• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিসিদের হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমিসংক্রান্ত অনিয়ম দুর্নীতি রোধ, খাসজমি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইন অনুসরণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একই সঙ্গে জনসাধারণ যাতে হয়রানিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমিসংক্রান্ত সেবা পান, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। বুধবার (৬ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের প্রথম অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমির বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় জেলা প্রশাসকদের ওপর। সেজন্য তাদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, খাসজমি নিয়ে ডিসিরা কতগুলো সুপারিশ করেছে। বলা হয়েছে খাস জমির বিষয়ে আইনের বাইরে কিছু হবে না। ভূমি অপরাধ আইনের কী অবস্থা জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভূমি অপরাধ আইনের বিধির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই আইন হলে জনগণ উপকৃত হবে। ফলে কেউ দখলে থাকলে তিনি সুবিধা পাবেন না। কাগজই হবে শেষ কথা।’ ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘একটা খতিয়ান থেকে কেউ হয়তো বের হয়ে গেছে, ওই খতিয়ান ধরে অনেকে খাজনা দিতে পারছেন না। যারা বের হয়ে গেছে তাদেরটা আলাদা করে এবং যারা বের হয়নি তাদের পৃথক খতিয়ান করে খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন না হওয়া পর্যন্ত সেবা গ্রহীতাদের ভূমি অফিসে যেতে হবে বলেও জানান ভূমিমন্ত্রী।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৭

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের কাজ করার অনুরোধ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর তাই আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান মন্ত্রী। অধিবেশনে ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভায় তুলেছেন। ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে রোজার আগে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে। কারণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে করেন তারা। যাতে করে সবার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায় প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলেও তা আড়ালে করে।  নদীপথে যেন যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতেও ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে ডিসিদের যখন প্রয়োজন তখনই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় ডিসিদের উত্থাপিত পয়েন্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা জানতে চেয়েছেন করোনার সময়ের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছেন বিশেষ করে জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেওয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। সারাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটা পরীক্ষা করে দেখব।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৯

ডিসিদের আগে নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করতে বললেন দুদক চেয়ারম্যান
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করে তারপর অন্যদের দুর্নীতির খোঁজখবর রাখতে বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুদকের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনি নিজে দুর্নীতিমুক্ত কি না, আপনার অফিস দুর্নীতি মুক্ত কি না, আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। তাদের বলেছি, যদি আপনার অফিস দুর্নীতিমুক্ত না হয়, নিজের অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আপনাদের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর অন্যান্য দুর্নীতির খোঁজখবর রাখুন। জেলা প্রশাসকদের সরকারের প্রতিনিধি উল্লেখ করে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তারা ৩০-৩৫টা কমিটির প্রধান। জেলার সমস্ত কার্যক্রম সম্পর্কে তারা অবহিত থাকেন। এজন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যগুলো তাদের কাছে আগে আসে। জেলা প্রশাসকদের আমরা এই বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছি। তাদের বলেছি, কোথায় দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে এইগুলো আপনাদের কাছে আগে আসে। কীভাবে সব তথ্য আসতে পারে সেই ম্যাকানিজম তৈরি করে, তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যেগুলো দুদকে পাঠানো দরকার ওইগুলো পাঠিয়ে দেবেন। কোন কারণে যদি সরাসরি পাঠাতে সমস্যা হয় তাহলে প্রতি ১৫ দিন পরপর একটা গোপন প্রতিবেদন দেন মন্ত্রিপরিষদে। সেখানে দিলে আমরাও জেনে যাব। প্রতিকার ও প্রতিরোধ দুদকের প্রধান দুই কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুসন্ধান তদন্ত করে মামলার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করি, এটা প্রতিকার। জেলা প্রশাসকের সাহায্য ছাড়া প্রতিরোধ আমরা সুচারুভাবে করতে পারি না। দুর্নীতি যেন না হয় সেজন্য আমাদের সাহায্য করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। জেলা ও বিভাগীয় অফিসে তারা যেন সার্বিক সহায়তা করেন। জেলা পর্যায়ে আমাদের লোকবল যথেষ্ট নয়, এজন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে তাদের সহায়তা চেয়েছি।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:২৯

জুয়ার ওয়েবসাইটের বিষয়ে তথ্য জানতে ডিসিদের চিঠি
অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপের তথ্য জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, জুয়ার জন্য যে ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে যেন বিটিআরসিকে জানানো হয়। তাহলে সংশ্লিষ্ট সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ সময় মুঠোফোনের ডেটার প্যাকেজ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করায় প্যাকেজগুলোর দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে খলিল-উর-রহমান বলেন, দাম বেড়ে গেলে অপারেটরগুলোকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামাতে বলা হয়। যেসব প্যাকেজ বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর দাম কমাতে বলা হয়েছিল। তারা দাম কমিয়েছে। তিনি বলেন, ব্যান্ডউইডথের দামেও পরিবর্তন আসবে। ক্যাশ সার্ভার বসছে অনেক। সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দাম নির্ধারিত হবে। তবে ডেটা প্যাকেজের দামের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা রয়েছে। সভার শুরুতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসি দেশের ভাইব্রেন্ট (প্রাণবন্ত) একটি সংস্থা হওয়ায় ভুলভ্রান্তি হতে পারে, এ ক্ষেত্রে পরামর্শ আশা করি। সাংবাদিকদের তথ্যের প্রয়োজনে বিটিআরসির সাড়া দেওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়