• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিএনএ পরীক্ষায় সেই অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্ত
অবশেষে বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষায় তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। অর্থাৎ অভিশ্রুতিই আসলে বৃষ্টি খাতুন। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন। অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদের কোনোকিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ জানান, মরদেহ নেওয়ার জন্য এখনও তাদের কিছু জানানো হয়নি। অপেক্ষায় আছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০১

ডিএনএ রিপোর্টের অপেক্ষায় এখনও মর্গে ওই নারী সাংবাদিকের মরদেহ
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ছয়দিন পার হলেও পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন নিহত সাংবাদিককে মেয়ে দাবি করা মা-বাবা। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে পরিচয়দানকারী মা-বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। মরদেহকে বৃষ্টি খাতুন দাবি করা শাবুরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ বলেন, সিআইডি অফিস থেকে এখনও ডিএনএ রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। রিপোর্ট আসার পরে পুলিশ মরদেহ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে। তাই অপেক্ষায় আছি। এখন আমি রমনা থানায়। বৃষ্টি আমার মেয়ে। হস্তান্তর করলে আমরা মেয়ের মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায় গ্রামের বাড়ি যাব এবং সেখানেই দাফন সম্পন্ন করব।  বৃষ্টির মা বিউটি বেগম ও তার খালা সাবানা খাতুন বলেন, বৃষ্টির মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায় আমরা ঢাকায় আছি। আমার মেয়েকে নিয়ে আমরা বাড়ি যাব। কিন্তু ডিএনএ রিপোর্ট হয়নি। এ জন্য আমাদের মরদেহ দেওয়া হচ্ছে না। বৃষ্টি খাতুন আমার মেয়ে। মেয়ের মরদেহের অপেক্ষায় প্রতিটি রাত নির্ঘুম কাটছে।  এর আগে পরিচয় নিশ্চিত হতে রোববার বাবা পরিচয়দানকারী শাবরুল আলম সবুজের নমুনা ও সোমবার দুপুরে মা পরিচয়দানকারী বিউটি বেগমের ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।  বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তিনি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতেন। আমাদের হাতে থাকা তার জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টিরা তিন বোন। বৃষ্টি বড়, তার মেজো বোন ঝর্না ও ছোট বোন বর্ষা। তার বাবা সবুজ ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি মেয়ের মরদেহ আনতে মর্গে গেছেন। কিন্তু তার বাবাকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মরদেহ হস্তান্তর করা হলে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।  প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের একজন। তার দাবি, মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি। শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ের আসল নাম নয়। আমার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলব? দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন যে, মেয়েটি সনাতন ধর্মের। তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তার বাড়ি ভারতে। শাস্ত্রী বিভিন্ন সময় কালীমন্দিরে এসে পূজা করতো। এতেই মরদেহ নিয়ে তৈরি হয় ধূম্রজাল। ফলে ডিএনএর মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে ওই নারী সাংবাদিকের মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ছয়দিন ধরে মর্গে পড়ে আছে তার মরদেহ।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

ডিএনএ পরীক্ষার পরই হস্তান্তর হবে ওই সাংবাদিকের মরদেহ
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির (২৬) পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। শনিবার (২ মার্চ) রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিহতের পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা তার জাতীয় পরিচয় পত্রে পেয়েছি বৃষ্টি খাতুন এবং আমরা জানতে পেরেছি তার অন্য একটি নাম আছে, সেটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এ কারণে আমরা তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। তবে তার পরিবারের কাছে এখন পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে পারিনি। তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।  এর আগে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে এখনই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মর্গ কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের একজন। তার দাবি, মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি। শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ের আসল নাম নয়। আমার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলব? দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার মরদেহটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিম্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড : ৪০ মরদেহ হস্তান্তর, ডিএনএ টেস্ট হবে ৩ জনের
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৫টায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসনের পিআইও আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ৬ জনের মরদেহ রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৩ জনের মরদেহ দাবি করা স্বজনরা ঢাকায় আসছেন। তাদের যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুজনকে দেখতে গেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন সবকিছু নিশ্চিত করা হবে। এদিকে আগুন লাগা ভবনটির কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।
০১ মার্চ ২০২৪, ২১:২০

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন : ডিএনএ টেস্টে এক জনের মরদেহ শনাক্ত
গত ৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এলিনার চাচা নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলিনা রাজবাড়ী পৌরসভার নুরপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী। নজরুল ইসলাম বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় দগ্ধ এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে ডিএনএ টেস্টের মাধ‍্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ টেলিফোনে বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এলিনার মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে। তিনি বলেন, বাবার কুলখানি শেষ করে ৬ মাসের শিশু সন্তান, বোন, বোন জামাই ও তা‌দের দুই সন্তানসহ বেনা‌পোল এক্স‌প্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল এলিনা। উল্লেখ্য, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন জন নিখোঁজ ছিল। এলিনা ইয়াসমিনের লাশ শনাক্ত গেলেও চন্দ্রিমা ও আবু তালহার মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।  
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়