• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
ভুয়া সনদপত্র সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আকবর খানকে রোববার ওএসডি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।  এ ছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। এর আগে, একই অভিযোগে শনিবার (২০ এপ্রিল) তার স্ত্রী সেহালা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন আকবর খানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম। ইতোমধ্যে এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রিমান্ডে আছেন।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

ডিবি কার্যালয়ে এসেও কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাতাল নারীরা
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের পর মারধরের শিকার নারীসহ তাদেরকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত নারীরা ভিকটিম নারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ডিবি কার্যালয়ে ভিকটিমসহ অভিযুক্ত তিন নারীই মুখ ঢাকা ছিল। সাংবাদিকরা তাদের ফুটেজ নিতে চাইলে তারা আপত্তি জানান। এ সময় এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উনার (ভিকটিম) সঙ্গে আমাদের প্রবলেম হইছে, আমরা আমরা সলভ করব। এখানে মিডিয়া রিলেটেড তো কিছু না। পাশ থেকে আরেক নারী বলেন, মিডিয়া কেন এখানে ফুটেজ নেবে। অন্যজন বলেন, এটা মেয়েদের বিষয়। আমাদের প্রেস্টিজ আছে না! আমাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। দিস ইস নট রাইট।  এরপর ওই নারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ফুটেজের জন্য নারী পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত নারীদের লাইনে দাঁড় করালে তারা আরও একদফা তর্কে জড়ান। এক নারী বলেন, এখানে কি আমরা নাটক করব যে আপনাদের মুখ দেখাতে হবে। আরেকজন বলেন, পাত্রী দেখতে আসছেন? অন্যজন বলেন, আমরা কি ছেলে মানুষ।  সেদিন রাতে’ কী ঘটেছিল সে বিষয়ে নারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দেবেন না- বলে সেখান থেকে চলে যান।  যাওয়ার সময় একজন বলতে থাকেন, আপনাদের মিডিয়াতে ভিউ বাড়ানোর জন্য আমাদের মানহানি করার তো কোনো দরকার নাই।  এরপর ভিকটিমের মুখোমুখি হয়ে এক নারী বলেন, আমরা আপনার (ভিকটিম) সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সাংবাদিকরা সামনে এসে ভিডিও ধারণ করলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমার এখন মেজাজটা খারাপ হবে, এগুলো (ক্যামেরা) সামনে থেকে সরান।  এ সময় ওই নারীর উদ্দেশে ভিকটিম বলতে থাকেন, অপরাধ করতে পারো, রাস্তায় একটা মেয়ের শাড়ি খুলতে পারো, তাহলে চেহারা দেখাতে দোষ কিসের। এরপর পেছন ফিরে ভিকটিমের দিকে তেড়ে আসেন ওই নারী এবং বলেন, তাহলে তুমি চেহারা দেখাও। তুমি দেখালে আমিও দেখাব।  জবাবে মারধরের শিকার নারী বলেন, আমি ভিকটিম, আমি কেন মুখ খুলব।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিন-দুপুরে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে শহরের পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকেলে তিনি থানায় জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।  ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ট্রাভল এজেন্সির ব্যবসা করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি আমি ও আমার স্ত্রীর ভাই জমি বিক্রয় করেছি। জমি বিক্রির টাকা কয়েক দিন আমার বাসায় ছিল। আজ জমি বিক্রির ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে রিকশায় করে ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসের কয়েকজন ডিবি পরিচয়ে আমার গতিরোধ করেন। এর মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা ছিল, একজন সিভিল ড্রেসে কোমরে পিস্তলের মতো ছিল আর ড্রাইভার ছিল। তারা বলে আমার কাছে অবৈধ মাল আছে এবং ডিবি অফিসে নিয়ে যাবে। একপর্যায়ে তাদেরকে সন্দেহ হলে চিৎকার শুরু করি। এ অবস্থায় আমার রিকশার পাশে অনেক মানুষ জড়ো হয় কিন্তু কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। তারা ধস্তাধস্তি করে আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাইনের উত্তর দিকে নিয়ে টাকা রেখে আমাকে ফেলে দেয়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত জড়িতদের আটক করা যাবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫২

ডিবি পরিচয়ে সয়াবিন তেলভর্তি ট্রাক ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭
নরসিংদীর শিবপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে প্রায় ২১ লাখ টাকা মূল্যের ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল ভর্তি ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় লুট হওয়া ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল, হ্যান্ডকাপ, ডিবি লেখা কয়েকটি স্টিকার, লেজার লাইট, হাতুড়ি, পুলিশ ক্যাপ, ওয়াকিটকি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি, লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির নগদ ২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।  এর আগে রোববার নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতিতে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার সোনাব এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে মো. নাদিম হোসেন আনিছ (২৯), রূপসী এলাকার মৃত নুরুল হক মীরের ছেলে মো. তোহা মীর শাওন (৩৮), নরসিংদীর মাধবদী থানার ছোট গদাইরচর এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. অন্তর (২৮), আলগী কান্দাপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার পশ্চিম কেওঢালা এলাকার মো. ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মো. মামুন (২৯), হবিগঞ্জ জেলার সৈয়দপুর এলাকার মৃত সমসু শামসু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (৩৫) ও ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মালিহাটা এলাকার মোঃ আলী হোসেনের ছেলে মো. ইলিয়াছ (২৩)। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকার একটি তেল কারখানা হতে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল ভর্তি করে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। রাত ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের ঘাসিরদিয়া পুকুরপার এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার পেছন দিক থেকে সামনে গিয়ে পুলিশি সংকেত দিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। এ সময় ৭-৮ জন ব্যক্তি ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে ডিবি পরিচয় দেয়। পরে চালক ও তার সহকারীকে ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে বলে নামিয়ে হ্যান্ডকাপ পরায়। পুলিশ সুপার আরও জানান, এক পর্যায়ে চালক ও সহকারীসহ তেল ভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার পথে মাধবদী থানার ডাঙ্গা সড়কের পাশের একটি ইটভাটার সামনে হ্যান্ডকাপ খোলে গামছা দিয়ে হাত ও চোখ বেঁধে চালক ও সহকারীকে ফেলে রেখে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় ডিবি পরিচয় দেওয়া ডাকাতরা। এ ঘটনায় তেল মালিক বিমল পাল গত ১৭ মার্চ শিবপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতিতে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৯

ডিবি অফিসে মুখোমুখি জবির দুই শিক্ষক, যা বললেন সেই ছাত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দুই শিক্ষককে সেই ছাত্রীর মুখোমুখি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তাদের ডেকে নেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। জগন্নাথের ওই ছাত্রী রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ডিবি কর্মকর্তারা আলাদাভাবে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার দুই শিক্ষকের সামনেও কথা বলেছেন। অভিযোগের বিষয়ে শুনেছেন ডিবি কর্মকর্তারা। ওই ছাত্রী আরও বলেন, ডিবি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষককে তার (ছাত্রী) নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং অপর একজনের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত সোমবার তিনি ডিবিতে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছেও একটি আবেদন করেন। পরদিনই ডিবি ওই ছাত্রী ও দুই শিক্ষককে ডেকে নিল। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন–অর–রশীদ উপস্থিত ছিলেন। ডিবি কার্যালয়ে যাওয়া দুই শিক্ষকের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু ওই ছাত্রী ডিবিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, সেহেতু ডিবি তাদের (দুই শিক্ষক) ডেকেছিল। তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, সেখানে ছাত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো কারণই নেই। ছাত্রীর অভিযোগ ‘কাল্পনিক’। ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার চেয়ে তিনি ২০২০ সাল থেকে ঘুরছেন। এরপর তাকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হয়েছে। একটি পরীক্ষায় তিনি ৪০–এ শূন্য পান। তিনি বলেন, যে ম্যাডাম তাকে পরীক্ষায় শূন্য দিয়েছেন, তিনি ওই স্যারের বন্ধু ছিলেন। বিচার চাওয়ার কারণেই তাকে ওই ম্যাডামের একটি ও বিভাগীয় প্রধানের দুটি বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে, সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ শিক্ষার্থী সোচ্চার হন।
২১ মার্চ ২০২৪, ০০:২৬

ডিবি কার্যালয়ে এসে যা জানালেন জবির সেই দুই শিক্ষক
শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর। এবার অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয় ওই দুই শিক্ষককে। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টা থেকে দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিবি কার্যালয়ে ডাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‌‘ডিবি প্রধান আমাদের ডেকে নানা বিষয়ে জানতে চাইলেন। আমরা আমাদের মতো করে সব বলেছি। অভিযোগ তো দুই রকমের। এর মধ্যে একটা যৌন হয়রানি সংক্রান্ত। সেটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট (তদন্তকারী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সাক্ষী) কেউ কথা বলতে পারবো না। এটা বিচারাধীন।’ আরেকটি বিষয় মিমের ফেলের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‍‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনাল করার একটা ফর্মুলা আছে। গোপনীয়ভাবে খামে নম্বরপত্র সংগ্রহ করা হয়। গোপনীয়ভাবে নম্বরপত্র সিলগালা করে সংগ্রহ করা হয়। কেউ যদি ১০০ স্কোরের মধ্যে ৪০ পায় তাহলে সে পাস। বেশি হলে ফর্মুলা অনুযায়ী গ্রেড নম্বরটা হয়।’ হালিম বলেন, ‘নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। তাকে ডেকেও মিড টার্ম বা এসাইনমেন্ট করানো যায়নি। ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ এ। সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫০। ওই শিক্ষার্থী সেকেন্ড ইয়ারের সেকেন্ড সেমিস্টারে এক কোর্সে যেটা আরেকজন শিক্ষক নিয়েছেন তার নাম হুমায়রা ফাতেমা আমিন। মিড টার্ম বা এসাইনমেন্টও জমা দেয়নি মিম। তিনবার নোটিশ দিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষক মিড টার্ম নিয়েছে। কিন্তু মিম যোগাযোগও করেনি। সে সেকেন্ড ইয়ারে ফেল, এরপর চতুর্থ সেমিস্টারে আরেকটা কোর্সেও ফেল আছে। আর সপ্তম সেমিস্টারে কনটিউনিটি ফিল্ম রাইটিং কোর্স আছে।’ তিনি আরও বলেন, পাস করতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ফেল করলে সে দায় তো শিক্ষকের না। তিনটি সেমিস্টারে সে একই কাজ করেছে। অনার্সের যে রেজাল্ট হয়েছে সেখানে তাদের ফেল আছে। ডিবি কি বিষয়ে জানতে চেয়েছে? এমন প্রশ্নে হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তথ্য দিয়েছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ তো তাদের বিষয়।’ এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  কাজী ফারজানা মিম অভিযোগ করেন, ‘২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৩

চাঁদাবাজির সময় ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় দবিরুল ইসলাম (৩৮) নামে একজন ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের নরেন সরেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  আটক দবিরুল ইসলাম উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা হাট এলাকার রফিতুল্লাহর ছেলে। নরেন সরেনের ছেলে মানিক সরেন বলেন, রাত সাড়ে ৮ দিকে দু'টি মোটরসাইকেলে ৬জন আমাদের বাড়ির সামনে আসেন। হঠাৎ করে বাড়িতে ঢুকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে এবং ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির মালিক চন্দনা হেমরম বলেন, আমরা সবাই ভাগিনার জন্য বউ দেখতে গিয়েছিলাম। রাতে বাড়িতে আসলে হঠাৎ করে বাড়িত ঢুকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে। পরে বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় এবং চাঁদা দাবি করেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হলে স্থানীয় মেম্বারকে গোপনে খবর দেওয়া হয়। তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা দবিরুল ইসলামকে ধাওয়া করে বোরো ধানের জমি থেকে তাকে আটক করে।   পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ কুমার মন্ডল বলেন, আমাকে ফোন করে জানানো হয় গ্রামের নরেনের বাসায় পুলিশ এসেছে। তাদের আটক করেছে। এখানে আসা মাত্রই আটক দবিরুল ইসলাম বলে উঠে যে স্যার স্যার আরও পেয়েছি স্যার। আমি ওর্য়াড সদস্য পরিচয় দিলে তার সঙ্গে থাকা বাকিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। দবিরুল ইসলামও পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, রাতেই পুলিশ গিয়ে জনতার হাতে আটক এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক চন্দনা হেমরন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

রাজধানীতে ৫ ভুয়া ডিবি গ্রেপ্তার, ছিল চাঁদরাত পর্যন্ত ডাকাতির পরিকল্পনা
রমজান মাস ঘিরে রাজধানী জুড়ে ডাকাতির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল একটি চক্র। এ জন্য রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলও ভাড়া নিয়েছিল তারা। চাঁদরাত পর্যন্ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করবে বলে বড় পরিকল্পনা ছিল তাদের। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ সময় ডাকাতির ১২ লাখ টাকা উদ্ধারসহ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পাঁচটি মোবাইল, ডিবির জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল, স্প্রিং স্টিক, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও পুলিশ লেখা নেভি ব্লু  ব্যাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম দ্বীন ইসলাম, মো. সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম হাওলাদার বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করার সময় অনেক আসামিকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছি। চলতি মাসেও ডিবি পরিচয়ে একটি কোম্পানির ৭১ লাখ টাকা ডাকাতি করা হয়। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। ডিবিপ্রধান বলেন, শাহাদাত হোসেন নামে একজন ক্লায়েন্টের ৭১ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে ৬ মার্চ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হন। মতিঝিলের একটি প্রতিষ্ঠানের ওই জেনারেল ম্যানেজার সেই টাকা নিয়ে রিকশায় করে ইসলামী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। ফকিরাপুলের ক্যাফে সুগন্ধা হোটেলের সামনে এলে তাকে আটকানো হয়। যারা আটকায়, তাদের শরীরে পরা ছিল ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ওয়াকিটকি, স্প্রিং লাঠি ও হ্যান্ডকাপ। তারা ডিবি পরিচয়ে শাহাদাতকে রিকশা থেকে নামিয়ে একটি সাদা রঙের হাইস গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িতে বসিয়ে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ ও বেল্ট খুলে হাত বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। একপর্যায়ে জোর করে কাঁধে থাকা ব্যাগভর্তি ৭১ লাখ টাকা, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগীকে গাড়ির সিটের নিচে শুইয়ে দিয়ে বুকের ওপর পা রাখে ডাকাত দল। চিৎকার করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর গাড়ির গতি কমিয়ে শাহাদাতকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় তারা। ঘটনার দুদিন পর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ এই ডাকাত দলের সন্ধান পায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এরপর অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার সিফাত ইসলাম রাজী ও মাজারুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের অর্থ হস্তান্তরকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। এরপর অর্থ উত্তোলনের স্থান, জমা দেওয়ার স্থান পর্যবেক্ষণ করতো। এ দুজন টার্গেট করা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে দ্বীন ইসলাম ও অন্য আসামিদের সরবরাহ করতো। ডিবিপ্রধান বলেন, নিদিষ্ট তারিখে টার্গেট করা ব্যক্তির যাত্রাপথে প্রাইভেট কার নিয়ে অবস্থান করে তারা। পরে সেই ব্যক্তি সেখানে এলে দ্বীন ইসলাম, সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মিলে গতিরোধ করে ওই ব্যক্তিকে জোর করে গাড়িতে তোলে। পরে গাড়িটি ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যায়। এরপর দ্বীন ইসলাম ডাকাতির ৩০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশ টাকা অন্যরা নেয়। আর অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ডাকাতির অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। শুধু ব্যাংক কেন্দ্রিক টার্গেট করে ডাকাতিই নয়, হানি ট্র্যাপেও সিদ্ধহস্ত ছিল এই চক্রটি। হারুন বলেন, তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে ছবি বা ভিডিও করে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করতো। কখনও কখনও তারা সিএনজিচালিত অটোচালকদেরও ছাড় দিতো না। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই করা সিএনজি ছেড়ে দিতো। কখনও কখনও সোনা ব্যবসায়ীদেরও টার্গেট করে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৩:১০

ডিবি পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে হাতুড়িপেটা, হাসপাতালে মৃত্যু
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে হাতুড়িপেটায় আহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আহত মঙ্গল চন্দ্র মারা যান। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তরের পর উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের লাড়িবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে সমাহিত করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা। তিনি বলেন, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসকে মারধরের ঘটনায় তার ছেলে কুমারেশ কুমার গত ২০ ফেব্রুয়ারি কালুখালী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাদের মধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জেলা কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি জামিনে আছেন। বর্তমানে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারাগারে থাকা আসামিদের আমরা রিমাণ্ডে এনে হত্যার প্রকৃত কারণ আমরা জানতে পারবো। জামিনে থাকা ২ আসামি যেন জামিন বাতিল হয় সেজন্য আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। পরবর্তীতে তাদেরকেও রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমাদের মামলা রয়েছে। তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার বাবাকে মেরেছে। দেড় বছর আগেও একবার এরাই আমার বাবাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। সঞ্জয় বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে বাবা নিজের ঘরে টিভি দেখছিলেন। আমি আমার ঘরে শুয়ে মোবাইলে নাটক দেখছিলাম। এ সময় হঠাৎই কয়েকজন লোক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে, আমি তাদের পায়ের আওয়াজ শুনে উঠে বসি। এরপর তারা বাবার ঘরের দরজায় টোকা দেন। বাইরে থেকে বলা হয়, আপনার সঙ্গে কথা আছে, আমরা রাজবাড়ী থেকে ডিবির লোক এসেছি। আপনারা মাদক ব্যবসা করেন। আমরা আপনাদের ঘর তল্লাশি করবো। তাদের কথা শুনে আমি আমার ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হই। সেসময় দেখি তারা বাড়ির মধ্যে ১০-১২ জন ছিল। আমি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন আমার গলায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধরে।  সঞ্জয় বলেন, আমার বাবা তাদের ডাকাডাকিতে দরজা না খুললে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার জামার কলার ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। এরপর বাবাকে মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি, লোহার রড ও রাইফেলের বাট দিয়ে পেটায়। আমাদের বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে প্রায় ২০ মিনিট  তারা আমার বাবাকে ইচ্ছামতো পেটায়। এক পর্যায়ে তারা আমার ছোটভাই কুমারেশের ঘরে ঢুকে স্টিলের সাব বাক্সের ভেতর থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তারা চলে যায়। সঞ্জয় আরও বলেন, আমরা বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতেই বাবাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

ফ্রিল্যান্সারের সাড়ে তিন কোটি টাকা গায়েব, ৭ ডিবি সদস্য ক্লোজড
গভীর রাতে কার্যালয়ে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামে এক ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির এক টিমের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ঘটনা সামনে আসার পর অভিযুক্ত ডিবি সদস্যদের ক্লোজড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।  জানা গেছে, অনলাইন জুয়ার অভিযোগ তুলে আবু বকর সিদ্দিক নামে ওই ফ্রিল্যান্সারকে গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিবি কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায় টিমটি। পরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তুলে নেয় দশ লাখ টাকা। এর বাইরেও কৌশলে তার বাইন্যান্স একাউন্ট থেকে  ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার সমমানের ক্রিপ্টোকারেন্সি সরিয়ে নেন ওই ডিবি কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে তার মুঠোফোন ও পকেটে থাকা টাকা-পয়সাও কেড়ে নেন তারা। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওইদিন রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে তুলে মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় তাকে। এরপর গভীর রাতে সেখানে কয়েকবার জোর করে তার মুঠোফোনে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আদায় করা হয় দশ লাখ টাকা। ওই টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া হয় ভিন্ন দুইটি অ্যাকাউন্টে। এছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয় ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আবু বকর সিদ্দিকের দাবি, দীর্ঘ ১৪ বছর ফ্রিলান্সিং করে অর্জিত তার সব অর্থ সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এমনকি তাকে ও তার পরিবারকে মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে আতঙ্কের মধ্যে আছেন জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এ ফ্রিল্যান্সার।   এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় পরিদর্শক রুহুল আমিনসহ তার দলের সাত সদস্যকে ক্লোজড করেছে সিএমপি। ডিবি হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মুঠোফোন থেকে অর্থ ট্রান্সফার হয়, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এজন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি কমিটি। পাশাপাশি কাউছার আহমেদ নামে এক যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত এই কাউছারের একাউন্টেই পাঠানো হয় এই কারেন্সি এবং সে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবি সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার মোছা. সাদিরা খাতুন বলেন, যেহেতু অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি এবং টিমে যারা ছিল তাদেরকে ক্লোজ করে রেখেছি। তদন্ত কমিটি দেখবে, ডিবির হাতে মোবাইল আসার পর টাকাগুলো গেল, নাকি আগে বা কোন পর্যায়ে গেল। তিনি আরও বলেন, টাকাটা যার মোবাইলে গিয়েছে সেও ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা করে, এখন আমাদের দেখার বিষয় এর সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু, যদি আমাদের টিমের সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।    
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়