• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
লক্ষ্মীপুরে শত্রুতার জেরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ (৫০) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- এরশাদ (১৯), রিপন (২৩), জাকির (২১) রিমন (২৬), রাকিব (১৯), ইব্রাহিম (২৪) ও সাহেরা বেগম (৪০)।   এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।   র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জেরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুইজনকে আশপাশের লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ছয়জন এজাহারনামীয় ও একজন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

পায়ুপথে ঢুকে গেল ৬ ইঞ্চি ডাব, অতঃপর...
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথের ভেতর থেকে ৬ ইঞ্চি ডাব বের করেছেন চিকিৎসকরা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ওয়ারুক বাজারের মেডিল্যাব হসপিটাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারে অস্ত্রোপচার করে এক ঘণ্টার চেষ্টায় ডাবটি অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দুপুরে একজন রোগী পায়ুপথের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ওই ব্যক্তির পায়ুপথে ডাব ঢুকেছে বলে স্বজনরা জানান। পরে এক্সরে করে ডাবটি অনেক বড় দেখলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ উল হাসান অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে আগত স্বজনরা গণমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।   তবে ডা. আরিফ উল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ঢিলা-কুলুপ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত রোগীর মলদ্বার দিয়ে ডাবটি ঢুকে যায়। তারা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডাবটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪১

বাংলাদেশে ঢুকে দুই রাখালকে বিএসএফের গুলি
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দুই রাখালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় কেউই আহত হয়নি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর খামারভাতি এলাকার ৯১৩ নম্বর মেইন পিলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাখালরা হলেন উপজেলার খামারভাতি গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (২৮) ও বাবর আলীর ছেলে ইন্টু মিয়া।  স্থানীয়রা জানান, এদিন বাংলাদেশ সীমান্তের জমি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রাখাল নামুল হক ও ইন্দু মিয়া। এ সময় তাদের ধাওয়া করে বিএসএফ। তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিএসএফ সদস্যরাও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে রাখাল দুজন সরে গেলে তাদের শরীরে কোনো গুলি লাগেনি। এ ঘটনার পর থেকেই খামারভাতি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিনিয়তই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি রাখালদের ধাওয়া করেন। এমনকি অনেক সময় আটকে মারধর করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই দুই রাখাল। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। পরে বিএসএফ ধাওয়া করলেও পালিয়ে আসার সময় তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ এক রাউন্ড গুলি চালায়। যদিও ওই গুলিতে কেউ আহত হয়নি। তারা দুজনেই ভালো আছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৪

থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিট, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা 
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে মাদকসহ একাধিক মামলার আসামিকে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান, আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম রবীন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, মিরাজুল রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মিঠুন মিঞা।  এ সময় ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।   ওসি শহিদুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকুসহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিঠুনের নামে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও নুরুজ্জামানের লোকজন অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  ওসি বলেন, আহতদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় প্রবেশের পর পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা দেশে ঢুকে হামলা করছে : রিজভী
অন্য দেশের বিভিন্ন অস্ত্রধারী সংগঠন ও সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশে ঢুকে ব্যাংক লুট করছে, হামলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় দুস্থ ও গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, সাত জানুয়ারি ডামি নির্বাচেনর মাধ্যমে সরকার দেশকে দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ দেশে এখন স্বাধীনতা আছে কি না, সার্বভৌমত্ব রয়েছে কি না আমরা জানি না। তিনি বলেন, অন্য দেশের বিভিন্ন অস্ত্রধারী সংগঠন ও সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের থানা লুট করছে, অস্ত্র লুট করছে। মানুষ হত্যা করছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে ডকাতদের রাজত্ব চলছে। মনে হচ্ছে এখানে কোনো ভদ্রলোক বাস করছে না। সবকিছুর মালিক এ ডাকাতরা। সরকার কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না।  রিজভী বলেন, সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে। তারা নিজেরাই যেখানে ডাকাতদের ভূমিকায়, সেখানে জনগণের নিরাপত্তা থাকবে কিভাবে।  তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই বারবার সীমান্তে আক্রমণ করছে। প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তারপরও শেখ হাসিনা সরকার এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমনিুল হক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন আহেমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আতাউর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৯

বসতঘরে ঢুকে পড়ল ট্রাক, আহত ৪ 
দিনাজপুরের হিলিতে বসতঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ল পণ্যবাহী ট্রাক। এ সময় ঘরে থাকা চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার সময় হিলি সিপি রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। বাড়ির মালিক ছোটন বলেন, রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। রাত ১২ টার সময় হঠাৎ করে একটি ট্রাক তার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি তার পরিবারের চারজন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।  তিনি আরও বলেন, ঘাতক ট্রাকের আঘাতে তার ঘরসহ জিনিসপত্রের যে ক্ষতি হয়েছে সেইসবের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রাকটি মালিককে নিতে দেবেন না।  এদিকে হাকিমপুর থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, রাতের আধারে ঘরের মধ্যে ট্রাক প্রবেশ করাতে বসতঘরসহ মানুষের ক্ষতি হয়। আমরা সকাল থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে রেখে দিয়েছি এবং দিনাজপুর সদর থেকে রেকার আনা হয়েছে, দ্রুত ট্রাকটি উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দেওয় হবে। সেই সঙ্গে বসতঘরের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩১

ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক
ফেনীতে ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এম এ আকাশ ও ইমন নামে দুই সাংবাদিক।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের এস এস কে সড়কের উপশম জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাসপাতালটির পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়নের নেতৃত্বে হাসপাতালের কর্মচারীরা এ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন হামলাকারীরা।   খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এস এস কে সড়কের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান। এম এ আকাশ জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী জেলা প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) বলে জানা গেছে।  হামলায় আহত এম এ আকাশ জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে একটি টেস্টটিউব বেবি জন্মগ্রহণ করে উপশম জেনারেল হাসপাতালে। এতে তাকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানান চিকিৎসক ও পরিবারের স্বজনরা। তাদের অনুরোধে ইমনকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান আকাশ। পরে ওয়ার্ডে ঢুকে নবজাতকের পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন সেখানে উপস্থিত হন এবং দুই সাংবাদিককে মারধর শুরু করেন। তাদেরকে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গালিগালাজ করতে থাকেন হুমায়ুন ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে আকশ ও ইমনকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখার চেষ্টাও করেন তারা। এ ঘটনায় সাংবাদিক এম এ আকাশ বাদী হয়ে হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় লিখিত এজহার দাখিল করেছেন।  এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত উপশম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালে কোনো অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে ভিডিও ফুটেজসহ বক্তব্য  রেকর্ড করতে  হুলস্থুল  ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন দুই সাংবাদিক। পরে আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দিই।  জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৩

বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল মিয়ানমারের ৩ সেনা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে তারা পালিয়ে আসে। পরে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র জমা নেয়ার পর তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যায়। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, তারা তিনজনই সেনাসদস্য বলে জানা গেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের রাখা হয়েছে।  এর আগে ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ-বিজিপি সদস্যরা। এরাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তারও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩

ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীর পলাশে শোবার ঘরে ঢুকে দেলোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগরদী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা।  দেলোয়ারা ওই গ্রামের মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের অভাব ঘোচাতে তার দুই ছেলে বিদেশে পাড়ি জমান। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর তরকারি কাটছিলেন দেলোয়ারা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ কক্ষে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উন্মোচন হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়