• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ডেঙ্গু ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ
ডেঙ্গুর সংক্রমণের ভয়াবহতা ঠেকাতে চলতি বছরের শুরুতেই পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার প্রচারণা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটি। এরইমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচারণা চলানোর নির্দেশনা দেওয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। দেশের সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিতে কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  এরইমধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির নির্দেশনাগুলো যাতে মাউশির অধীনস্থ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। ডেঙ্গু কেড়ে নেয় শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাণ। তাই সার্বিক দিক মাথায় রেখে এবার আগেভাগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে শীতের শেষেই সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সচেতনতামূলক প্রচারপ্রচারণা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৮

ডেঙ্গু নিয়ে আরও ১১ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার পাঁচজন এবং ঢাকার বাইরের ছয়জন।   চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৭১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও ১০ জন নারী রয়েছেন।   বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি।    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জন ঢাকায় এবং ১ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৬০ জনে, যাদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৩৩ জন; আর ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ২৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ৮
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।তবে এ সময় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় সারাদেশে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে একজন এবং ঢাকার বাইরে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নয়জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে নয়জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৫

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ৩ রোগী
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকাতে দুইজন এবং ঢাকার বাইরে একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট চারজন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে একজন এবং ঢাকার বাইরে তিনজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের মোট ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে ঢাকাতে ৪১০ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৯২ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৫২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতাল ৭২৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশে মোট ১১১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৩ জন। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৮৯ শতাংশ, ভর্তি থাকার নয় শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শতকরা এক দশমিক তিন শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২২
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু না হলেও এ সময় বিভিন্ন হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচজন এবং ঢাকার বাইরে ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ৩০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ১১ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ১৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত এক হাজার ৪২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল ৭০০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশে মোট ৯৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৪১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চলতি বছরের মোট ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৫

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও একজনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের জনের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ছয়জন ঢাকার এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ১২ জন। মারা গেছেন ১৬ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা প্রথমবারের চেয়ে বেশি গুরুতর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে চলে যায়। সম্প্রতি ভ্যাকসিনসওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ বা ধরন রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এসব ধরনের সঙ্গে লড়াই করে। প্রথম আক্রমণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় আক্রমণটি শক্তিশালী হয় এবং সেরোটাইপগুলো আগের ভাইরাস কণার সঙ্গে যুক্ত হয়। এভাবে শরীরে ডেঙ্গু আবারও বাসা বাঁধতে পারে। প্রথমটির বিরুদ্ধে দেহে আজীবন অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও পরবর্তী তিনটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির সক্ষমতা দুই মাসের কম হতে পারে। এ জন্য দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে ‘সাইকোটিন’ নামক এক প্রকার প্রতিরোধক শরীরের জীবাণু প্রতিরোধী কোষকে সংকেত পাঠায়। এতে দেহে ‘সাইকোটিন স্টর্ম’ তৈরি হয়। দুর্বল শরীরে এই প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী কাজ করায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে দেশ দুটিতে আগের তুলনায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়ে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৫ জন। এরমধ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। এর আগে, ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন রেকর্ড তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন। তার আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত এবং ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট
এবার দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। এই কিট দিয়ে ১০ মিনিটেই ডেঙ্গু শনাক্ত করা যাবে। আর পরীক্ষার খরচও নেমে আসবে অর্ধেকে। শুধু তাইউ নয়, এই কিট শতভাগ সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম বলে দাবি গবেষকদের।  বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম এরই মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরির অনুমোদন পেয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মালা খান জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই বছর গবেষণার পর সফলতা ধরা দিয়েছে তাদের হাতে। এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ১০০ জনের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যেখানে শতভাগ সফলতাও এসেছে বলে দাবি তার। তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী গবেষনা ও পরীক্ষার প্রতিষ্ঠিত নিয়ম মেনেই প্রতিটি ধাপ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি’র অনুমোদন মিলেছে। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর-ডিজিডিএ উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। এখন বিআরআইসিএম ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট তৈরি শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা জানান, ৪ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুই বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে এই কিট; যা বাজারে পাওয়া অন্য কিটগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। গবেষক দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, অ্যান্টিজেন এই কিটে সিরাম, প্লাজমা ও রক্তের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর ধরন ‘ডেন-৪’ও এই কিটে শনাক্ত করা যাবে। মালা খান জানান, ডেঙ্গু শনাক্তকরণে বর্তমানে দেশে যেসব কিট ব্যবহার করা হচ্ছে তা শতভাগ আমদানি করা। যার জন্য ১৪০ থেকে ১৯৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। কিন্তু, দেশে তৈরি এই কিটে খরচ হবে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর ১০ মিনিটেই ফলাফল পাওয়ার কারণে বেশি বেশি পরীক্ষা করা যাবে। প্রতিদিন এক লাখ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিদেশ নির্ভরতা কমাবে। পাশাপাশি সংরক্ষণ করা সহজ হওয়ার কারণে দেশের বাইরে রপ্তানিও করা যাবে। তবে দেশের বাইরে রপ্তানি করতে গেলে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনা হলেও পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ক্রস রিএক্টিভিটি’ বলা হয়। দেশে তৈরি এই কিটে যা হবে না বলেই দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, করোনা, জিকা ও চিকনগুনিয়া ভাইরাসের প্রভাব থাকলেও ডেঙ্গুর ফলাফল শতভাগ সঠিক দেবে নতুন এই কিট। অর্থাৎ এখানে ‘ক্রস রিঅ্যাক্টিভিটি’ নেই। পাশাপশি এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ফলস নেগেটিভ বা ফলস পজেটিভ আসারও সুযোগ নেই বলে দাবি গবেষকদের। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কিট আমদানি করা হয়। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর দামের ওঠা-নামা করে। আবার অনেক সময় পাওয়া যায় না, গেল বছর এমন সমস্যার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তের পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। নিজেরা এমন কিট তৈরি করতে পারলে সেই সমস্যার দূর হবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০০

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কারও মৃত্যু না হলেও এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় সারাদেশে ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ছয়জন এবং ঢাকার বাইরে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাঁচজন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ১৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়