• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় আহত ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় আহত ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা রোববার (২১ এপ্রিল) মারা গেছেন। তার নাম মেজর ডর জিমেল (২৭)। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে সংরক্ষিত সেনাসদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী আরব আল–আরামশে এলাকায় ১৭ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হয়। ওই হামলায় ডর জিমেল ছাড়াও আরও ১৩ সেনাসদস্য ও ৪ বেসামরিক মানুষ আহত হন। হামলার পর দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহ। মেজর ডর জিমেল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ইতজিওনি ব্রিগেডের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। আহত অবস্থায় তাকে নাহারিয়া শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিমেল মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রোববার (২১ এপ্রিল) তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এদিকে ১৭ এপ্রিলের ওই হামলার জবাবে উত্তর–পূর্ব লেবাননের বালবেক শহরে হিজবুল্লাহর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।রোববার দক্ষিণ লেবাননের দুটি ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। হিজবুল্লাহর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে করে এ হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ইসলায়েল–লেবানন সীমান্তে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৪

আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান
ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এ হামলা চালানো হয়। তবে ইরান জানিয়েছে, ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে ভূপাতিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইস্পাহানের আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং তারা আকাশে এসব ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই।  এদিকে, ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এক প্রতিবেদনে এপি জানিয়েছে, দেশটি আক্রমণের শিকার হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০

ইরানের এক রাতের হামলা ঠেকাতে যত খরচ ইসরায়েলের
রাতভর ইরানের বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ। রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্ট আই। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেত নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর অনুমান করে জানান রিম আমিনো। তিনি বলেন, রাতারাতি ইরানের বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। অ্যামিনোচ বলেন, ইসরাইলে আক্রমণ পরিচালনার জন্য ইরান খুবই স্বল্প পরিমাণে ব্যয় করেছে। এই রাতে তাদের ব্যয় ইসরায়েলের ব্যয়ের ১০ শতাংশেরও কম।    গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যা করে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ওঠে। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৫

ইরানের হামলা রুখতে যেসব দেশকে পাশে পেল ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে পথে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রুখতে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে দেশটি। তাদের এ বন্ধু রাষ্ট্রের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জর্ডান। খবর বিবিসির। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমানও হামলা ঠেকিয়েছে। ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অনেকগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয় সিরিয়ায় থাকা যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ারফোর্সের জঙ্গি বিমান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে ‘আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাই ওই অঞ্চলে বিমান পাঠিয়েছিল রয়েল এয়ারফোর্স। ফ্রান্স ও ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষায় কাজ করেছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জর্ডান বলেছে, ইরানের হামলার পর তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। এটি ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম সরাসরি হামলা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলের আকাশসীমায় ধ্বংস করা হয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার অবকাঠামো সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৬

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করেছে ইরান। শতাধিক ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইরানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।  রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন এখন ইসরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।  ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে ড্রোনগুলোর প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। ড্রোনের পাশাপাশি ইরান আরও বেশকিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে এমন সম্ভাবনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে ইরানি ড্রোন হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি বলেছেন, ড্রোনগুলোর গতিপথে নজর রাখছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ড্রোনগুলো প্রতিহত করতে জিপিএস প্রযুক্তিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় ড্রোনগুলো প্রবেশ করলেই কেবল সাইরেন বাজানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব ড্রোনগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করবে তাদের সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালালো ইরান। তবে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু এখনও স্পষ্ট নয়। দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই বেশিরভাগ ড্রোনকে ভূপাতিত করার পরিকল্পনা তাদের। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কয়েকটি দেশ সহযোগিতা করবে তাদেরকে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আমোস ইয়াদলিন দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে বলেছেন, ইরানি ড্রোনগুলো প্রতিটি ২০ কেজি করে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত। এদিকে এ ঘটনায় নির্ধারিত সফর সূচি বাতিল করে ওয়াশিংটন ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরানের এই হামলা নিয়ে হোয়াইট হাউজে জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা নিয়মিত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি অপর অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি মার্কিন সমর্থন লৌহদৃঢ়। ইসরায়েলি জনগণের পাশেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।  হামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আকাশসীমা বন্ধের পাশাপাশি সবধরনের বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে ইরাক এবং জর্ডানও।  উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছে আইআরজিসি।   
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪২

ড্রোন উড়িয়ে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের খুঁজছে পুলিশ
বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ কয়েক জায়গায় হামলার পর গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে কেএনএফ। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি বাজার ও থানার তিন দিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তারা থানা দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। কেএনএফ সদস্যরা এখন থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েছি। তারা আবারও আক্রমণ করতে পারে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়। পাহাড়ি এক ব্যবসায়ী বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসায় ধস নামবে। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪১

আমেরিকা থেকে ৩১ ড্রোন কিনছে ভারত
আমেরিকার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন কিনতে চেয়েছিল ভারত। এতে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ৩১টি এমকিউ ৯বি সি গার্ডিয়ান ড্রোন কিনবে ভারত। ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি এজন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। তারা সিনেটকেও বিষয়টি জানিয়েছে। গতবছর প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ই ভারত এই ড্রোন কিনতে চায়। এই ড্রোনগুলি ভারত সরকার সরাসরি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে কিনতে চেয়েছে। তাই বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদন জরুরি। ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, এই ড্রোন বিক্রি অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেই হচ্ছে। এর ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। তারা আরও বলেছে, এই ড্রোন হাতে পেলে ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রয়োজন মিটবে। সমুদ্র ও স্থলভাগে মানবহীন এই ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করা যাবে। ভারত তার সেনাবাহিনীকে আধুনিক করতে চায়। তারা এই ড্রোনগুলি সেনার কাজে লাগাতে পারবে। গত প্রায় ছয় বছর ধরে এই ড্রোন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের সময় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ভারতীয় নৌ, বিমান ও স্থলবাহিনী এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবে। কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই ড্রোন বিক্রি করার বিষয়টি স্থগিত রেখেছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি নেতাকে হত্যার চেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, আমেরিকা এই ড্রোন বিক্রিতে সম্মতি দিয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৮

মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ২৫ 
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং ২৫ জন সেনা আহত হয়েছেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের (সিইএনটিসিওএম) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।  প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক বহনকারী ওয়ানওয়ে ড্রোন দিয়ে এ হামলা করা হয়েছে। এ ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে মার্কিন ঘাটির আকাশ প্রতিরক্ষা কেন ড্রোনটি প্রতিহত করতে পারেনি, তা অস্পষ্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা হামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে আমরা জানি, সিরিয়া ও ইরাকের ইরান-সমর্থিত মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে সময়মতো আমাদের পছন্দমতো কায়দায় জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। বিবৃতিতে নিহত সেনাসদস্যদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর শুরু হওয়া সংঘাতে এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় দেশটির সেনা নিহত হলো। গত ১৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলার কবলে পড়েছেন মার্কিন সেনারা। তবে আগের কোন ঘটনায় কেউ নিহত হননি। এর আগের ঘটনাগুলো ইরাক ও সিরিয়াতে ঘটেছে।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের উপপ্রধান নিহত
ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল–আরোউরি নিহত হয়েছেন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এই হামলায় হামাসের সামিরক শাখা কাশেম ব্রিগেডের দুইজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। হামাস জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ে কার্যালয়ে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উপপ্রধান সালেহ আল-আরোউরিসহ ওই তিনজন রয়েছেন। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের। সালেহ আল-আরোউরি ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান। তিনি এই গোষ্ঠীর সামরিক কর্মকাণ্ডেও সম্পৃক্ত ছিলেন।  এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে।  এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে এবং চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এদিকে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছে লেবানন। তবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তার দেশের বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়