• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এর আগে, এদিন সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে সকাল ৯টার পর থেকে পুরোপুরি যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৭টা থেকে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, সড়কের কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।  বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল শুরু হয়। তবে, গাড়ি ধীর গতিতে চলছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সময়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। কম ভাড়ায় খোলা ট্রাকেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সড়কের মির্জাপুর, গোড়াই, টাঙ্গাইল, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে যাত্রীদের জটলা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, সড়কে ৭ শতাধিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ দিনে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপে থেমে থেমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।  এতে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে, জিরানী বাজার এলাকা ও চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাজার এলাকা পর্যন্ত ও চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতুগামী গোড়াই পর্যন্ত গাড়ির সারি লক্ষ্য করা যায়।  এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বাস যাত্রী বলেন, গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বাসে আসতে গিয়েই খুব কষ্ট হয়েছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা আসতেই সময় লেগেছে ২ ঘণ্টার ওপর। দীর্ঘ সময় বাসে বসে থাকতেও বিরক্ত লাগছে। তবুও শত কষ্ট সহ্য করে বাড়ি যেতে পারলেই খুশি।  সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার, আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ শিল্প-প্রতিষ্ঠান সকাল থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীর তুলনায় পরিবহন না থাকায় চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে খাড়াজোড়া প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার খোলা ট্রাকে করে বাড়ির পথে রওনা করেছেন। যদিও কোনো কোনো মোড়ের যানজট প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও যাত্রী ওঠা-নামা শেষে আবার মুহূর্তেই যানজট মিলিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চন্দ্রায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের শঙ্কা
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। ঈদসহ যেকোনো উৎসবের ছুটিতে এ মহাসড়কে যানজট এবং ভোগান্তি নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। এবারও মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে নেওয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। জানা গেছে, যানজটের ভোগান্তি দূর করতে উত্তরবঙ্গগামী গাড়িগুলো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ওয়ানওয়ে (একমুখী) চলাচল করবে। ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা প্রবেশ করবে। এতে করে যানজট অনেকটা কমে যাবে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চার লেন সড়কের সুবিধায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত অতি দ্রুত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন। চার লেনের যানবাহন দুই লেন সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতু পূর্ব ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কেও রয়েছে একাধিক খানাখন্দ। ফলে ঢাকামুখী যান চলাচলে ঘটতে পারে বিঘ্ন। এলেঙ্গা থেকে সেতুর দিকে মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে চার লেনের কাজ। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের চার লেনের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প সমন্বয়ক মিজান সরোয়ার বলেন, আমাদের প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬০০ কোটি টাকার কাজটি শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। সম্প্রতি করা সমীক্ষায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মোট ৭৩টি দুর্ঘটনায় মধ্যে ৫৪টিই হয়েছে সেতুতে। আশা করছি এবার ঈদে মহাসড়কে যানজট হবে না। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৯-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদে এর সংখ্যা আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায়। গতবছর সর্বোচ্চ ৫৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছিল। যখন সেতুর ওপর গাড়ির চাপ পড়ে তখন টোল আদায়ে সমস্যা দেখা দেয়। সাময়িকভাবে টোল বন্ধ থাকে। এ জন্য যানজট কিছুটা হয়। এবার সেতুর দুইপাশে ৯টি করে ১৮টি এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে ৪টি টোলবক্স বসানো হবে। তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে চার লেনের কাজে ধীরগতি চলছে। এর মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার লম্বা ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে যানজট হবে না। টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, ঈদে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক হয়ে চলাচল করে। এখানে খানাখন্দগুলো ঈদের আগেই মেরামত করা হবে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একমুখী চলাচল করবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে। তিনি বলেন, দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোল পাম্প, হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবার ঈদে ৭০০ পুলিশ হাইওয়েতে ডিউটি পালন করবে। অনেক সময় ঈদের আগের দিন রাস্তা তুলনামূলকভাবে ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক ব্যবসায়ীরা ফাঁকা রাস্তায় বাড়িতে যেতে নিলে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়তে পারে। সে জন্য সব পুলিশ ঈদের সাতদিন আগে থেকে ঈদের পরের দুইদিন পর্যন্ত হাইওয়েতে ডিউটি করবে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, এ মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহগামী মানুষের ভোগান্তিমুক্ত ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সাধারণ মানুষ এবারো নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা একটি শিল্প অঞ্চল। এখানে রয়েছে তিন শতাধিক শিল্প কারখানা। এসব শিল্প কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করলেই ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকাজুড়ে বেড়ে যায় যানজট। সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক বাস কাউন্টার। চন্দ্রা থেকে চৌরাস্তার মহাসড়কের দুপাশে অসংখ্য ফুটপাত রয়েছে। এসব ফুটপাত ও যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ঢাকা টাঙ্গাইল এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা।  জানা গেছে, ঈদ আসলেই মনে পড়ে মানুষের দুর্ভোগের কথা। নাড়ির টানে উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষ প্রতি বছরই ঈদে যানজটের পরে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে। এবারও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজে ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় বিরামহীন নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  যানজট নিরসনে ঈদের পূর্বেই এলেঙ্গায় থেকে চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান তারা। ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চার লেনসহ দুই পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেন হয়েছে। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ রাস্তা দেখে উন্নত দেশের রাস্তার মতো মনে হলেও এটি এখন দৃশ্যমান ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাস্তা। আর এই রাস্তার সুফল ভোগ করছে উত্তরবঙ্গসহ মোট ২২ জেলার মানুষ। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এখনও চার লেনে উন্নীত হয়নি। ফলে মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার এলাকার সুফল মিললেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষের। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ভোগান্তির আশঙ্কা অনেকটাই কমে গেছে। এরিমধ্যে গাজীপুর ভোগরা সহ চৌরাস্তা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ী চলায় যানজট কমে গেছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অসংখ্য বাস কাউন্টার, সড়কের দুপাশে ফুটপাত, যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান চালকরা। গাজীপুর সড়ক ও জনপথ উপসহকারী প্রকৌশলী অভি সুজন জানান, সড়ক ও জনপথ চন্দ্রা এলাকায় সড়কের মাঝে ডিভাইডার কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ শেষ হলে চন্দ্রা এলাকা যানজট কমে যাবে।  কোনাবাড়ি থানা হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এবার আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চন্দ্রা আশপাশের সকল বাস কাউন্টার, ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যাতে করে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করবেন বলে জানান।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তির শঙ্কা
ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলসহ ২৬টি জেলার মানুষ চলাচল করে এ মহাসড়ক দিয়ে। ফলে ঈদে বাড়তি পরিবহনের চাপে পড়ে মহাসড়কটি। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনে যান চলাচল করলেও, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুইলেনে চলাচল করে। এ ছাড়াও চলমান রয়েছে এ অংশের চার লেনের কাজ। ট্রাফিক আইন না মেনে যানবাহন চালালে ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন মহাসড়কে থাকলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। তবে ঘরমুখো মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।  জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষ হওয়ায় ভোগান্তি অনেকাংশে লাগব হয়েছে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে এখনও দুই লেনে যানবাহন চলাচল করছে। এ অংশে চলমান রয়েছে চারলেনের কাজ। তবে জোকারচর থেকে সেতু পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক চারলেনে যান চলাচল করবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  সড়কটিতে চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত দুইলেনে চলতে গিয়ে গাড়ির বাড়তি চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদ কেন্দ্রিক ৪৫ থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। এতে করে যানজটের শঙ্কা রয়েই যায়। এদিকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে চলাচল করলে অন্য যানবাহনের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সেগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিগত বছরের মত পুলিশি তৎপরতায় এবারও ঈদের আগে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে এবং উত্তরাঞ্চলমুখী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত একমুখী যানচলাচল করবে। এতে করে কিছুটা স্বস্তিরও বার্তা রয়েছে যাত্রীদের জন্য। যানবাহন পারাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজার উভয়পাড়ে মোটরসাইকেলের লেনসহ ২০ লেন চালু রাখার চিন্তা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর ওপর গাড়ির চাপ বেড়ে গেলে সাময়িক সময়ের জন্য মাঝে মাঝে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। ঠিক তখন সাময়িকভাবে টোল আদায় বন্ধ থাকে। এবার টোল বক্স বৃদ্ধি করা হবে। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত দুইলেনের সড়কে তিনটি লিঙ্করোড রয়েছে। একটি এলেঙ্গা থেকে ময়মনসিংহ-জামালপুরগামী, এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর-তারাকান্দিগামী রোড এবং বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি রোড সড়ক। এই লিঙ্করোডের পরিবহন মহাসড়কে প্রবেশের সময় একপাশের পরিবহন আটকে রাখা হয়। এতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।  গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে কোনো সমস্যা হয় না, তবে যত সমস্যা হয় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত। এ রাস্তায় অনেক চালক আছে যারা গাড়ি ওভারটেকিং করার সময় রং সাইড দিয়ে প্রবেশ করে এতে যানজট লেগে যায়। অপর গাড়ি চালক আনিসুর রহমান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে চালকরা লক্কর ঝক্কর যানবাহন সড়কে নামাবে। পুলিশ তৎপর হলে যানজটের শঙ্কা কম থাকবে।  চার লেনের নির্মাণ কাজের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনায়েম কোম্পানি লিমিটেডের জুনিয়র স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার রিমন হোসাইন বলেন, চারলেনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সড়কের জোকারচর থেকে সেতু পর্যন্ত দক্ষিণ পাশ দিয়ে চার কিলোমিটার চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো চারলেন সড়কের সুবিধায় এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন। চার লেনের যানবাহন দুই লেন সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোলচত্বর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার একমুখী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এ সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে। তিনি আরও জানান, এবার ঈদে ৭০০ পুলিশ হাইওয়েতে ডিউটি পালন করবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক সময় ঈদের আগের দিন রাস্তা তুলনামূলকভাবে ফাঁকা হয়ে যায়। তখন অনেক ব্যবসায়ীরা ফাঁকা রাস্তায় বাড়িতে যেতে নিলে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়তে পারে। সে জন্য সব পুলিশ ঈদের সাত দিন আগে থেকে ঈদের পরের দুইদিন পর্যন্ত হাইওয়েতে ডিউটি করবে যাতে কেউ কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:১০

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৭ কি‌লো‌মিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব মহাসড়কের কা‌লিহাতী উপজেলার রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কি‌লো‌মিটার এলাকায় জু‌ড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ভূঞাপুর লিংক রোডে পরিবহনের চাপ বে‌ড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হ‌য়। মহাসড়কের কোথাও আবার পরিবহন চলাচলে ধীরগতিও র‌যে‌ছে। ফ‌লে চরম বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছে যাত্রী ও কাঁচামাল পরিবহনের চালকরা। বুধবার (৬ মার্চ) ভোর রাত থে‌কে এ যানজটের সৃষ্টি হ‌য়। সরেজমিনে দেখা গেছে, এ মহাসড়কের এলেঙ্গা হ‌তে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কি‌লো‌মিটার দুই লে‌নেই প‌রিবহ‌নের ব্যাপক চাপ থাকলেও এলেঙ্গা হ‌তে ঢাকাগামী লে‌নে তেমন চাপ নেই। এদিকে যানজটের দরুণ উত্তরব‌ঙ্গ ও ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা হ‌তে ভুঞাপুর-তারাকা‌ন্দি-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার ক‌রে চলাচল কর‌ছে। এছাড়া ভোররা‌তে অন্যান্য দিনের মত প‌রিবহনের চাপ থাকায় এই যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। মা‌ঝেম‌ধ্যে ভোর থেকেই এই সড়‌কে যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে জানান চালকরা। মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, এলেঙ্গা হ‌তে সেতুপূর্ব পর্যন্ত দুই লে‌নে সড়‌কে প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি হ‌লেই ট্রাকচালকরা ঘু‌মি‌য়ে যায়। ‌ফলে যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়েছে। এটি নিরস‌নে হাইও‌য়ে পু‌লি‌শের পা‌শাপা‌শি জেলা পু‌লি‌শের সদস্যরা কাজ কর‌ছে।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০০

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মোবাইল ফ্ল্যাশলাইটের ফাঁদ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাদা রঙের সলিড লাইনের পাশে প্রায় সময় ফ্ল্যাশলাইট জ্বলে থাকা মোবাইল ফোন পড়ে থাকতে দেখা যায়। সরলতায় কিংবা লোভে পড়ে গাড়ি থামালেই পড়তে হয় ডাকাতের খপ্পরে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর এলাকার মা সিএনজি পাম্পের অপর পাশে সাংবাদিকদের নজরে আসে, রাস্তার পাশে ফ্ল্যাশলাইট জ্বলা অবস্থায় একটি মোবাইল ফোন পড়ে আছে। মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেখা যায় ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য রাস্তার পাশে অবস্থান করছে। দুজন বসে আছে এবং একজন দাঁড়িয়ে। সাংবাদিকরা তৎক্ষণাৎ দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন এবং মির্জাপুর থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে দেওহাটা ব্রিজের সামনে থাকা টহল পুলিশের টিমকে সঙ্গে নিয়ে ফাঁদপাতা স্থানে যান সাংবাদিকরা। পরে থানা থেকে আরও একটি পুলিশের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে টের পেয়ে ডাকাত চক্রটি পালিয়ে যায়। আলামত হিসেবে রাস্তায় পড়ে থাকা মোবাইল ফোন পুলিশ উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর দেখা যায় মোবাইল ফোনের একটি ডেমু বানিয়ে রাখা হয়েছে। মোবাইল ব্যাককাভারের ভেতর প্লাস্টিকের ফোম এবং নষ্ট ফোনের ডিসপ্লের সঙ্গে রাবার দিয়ে গ্যাস ম্যাচের লাইট বেঁধে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে পথিমধ্যে দুদিন পরপরেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এখানে প্রায় সময় এমনভাবে মোবাইলের কাভার লাইট জ্বালিয়ে রাখে যা দেখে মনে হবে এটি সত্যিকারের মোবাইল ফোন। গাড়ি থামালেই চালানো হয় ডাকাতি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর কুমারজানী এলাকায় ডাকাত দলের সদস্যরা রাস্তায় বস্তা ফেলে ফাঁদ পেতে বসে থাকে। ফাঁদে পা দিলে ট্রাক ড্রাইভার নাজমুলের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নাজমুলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান। এ ঘটনার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মির্জাপুর থানার ফোর্স দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলার দেওহাটা ব্রিজ ও ত্রিমোহন এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্য নাদিম ও সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। ওই আসামিদের তথ্যমতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অপর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে নাদিম ও সাদ্দাম ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং অপর ৪ ডাকাত দলের সদস্যকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, মির্জাপুরে এমন ঘটনা প্রায় সময় ঘটে আসছিল। ইতোমধ্যে ডাকাত চক্রের ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তারা মাদকাসক্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আরও কয়েকজন এই চক্রের সদস্য রয়েছে যারা বিভিন্ন যায়গায় এমন ফাঁদ তৈরি করছে। মির্জাপুর থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়