• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তারা কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়, প্রশ্ন ডিপজলের
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এমনকি সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিল্পী সমিতির নির্মাচনে কলি-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়া হবে তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনা যতটা না হেলেনা জাহাঙ্গীরের হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে কলি-নিপুণ পরিষদের। কারণ, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত ডিপজল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথমত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক। আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম। হেলেনা জাহাঙ্গীর যে কথা বলেছেন, তা শিল্পীদের জন্য অবমাননাকর। আমি বলছি না, গার্মেন্টসে কাজ করা খারাপ। অবশ্যই সেটা ভালো। তবে যার যেটা পেশা নয়, সে অন্য পেশায় গিয়ে তা করতে পারবে না। হেলেনা জাহাঙ্গীর কি অভিনয় করতে পারবে? পারবে না। আর শিল্পী সমিতি তো আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন নয় যে, সদস্যদের গার্মেন্টসে চাকরি দেবে। ডিপজল বলেন, এটা কেমন কথা! কোথায় সিনেমা নির্মাণ করে শিল্পীদের কাজে লাগাবে, তা না, অন্য পেশায় শিল্পীদের কাজে লাগাতে চায়। তাহলে, শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের কাজ কি? কলি-নিপুণ পরিষদ এমন অফার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দেয় কী করে! তারা যদি তাকে সিনেমা বানানোর অফার দিয়ে শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থার কথা বলত, তাহলে একটা কথা হতো। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতাম। যদিও গত বছর ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছয়টি সিনেমা বানাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেনি। এবার শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলছে! হেলেনা জাহাঙ্গীরের কথা শুনে প্রশ্ন জেগেছে, কলি-নিপুণ পরিষদ কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়? আমি গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, একজন শিল্পী হিসেবে এমন কথায় আমি লজ্জিত। যারা শিল্পী তারা যদি গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইত, তাহলে সিনেমায় আসত না। গার্মেন্টস বা অন্য পেশায় কাজ করত।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

ডিপজলের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ নিয়ে অঞ্জনার মন্তব্য
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। মিশা-ডিপজলের প্যানেলের বিপরীতে কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এসবের মাঝেই অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ডিপজল। এবার বিষয়টি নিয়তে মুখ খুলেছেন অঞ্জনা।  নির্বাচনী প্রচারণার ব্যস্ততার মধ্যেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর খবরে আলোচনায় উঠে এলেন অঞ্জনা-ডিপজল। মূলত ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পাড়ায় অভিনেত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। বিষয়টি অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন অঞ্জনা।  বিষয়টি নিয়ে অঞ্জনা বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া নেই। আমি বলব— এটি শুধুই ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে ডিপজল ভাই না, তার লোকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা কোনো ইস্যু না। ডিপজল ভাই তো আমাদেরই ভাই। জানা গেছে,  চেক ডিসঅনারের জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ডিপজল। গেল বছর ডিপজলের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন অঞ্জনা। ছয় মাসের মধ্যে ধার পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির বরখলাপ করেছেন অঞ্জনা। ছয় মাস পার হয়ে গেলেও ঋণের টাকা ডিপজলকে ফেরত দেননি অঞ্জনা। ডিপজল টাকা ফেরত চাইলে চলতি বছরের বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপজলকে ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন তিনি। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়। মূলত এ কারণেই গত ২৩ মার্চ টাকা পরিশোধ করার জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অঞ্জনাকে পুরো অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে অঞ্জনার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়