ রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে তার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৬

সাত দিনেও প্রতিবেদন দেয়নি তদন্ত কমিটি, যা বললেন অবন্তিকার মা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। প্রতিবেদন কবে দেওয়া হবে তাও জানায়নি তদন্ত কমিটি।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। আলোচনা শেষে অবন্তিকার মা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি আসছে তদন্ত করার জন্য, তারা আমাদের কাছ থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তার তথ্য নিয়েছে। আমি তাদের বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা আন্তরিক হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য কুমিল্লায় এসেছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো কথা বলেছি। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে কোনো তথ্য-উপাত্ত থাকলে সেগুলো নেব। তিনি বলেন, আমাদের তদন্তকাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চেষ্টা করছি দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীবেন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকারী দল আবন্তিকার মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে জবির তদন্ত কমিটির বৈঠক 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা অবন্তিকার আত্মহত্যার স্থান পরিদর্শন ও অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের অরনিকা পার্কের বাসার দ্বিতীয়তলায় ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা এসেছেন আমার কাছে। উনারা তথ্য নিয়েছেন। উনারা বলেছেন, আমি ন্যায়বিচার পাব।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়