• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সন্দ্বীপে যাত্রী বোটে ডাকাতি
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌরুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় সন্দ্বীপ থেকে উড়িরচরমুখী বোটে এ ডাকাতি হয়।  জানা যায়, সন্দ্বীপ উড়িরচর চ্যানেলের মাঝামাঝি স্থানে স্পিডবোট যোগে একদল ডাকাত এ বোটটিকে আক্রমণ করে। স্পিডবোটে আসা ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ডাকাত দলটি তাদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বোটে থাকা যাত্রীদের থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা লুট করে তারা। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী বোট থেকে যাত্রীরা একটি ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি আরটিভির হাতে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৬ জন ডাকাত এবং তাদের মধ্যে একজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। অস্ত্র হাতে দাঁড়ানো ডাকাতের নাম আশরাফ প্রকাশ  (জলদস্যু আশরাফ) বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া অন্যদের মধ্যে চরবালুয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে শাহীন প্রকাশ (ছোট শাহীন), চরবালুয়া ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মেম্বারের ছেলে নূরনবী প্রকাশ (জলদস্যু নূরনবী)। ভাইয়ের পাকা ঘর তৈরির জন্য সন্দ্বীপ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন শাহাদাত। সেই টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতদল। শাহাদাত বলেন, আমি শেষ ভাই। আমাকে সর্বহারা করে দিয়েছে। আমার ৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এরা সবাই চরবালুয়া রাজ্জাক চেয়ারম্যানের লোক। আর ডাকাতিতে ব্যবহৃত স্পিডবোট রাজ্জাক চেয়ারম্যানের। শাহীন জলদস্যু আমার সব লুট করে নিয়ে গেছে। শাহীনের সঙ্গে আশরাফ, নূরনবী এবং আরও ডাকাত ছিল। এ ব্যাপারে দীর্ঘাপাড় ঘাট কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। তবে ডাকাতির বিষয়টি মানতে নারাজ সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন। তিনি আরটিভিকে বলেন, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। মূলত উড়িরচরে দু’গ্রুপের আধিপত্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাহাদ গ্রুপ ও শাহীন গ্রুপের দীর্ঘদিন উড়িরচরে আধিপত্য করে আসছে। তিনি আরও বলেন, রাহাদ গ্রুপ থেকে শাহীন গ্রুপ অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। দু’গ্রুপই সমান অপরাধী, আমরা মাঠে নেমেছি তাদের গ্রেপ্তার করতে। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৫

হিলিতে রাইস মিলে ডাকাতি, ৪ লাখ টাকা লুট 
দিনাজপুরের হিলিতে ইউনাইটেড রাইস মিলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লকার ভেঙে প্রায় ৪ লাখ টাকা লুট করে ডাকাত দল। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন ডাকাতরা মিল ম্যানেজার, নাইটগার্ড ও হিসাবরক্ষকের হাত-পা ও মুখ বেধে মারধর করে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার মধ্য-বাসুদেবপুর এলাকায় ওই রাইস মিলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।  মিলের ম্যানেজার শুকুমার কুমার বলেন, আমিসহ কয়েকজন মিলের অফিস কক্ষে শুয়ে ছিলাম। ভোর আনুমানিক ৩ টার দিকে কিছু লোক এসে দরজা খুলতে বলে। আমি দরজা না খোলায় তারা দরজা ভেঙ্গে অফিসের ভেতরে ঢুকে প্রথমে আমাকে লকারের চাবি দিতে বলে। আমি চাবি না দেওয়ায় তারা আমাদের মারধর করে। পরে আমাদের হাত-পা বেধে রেখে লকার ভেঙ্গে নগদ ৪ লাখ টাকা, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়।  এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫০

নড়াইলে ডাকাতি মামলায় ৪ ভাইয়ের কারাদণ্ড
নড়াইলে ডাকাতি মামলায় চার ভাইয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হাসান খান, হোসেন খান, সোহেল খান ও আক্কেল খান এরা সবাই লোহাগড়া উপজেলার নড়িয়া গ্রামের অলিয়ার খানের  ছেলে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের মার্চের ১০ তারিখে লোহাগড়া উপজেলার নড়িয়া গ্রামের ফরিদা বেগমের বাড়ীতে রাত ১২টার দিকে আসামি হাসান খান,হোসেন খান, সোহেল খান ও আক্কেল খান অবৈধভাবে জোরপূর্বক বাড়ীতে প্রবেশ করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় পরেরদিন লোহাগড়া থানা একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আসামি হাসান খান, হোসেন খান, সোহেল খান ও আক্কেল বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামিদের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় হাসান খান ও হোসেন খান দুই ভাই আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর ২ ভাই সোহেল খান ও আক্কেল খান পলাতক আছে।   
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়