• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেফটি ট্যাংক থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি গ্রামে রিফাত হোসেনের বাড়ির পেছনে সেফটি ট্যাংক থেকে শনিবার সকালে জাকারিয়া আলম সম্রাট (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সম্রাট মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে এবং বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।  স্থানীয়রা জানান, সম্রাট লেখাপড়া করা অবস্থায় বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে রিফাত হোসেনসহ (১৯) আরও কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে সম্রাট ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। গত ১৭ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রিফাত ও তার বন্ধুরা সম্রাটকে ক্যামেরা বিক্রির টাকা দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে পাঁচবাটি গ্রামে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে সকলে মিলে বেদম মারপিটে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকের ভেতরে রেখে দেয়। এ দিকে সম্রাটের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সাঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিফাতের বাড়ির পেছনের সেফটি ট্যাংক থেকে আজ সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, ‘সম্রাটের বাবা নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করায় আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিফাতের বাড়ির পেছনের সেফটি ট্যাংক থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ক্যামেরা ভাড়া দেওয়ার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

সুইপারকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকেরও মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। সুইপারটির নাম জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার। পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫

নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। মরদেহ উদ্ধার অভিযান চলাকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন বিপিএম জানান, গত ৫ তারিখে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‌্যাব-১২ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হাসান বিপিএম আরও জানান, মাদরাসা ছাত্র কিশোরকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ব্যাপক তদন্ত করা হচ্ছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০

সেপটিক ট্যাংক থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার 
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে আম্বিয়া খাতুন (৫৭) নামে এক অবিবাহিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলহাটা গ্রামের মধ্যপাড়া থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।  আম্বিয়া উপজেলার মঙ্গলহাটা মধ্যপাড়া গ্রামের হবিবর মোল্যার মেয়ে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে দিকে লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা মধ্যপাড়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্যার বাড়িতে থাকা টয়েলেট এর সেপটিক ট্যাংকে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।   এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা লাঠি, টর্চ লাইট ও জুতা উদ্ধার করে পুলিশ।  স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আম্বিয়া কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গ্রামের রাজ্জাক মোল্যার ছেলে সাব্বির মোল্যাকে (৩২)  আটক করেছে।  এ ঘটনার দুবছর পূর্বে সাব্বির মোল্যা তার আপন মাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর সম্প্রতি সাব্বির জামিনে মুক্ত পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাব্বির মোল্যা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়