• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরাইলে দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে দেশীয় অস্ত্রসজ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তী দুল্লাই ব্রীজের পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইব্রাহিম মিয়া (৩০) সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের জাহাঙ্গীর পাড়ার মৃত সহিদ মিয়ার ছেলে, একই উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) উত্তর হাটির মৃত জমির আলীর ছেলে মো. হেলাল (২৩), ধরন্তী (মুলবর্গ) গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মোখলেছ মিয়া (২২) ও মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে বিল্লাল মিয়া (৩৫), একই গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে অপু মিয়া (২২), সদর উপজেলার মালিহাতা গ্রামের মো. আক্তার মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (১৯) ও একই গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (২১)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তী এলাকায় দুল্লাই ব্রীজের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চায়নিজ কুড়াল, লোহার রড, ছোরা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে অবৈধ দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দুপুরের কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে হিরাজ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যরাতে লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোয়াকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত হিরাজ মিয়া হবিগঞ্জের সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে গোয়াকারা গ্রামে কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় গ্রামবাসীর ধাওয়ায় হিরাজ মিয়া ধরা পড়ে। আর বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় গ্রামবাসী হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:১০

পুরস্কার পাচ্ছেন কাঁধে করে ডাকাত তুলে আনা সেই এএসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে করে তুলে এনে ভাইরাল হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম পুরস্কার পাচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) নাসিরনগরর উপজেলার হরিপুর থেকে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর কাঁধে করে তুলে আনেন এএসআই কামরুল। জানা গেছে, গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন। তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে ছদ্দবেশে এসআই রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ডাকাত জীবন সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যায় জীবন। পুলিশ ছুটে গিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তার ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় আনা হয়। এরপর ডাকাতকে কাঁধে তুলে আনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এএসআই কামরুলের প্রশংসা করেন। এবার এ কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কামরুলসহ অভিযানে থাকা পুরো টিমকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিটি ভালো ও প্রশংসার কাজে পুরস্কৃত করে। যার ফলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অনুপ্রাণিত হন। ডাকাত ধরে প্রশংসিত হওয়া পুলিশ সদস্যদের আমরা পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছি। চলতি সপ্তাহের কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯

ডাকাত ধরে কাঁধে করে নিয়ে এলেন এএসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে করে তুলে এনে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম ভাইরাল হয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) নাসিরনগরর উপজেলার হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ওই এসআইয়ের ছবি ভাইরাল হয়। জানা গেছে, গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন। তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে ছদ্দবেশে এসআই রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান।  সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ডাকাত জীবন সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যায় জীবন। পুলিশ ছুটে গিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তার ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় আনা হয়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত জীবন খুবই ধূর্ত। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় তার কামড়ে রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাগাদী এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (১৭ মার্চ)  দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী।  আহত মোহাম্মদ আলীকে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।  সোমবার (১৭ মার্চ) সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মহসিন মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে আরেকজনকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর থেকে বাঘরী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আহত একজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ সে জানিয়েছে, তারা আট-দশজন মিলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ রমজান মাস হওয়ায় গ্রামের লোকজন তখন জেগে ছিলেন৷  পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগরি গ্রামের বাগরি বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা৷ তাদের গতিবিধি দেখে ডাকাত বলে সন্দেহ করে৷ পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে 'গ্রামে ডাকাত পড়েছে' বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী বিলের সামনে জড়ো হন৷ তাদের ধাওয়ায় ওই ব্যক্তিরা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ স্থানীয়রা তাদের ধরে পিটুনি দিলে তিনজন ঘটনাস্থলে মারা যান৷  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৩

দুই পুলিশকে কুপিয়ে জখম, ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার 
গাজীপুরের শ্রীপুরে টহলরত দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে র‌্যাব-১র ও র‌্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে তাদেরকে  গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১ এর মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকার খলিল সরদারের ছেলে ডাকাত দলের প্রধান ইসমাইল সরদার লিটন (৩৮), সহযোগী একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে হানিফ মাস্টার (৪০) ও নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার মুসলিম মিয়ার ছেলে কামরুল মিয়া (২০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। র‌্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তার ডাকাত রুবেলের দেওয়া তথ্যে র‌্যাব কেরানীগঞ্জ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে দলের প্রধান ইসমাইল ও সহযোগী হানিফকে গ্রেপ্তার করে। তারা স্বীকার করে ৬/৭ জন ডাকাত ৩ মার্চ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে পিকআপযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশে আসে। তারা শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কে ডাকাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা থেকে সুবিধাজনক স্থান চিহ্নিত করতে থাকে। একইদিন মধ্যরাতে সিংগারদিঘীর (হাসিখালী ব্রিজ) এলাকায় ওই সড়কের গাছ ফেলে পথচারীদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গণ ডাকাতি করতে থাকে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডাকাত দলের সদস্যরা টের পেয়ে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। ডাকাতের হামলায় দুই কনস্টেবল রুহুল আমিন ও সেলিম মিয়া গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যান। এ সময় ডাকাত সদস্য রুবেল গাড়ির সঙ্গে পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হলে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানান, তারা সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। এই দলে ৮/১০ জন সদস্য রয়েছে। ইসমাইলের নেতৃত্বে তারা রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি ও দোকান ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ ডাকাত দল দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বিভিন্ন বালুর বলগেটে ডাকাতি করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাতদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল শিখে নিতেন। পরে জামিনে বেরিয়ে কারাগারে থাকা ডাকাতদের কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করতেন। র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ইসমাইল ১০/১২ বছর ধরে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির মালামাল রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে সরবরাহ করতেন। ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জ এলাকার এক ডাকাতের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে এই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই মার্কেটে কেমিক্যাল সরবরাহের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি করতেন। ডাকাতিতে সুবিধার জন্য ছদ্মবেশে ইজিবাইক চালানো শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ডাকাতির চারটি মামলা রয়েছে ওইসব মামলায় এক বছরের বেশি কারাভোগ করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ফরিদপুরে বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। ডাকাতির মামলায় সাত মাস কারাভোগের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজ করতে থাকেন। গ্রেপ্তার হানিফ ইসমাইলের সহযোগী। তিনি ২০১১ সালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত হন। ডাকাতির বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ, কৌশল ও পরিকল্পনা করতেন। পরিকল্পনায় অত্যন্ত বিচক্ষণ থাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের কাছে তার মাস্টার উপাধি ছিল এবং সবাই তাকে মাস্টার বলে জানতেন। ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় দুই বছরের বেশি কারাভোগ করেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং সব মামলায় কারাভোগ করেছেন। গ্রেপ্তার কামরুল ইসমাইলের সঙ্গে ৩/৪ বছর আগে পূর্বে রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় ভাড়া থাকার সময় পরিচয় হয়। পরে ডাকাতি কার্যক্রম আড়াল করতে তিনি দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গাজীপুর এলাকায় ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে সর্দার ইসমাইল ও হানিফ মাস্টারকে আগাম তথ্য দিতেন। তিনি গাজীপুরে ডাকাতির আগে পরিকল্পনার জন্য বিভিন্ন সময় ইসমাইল ও হানিফের কাছে আসতেন। পরিকল্পনা শেষে গাজীপুরে ফিরে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করতেন। শ্রীপুর থানার ওসি শাহ জামান জানান, শুক্রবার বিকালে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদেরকে থানায় সোপর্দ করেনি র‌্যাব। থানায় সোপর্দের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীতে সুবর্ণচরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।   গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের মোসলে উদ্দিন (২৪) আলীপুর গ্রামের মারুফ হোসেন হৃদয় (২২) মো.সোহেল (২৫) মধ্যম নাজিরপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাগর (২৪) অনন্তপুরের মো. মিঠু (২৪) মো.রায়হান (২২) নাজমুল ইসলাম (২৫) নাজিরপুরের মীর সাব্বির (২২)মো.শিমুল (২২)।   পুলিশ জানায়, রাত ১টার দিকে ১২-১৩ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতি করার জন্য উপজেলার চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরবজলুল করিম গ্রামের রফিকের পরিত্যাক্ত ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তায় সমবেত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরজব্বর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ ডাকাতকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। ওই সময় অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ  ১টি ধারালো ছুরি, ১ টি লোহার দা, ২টি গ্রিল কাটার, ২ টি লোহার রড়, ২ টি লোহার পাইপ, ১টি এসএস পাইপ, ১টি মোটা দড়ি ও একটি মিনি পিকআপ গাড়ি জব্দ করেন।   চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনের মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।    
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪২

সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত সুলতান হাওলাদার গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সুলতান হাওলাদার ওরফে সন্তু ডাকাতকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবচর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার। ওসি সুব্রত গোলদার জানান, ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিনের পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি সন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সন্তু ডাকাত শিবচরের ভদ্রাসন ইউনয়নের মাদবরকান্দী গ্রামের মৃত্যু আলফু হাওলাদারের ছেলে। ওসি সুব্রত গোলদার আরও জানান, ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত সুলতান হাওলাদার ওরফে সন্তুকে আজ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ডাকাতি মামলার সাজাসহ তার বিরুদ্ধে আরও ৫টি জি আর পরোয়ানা রয়েছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়