• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চার হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিনকে ঈদ সম্মানি দিলো ডিএনসিসি
ঈদ উপলক্ষ্যে ২১৮৫ ইমাম ও ২১৪৭ মুয়াজ্জিনকে ঈদ সম্মানি পৌঁছে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেন । মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে বরাদ্দ করা এ অর্থ  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে  পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাই মূলত এ অর্থ ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন । এর আগে অফিস আদেশ জারি করে এই সম্মানি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেছেন ডিএনসিসির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন উল হাসান। মোহাম্মদ মামুন উল হাসান জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের আওতাধীন ২১৮৫ জন ইমাম ও ২১৪৭ জন মুয়াজ্জিনকে ঈদ সম্মানি দেওয়া হয়েছে। যেখানে একজন ইমাম ৩৫০০ টাকা এবং মুয়াজ্জিন পেয়েছেন ২৫০০ টাকা । এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এক কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২২

ডিএনসিসি এলাকায় মশা নিধন ক্যাম্পেইন ২২ এপ্রিল
অগ্নি নিরাপত্তায়, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা এবং ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বিভিন্ন সোসাইটি ও সমিতিগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবন হলরুমে ঈদ উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র এই আহবান জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সোসাইটি বা সমিতিগুলোকে সম্পৃক্ত করে শহরের জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। সেই কাজ করতে সোসাইটি বা পাড়া-মহল্লা এগিয়ে এলে আমাদের কাজে অনেক সুবিধা হবে। রাজধানীর সমিতি বা সোসাইটির সঙ্গে বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল সব কাউন্সিলরকে নিয়ে ৫৪টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে শুরু হবে এডিস মশা নিধনের জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। মহল্লা, এলাকাবাসী, সোসাইটি ও সমিতি আমাদের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে আপনারা অংশগ্রহণ করবেন। নিজের বাঁচি ও অন্যকে বাঁচাই; এডিসমুক্ত শহর গড়তে সবার সহযোগিতা চাই। ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন– প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন সোসাইটির প্রায় ৮শ’ নিরাপত্তা প্রহরীর প্রত্যেককে একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৬

চিপসের প্যাকেট-ডাবের খোসাসহ পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি কিনবে ডিএনসিসি
ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজধানীতে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ চিপসের প্যাকেট-ডাবের খোসাসহ পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি জনগণের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৬তম করপোরেশন সভার আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয় করা পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ। আশা করি এর ফলে জনগণ অব্যবহৃত এসব দ্রব্যাদি যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করবে এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনে জমা দেবে।’ সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি ও সেগুলো সংগ্রহের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়। চিপসের প্যাকেট-সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবল গ্লাস-কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতিটি) দুই টাকা, মাটি-প্লাস্টিক-মেলামাইন-সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) তিন টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০ টাকা, মিল্কের কৌটা (প্রতিটি), পরিত্যক্ত কমোড-বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদের পরে কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এর আগে করপোরেশন সভার শুরুতে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের আসন্ন ঈদুল ফিতরের ও পহেলা বৈশাখের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করতে হবে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করতে হবে, সচেতনতামূলক র্যালি করতে হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মধ্যে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে। সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু, সরানো হচ্ছে ডিএনসিসি কার্যালয়
কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কার্যালয়টি মোহাম্মদপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার সরানোর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) মোতাকাব্বীর আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হলেও ভবনটি ভাঙা হবে পরে। আপাতত কাঁচাবাজার সরানোর কথা ভাবছি আমরা। ব্যবসায়ীদের যেখানে স্থানান্তর করা হবে, সেখানেও কাজ শুরু হয়েছে।’ ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুর নেওয়া হচ্ছে। শিয়া মসজিদের পাশের মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি এতদিন কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে ছিল। ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে। গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারের যে ভবনে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, সেটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সেই ভবনে ১৭৬টি দোকান রয়েছে। ওই ভবন ঈদের পরে ভাঙা হবে। ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

ময়লা জমা দিলেই টাকা দেবে ডিএনসিসি 
এ বছর বর্ষার আগেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তারই অংশ হিসেবে ঈদের পর ডেঙ্গু বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালানোসহ এবার ঢাকায় নতুন এক কর্মসূচী হাতে নিতে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, যার নাম- 'ময়লার বিনিময়ে অর্থ প্রদান।' অর্থাৎ, ডেঙ্গু সৃষ্টি ও বিস্তারের জন্য দায়ী, এমনসব ময়লা জমা দিলেই টাকা পাবেন নগরবাসী।  বুধবার (২০ মার্চ ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসি’র উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কর্মসূচী ঘোষণার কথা বলেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। এজন্য ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করবো। মশার লার্ভা নিধনের জন্য নিজ উদ্যোগে জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) এবং ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন (হুইলবারো মেশিন) আনারও প্রক্রিয়া চলছে।  মেয়র আতিক বলেন, গতবারই মশার লার্ভা নিধনের জন্য জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমিদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি করপোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসবো। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। পানি জমে এমনসব ময়লার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয় জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন অঞ্চলগুলো থেকে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ ও অন্যান্য বস্তু অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারও বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কি না, কারও ছাদে, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কি না, কারও ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কি না- বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব দেখা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব। এছাড়া রাজউকের আওতাধীন খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে মশা জন্মে উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, এসব খালও ডিএনসিসির আওতায় দিলে তা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উন্নয়নমূলক কাজ করব আমরা।
২১ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬

সেই ১০তলা ভবনটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করল ডিএনসিসি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালে অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনটি ৬০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (১৭ মার্চ) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ভবনটির উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম উপস্থিত ছিলেন।  নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১৩ মার্চ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ সমাপ্ত করে অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ১৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ভবন ভাঙার কাজ চলছে। মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি ভাঙা হয়।  তিনি আরও বলেন, ভবনের মালিক ম্যাপ ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে খালের সীমানায় ভবনের ৮০ শতাংশ পড়ার বিষয়টি মেনে নেয় এবং ভবনের মালিক ভবনটি ভেঙে নেওয়ার জন্য সাতদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীতে ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রয় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গর ২৩ ফেব্রুয়ারি লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন। টানা কয়েকদিনের অভিযানে খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ৬টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৫

খাল উদ্ধারে ফের মাঠে নামছে ডিএনসিসি
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও খালের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ফের উদ্ধারকাজে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে মিরপুর প্যারিস খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কারের উদ্যোগে কাজ শুরু করবে সংস্থাটি।       ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, মিরপুর প্যারিস খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ থেকে এই কাজ শুরু করছে ডিএনসিসি। আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসি লেক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দ রেখেছে পাঁচ কোটি টাকা, ড্রেন ক্লিনিং খাতে রাখা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা, খাল পরিষ্কারেও সংস্থাটি ব্যয় করবে পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া পাম্প হাউসের যন্ত্রপাতি আধুনিকীকরণ, উন্নয়ন ও ক্রয়বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে এবং লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে। এসব কাজ করতে গিয়ে উত্তর সিটি এলাকায় মোট ১০৩টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরিবেশ আছে-এমন স্থান চিহ্নিত করেছে তারা। এছাড়া তাৎক্ষণিক কোথাও জলাবদ্ধতা হলে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড এবং বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া ইব্রাহিমপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, লাউতলা, সিভিল এভিয়েশন, বাইশটেক,বাউনিয়া খাল, রূপনগর, আব্দুল্লাহপুর খিজির খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি উত্তর সিটি কর্পোরেশনের।  
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করছে ডিএনসিসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাত থেকেই ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি অঞ্চলে এ কাজ করছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করে শহরের পরিবেশ রক্ষা করা জন্য ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় পোস্টার-ব্যানার ব্যাবহার করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অপসারণ করার জন্য। আমরা এই শহরকে নোংরা দেখতে চাই না। আমরা দৃশ্য দূষণ চাই না। আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। নির্দিষ্ট জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বোর্ডও বসানো হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। ঢাকার সব উড়াল সড়কের পিলারগুলো চিত্রকর্মের মাধ্যমে নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়