• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শেষবারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু 
ভাষাসৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাঁটি বাজার ঈদগাহ ময়দানে।  শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামে এসে পৌঁছায়। পরে সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা।  জানাজার পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ কৃতী সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ও পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়।  শেষ বারের মতো গুণী এ মানুষটিকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর ছোট মেয়ে ডানা নাজলী, জামাতা সাহিনুর রহমানসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই।  এ সময় স্মৃতিচারণকালে সবার কথায় উঠে আসে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর দেশপ্রেম, গ্রামের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, তার কর্মময় জীবনের সততার কথা।  চাঁপাইনবাবগঞ্জে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর মরদেহ নেওয়া হয় রাজশাহীতে। সেখানে রাজশাহী কলেজে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে ঢাকায় নেওয়ার পর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।  অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ১৯৩১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৩ বছর।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৩

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর টিপু মারা গেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু আর নেই। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিপু সাহেব মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

কে এই টিপু সুলতান?
টাক মাথায় ফর্সা মুখে লম্বা সাদা সাদা দাড়ি, হাতে বই নিয়ে ঘুরে বেড়ান দেশের বিভিন্ন স্থানে। পূর্বে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রেলে ট্রেনে ফেরি করে বই বিক্রি করতে তিনি। তবে এবার অমর একুশে বইমেলায় ফেরি করে বই বিক্রি করে আলোচনায় আসেন টিপু সুলতান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বহু ভিডিও, ছবি এবং মিম ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে, শুধু ইংরেজি ভাষা এবং নিজের বই নিয়েই নয়, বিভিন্ন ইস্যুতে তাকে কথা বলতে দেখা যায়।  ১৯৭১ সালের ২৩ মে টিপু সুলতানের জন্ম হয় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বোয়লিয়া ইউনিয়নের সরিষাডুলী গ্রামে। বাবা-মায়ের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বর্তমানে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীতে বসবাস করছেন। তিনি কুষ্টিয়ার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং মিরপুর উপজেলার আমলা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে চাকরি করতে ঢাকায় আসেন টিপু সুলতান। নিউ ইস্কাটন রোডে একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন তিনি। এরপর সেতু অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে সিসিটিভি ও টেলিকমিউনিকেশনের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায়ীক ব্যস্ততার মাঝেই ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘রেলপথে বাংলাদেশ’। এই ভ্রমণ গাইডটির ১ লাখ ২৩ হাজার কপি বিক্রীত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘বোনাস’ নামে আরেকটি বই। সেই সঙ্গে আটটি মানচিত্র তৈরি করেছেন তিনি।  তার কুষ্টিয়া জেলা এবং মেহেরপুর জেলার মানচিত্রতে প্রতিটি ইউনিয়নের পৃথক ভৌগোলিক এলাকা ও গ্রামের সঠিক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রতিটি উপজেলার পৃথক ভৌগোলিক এলাকা ও ইউনিয়নের সঠিক অবস্থান তুলে তিনি তৈরি করেছেন ‘বাংলাদেশ প্রশাসনিক মানচিত্র’। বাংলাদেশের ৪০৫টি নদীর গতিপথসহ নদ-নদীর মানচিত্র, ৪৬৬টি স্টেশনের নামসহ ‘রেলপথে বাংলাদেশ মানচিত্র’, গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ভবনের নামসহ ‘ঢাকা সিটির মানচিত্র’, ভারতের প্রতিটি প্রদেশের পৃথক ভৌগোলিক এলাকা, বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানী, গুরুত্বপূর্ণ শহর, হাসপাতালের নাম, ঠিকানা, ই-মেইল ও টেলিফোন নম্বরসহ ‘ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার মানচিত্র’, পৃথিবীর প্রতিটি দেশের পৃথক ভৌগোলিক এলাকা, রাজধানী ও প্রধান প্রধান শহরের নামসহ ‘পৃথিবীর মানচিত্র’ তৈরি করেছেন তিনি। ফেরি করে বই বিক্রির বিষয়ে টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ সালে ‘রেলপথে বাংলাদেশ’ বইটি ১০ হাজার কপি প্রিন্ট করেন। বিভিন্ন রকমের লিফলেট বিতরণ করেও তার বই বিক্রি হয়নি। বই বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কোনো হকার খুঁজে না পেয়ে পরে বইগুলো বাসায় এনে রেখে দিই। তিনি বলেন, আমি লেখাপড়া শিখেছি, ঠিকাদার মানুষ। আমার বংশ মর্যাদা আছে, অর্থ আছে; আমি ফেরি করবো সেটা কি শোভা পায়? আমি তখন একটা সেনটেন্স (বাক্য) বললে তাকিয়ে দেখতাম কেউ দেখে ফেললো কি না। দেখে ফেললে আমার নিজেরই লজ্জা লাগতো।  তবে টিপু সুলতানকে নিয়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনাও আছে। বইমেলায় ঘুরতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি শব্দের বানান এবং বাংলা অর্থ জিজ্ঞাসা করে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। অনেকের অভিযোগ, এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের বিব্রত এবং হেয় করছেন। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অনেক আগে থেকেই আমি এরকম কুইজ দেয়। কুইজের সঠিক উত্তর দিতে পারলে ফ্রিতে বই দিই। বইমেলায়ও এরকমটা করেছেন। কাউকে হেয় করার জন্য আমি এমনটি করিনি। আমি হয়তো অনেক জানি না কিন্তু যে পদ্ধতি তৈরি করেছি সেটার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যোগ করেন টিপু সুলতান।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

বই বিক্রেতা টিপু সুলতানকে সরিয়ে দেওয়া হলো
আলোচিত বই বিক্রেতা মো. টিপু সুলতান ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় বই বিক্রি করতে এলে সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. খাদেমুল ইসলাম তাকে অনুরোধ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিপু সুলতান সম্মানিত মানুষ। আদালত এলাকায় মাইকিং করে বই বিক্রি করলে লোকজন জড়ো হবে, এতে বিচারপ্রার্থীরা বিরক্ত হতে পারেন। এজন্য তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ সময় মো. টিপু সুলতান বলেন, আদালত এলাকা থেকে তো বের করে দিলো। এখন আইনজীবী সমিতির ওদিকে সুযোগ পেলে ওখানে বই বিক্রি করব। প্রসঙ্গত, এবারের একুশে বইমেলাসহ অনেক জায়গায় মাইকিং করে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বই ‘বোনাস’ বিক্রি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হন টিপু সুলতান। বইমেলায় ঘুরতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি বানান এবং বাংলা অর্থ জিজ্ঞেস করে আলোচনায় আসেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১

মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার্স-সাপ্লায়ার্সের সভাপতি টিপু সম্পাদক পুলক
বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে মো. টিপু সুলতান বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি এবং আরশেদ আলম পুলক সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কমিটির বিদায়ী আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা নবনির্বাচিত পদাধিকারীদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। কমিটির শেখ মো. জাকির হোসেন সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং মো. শহিদুল হাসান, মাহফুজ হাসান, কাজী ওয়াহিদুল হক, মো. জাহিদ এইচ খান, জহিরুল ইসলাম, মাহাবুবুর রহমান এবং মো. বিল্লাল হোসেন যথাক্রমে এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদুর রশীদ ও মো. মনিরুল হাসান (সুজন), পরিচালক অর্থ পদে মনিরুজ্জামান মনির।  এছাড়াও নাহিদ আক্তার, মারুফ আক্তার মান্নান, অমল কান্তি শর্মা, মো. সাফিকুর রহমান, মো. হাসানুজ্জামান, মো. জহুরুল ইসলাম (অনিক), আবদুর রহমান এবং মো. জাকির আলম চৌধুরী বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি মো. টিপু সুলতান তার বক্তব্যে বলেন- টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা বিনির্মাণে আধুনিক টেকনোলজি ও দক্ষ জনবলের কোন বিকল্প নাই, যা বাংলাদেশ মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশনের সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নত স্বাস্থ্যসেবায় এই এসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশী কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এসময় দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, সদস্য মো. দিদার হোসেন ও মো. কাউসার হোসেন রিয়াজসহ ব্যবসায়ী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়