• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন— দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘শত্রু শত্রু খেলা’। অভিনয় করেছেন- মান্না, মৌসুমী প্রমুখ। রাত ৮টায় ‘শনিবারের বিশেষ নাটক’। রাত ৯টা ২০মিনিটে শুক্র, শনি ও রবিবারের ধারাবাহিক নাটক- ‘ট্রাফিক সিগন্যাল’। পরিচালক: ইকবাল মাহমুদ বাবুল। অভিনয় করেছেন- আখম হাসান, সাইদ বাবু, হোমায়রা হিমু, নাফিজা, শিরিন আলম, প্রাণরায়, আমিরুল হক চৌধুরী, চিত্রলেখা গুহ প্রমুখ। রাত ১০টায় প্রতি শুক্র, শনি, রবি, সোমবারের ধারাবাহিক নাটক- ‘চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান’। রচনা ও পরিচালনায়: সঞ্জিত সরকার। অভিনয় করেছেন- মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, আখম হাসান, উর্মিলা শ্রাবন্তি কর, সাজু খাদেম, নাবিলা বিনতে ইসলাম, আরফান আহমেদ, প্রাণ রায়, আইরিন তানি, ডাঃ এজাজ, তাহমিনা সুলতানা মৌ, ফারুক আহম্মেদ, ওলিউল হক রুমি, রিমি করিম, শ্যামল জাকারিয়া, তারেক স্বপন, আল মনসুর, আব্দুল্লা রানা, মিলন ভট্ট, হোসনে আরা পুতুল, শফিক খান দিলু, বিনয় ভদ্র, মিলি বাসার, আমিন আজাদ, পারভেজ আক্তার, মতিউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শেখ মাহবুবুর রহমান, অনামিকা, সিলভি, হায়দার কবির মিথুন, রিমো রোজা খন্দকার ও তন্ময় সোহেল প্রমুখ। রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ‘রাতের সংবাদ’। রাত ১১টা ২৫মিনিটে ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ’। রাত ১২টা ১৫মিনিটে টকশো ‘মনের কথা’। রাত ১টায় ‘মধ্যরাতের সংবাদ’।
১ ঘণ্টা আগে

তীব্র দাবদাহ : ট্রাফিক সদস্যদের স্বস্তি দিতে ডিএমপির অনন্য উদ্যোগ
প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। এই তীব্র গরমের মাঝেও খোলা আকাশের নিচে ঢাকা মেট্রোপিলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা যানজট নিরসনে ও মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সদস্যরা হিটস্ট্রোকসহ পানিশূন্যতা, মাথাব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন। তীব্র গরমে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের স্বস্তি দিতে এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তার নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকেই ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সব সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। এই তীব্র তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন এ কার্যক্রম চলবে। এ বিষয়ে ট্রাফিক রমনা বিভগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। কমিশনার স্যার এই উপলব্ধি থেকে ট্রাফিকের সব পুলিশ সদস্যের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করেছেন, এজন্য স্যারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এমন উদ্যোগ ট্রাফিকের সব সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদবুদ্ধ করবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী
সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ডিএমপি জানায়, ঢাকা মহানগরীর সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধান বিচারপতি, সংসদ সদস্য, কুটনীতিকবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের প্রশংসা করেন। গণভবনে প্রায় পাঁচ হাজার অতিথি আসেন। আগত অতিথিদের গমনাগমন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকেন্দ্রিক ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে যাতায়াতে কিছু ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ট্রাফিক নির্দেশনার মধ্যে যেসব রাস্তায় ডাইভারশন থাকবে সেগুলো হলো- জিরো পয়েন্ট ক্রসিং, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, প্রেসক্লাব লিংক রোড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোলরুম গ্যাপ ও মৎস্য ভবন ক্রসিং। এ ছাড়াও যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শাহবাগ-মৎস্য ভবন থেকে গুলিস্তান অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মৎস্য ভবন-কাকরাইল মসজিদ-রাজমনি ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন চাঁনখারপুল-বকশি বাজার-পলাশী ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বাবুবাজার-গুলিস্তান থেকে কদমফোয়ারা-মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। আর ঈদের দিন সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানের নির্দেশনাও বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়, গণপূর্ত ভবন প্রাঙ্গণ, আইইবির প্রাঙ্গণ, জিরোপয়েন্ট ক্রসিং থেকে ইউবিএল ক্রসিং পর্যন্ত, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এর দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ফজলুল হল থেকে বঙ্গবাজার ক্রসিং পর্যন্ত, মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড এলাকা ও মৎস্য ভবন ক্রসিং হতে শাহাবাগ ক্রসিং পর্যন্ত। ভিভিআইপি ও ভিআইপি কার পার্কিং : রাষ্ট্রপতি/প্রধান বিচারপতি/ভিভিআইপিদের গাড়ি সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে গোলচত্বরের কাছে থাকবে। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ/ভিআইপিরা ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর পশ্চিম দিকে, বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্ট মাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে এবংউচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা/ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ/সাংবাদিকরা গণপূর্তভবনের আঙ্গিনায় গাড়ি পার্কিং করবেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৪

ঈদযাত্রায় ড্রোনের মাধ্যমে দেওয়া হবে ট্রাফিক নির্দেশনা
ঘরমুখো মানুষের স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ড্রোনের মাধ্যমেও ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে দেশের সব মহাসড়কে পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ইউনিট একসঙ্গে কাজ করছে। ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরাকে আনন্দময় করতে সবাই মাঠে আছি। ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক বলেন, প্রযুক্তি সেবার মান উন্নত করেছে, দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। এজন্য এবারও বডিওর্ন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছি। তিনি বলেন, বিশেষ করে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করব। পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। প্রতিনিয়ত মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করছি। বিগত যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। শাহাবুদ্দিন খান আরও বলেন, ঈদের আগে থেকে দেশের সব মহাসড়কে যানজটসহ সব সমস্যার কারণ চিহ্নিত করেছি। সেগুলো মাথায় রেখে কাজ করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মাহফুজুর রহমান, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (পূর্ব) মাহবুবুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার পদে থাকা অতিরিক্ত উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. খাইরুল আলম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামস তাবরেজ, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান, ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি ইকবাল বাহারসহ জ্যৈষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১২

নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থায় বছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি (ভিডিও)
নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থা, অনিয়ন্ত্রিত যান, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা দখলসহ নানা করণে নিয়ন্ত্রণহীন রাজধানীর যানজট। এর সাথে প্রতিদিন বাড়ছে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর এখন ঢাকা। এতে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। আর বছরে তা ৫৫ হাজার কোটির বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। সবগুলো রুট চালু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।  চারদিক স্থবির, নড়ছে না যানবাহনের চাকা, ট্রাফিক পুলিশের প্রাণান্তকর চেষ্টা। তবে সবই যেন ব্যর্থ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকাই যেন রাজধানীবাসির নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহরের রেকর্ড গড়েছে রাজধানী ঢাকা। যানজট নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের গবেষণা বলছে, ২০২২ সালে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের গড় গতি নেমেছ ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে।  অপ্রতুল ও সরু রাস্তাঘাটের কারণে যানজট বাড়ছে। সাথে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা ও ফুটপাথ দখল, বিশৃঙ্খল যান চলাচল পরিস্থিকে আরও নাজুক করেছে।  বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, যানজটের কারণে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম-ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। যানজটের কারণে বছরে জিডিপির ক্ষতি ২.৯ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গত ১২ বছরে আমার ঢাকায় অনেক অবকাঠামো তৈরি করে ফেলেছি। এর মধ্যে  ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। মেট্রোও চালু করে ফেলেছি কিন্তু যানজটের যে পেরেনিয়াল পরিস্থিতি তা থেকে বের হতে পারিনি। আমরা একটা বৃত্তের মধ্যে পড়ে গেছি। গবেষণা বলছে ২০১৭ সালে যানজটে  প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতো, তা এখন দেড়শ কোটিতে ঠেকেছে। একদিকে বিনিয়োগ বাড়ছে অন্যদিকে যানজটের কারণে গতি কমছে। যানজট নিরসনে ১৮টি সংস্থা থাকলেও তারা আশার আলো দেখাতে পারছে না।  ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি সড়কের প্রায় ৬৪ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখে। মানে একটি গাড়ি একজন মানুষ। এসব মানুষকে আমরা যদি মেট্রো মাস ও মেট্রো ট্রেনে শিফট করতে পারি, তাহলেই আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার সুফল পাব। তবে যানজটের নগরীতে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি রুট চালু হলে যানজট কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গণপরিবহনকে আমরা যদি ঢেলে সাজাতে না পারি তবে মেট্রো দিয়ে ঢাকা শহরে যানজট নিরসন করা যাবে না। ২০৩৫ সাল নাগাদ আমরা যদি পুরো মেট্রোর নেটওয়ার্কও তৈরি করে ফেলি তাও ১৫ শতাংশের বেশি যাত্রী আমরা মেট্রোতে পরিবহন করতে পারব না। সড়কের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর কথা ভুলে গেলে এতো হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ কোন কাজে আসবেনা।  তিনি বলেন, যানজট নিরসনে আমাদের নীতির পরিবর্তন আনতে হবে। রাজধানীর ৩০ শতাংশ মানুষ হেটেই অফিসে যান। ফুটপাতগুলোকে ঠিক করলে নিরবিচ্ছিন্ন ফুটপাত করলে যানযট ৩০ শতাংশ কমে যাবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২

ডিজিটাল যুগেও হাতের ইশারায় চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থা (ভিডিও)
হাতের ইশারায় চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা। বছরের পর বছর চেষ্টা করেও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি ট্রাফিক বিভাগ। হাতের ইশারায় নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। আবারো স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে হলে আগে প্রধান সড়কে অযান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।  রাজধানীর বিজয় সরণী মোড়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ৮-১০ জন ট্রাফিক সদস্য। ভিভিআইপি চলাচল আর যানবাহনের চাপ থাকায় আছেন সিনিয়র কর্মকর্তারাও। তবে সবই চলছে হাতের ইশারায়। এ বিষয়ে বিজয় সরণী মোড়ের এক গাড়িচালক বলেন, আগের ট্রাফিক লাইটই ভালো ছিল। আমরা দুর থেকে দেখ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতাম। কিন্তু এখন ট্রাফিক পুলিশের হাত দেখতে অসুবিধা হয়। ঠিক সময় ব্রেক করতে পারিনা। আমাদের টাইমিংয়ে সমস্যা হয়। অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, গাড়ি এবং বাইকের সবসময় গতিটা বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা ফলো করা যায় না। ফলে সিগন্যাল অবমাননা বেশি হয়। বিজয় সরণী মোড়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। অপর এক পুলিশ সদস্য বলেন, সিগন্যাল লাইটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে। বর্তমানে ফোর্স দিয়ে সিগন্যাল চালাচ্ছি। ওই সদস্য কথা বলা অবস্থায় একটি বাস ও প্রাইভেটকারের মধ্যে একটি ছোট দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ট্রাফিক সিগনালের বাতিগুলো। কিছু জায়গায় যা ঢাকা পড়েছে গাছের আড়ালে। বাতিগুলো শেষ কবে জ্বলেছে তাও মনে করতে পারেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সামসুল হক বলেন, উন্নতির এই সময় এসে যখন দেখি আমাদের রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় হাত দিয়ে পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণ করছে, মোড় নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা আমার কাছে বেমানান লাগে। দিনের বেলা হাত দিয়ে চালাচ্ছি। রাতের বেলা আমি ঝুঁকিপূর্ণ লেজার পয়েন্টার ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করছি। আমার মনে হয়, বিজ্ঞান থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। লেজার লাইট ব্যবহার নিয়ে বৈধতার বিষয়েও প্রশ্ন রাখা যায়। কারণ, মানুষের চোখের জন্য এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে কয়েকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। আবারও তা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। রাজধানীর ১১০টি সিগনালের মধ্যে গুলশান-২ নম্বর মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা চালু করেছে উত্তর সিটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খাইরুল আলম বলেন, গুলশান-২ ইন্টার সেকশনে পাইলোটিং হচ্ছে, মোটামুটিভাবে সেটি সফল হয়েছে। এটিকে বর্ধিত করার জন্য আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। এরপর আরও ছয়টি স্থানে আমরা বর্ধিত করব। এটি টেন্ডারিং পর্যায়ে আছে ইতোমধ্যে ইউআই সাবমিট হয়েছে। এরপর পুরো সিটিজুড়ে এটি বর্ধিত করা হবে, এবিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ট্রাফিক কনজেশনের মুল কয়েকটি কারণের ভিতরে একটি হচ্ছে সিগন্যাল অটোমেশন। এটি আমাদের হাতে নেই। বিভিন্ন সংস্থার এটি স্টাবলিশ করেন রক্ষণাবেক্ষণ ও করেন। শুধুমাত্র গুলশান-২ ছাড়া আর কোথাও এই সিগন্যাল অটোমেশনের সুযোগ নেই। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত পুরো ঢাকায় সিগন্যাল অটোমেশন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, অধ্যাপক এম সামসুল হক জানিয়েছেন, অযান্ত্রিক যানবাহনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে অযান্ত্রিক যান চলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কাজ করবে না। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সবার আগে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জরুরী।  পিটিসি-ঢাকার যানজট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের কাজে গত দুই যুগে কয়েকটি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু যানবাহন চলে ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারায়। নতুন করে দুই সিটি করপোরেশন দেখাচ্ছে আশার আলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৪

‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক নির্দেশনায় থাকবে ড্রোন’
প্রযুক্তি কিন্তু আমাদের সেবার মান উন্নয়ন করে, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এজন্য এবারও আমরা বডিওন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। বিশেষ করে যেখানে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কিন্তু আমাদের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে কিন্তু আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের যাত্রা উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি এবং ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের ঈদ যাত্রায় গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কের মানোন্নয়ন ও নির্মাণকাজ চলছে। ইতো মধ্যেই রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফায় কথা হয়েছে, সমন্বয় হয়েছে। নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত মহাসড়ক যে অবস্থায় তারা রাখবেন তাতে আমাদের ঈদ যাত্রায় কোনো বাধা তৈরি হবে না। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আশা করি ঈদ যাত্রা হয়তো আজকে থেকেই শুরু হবে ও কাল-পরশু থেকে আরও বাড়বে। আগামী ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা কর্মমুখী মানুষদের ব্যাপক হারে সড়কে দেখতে পাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের সড়ক প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিকভাবে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসাররা যেমন- জেলাপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ স্বার্বিকভাবে আমরা সড়ক মহাসড়ক পরিদর্শন করছি। আমাদের প্রস্তুতিকে আমরা রিভিউ করে নিচ্ছি যাতে করে এবার ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা করতে পারে, নিরাপদে তাদের স্বজনের কাছে পৌঁছতে পারে এবং যাতে ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন, ঈদ যাত্রা উপলক্ষে কিন্তু এক ধরনের অপরাধী চক্র মাথা চাড়া দেয়। বিশেষ করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে ওঠে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কিন্তু ১ মাস আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হিউজ পরিমাণ অপরাধীকে কিন্তু ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে, সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে। এই ধরনের অপরাধী থেকে যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে হবে। এদের কোনো ধরনের আলামত কিংবা সন্দেহ হলে আমরা যেন ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশকে যেন আমরা সহায়তা করি তাহলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ অনিরাপদ যাত্রা—বিশেষ করে বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপে আমরা যেন যাত্রা না করি। এ ধরনের যানবাহনের চালক ও মালিকপক্ষকে বলবো এ ধরনের যাত্রা থেকে যেন তারা বিরত থাকেন। এবাবের ঈদ যাত্রায় আমরা যেন আনন্দের সঙ্গে বাড়ি যাই এবং আনন্দের সঙ্গে ফিরে আসতে পারি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক এএফএম সায়েদ, সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

ব্যর্থ হলো রাজধানীর ট্রাফিক ডিজিটালাইজের প্রকল্প (ভিডিও)
ব্যর্থ হয়েছে রাজধানীর ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা ডিজিটালাইজ করার প্রকল্প। ৫২ কোটি টাকা খরচ করে ফলাফল ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে এটি কার্যকর হয়নি বলে দাবি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএ’র। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই প্রকল্প নেয়ার কারণে এমন ব্যর্থতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর চত্বরের চারপাশে বসানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেমের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, অত্যাধুনিক শব্দধারণ যন্ত্র, বাতি, বিশেষায়িত তার ও খুঁটি। এমন আয়োজন দেখে মনে হতেই পারে উন্নত বিশ্বের কোনো মোড়।   কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের ভিত্তিতে যানবাহনের চাপ নির্ধারণই ছিল উদ্দেশ্য। অথচ পাঁচ বছরের বেশি সময় অলস পড়ে আছে অত্যাধুনিক এসব যন্ত্র। সংকেতবাতি বন্ধ, খুঁটিতে ঝুলছে অলস ক্যামেরা। আধুনিক বাতির নিচে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক সদস্যরা। গুলিস্তান মোড়ে ডিজিটাল সিস্টেমের অবস্থা পুরাই নাজুক। এখানে কয়েকটি বাতি ছাড়া পাওয়া যায়নি কিছুই। বাকি দুটি মোড় মহাখালী ও পল্টনের অবস্থাও অনেকটা একই। বেশিরভাগ যন্ত্র পাওয়া যায়নি এসব মোড়েও। অথচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, সবকিছুই বসানো হয়েছিল। ২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশান-এক, মহাখালী, পল্টন ও গুলিস্তান মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ‘ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। নয় বছরে চার দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ কোটির প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা খরচ করেও কোনো সুখবর দিতে পারেনি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ।  ঢাকায় এই পদ্ধতির সংকেতবাতি আদৌ চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, অযান্ত্রিক যানবাহন যদি সিগনালে থাকে এবং যখন সবুজ সংকেত পায় তখন তাদের গতি কিন্তু কাছাকাছি থাকতে হবে। রিকশার গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার আর মোটরসাইকেলে গতি যদি ৬০ কিলোমিটার হয় তাহলে এই সিগনাল কোনোভাবেই কাজ করার সুযোগ নেই। একেবারে অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৬

রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের মতবিনিময়
আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে মোহাম্মদপুর-রিং রোড সংলগ্ন এলাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় শনিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারেক সেকান্দার (অতিরিক্ত দায়িত্বে ট্রাফিক মোহাম্মদপুর জোন), সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-মোহাম্মদপুর জোন) ও স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফসহ প্রায় ২০০ জন বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।  মতবিনিময় সভায় সকল পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা হয়। এছাড়া অনেকেই মার্কেট কেন্দ্রিক বখাটেদের আড্ডা ও মূল সড়কে হকারদের কারণে রাস্তায় ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। এ সময় রাস্তায় ও ফুটপাতে হকার মুক্তকরণে সহকারী পুলিশ কমিশনার (মোহাম্মদপুর -পেট্রোল) বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে রমজান শুরুর আগেই ট্রাফিক বিভাগকে সার্বিক সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মো. জাহাঙ্গীর আলম সকলের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং অংশীজনদের মধ্যকার সম্পর্কে একটি গঠনমূলক ও টেকসই উন্নয়নের সেতু তৈরি করে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিজ নিজ জায়গা থেকে সকলকে কাজ করার অনুরোধ করেন।  সভাপতি ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়ে হকারমুক্ত ফুটপাত-রাস্তা ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ, ক্রাইম বিভাগ ও কমিউনিটি ট্রফিক পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করার আশাব্যক্ত করেন।  সভায় আগত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুধীসমাজ আসন্ন রমজানের পূর্বে এমন সভা আয়োজন করায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়