• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঠাকুরগাঁওয়ে ১১৯২ জন শিশুকে শ্রম মুক্ত করেছে ইএসডিও
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করে সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে নথিপত্র হস্তান্তর করেছে জেলার পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যানরা। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিজয়সরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার হাতে এসব নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এর আগে ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করতে জেলার পাঁচটি উপজেলার তিনটি পৌরসভা ও ৫৪ ইউনিয়নে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে ইএসডিও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিও এর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ১৯২ জন শিশু শ্রমিককে চিহ্নিত করে তাদের শ্রম মুক্ত করে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে ইএসডিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহিদ উজ জামান বলেন, আমরা এই কার্যক্রমটি শুরু করার আগে পুরো জেলার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সার্ভে করেছিলাম। সেই সার্ভেতে আমরা দেখেছি পুরো জেলায় ১ হাজার ১৯২ জন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে জড়িত রয়েছে। তারপর আমরা জেলার ৫৪টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার সঙ্গে পৃথকভাবে মিটিং করার পর সেখানে আমরা এক ধরনের কমিউনিটি লেভেল পর্যবেক্ষণ মডেল তৈরি করি। এবং এই শিশুদের শ্রম থেকে মুুক্ত করার দায়িত্ব দেই তাদের। কারণ শিশুশ্রম মুক্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। ১৪ বছর বয়সের নিচে শিশুদের আমরা স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং ১৪ বছরের বেশি বয়সের যেসব শিশু ছিল, তাদের আমরা নানা ধরনের প্রিভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা ইতিবাচক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্তি করেছি। এখন এটি যেন আবার বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য এসব শিশুদের বাবা-মায়ের আয়ের সুবিধার্থে তাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ও এনজিও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, শিশুদের শ্রম মুক্ত করা একটি কঠিন কাজ। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে শিশুদের বুঝিয়ে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা সহজ কাজ নয়। ইএসডিও এই কঠিন কাজটি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই এই কার্যক্রম চলতে থাকুক। যেহেতু ঠাকুরগাঁওকে শিশুশ্রম মুক্ত করা গেছে, সেহেতু সারা বাংলাদেশও শিশুশ্রম মুক্ত করা হোক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) জাতীয় প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়ানিন, জাতীয় শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সালমা আলী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাই কমিশনের স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবিন প্রমুখ।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭

ঠাকুরগাঁওয়ে বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সদরে চালকলের বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. চিহারু ইসলাম (৬০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার সকালে সদর উপজেলার রুহিয়ায় হাসকিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়‌টি গণমাধ্যমকে নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন রু‌হিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুলফামুল ইসলাম। তিনি ব‌লেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগ পে‌লে তদন্ত করা হ‌বে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ। জানা যায়, রুহিয়ায় হাসকিং মিলে ধানসিদ্ধ করছিলেন চিহারুসহ অন্য শ্রমিকেরা। এ সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দে বয়লারটি বিস্ফোরিত হলে দগ্ধ হয় চিহারু। তার শরীরের ৩০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইউ‌পি চেয়ারম্যান ম‌নিরুল হক গণমাধ্যমকে ব‌লেন, চাতা‌লে বয়লারে তাপ পরিমাপের ব্যবস্থা নেই। তাই পানির তাপমাত্রা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। সময়মতো গরম পানির বাতাস বের না হওয়ায় বয়লার‌টি বিস্ফোরিত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৭

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. দবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার, একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, বড়বাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন, ধনতলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মতিয়র রহমান, ভানোর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সফির উদ্দীন, বালিয়াডাঙ্গী মোটরশ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ইয়াসিন আলী।  বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ দলীয় হাইকমান্ডের কাছে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। দলীয় তথ্য মতে, নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপির এ নেতারা বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়