• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
গলাচিপা উপজেলা কল্যাণ সমিতির ফ্যামিলি ডে উদযাপন
উৎসব মুখর পরিবেশে ‘এসো মিলিত হই আমরা হৃদয়ের বন্ধনে’ এই শ্লোগান গলাচিপা উপজেলা কল্যাণ সমিতির ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মুন্সিগঞ্জের একটি রিসোর্টে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিন ব্যাপী এ ফ্যামিলিডে উৎযাপন করেন ঢাকায় বসবাসরত পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বাসিন্দারা।  সকালে মিরপুর, উত্তরা ও পল্টন থেকে আলাদা ভাবে বাস ছেড়ে হাইকোর্ট এলাকায় মিলিত হয়। সেখান থেকে গাড়ী বহর নিয়ে পিকনিক স্পটে পৌঁছায়। একে অপরের মধ্য পরিচয় পর্বের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ফ্যামিলি ডের আনুষ্ঠানিকতা। কেউ গল্প করছেন, কেউ তুলছেন ছবি, কেউ কেউ ছিলেন গল্প-আড্ডায় ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত ছিলেন কুশল বিনিময়ে। সিনিয়র, জুনিয়রের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল পিকনিক। পরে সদস্য নারী-পুরুষ ও সন্তানদের মধ্যে আলাদা আলাদা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।  আনন্দ আর হাসি গানে কাটে ফ্যামিলি ডে’র পুরোটা সময়। র‌্যাফেল ড্র আর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্যদিয়ে শেষ হয় ফ্যামিলি ডে’র আনুষ্ঠানিকতা।  ফ্যামেলি ডে’র আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম টিপু ,সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাক্তার জালাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান অংশগ্রহনকারী এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যারা সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শাহীদ প্রিন্স মহব্বত, জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী নাসির উদ্দিন, ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জার্নালিস্টস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও আরটিভির সহকারী বার্তা সম্পাদক সাইখুল ইসলাম উজ্জ্বলসহ অনেকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৩

লিপ ইয়ার কেন হয়, না থাকলে কী হতো?
চার বছর পর ২০২৪ সাল এসেছে ফেব্রুয়ারিতে একটা অতিরিক্ত দিন নিয়ে। ৩৬৫ দিনের বদলে এ বছরের ক্যালেন্ডারে রয়েছে ৩৬৬ দিন। এ অতিরিক্ত দিনকেই আমরা ‘লিপ ডে’ বলি। সাধারণত প্রতি চার বছরে একটি লিপ ইয়ার হয়। প্রশ্ন হলো, কী এই লিপ ইয়ার? কেন এর প্রয়োজন? প্রতি চতুর্থ বছরই কি একটি লিপ ইয়ার? লিপ ইয়ার কী? বছরে সাধারণত ৩৬৫ দিন থাকে। কিন্তু একটি লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন থাকে। লিপ ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৮ দিনে। আর লিপ ইয়ার বছরে ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৯ দিনে। কিন্তু তারপরও ফেব্রুয়ারি মাস বছরের সবচেয়ে ছোট মাস। লিপ ইয়ার কবে চালু হয়? যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ৪৬ বছর আগে জুলিয়াস সিজার লিপ ইয়ার চালু করেছিলেন, যা পরে ১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে চালু হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে একটি বছরের সময়সীমা ছিল ৩৬৫ দিন। প্রতি চার বছর অন্তর সেটাই হয়ে ওঠে ৩৬৬ দিন। রয়াল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের ওয়েবসাইট অনুসারে, ইসলামিক ক্যালেন্ডার আল-হিজরাতে লিপ ইয়ারে ১২তম মাসে জুল হিজ্জাতে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত নয়। কারণ গণনার জন্য ব্যবহৃত ছয় ঘণ্টা আর প্রকৃত ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয়? সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরতে ৩৬৫.২৫ দিনের একটু কম সময় লাগে। তাই চার বছর পর পর লিপ ইয়ার ধরলে প্রতি ৪০০ বছরে ৩ দিন অতিরিক্ত দিন ধরা হয়ে যায়। এ সমস্যার সমাধানে প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে সেসব বছর লিপ ইয়ার থেকে বাদ যাবে। কিন্তু এতেও সমাধান না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে এবং ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য নয়, তাদের লিপ ইয়ারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। যেমন- ১৯০০ সাল লিপ ইয়ার নয়, কিন্তু ২০০০ সাল লিপ ইয়ার। লিপইয়ার কেন প্রয়োজনীয়? একটি সৌর ক্যালেন্ডারের এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশের বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ড। একটি সাধারণ বছর এভাবেই ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। অতিরিক্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা চার বছরে ২৪ ঘণ্টা হয়। এই ২৪ ঘণ্টা হলো পৃথিবীর একবার নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরার সময়। সেই হিসাবে অতিরিক্ত সময় বা ২৪ ঘণ্টা চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত দিন হিসেবে যুক্ত হয়। এটি করা না হলে ফসলের চক্র এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ধীরে ধীরে বদলে যাবে। যা মানুষের সময় নির্ধারণের কৌশলকে বিভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করবে। যদি ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর সময়ের সেই ছোট সংশোধন না করা হয় তবে ধীরে ধীরে ঋতুগুলোর সঙ্গে তারিখের আর সামঞ্জস্য থাকবে না। ক্যালেন্ডারে দেখানো গ্রীষ্মকালে প্রকৃতপক্ষে শীতকাল পড়বে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। কৃষকেরা ক্যালেন্ডার দেখলে ফসলের মৌসুম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন।  বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডারে সময় গণনা ঠিক রাখার নিজস্ব উপায় রয়েছে। ইহুদি ক্যালেন্ডার চাঁদ ও সূর্য উভয়কে বিবেচনায় রেখে করা হয়। এই ক্যালেন্ডারে প্রতি ১৯ বছরের মধ্যে সাতবার একটি করে পুরো মাস যোগ করা হয়। বিশেষ পার্বণ যেন প্রতি বছর একই সময় আসে তা নিশ্চিত করতে মাঝে মধ্যে এই ক্যালেন্ডারে একটি লিপ মাস যোগ করা হয়।    ইসলাম ক্যালেন্ডার আরও অনন্য। এটি চাঁদের পর্যায়গুলো অনুসরণ করে ও কোনো অতিরিক্ত দিন যোগ করে না। যেহেতু একটি চন্দ্র বছর মাত্র ৩৫৫ দিন দীর্ঘ, তাই ইসলামি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।  উদাহরণস্বরূপ, রমজান মাস ইসলামিক বা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। চলতি ২০২৪ সালে রমজান ১১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে গত বছর রমজান ছিল ২৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। একই ভাবে ২০২৫ সালে ১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০২৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ রমজান মাস পড়তে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

উৎসব মুখর পরিবেশে বিডিজেএ’র ফ্যামিলি ডে উদযাপন   
ঢাকাস্থ বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (বিডিজেএ) ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি গাজীপুরের পূবাইলে আপন ভূবন রিসোর্টে  এই ফ্যামিলি ডে উদযাপিত হয়। এতে বিডিজেএ'র সদস্যদের সঙ্গে বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানরা অংশ নেন। দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিন প্রজন্মের সম্মেলন ঘটে। সকাল ৭টায় সেগুনবাগিচা থেকে যাত্রা শুরু পিকনিক স্পটে পৌছায় ৯ টায়।  পরে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা পরে রাতে ঢাকায় আসে পিকনিকের বাসগুলো। শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে আয়োজন শুরু শেষ হয় র‌্যাফেল  ড্র দিয়ে। মাঝে অনুষ্ঠিত হয় কাওয়ালী গানের আসর।  সংগঠনের সভাপতি  তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতের সঞ্চালনায় পুরো আয়োজনে সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য একাধিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এছাড়াও ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। প্রত্যেক সদস্যদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি অতিথি হিসেবে সকল বাবা-মায়ের হাতেও পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। ফ্যামিলি ডে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব জুয়েল ও সংগঠনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম অংশগ্রহনকারী এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যারা সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফ্যামিলি ডে ২০২৪ বিডিজেএর উপদেষ্টা ও বিসিসিআই এর পরিচালক নিজাম উদ্দিন, বিডিজেএর উপদেষ্টা আবু জাফর সূর্য, বিডিজেএর নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭

সাব-এডিটরস কাউন্সিলের ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত
রাজধানীর মিরপুরে তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি ডে পার্কে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৪০০ সাংবাদিক ও তাদের পরিবার সদস্য মিলে অন্তত ৮০০ জন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউরো-বাংলা বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিএসইসির সভাপতি মামুন ফরাজী। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ (ডিইউজে) বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এ সময় কুশল বিনিময় করেন। ফ্যামিলি ডে-তে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক ও পরিবার সদস্যরা দিনভর আনন্দময় সময় কাটান। এ ছাড়া বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা ছোট শিশুরা বিভিন্ন রাইডে অংশ নিয়ে আনন্দ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে দুপুরের খাবারের পর ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব- র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান। র‌্যাফেল ড্র সঞ্চালনা করেন দৈনিক বাংলাদেশে আলোর প্রকাশক ও সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবু ও ডিএসইসির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম। র‌্যাফেল ড্র শুরুর আগে বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসইসির সভাপতি মামুন ফরাজী। এ ছাড়াও ইউরো-বাংলা বিল্ডার্সের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ রহমান শিবলী। তিনি বলেন, ইউরো-বাংলা বিল্ডার্সের মাননীয় চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় উনি এ সুন্দর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তিনি এ অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেছেন। আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। আরিফ রহমান শিবলী আরও বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় এ সংগঠনের পাশে ইউরো-বাংলা বিল্ডার্স এখন যেমন রয়েছে ভবিষ্যতেও ঠিক একইভাবে পাশে থাকবে।  এ সময় তিনি ইউরো-বাংলা বিল্ডার্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।    এরপর র‌্যাফেল ড্র পুরস্কার বিতরণ শুরু হয়। এতে ১৩৫ জন সদস্য বিভিন্ন পুরস্কার জেতেন। র‌্যাফেল ড্র’র প্রথম পুরস্কার ছিল ৩২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন। এ ছাড়া বিশেষ পুরস্কার ছিল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের বিমান টিকেট। উল্লেখ্য, ইউরো-বাংলা বিল্ডার্স অ্যান্ড টেকনোলজি ছাড়াও প্রাণ, ইগলুসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৯

ভ্যালেন্টাইন’স ডে এলো যেভাবে
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না এই দিবসটি কিভাবে বা কোথা থেকে আসলো। এক নজরে জেনে নিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কথিত রয়েছে- প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে লোকে বিশ্বাস করত। কারো করো মতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হওয়ার কারণ ছিল এটিই। আবার কেউ বলেন, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে দেশে বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধ করেন। তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে কোনও যুবক বিয়ে করতে পারবে না। যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তার মতে, যুবকরা যদি বিয়ে করে তবে যুদ্ধ করবে কারা? সম্রাট ক্লডিয়াসের এ অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এক যুবক। যার নাম ভ্যালেন্টাইন। অসীম সাহসী এযুবকের প্রতিবাদে ক্ষেপে উঠেছিলেন সম্রাট। রাজদ্রোহের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা মাথা কেটে ফেলা হয় তার। ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে তখন থেকেই এ দিনটিকে পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে। তবে এটিও সর্বজন স্বীকৃত নয়। এখানেও দ্বিমত আছে। কারও কারও মতে, প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন ভীষণ সদয়। অসুস্থ মানুষের ওষুধ খেতে কষ্ট হয় বলে তিনি তেঁতো ওষুধ ওয়াইন, দুধ বা মধুতে মিশিয়ে খেতে দিতেন। সেই ডাক্তার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয় ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া হতো। একদিন রোমের এক কারা প্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিয়েছিলেন তিনি তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল এমন সময় হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা এসে ভ্যালেন্টাইনকে বেঁধে নিয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইন বুঝতেপেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দে বা কারও মতে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট লিখে রেখে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার পর কারা প্রধান চিরকুটটি দিয়েছিলেন মেয়েটিকে। তাতে লেখা ছিল, ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন’ (‘From your Valentine’)। মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখতে পেয়েছিল কারণ, ইতোমধ্যে ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটির অন্ধ দু’চোখে দৃষ্টি ফিরে এসেছিল। ভালবাসার এসব কীর্তির জন্য ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই দিনটিকে মানুষেরা ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে পালন করে আসছে। ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উৎপত্তির বিষয়ে আরেকটি সম্পূর্ণভিন্নমত রয়েছে। এই মতের লোকেরা বলেন, ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি হলো পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে। আবার কেউ বলেন, মধ্যযুগের শেষদিকে মানুষ বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজেবেড়ায়। পাখিদের দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এ দিনে। ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উদ্ভব হলেও এটি বিশ্বব্যাপী প্রথম দিকে তেমনিভাবে প্রচার ও প্রসার লাভ করেনি। পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্ম দিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা বিরত থাকে না। খ্রিস্টীয় চেতনা ভ্যালেন্টাইন দিবসের কারণে বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগে ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার ভ্যালেন্টাইনস উৎসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিক ভাবে এ দিবস উৎযাপন করা নিষিদ্ধ করেছিল। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবসটি জনগণ ও সরকারিভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে এসে ভ্যালেন্টাইনস দিবসের কদর প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষেরা এই দিবস উপলক্ষে এই দিনে প্রায় কয়েক কোটি ডলার ব্যয় করে। ভালোবাসা দিবসের জন্য মানুষেরা কার্ড, ফুল, চকলেট ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী ক্রয় করে। যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনে প্রায় আনুমানিক ৩ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে যে কারণে টেডি ডে পালন করা হয়
প্রেমের সপ্তাহের আজ চতুর্থ দিন, আর এই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের চতুর্থ দিনেই টেডি ডে পালিত হয়। রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকলেট ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে এবং কিস ডে, তারপরে আসে ভ্যালেন্টাইনস ডে। আর আজ টেডি ডে৷ আমরা সবাই জানি যে টেডি বিয়ার হলো এক ধরনের নরম পুতুল বা খেলনা, যা সাধারণত বাচ্চারা বা বেশিরভাগ মেয়েরাই পছন্দ করেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইনস উইকে কেন টেডি ডে পালন করা হয় জানেন কি? প্রেমের সঙ্গে টেডির সম্পর্ক কী এবং টেডি বিয়ারের আসল ইতিহাসটাই বা কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক- টেডি বিয়ারের ইতিহাস: ২০ শতকে টেডি বিয়ারের উৎপত্তি। একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্ট বনে শিকার করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী হল্ট কোলিয়ার। সেখানে একটি আহত কালো ভাল্লুককে দেখে রাষ্ট্রপতির হৃদয় গলে যায় এবং তিনি ভাল্লুকটিকে হত্যা করতে অস্বীকার করেন। এরপর 'দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট' পত্রিকায় রাষ্ট্রপতির উদারতার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, যেটি কার্টুনিস্ট ক্লিফোর্ড বেরিম্যান এঁকেছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিটি দেখে ব্যবসায়ী মরিস মিকটম একটি বাচ্চা ভাল্লুকের আকৃতিতে একটি পুতুল তৈরি করেন। পুতুলটি তার স্ত্রী ডিজাইন করেছিলেন এবং তারা ওই পুতুলের নাম দেন টেডি। ভাল্লুকের মতো দেখতে পুতুলের নাম টেডি কেন? আসলে এই খেলনাটির নাম টেডি রাখার একটি মজার কারণ রয়েছে। খেলনা ভাল্লুক তৈরির ধারণাটি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট। রুজভেল্টের ডাকনাম ছিল টেডি। এই পুতুলটির নাম তাই টেডি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকেই উৎসর্গ করা হয়েছিল। যদিও তার নামে পুতুলের নামকরণ করার আগে রুজভেল্টের অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে টেডি ডে পালিত হয় কেন? টেডি বিয়ার সতেজতা, সুখ এবং নিরাপত্তার অনুভূতি নিয়ে আসে। টেডি নরম এবং সুন্দর, যা দেখে ভালবাসার আরও ইচ্ছা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে টেডি তৈরিও করা হয় উদারতা, ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে টেডি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশের দারুণ সুযোগ করে দেয়। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে, প্রেমীরা গোলাপ, চকলেট, আলিঙ্গন এবং চুম্বনের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনের কাছে নিজের গোপন অনুভূতি প্রকাশ করে। একই সময়ে, টেডি বিয়ারও হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রিয়জনকে দেওয়া একটি বিশেষ উপহার। বেশিরভাগ মেয়েরা স্টাফ খেলনা বা সফ্ট টয়েস পছন্দ করেন। বেশিরভাগ ছেলেরাই তাই সঙ্গীদের টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে থাকে। এর কারণেই ১০ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহকে টেডি ডে হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। একটি আদর্শ টেডি বিয়ার দেখতে কেমন? আবেগ প্রকাশের জন্য টেডি বিয়ারের নকশা ও রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। লাল রঙের টেডি হৃদয়ের রঙিন ভালবাসার প্রকাশের প্রতীক। গোলাপী টেডি বন্ধুত্বের প্রতীক এবং সম্পর্কের সুযোগ দেয়। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪

হ্যাপি রোজ ডে: কোন রঙের গোলাপ দিচ্ছেন প্রিয়জনকে?
ভালোবাসার সপ্তাহটি রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবসের মাধ্যমে শুরু হয়। সারা বছর ঘুরে এই একটি দিনই রোজ ডে হিসেবে পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর তারই সঙ্গে আজ থেকে শুরু হয়ে গেলো ভালোবাসার সপ্তাহ। গোলাপ দিবস উদযাপন করার কারণ হলো, গোলাপকে ভালোবাসার একটি চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। গোলাপ দিবসে কেবল প্রেমিক-প্রমিকারাই তাদের সঙ্গীকে ফুল দেন না, যে কেউ তার প্রিয় মানুষটাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। গোলাপ হলো ভালোবাসার ফুল। এই ফুল হৃদয়ের আবেগকে প্রিয়জনের কাছে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই উপহার হিসেবে গোলাপের চাহিদা সবার উপরে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৭

২০২৪ সালের কোটায় শুরু হচ্ছে ইতালির স্পন্সর ভিসার ‘ক্লিক ডে’
ইতালিতে ২০২৪ সালের কোটায় স্পন্সর ভিসার ‘ক্লিক ডে’ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই স্পন্সর ভিসার ‘ক্লিক ডে’ শুরু হচ্ছে। জানা গেছে, এবার তিন ক্যাটাগরিতে ২০২৪ সালের ক্লিক ডে অনুষ্ঠিত হবে ৫, ৭ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি। এত আগে ২০২৩ সালে ‘ক্লিক ডে’ শেষ হয় ১২ ডিসেম্বর।   এদিকে এই ক্লিক ডে সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ অবস্থায় দালালদের বিষয়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীরা। ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশি সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, ইতালির চলতি বছরের স্পন্সর ভিসা নিয়ে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন অনেক বাংলাদেশি। চলতি বছর দেড় লাখ শ্রমিক নেয়ার কথা থাকলেও, দালালদের অপতৎপরতায় ৬০ শতাংশ ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ পথে ইতালিতে শ্রমিক প্রবেশ বন্ধ করতে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইতালি সরকার। গেল ডিসেম্বরে ১ লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিকের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৭ লক্ষাধিক।  বৈধ পথে শ্রমিক নেয়ার উদোগ নেয়ার মধ্যেই এক শ্রেণির অসাধু দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধপথে ইতালিতে ঢুকছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

বিপিএলে প্লে-অফ আর ফাইনালে থাকছে রিজার্ভ ডে
বেজে উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দামামা। আগামী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাঠে গড়াচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামবে সিলেট ও চট্টগ্রাম। এবারের আসরে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট, তিনটি ভেন্যুতে খেলা হবে। ১ মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের। এবার গ্রুপ পর্বের ৪২ ম্যাচগুলো প্রতিদিন দুটি করে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এলিমিনিটর ও প্রথম কোয়ালিফাই ম্যাচটিও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন দুপুর দেড়টায় প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে। তবে শুক্রবার ম্যাচগুলো দুপুর ২টায় ও সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। এবার ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে প্লে-অফ আর ফাইনালের জন্য থাকছে রিজার্ভ ডে। বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, এবার বিপিএলে প্লে-অফ ও ফাইনালে যদি বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক কারণে সময়ের মধ্যে ফল বের না করা যায়; তবে তা রিজার্ভ ডে-তে গড়াবে। তবে গ্রুপ পর্বে অমীমাংসিত ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দুই দল। এবারের আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দুর্দান্ত ঢাকা। এ ছাড়া গত আসরের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি এবারও থাকছে। সেগুলো হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফরচুন বরিশাল, সিলেট স্ট্রাইকার্স, রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৪

প্রবীণ ডে-কেয়ার সেন্টার খুলছে সরকার
দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে পাইলট ভিত্তিতে প্রবীণ ডে-কেয়ার সেন্টার খুলতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ আমাদের প্রবীণ জনগোষ্ঠী। সম্মানের সঙ্গে তাদের যথাযথ যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রবীণরা যেন পরিবারের বোঝা না হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাসহ অর্থনৈতিক, শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ভৌগোলিক কারণে মানুষ সমাজে প্রান্তিক হিসেবে চিহ্নিত হন। তাদের সংখ্যাটাও অনেক। উন্নয়নের মূলধারায় এ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি অনেক নতুন পদক্ষেপ নেবে সরকার। ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ ‘স্মার্ট নাগরিক’ গড়তে পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে কাজ করতে হবে।‌ ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ তার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ সময় বেদে, চা শ্রমিক ও তৃতীয় লিঙ্গসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যায়ক্রমে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। তিনি বলেন,  একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দেয়। প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও চলমান ভাতার পাশাপাশি ঘর এবং শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় পেলে এসব জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা সমাজের মূল স্রোতে আসতে পারবে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়