• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুইপারকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকেরও মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। সুইপারটির নাম জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার। পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।   এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৯

সেফটিক ট্যাংকে পড়ে কিশোর নিহত
লালমনিরহাটে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে ওয়াজেদ ইসলাম তারিফ (১৩) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের বিডিআর হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত তারিফ ওই এলাকার বেকারি ব্যবসায়ী ওয়ালিউর ইসলামের ছেলে।  ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারিফ বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাঙ্কের ওপর খেলছিল। এ সময় হঠাৎ ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙে পড়ে যায়। উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা প্রায় বিশ মিনিট চেষ্টার পর তারিফকে উদ্ধার করে। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক  মৃত ঘোষণা করে।  লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ওয়াদুদ হোসেন জানান, সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়ার প্রায় ঘণ্টা খানেক পর আমরা খবর পাই। খবর পেয়েই উদ্ধার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। তিনি আরও বলেন, সেফটি ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাস থাকে, সেখানে খুব সামান্য সময়েই মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নিহত তারিফের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৪

আ.লীগ নেতার ছেলের মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় নিখোঁজের ৩ দিন পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম পাভেল আকন্দ (৩৯)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত পাভেল রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা। ওসি মাসুদ বলেন, গত ৯ মার্চ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন পাভেল আকন্দ। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। ওসি মাসুদ আরও বলেন, মোবাইলের সূত্র ধরে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বল্লমঝাড় ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পাভেল আকন্দের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে গেছে হত্যাকারীরা। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯

সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া ‘মেছো বাঘ’ ইকো পার্কে অবমুক্ত
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা থেকে দুটি মেছো বাঘ উদ্ধার করা হয়েছে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) তামাই ফকির পাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে বাঘ দুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘দ্য বার্ড সেফটি হাউজ’র চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস। স্থানীয়রা জানান, পরিবেশবাদী সংগঠন দ্য বার্ড সেফটি হাউজ এ মেছো বাঘ দুটি জীবিত উদ্ধার করে। এতে তাদের সহযোগিতা করেন বন বিভাগের কর্মীরা। দি বার্ড সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, প্রাণী দুটিকে মূলত ‘মেছো বিড়াল’ বলা হয়। তবে সবার কাছে ‘মেছো বাঘ’ হিসেবে পরিচিত। এদের উদ্ধার করে বন বিভাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ ইকো পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। বেলকুচি উপজেলা বনবিভাগের ফরেস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা ৯৯৯-এ মেছো বাঘের বিষয়টি আমাদের জানায়। পরে মামুন বিশ্বাসকে বললে তিনি তার লোকজন নিয়ে প্রাণী দুটি উদ্ধার করেন। এরপর মেছো বাঘ দুটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে ইকো পার্কে অবমুক্ত করা হয়। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়