• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খতনার সময় শিশুর পুুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল হাজাম, ঢামেকে ভর্তি
ময়মনসিংহে শিশুর (১১) খতনা করার সময় যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোববার জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। হাজামের বিরুদ্ধে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গ্রামের বাসিন্দা হাজাম মো. আকবর (৪৮) যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ উল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির যৌনাঙ্গের কর্তিত অংশ সময়মতো নিয়ে এলে মাইক্রোসার্জারি করে মেরামতের চেষ্টা করা যেত। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যরা শিশুটির খতনা করার উপলক্ষে রোববার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিশুটিকে গোসল করিয়ে হাজামের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর শিশুটিকে একটি ছোট খাটিয়ার ওপর বসানো হয়। হাজাম মো. আকবর তার কাজ শুরু করার সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা দেখেন, খতনা করানোর সময় হাজাম আকবর শিশুর যৌনাঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলেছেন। যন্ত্রণায় শিশুটি কাতরাচ্ছে। ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর শিশুটিকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়ার মতো চিকিৎসক না থাকায় শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার শিশুটির মামা মেহেদি হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তা সফল হয়েছে কি না, এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। গ্রাম্য হাজাম আকবরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসার সফলতার ওপর নির্ভর করছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০

ঈদে ১৭২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, মৃত্যু ৩
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় এসব মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি আরও জানান, গতকাল (বুধবার) রাত ১২টা থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনজনের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪

ঢামেকে রোগীদের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত : র‍্যাব
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকে) হাসপাতালে রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে টাকার বিনিময়ে জোগাড় করে দেয় সক্রিয় দালাল চক্র। তবে বেশির ভাগ রক্ত তারা জোগাড় করে হাসপাতালের আশপাশে থাকা ভবঘুরে ও মাদকাসক্তদের থেকে। ফলে জীবন বাঁচাতে গিয়ে রোগীদের সরিরে মিশে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত।  এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৪ মার্চ) ঢামেক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৫৮ জন দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। অভিযান শেষে ঢামেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা মেডিকেলে রোগীদের জিম্মি করে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে র‍্যাব অধিনায়ক জানান, সোমবার ৬৫ জন দালাল আটক করেছেন তারা। এদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১৫ থেকে এক মাস করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই দালালরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে, জরুরি বিভাগে, বহির্বিভাগে, ব্লাড ব্যাংকে রোগীদের জিম্মি করে। আবার মেডিকেলের ভেতরে অসহায় রোগীদের জিম্মি করে ছিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য লেনদেন করে। কর্নেল আরিফ আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছিলাম। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এসব দালাল চিহ্নিত করেছি। আজকে আমরা অল্পসংখ্যক দালাল ধরেছি। এ সংখ্যাটা আরও বেশি হবে। এদের বড় একটি চক্র আছে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়