• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
এবার হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৫ দিন আগে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তামিম আহমেদকে খতনার জন্য বাজারে আনা হয়। এ সময় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আব্দুস শহীদকে ৫ হাজার টাকায় তামিমের খতনা করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর হাসপাতালের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। হঠাৎ শিশুর চিৎকারে তার পরিবার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড় মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আহত শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এ সময় হাসপাতালের মালিক স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে খবর প্রকাশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।  বুধবার রাতেই আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, খতনা করার সময় আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। কী জন্য প্রতিষ্ঠানটি খুলে এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, আহত শিশুর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসালয়কে ৭ লাখ টাকা জরিমানা
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে পাঁচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি চিকিৎসালয়কে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান এ জরিমানা করেছেন। রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা বাজার, পেট্টোবাংলা রোড, শহীদ ময়েজ উদ্দিন রোড, বালিগাঁও পূর্বাচল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উলুখোলা মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, নুরজাহান হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়, কালীগঞ্জ নিউ আধুনিক হাসপাতাল, বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এবং শাপলা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, পূর্বাচল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সাবিকুর নাহারকে ২ লাখ টাকা, উলুখোলা মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী শুভৎকর চন্দ্র দাসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নুরজাহান হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম জাহানকে ১ লাখ টাকা , কালীগঞ্জ নিউ আধুনিক হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলমকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী বাবলু কাজীকে ৫০ হাজার টাকা এবং শাপলা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। তিনি জানান, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিকে অপচিকিৎসার ফলে বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। অসাধু ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে অসুস্থ মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। তাদের অনেকে ডাক্তারের নামের শেষে মিথ্যা পদবি ব্যবহার করে আসছে। এসব প্রতারণারোধে এবং মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে র‌্যাব এ অভিযান পরিচালনা করেছে। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। জরিমানার আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মনজুর এ এলাহী উপস্থিত ছিলেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০০

লাইসেন্স ছাড়া চলছে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিক (ভিডিও)
ফ্রি স্টাইলে চলছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন। যাদের আছে মেয়াদ শেষে তারাও নবায়ন করেন না। মানা হয় না শর্ত। আর এসব খবর সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মালিক পক্ষ। দিনের পর দিন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে।  লাইসেন্সবিহীন হিসেবে কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে রাজধানীর শনির আখড়ার লাইফ হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে এর ডায়গনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স এর খবর জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। লাইসেন্স থাকলেও ছয় বছর ধরে নবায়ন না করার অভিযোগ ডেমরার মেডিহোপ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে আটকে রেখে হুমকি দিতে থাকে মালিক পক্ষ। যাত্রাবাড়ীর ইউনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে। মাতুয়াইলের আনোয়ার মেডিকেল। সাইনবোর্ড ছাড়া ফ্ল্যাট বাসায় চলে অস্ত্রোপচার। নেই অভিজ্ঞ নার্স। মালিকের কাছ থেকেই নার্সের কাজ শিখেছেন বলে জানান কর্মরতরা। লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগ আছে মোহাম্মদপুরের পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই চটে যান প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।  লাইসেন্স এর আবেদন না করেই পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সামনে রাখা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ও জনপ্রতিনিধির ছবি। বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের অরাজক অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি আর সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যত প্যাথলজি আছে, হাসপাতাল আছে সব অটোমেশিন। অনুমোদন ছাড়া কিছুতেই শুরু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত তাদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি অসাধুভাবে কোনো ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তবে জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না, জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এর একটা উন্নতি হতে পারে।     স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের দাবি সবার।    
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
লাইসেন্সবিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালনা করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এহসানুল হক শিপন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও ডা. আরিফুল ইসলাম এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান প্রমুখ।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, দি ডাচ বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্সসহ বৈধতার কোনো কাগজপত্র ছিল না। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি অনেক অপরিচ্ছন্ন ছিল। তাই ভোক্তা অধিকার আইন এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৮ ধারা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে ম্যানেজার তা প্রদান করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬

সিরাজগঞ্জে হাসপাতালসহ ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সনদবিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে একটি হাসপাতাল ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে।  গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ও মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কাজিপুরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে অভিযান চালান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল। এ সময় প্রয়োজনীয় সনদ না থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন তিনি। বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সোনামুখীর ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতাল, সিমান্তবাজারের মা ও শিশু স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পল্লী ফাউন্ডেশন, সোনামুখী হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চরপানাগাড়ির জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল। তিনি জানান, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। তাই নিয়মানুযায়ী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়