• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারসহ ৪ জন কারাগারে
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জেইন উদ্দিন জিসানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অন্য তিনজন হলেন, আগুন লাগা ভবন ‘গ্রিন কোজি কটেজ’র ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল এবং চা চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন। এর আগে, দুদিনের রিমান্ড শেষে আজ (সোমবার) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিন ধার্য করেন। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। এ ঘটনায় ১ মার্চ অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : পাঁচজনের মৃত্যুতে ভিকারুননিসায় একদিনের ছুটি চলছে
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এক শিক্ষকসহ প্রাক্তন-বর্তমান চার শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রোববার (৩ মার্চ) একদিনের ছুটি চলছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এ ছাড়া সোমবার (৪ মার্চ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সব শাখায় নিহতদের জন্য দোয়া কামনা এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। এর আগে, শুক্রবার (১ মার্চ) কলেজ থেকে শোক প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রোববার (৩ মার্চ) প্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণির পাঠদান, পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং সোমবার সব শাখায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। নিহত সবার নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল প্রভাতি (৭ম-১০ম) শাখার শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম (লাকী) ও তার মেয়ে জান্নাতিন তাজরী (সাবেক ছাত্রী), অষ্টম শ্রেণির মূল প্রভাতী শাখার সাদিয়া আফরিন আলিশা, ফওজিয়া আফরিন রিয়া (সাবেক ছাত্রী) এবং লামিসা ফারিয়া (সাবেক ছাত্রী)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:০৫

আজ হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস 
দিনাজপুরের হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস আজ। ২৯ বছর আগে ১৩ জানুয়ারি হিলি রেলস্টেশনে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই দিনের কথা আজও ভুলতে পারেনি হিলিবাসী। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন স্থানীয়রা। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত সোয়া ৯টার দিকে গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনের ১ নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে ঢুকে পড়ে। এ সময়ই ঘটে ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষ। এতে বিকট শব্দে গোয়ালন্দ লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি দুমড়েমুচড়ে আন্তঃনগর ট্রেনের ওপর উঠে যায়। ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক। নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে। পরে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সহায়তায় লাশ উদ্ধারসহ আহতদের দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সে সময় সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন ঘোষণা করা হয়। আর আহতের সংখ্যা বলা হয় শতাধিক। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিএনপি সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঘোষণা দেন নিহত ও আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের। এদের মধ্যে অনেকে ক্ষতিপূরণ পেলেও কয়েকজন আজও পাননি তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা। হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, সেদিনের কথা মনে পড়লে আজও শরীর শিউরে উঠে। সে রাতে দুর্ঘটনার সময়ে আমরা হিলি বাজারে প্রেসক্লাবে বসেছিলাম। এমন সময় একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। এতো বিকট শব্দ ছিলো যে আমরা স্থির করতে পারছিলাম না, কোথায় কি হচ্ছে। ছুটে যাই রেলস্টেশনের দিকে। গিয়ে দেখি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, শত শত মানুষের আহাজারি। ক্ষতবিক্ষত মানুষের দেহের বিভিন্ন অংশ পড়ে আছে। আহতরা বাঁচার জন্য আহাজারি করছে, অনেকের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হিলি হাসপাতালে নিয়ে যাই। এতো লাশ, এতো রক্তমাখা ক্ষতবিক্ষত দেহ আগে কখনও দেখিনি। সেই দিনের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি আজও হিলির মানুষকে আতঙ্কে রাখে। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবার ও এলাকার লোকজন জানান, তাৎক্ষণিক ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাথমিক তদন্তে হিলি রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করেছেন। হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও হিলি রেলস্টেশন প্লাটফর্মে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল হবে। পাশাপাশি আলোচনা সভা ও সকাল থেকে কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়