• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।  তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

রাজধানীতে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও ঢাকা থেকে বের হচ্ছে ট্রেনগুলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেখানে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে।  তবে লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেলপথেও বাধতে পারে বিপত্তি। ফলে দুর্ঘটনা রোধে সব ধরনের ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে বলেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন রেলওয়ের এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের লোকমাস্টারদের বরাত জানা গেছে, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায়, তাই রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। মূলত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকলেও এটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে লাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন দেখার পর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন ট্র্যাকগুলো ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। তবে পুরোনো ট্র্যাকগুলোতে এত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

ঈদ জামাতের জন্য ২টি স্পেশাল ট্রেন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের দেশের সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শোলাকিয়ার মুসল্লিদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মাঠে যাতায়াতে মুসল্লিদের জন্য বিশেষ দুটি ট্রেন দেওয়া হয়েছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে যাবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান। ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ ময়মনসিংহ জংশন থেকে ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছাবে। ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ি, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে। অপরদিকে ঈদ স্পেশাল ট্রেন ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে। নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে থেমে মুসল্লিদের উঠা-নামার ব্যবস্থা করবে। এবার শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দান ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় শুরু হবে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। বরাবরের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ মাঠে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের দাগ কাটা, চুনকাম, আজুখানা মেরামতসহ বেশির ভাগ কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতের সময় নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এখানে দায়িত্বে থাকবেন। জেলা প্রশাসক বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। দফায় দফায় মিটিং ও ঈদগাহ পরিদর্শন করে সার্বিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রশাসনের লোকজন। ২০১৬ সালের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাঠের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়াও ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার, মাইনো কোলার, ড্রোন ক্যামেরা, ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। এ দিকে বরাবরের মতো শোলাকিয়া ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের সেবাদানে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য। মাঠের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চেয়েও বড় বড় ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধার 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দাড়িয়াপুরে লাইনচ্যুত মালবাহী ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। আখাউড়া জংশন থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৭টায় মালবাহী ট্রেনটিকে উদ্ধার করে। তবে বন্ধ থাকা রেলপথের আপলাইনে ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের সহকারী মাস্টার সাকিল জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ঢাকামুখী একটি মালবাহী ট্রেনের ২টি চাকা লাইচ্যুত হয়। খবর পেয়ে আখাউড়া জংশন থেকে রাত সাড়ে ৩টায় রিলিফ ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে পৌঁছালেও উদ্ধার শুরু করতে করতে ভোর ৪টা বাজে। দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাজ শেষ করে রিলিফ ট্রেনটি দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনটিকে উদ্ধার করে আশুগঞ্জের তালশহর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। তবে আপলাইনের স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনগুলো ডাউন লাইনে চলাচল করবে। তিনি আরও জানান, মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিডিউল বিপর্যয়ে পড়া চট্টগ্রাম মেইল আড়াই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়ে ভোর সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। উদ্ধার কাজে আসা ট্রলিম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা উদ্ধার কাজে এসে দেখতে পাই ট্রেনটি চাকার ব্রেকে সমস্যা ছিল। এর কারণে ট্রেনের ২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেছে। ট্রেনটি আশুগঞ্জের তালশহর নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মালবাহী ট্রেনের কিছু বগি সংযুক্ত করে ঢাকার দিকে রওনা দেবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, বন্ধ আপলাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দড়িয়াপুর এলাকায় মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় দাড়িয়াপুর এলাকার আউটারে এ ঘটনা ঘটে।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত সোয়া ১২ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দাড়িয়াপুর এলাকার আউটারে ঢাকামুখী ৬০১ মালবাহী কনটেইনারের ২৮ নম্বর বগির পেছনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়েই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের সব ট্রেন চলাচল করবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫

মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দুই ট্রেন
মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের লোহাগাড়া থেকে চকরিয়া অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। দুই চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ছিল পর্যটক এক্সপ্রেস। ট্রেনে দুটিতে প্রায় ৮০০ করে যাত্রী ছিল। রেলওয়ে সূত্রে জানায়, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় শুক্রবার বেলা ১টা ২২ মিনিটে। এসময় চকরিয়া স্টেশনমাস্টার আজিম উদ্দিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। অপরদিকে, লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেসকে সংকেত দেন। পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকেও দুই ট্রেনকে নির্ধারিত স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সংকেত পেয়ে দুই লোকমাস্টার (ট্রেনচালক) ট্রেন চালাতে শুরু করেন। তবে পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন করে ট্রেন কোথায় আছে জানতে চান।  জাহেদুল ইসলাম তাকে জানান, ট্রেন নিয়ে তিনি চকরিয়া থেকে লোহাগাড়ার দিকে রওনা দিয়েছেন। মোহাম্মদ গোলাম রসুলও জানান তিনিও ট্রেন নিয়ে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশনে যাচ্ছেন। ট্রেনের অবস্থান জেনে দুই লোকোমাস্টারই বুঝতে পারেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। দুই ট্রেনের গতি ছিল তখন ৫০ কিলোমিটার। যদি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামানো না হলে মাঝপথে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটবে। তারা দ্রুত পাহাড়তলীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দুই ট্রেনকেই থামার নির্দেশ দেওয়া হয়।  দুই চালকই ট্রেন থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও স্টেশনমাস্টারদের সংকেত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন চালিয়ে থাকি। ওই দিন কী মনে করে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন দিই। জানতে চাই, কোন স্টেশনে আছে, কোথায় ক্রসিং হবে। জাহেদ জানান, লোহাগাড়ার দিকে আসছে। আমিও আমার অবস্থান জানাই। এই খবর শুনে টেনশনে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে দিই। জাহেদও ট্রেন থামিয়ে দেন। যদি ফোন না করতাম তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্টেশনমাস্টার ভুল সংকেতে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। তবে চালকদের উপস্থিত বুদ্ধিতে ট্রেন দুটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া স্টেশনমাষ্টার আজিম উদ্দিনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১১

ঈদযাত্রার ট্রেন ছাড়তে দেরি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিনটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন থেকে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যায়। জানা গেছে, এদিন সকাল ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস স্টেশন ছাড়ার ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে ৭টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ছাড়ার কথা ছিল ৮টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি ৩৫ মিনিট দেরি করে ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ৪০ মিনিট দেরিতে ৯টা ২৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। এ ছাড়া তিতাস কমিউটার ৯টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ছাড়ে সকাল ১০টায়। তবে অন্য ট্রেনগুলো যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে। এদিকে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় নারী ও শিশুদের। ধূমকেতু এক্সপ্রেসের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, দিনের শুরুতেই যদি ট্রেন ছাড়তে দেরি হয় তবে সারাদিন কী হবে? স্টেশনের ভেতরে ভালো টয়লেট নেই, বিশ্রামও নেওয়া যায় না। এ অবস্থায় দেরিতে ট্রেন ছাড়লে ভোগান্তি বাড়ে। এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, শনিবার বেশিরভাগ ট্রেনই যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে। দু-একটি ট্রেন দেরিতে আসায় স্টেশন ছাড়তে কিছুটা সময় লেগেছে। গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য গত বুধবার (৩ মার্চ) থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল বিক্রি করা হচ্ছে। আর ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

গেটম্যানের গাফিলতিতে ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা
ফেনীর ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে ঝরে গেলো দুটি তাজা প্রাণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রেন চলাচলের সময় রেলগেটে ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।  নিহত মো. মিজান (৩২) বরিশাল উজিরপুরের কাউয়ারাহা এলাকার আবুল হাওলাদারের ছেলে। অপরজন ট্রেনের অজ্ঞাত এক যাত্রী। তাৎক্ষণিক তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকার রেলগেটে সকালের দিকে গেটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন না। এ সময় চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন অতিক্রম করার সময় গেটব্যারিয়ার দাঁড় করানো অবস্থায় ছিল। ওই সময় বালুবাহী ট্রাক রেললাইন পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে খবর পেয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মরদেহ দুটি সরিয়ে নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, বালুবাহী ট্রাক রেল ক্রসিং করার সময় ট্রাকের পেছনের অংশে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৩

গাজীপুর-পার্বতীপুর রুটে চলবে ৩ স্পেশাল ট্রেন
গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে জয়দেবপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালু হচ্ছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার হাসিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল তিন দিনে তিনটি স্পেশাল ট্রেন রাত ১১টায় জয়দেবপুর ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে রওনা করে নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট, বিরামপুর, ফুলবাড়ী হয়ে সর্বশেষ স্টেশন পার্বতীপুর পৌঁছাবে। ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা ৭১৬টি। এরমধ্যে ১ম শ্রেণির রয়েছে ২৪টি। বরাদ্দকৃত সব টিকেট কেবলমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। আসনবিহীন টিকেট ট্রেন ছাড়ার দুইঘণ্টা পূর্বে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার আবু হানিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ট্রেনটি ঈদের পরদিন থেকে তিনদিন বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে গাজীপুর পৌঁছাবে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়