• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা
এতকাল শরীরে পেসমেকার বা কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বসিয়ে জীবনযাত্রার মানের উন্নতির চেষ্টা হয়েছে৷ ইলন মাস্ক মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের বিতর্কিত প্রযুক্তি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ টেলিপ্যাথি নামের এক ওয়্যারলেস চিপ সফলভাবে এক মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে৷ মার্কিন কোটিপতি মাস্ক কমপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এমনটাই ঘোষণা করেছেন৷ মোটকথা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু চিন্তার মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ শুনতে খুবই ভবিষ্যতধর্মী হলেও বাস্তবে সেটা সত্যি কতটা যুগান্তকারী? তথাকথিত বিসিআই নামের ডিভাইসগুলি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করে সেই সংকেত ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তরিত করতে পারে৷ এমন ডিভাইস ব্যবহার করলে নীতিগতভাবে কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে একেবারে নতুন ও বিরামহীন উপায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়৷ মাস্কের ভাষায় টেলিপ্যাথি ফোন বা কম্পিউটারের উপর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব করবে৷ শুধু চিন্তাশক্তির বলে সেগুলির মাধ্যমে প্রায় যে কোনো ডিভাইস চালনা করা যাবে৷  শুনে মনে কৌতূহল জাগছে? কিন্তু এর এক বড় ঘাটতিও রয়েছে৷ কারণ মাস্কের চিপ মস্তিষ্কে ইমপ্লান্ট করতে হবে৷ এক রোবট সেই অপারেশন করবে৷ মানুষের চুলের থেকে বেশি চিকন ৬৪টি নমনীয় সুতা চিপ থেকে মস্তিষ্কে যোগাযোগ স্থাপন করবে৷ রোগগ্রস্ত বা প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এমন অস্ত্রোপচার হয়তো উপকারও বয়ে আনতে পারে৷ যেমন কারো মৃগী রোগ থাকলে বিসিআই আগে থেকেই সম্ভাব্য খিঁচুনি শনাক্ত করে সেটি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে৷ মাস্ক নিজেই অন্যান্য সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর বার্তা অনুযায়ী যারা নিজেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরাই প্রাথমিক ব্যবহারকারী হবেন৷ ভেবে দেখুন, স্টিফেন হকিং যদি স্পিড টাইপিস্ট বা নিলামকারীর তুলনায় দ্রুত ভাবের আদানপ্রদান করতে পারতেন, তাহলে কী হতো? তিনি খুব সম্ভবত সেই প্রযুক্তি পছন্দ করতেন এবং সেটা থেকে উপকারও পেতেন৷ চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে বিসিআই-এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ স্টিফেন হকিং এএলএস নামের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে ভুগছিলেন৷ এই রোগ হলে স্নায়ুর কোষগুলির ক্ষয় হতে থাকে৷ রোগীরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন৷ বিসিআই হয়তো হকিং-কে চিন্তার মাধ্যমে টেক্সট টাইপ করার ক্ষমতা দিতে পারতো৷ কিন্তু নিউরালিংক সে রকম কিছু উদ্ভাবন করেনি৷ তবে অন্যান্য কিছু কোম্পানি মানুষের উপর সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে৷ যেমন সিনক্রোন নামে অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ট-আপ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে৷ অন্যান্য গবেষকরা এমনকি ব্রেন ইমপ্লান্ট ও পেশির মধ্যে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছেন৷ ২০২৩ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের নিউরোরিস্টোর নামের কোম্পানি এমন এক ব্যক্তিকে আবার হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে, যিনি দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গু হয়ে পড়েছিলেন৷ নিউরালিংক মডেলের তুলনায় এই দুই দৃষ্টান্তের একটা বড় সুবিধা রয়েছে৷ সেগুলিও রোগীর মাথায় ইমপ্লান্ট করতে হলেও সেই অপারেশন অনেক কম জটিল৷ তা সত্ত্বেও মাস্কের নিউরালিংক-কে ঘিরে কেন এত আলোড়ন চলছে? সত্যি কথা বলতে গেলে উল্লিখিত কোম্পানিগুলির মধ্যে কোনোটিই বিসিআই উদ্ভাবন করেনি৷ সেই ১৯৯৮ সালেই মস্তিষ্কে প্রথম চিপ বসানো হয়েছিল৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাস্কের মতো কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি সেই প্রযুক্তির উন্নতির জন্য চাপ দেননি৷ এমনকি জনসংযোগের ইভেন্টকেও তিনি প্রাণীর উপর পরীক্ষা চালানোর মঞ্চে পরিণত করতে দ্বিধা করেননি৷ ২০২০ সালে মাস্ক বিশ্বের সঙ্গে গ্যারট্রুড নামের এক শুকরের পরিচয় করিয়ে দেন, যেটির মধ্যে নিউরালিংক চিপ বসানো হয়েছে৷ ২০২১ সালে তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে পেজার নামের এক বানরকে তুলে ধরেছিলেন, যে চিপ ইমপ্লান্টের মাধ্যমে পং নামের ভিডিও গেম খেলতে পারে৷ সে সব ছাড়াও ইলন মাস্ক সেই প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে বেশ কিছু বড়সড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন৷ যেমন ২০২০ সালে নিউরালিংকের এক ইভেন্টে তিনি বলেন, আমরা স্মৃতি ধরে রেখে রিপ্লে করতে পারি৷ ভবিষ্যৎ বেশ অদ্ভুত হতে চলেছে৷ মনে হচ্ছে, মাস্ক আমাদের ব্রেন হ্যাক করতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁর বিশ্বাস, বিসিআই মানুষের মধ্যে উন্নতি আনতে পারে৷ সেই উন্নতি শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি মাস্কের কোনো কোম্পানির হাতে নিজের মস্তিষ্ক তুলে দিতে প্রস্তুত? ভেবে দেখুন, আপনার চিন্তাভাবনার জগতে উঁকি মেরে কত সংবেদনশীল তথ্য রেকর্ড করা হতে পারে!
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫২

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল নকল ধরবে ‘সুরক্ষা’ ডিভাইস
পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জালিয়াতি ধরতে ‘সুরক্ষা’ নামে একটি অভিনব যন্ত্র বানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আগামী ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থীর কানে জালিয়াতির ডিভাইস থাকলে বুয়েট উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকেই নকল ধরতে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে। ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে। এর জন্য পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করব। সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসি-কে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। যন্ত্রটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। পরে বেশি উৎপাদন করা হলে দাম ৫ হাজার ৫০০ টাকা পড়বে। তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০১টি পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৫

ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে, ৩ জন কারাগারে
ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘বুকিং সহকারী বা টিকিট কালেক্টর’ নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যাওয়া তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা হলেন মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার শির গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মো. শিহাব আহম্মেদ (২৫), গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার সুই গ্রামের মো. আ. সামাদের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৫) ও ভোলার চরফ্যাশন থানার নিলকমল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহজাদা (২৮)। এর আগে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘বুকিং সহকারী/টিকিট কালেক্টর’ নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন রেলওয়ে পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মাহবুবুর রহমানের নিরাপত্তাকর্মী মো. হাবুল খান। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রেলের ‘বুকিং সহকারী বা টিকিট কালেক্টর নিয়োগ পরীক্ষা পরিদর্শনে ডেমরার সামছুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে যান রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনি ১০৯ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করলে সেখানে দায়িত্বরত অফিসার জানান ৩ জনের শরীর থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের আওয়াজ বের হচ্ছে। পরে পুলিশ ওই তিনজনের দেহ তল্লাশি করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার করে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৯

পরীক্ষার্থীর কান থেকে ডিভাইস বের করলেন চিকিৎসক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এক পরীক্ষার্থীর কানের ভেতর থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বের করেছেন চিকিৎসক। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) যশোর সরকারি এমএম কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  আটক জাহিদ হাসান যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের আবু দাউদ হোসেনের ছেলে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এম এম কলেজের নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নম্বর কক্ষে জাহিদ পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু উত্তরপত্র পেয়ে বসেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় হলেও তিনি উত্তরপত্রে কিছুই লিখছিলেন না। ফলে উত্তরপত্র দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। এরমধ্যে একটি শব্দ হওয়ায় জাহিদের জালিয়াতি নজরে আসে। প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জাহিদের কানের মধ্যে একটি ডিভাইস ছিল। আরেকটি ছিল পকেটে। তবে, বাইরে থাকা একটি চক্র কথা দিয়েছিল ওই ডিভাইসের মাধ্যমে একজন প্রশ্নের উত্তরগুলো জানিয়ে দেবেন জাহিদকে। তবে উত্তর আসতে বিলম্ব হওয়ায়, জাহিদ অপেক্ষা করছিল। এরমধ্যে ডিভাইসে সমস্যা ভেবে চাপাচাপি করতে গিয়ে পুরোটা কানের ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ জাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা সাঁড়াশি দিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করেন। রাতে এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিল। যশোর সরকারি এসএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মরজিনা আক্তার বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের হাতে ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক পরীক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো চক্র জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়