• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টিকটক ট্রলে দুর্বিষহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের জীবন
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। বিশেষ করে রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে থাকেন। তাদের বেশিরভাগ মতামতই নারীবাদকেন্দ্রিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি নারীদের স্বাধীন মত প্রকাশের ঠিক এই ব্যাপারটিই পছন্দ নয় হাসান সাঈদ নামে ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি এক তরুণের। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের অনলাইনে বুলিং করায় মত্ত সে। তার ভয়াবহ বুলিংয়ের শিকার হয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে প্রবাসী বহু নারীর জীবন।  যুক্তরাজ্যে এমন বেশ কয়েকজন নারীর সন্ধান পেয়েছে বিবিসি। হাসানের ট্রলের শিকার ওই নারীদের অনেকে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, তাদের মানসিক অবস্থা এতটাই বিপর্যস্ত যে মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার চিন্তা নাড়া দিয়ে উঠছে মাথায়।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পুলিশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই নারীরা। সুযোগে ক্রমেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্যারিসের উপকণ্ঠে বসবাসরত বাংলাদেশি ওই তরুণ। এমনকি অনেক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যারও হুমকি দিচ্ছে সে।   যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারে বসবাস করেন সুলতানা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, নারীবিদ্বেষ ও বাজে সম্পর্কের বিষয়ে টিকটকে আওয়াজ তোলেন তিনি।  ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন তিনি। মূলত ট্রলের শিকার হওয়া তার এক বন্ধুর পক্ষে কথা বলার পর তিনিও হাসানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। হাসানের ট্রল এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে সামাজিকভাবে হেয় হয়ে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন সুলতানা। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমি কান্না করেছি। খেতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল, এখানে আর থাকতে চাই না।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি কাজে ছিলাম। এ সময় আমার কয়েকজন টিকটক ফলোয়ার আমাকে খুদে বার্তা পাঠান। তারা জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি হাসানের সেই ভিডিওগুলো দেখেছি কি না। সেই ভিডিও ও পোস্টগুলোতে লোকজন কমেন্ট করছিল। আমাকে নিয়ে তারা হাসাহাসি করছিল। এ ধরনের নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনো ভুলতে পারব না।’ সুলতানা বলেন, ‘আমার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। সুস্থ হতে থেরাপি নিয়েছি। ট্রলের ঘটনাগুলো আমার অসুস্থতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তা আমাকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ ভুক্তভোগীরা বলেন, নারীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ পছন্দ করেন না রক্ষণশীল অনেক পুরুষ। নারীদের যেকোনোভাবে থামিয়ে দিতে চান তারা। এ জন্য অনলাইন বুলিংকে বেছে নেয় তারা। হাসান সাঈদ নামে প্যারিস প্রবাসী ওই যুবক ওই দলভুক্ত একজন।  হাসান মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার শিকারদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো গ্রিন স্ক্রিনে নিয়ে ট্রল ভিডিও তৈরি করেন। পরবর্তীতে টিকটক লাইভে এসে ভুক্তভোগী নারীদের চেহারা ও অন্যান্য বিষয়ে মজা করেন। নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিও দেন তিনি। হাসানের আরেক শিকার মাসুমা নামে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের এক নারী। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি তিনি টিকটিকে রান্নার ভিডিও বানান এবং অনলাইনে একটি দোকান চালান। একদিন এমন একটি লাইভ চলার সময় হাসান সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে তার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে বলেন। মাসুমা তাতে রাজি না হলে হাসান তাকে ‘ফাঁসিতে ঝোলানোর’ হুমকি দেন। এরপর মাসুমা একটি ভিডিও শেয়ার করে অন্যদের এ যুবকের বিষয়ে জানান এবং তার একাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তাতে হাসান আরো রেগে যান এবং তাকে নিয়ে আজেবাজে ভিডিও বানানো শুরু করেন। একটি ভিডিওতে মাসুমাকে দেখিয়ে বলেন যে তিনি একজন যৌনকর্মী। মাসুমার অনুসারীরা রিপোর্ট করলে টিকটিক থেকে তার ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ওই ঘটনা জীবনের বড় এক ক্ষতি করে গেছে বলে মনে করেন এ তরুণী। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু নারীরাই নয়, হাসানের অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন পুরুষরাও। এসব ট্রলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে প্রতিকার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনই একজন কামরুল ইসলাম। হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব বুলিং বন্ধ করার আহ্বান জানান এ ভুক্তভোগী। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের পুরো পরিবার নিয়ে ট্রল শুরু করেন হাসান। এসব ভিডিও সরাতে পরে কামরুল টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা তাকে সাফ জানিয়ে দেন, এসব তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেনি। তাই ভিডিওগুলো সরানো হবে না। কামরুল এরপর পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেন। এতেও ট্রল না থামায় তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। দূতাবাস ফরাসি আইনজীবী ম্যাথিউ ক্রোইজেতের সঙ্গে কামরুলের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কামরুলের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরে অভিযোগ করেন এ আইনজীবী। কিন্তু এ মামলার কোনো রায় এখনো হয়নি। মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে প্যারিসের কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশন ও আদালতে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

বাংলাদেশের ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ভিডিও সরিয়েছে টিকটক
বাংলাদেশে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। সম্প্রতি কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিকটক। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) সময়ের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ভুল তথ্যের প্রচাররোধে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিকটকের অবস্থান প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে টিকটক ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্মটি থেকে মোট ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা সকল ভিডিও’র প্রায় ১.০ শতাংশ। এর মধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮৪টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ১০৬টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। কমিউনিটি গাইডলাইন রক্ষা করার পাশাপাশি টিকটক সক্রিয়ভাবে স্প্যাম অ্যাকাউন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কনটেন্টগুলোর উপর লক্ষ রাখে। একইসাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশে যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে, তার মধ্যে ৯৫.৩ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেবল একদিনের মধ্যেই। এই প্রান্তিকে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৯.৫ শতাংশ। এ ছাড়া ১৩ বছরের কম বয়সী প্ল্যাটফর্ম ইউজার হওয়ার সন্দেহে এবং তরুণদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। বিশ্বজুড়ে এমন অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৫টি। প্ল্যাটফর্মের সকল ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অকৃত্রিম অভিজ্ঞতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনটি। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্ম ইউজার এবং প্রতিটি কনটেন্টের জন্য সমানভাবে এই নীতিমালা প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় থাকে প্ল্যাটফর্মটি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩২

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি বিল পাস হয়েছে। ফলে দেশজুড়ে টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে। বুধবার (১৩ মার্চ) মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ৩৫২-৬৫ ভোটে বিলটি পাস হয়। খবর বিবিসি। যদিও পাস হওয়া এই বিলটি যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পুরোপুরি আইনে পরিণত হয়নি। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাসের পর এখন বিলটিকে প্রথমে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে পর্যালোচনা, যাচাই এবং পাস হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে সেটি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরের পর পুরোপুরি আইনে পরিণত হবে সেই বিল। সিনেটে ভোটের ফলও যেন প্রতিনিধি পরিষদের অনুরূপ হয়, সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বুধবারই আহ্বান জানিয়েছেন নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টির নাম্বার ২ হাউস রিপাবলিকান স্টিভ স্ক্যালিস। এক্সে দেওয়া তিনি বলেন, ‘এই বিলটি খুবই স্পর্শকাতর এবং এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারটি সম্পর্কিত। আমরা আশা করছি, সিনেট এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে এবং এটি পাস করবে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ৩৩ কোটি ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। অর্থাৎ দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই টিকটক ব্যবহার করেন। এই ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই তরুণ প্রজন্মের। ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছিল। সে বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের পর এবার চলতি বছর টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধের এই কার্যক্রম হাতে নিল দেশটি।  এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাশের কিছুক্ষণ পর এক ভিডিওবার্তায় বাইটড্যান্সের শীর্ষ নির্বাহী শৌ জি চিউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে— তা দেশটির অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। এতে একদিকে ক্ষুদ্র-খুচরা ব্যবসায়ীদের পকেট থেকে শত শত কোটি ডলার হারিয়ে যাবে, অন্যদিকে অন্তত ৩ লাখ মার্কিনির কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে— এমন কোনো প্রমাণ দেশটির সরকার পায়নি, তার পরও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার জন্য ওয়াশিংটন উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, যদি টিকটক নিষিদ্ধ সংক্রান্ত কোনো বিল তার কাছে আসে, তা হলে সেখানে তিনি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৬

টিকটক দেখা নিয়ে নববধূকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইলে টিকটক দেখা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী আব্দুল হামিদকে (২৮) আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় গলা কেটে  আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে। আব্দুল হামিদ উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র। আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।  আব্দুল হামিদ জানায়, তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলেদের সঙ্গে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে মোবাইল ধরতে নিষেধ করতো। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায়’ নববধূ তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ২ ৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান আরিফ (পিএসসি) বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামিকে আটক করেছে। পরে থানায় সোপর্দ করা হয়।  
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

১৯ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যমজ বোনদের এক করল টিকটক 
জন্ম একসঙ্গে হলেও ভাগ্যের নির্মমতার কারণে দীর্ঘদিন আলাদা থাকতে হয়েছে তাদের। সিনেমার কাহিনির সঙ্গে মিলে যাবে পূর্ব ইউরোপের দেশ জর্জিয়ার দুই বোনের গল্প। দুজন দেখতে হুবহু একই রকম। চোখ, কান, নাক, মুখের আদলে দুজনের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা দুষ্কর। কারণ সম্পর্কে তারা যমজ বোন। অথচ ১৯ বছর ধরে একই শহরে থাকা সত্ত্বেও তারা কেউ কাউকে চিনতেন-ই না! অবশেষে ভাইরাল হওয়া এক টিকটক ভিডিওতে তারা একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন। অ্যামি-অ্যানোর জন্মদাত্রী মা আজা শোনি ২০০২ সালে জন্মগ্রহণজনিত জটিলতায় চলে যান কোমায়। সেই সময় এক ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তার স্বামী গোচা গাখারিয়া। অ্যামি ও অ্যানোকে দুটি আলাদা পরিবারে বিক্রি করে দেন তিনি। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দশক ধরেই দেশটির হাসপাতাল থেকে দ্বেগজনকসংখ্যক শিশু চুরি হওয়ার পর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এর অনেক ঘটনাই এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। অ্যামি আর অ্যানোর নিজেদের খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে তাদের ১২ বছর বয়সে। অ্যামি তার প্রিয় টিভি শো ‘জর্জিয়াস গট ট্যালেন্ট’ দেখছিলেন মন দিয়ে। একটি মেয়ে নাচতে গিয়ে হোঁচট খেল। অ্যামি দেখল সেই মেয়েটির সঙ্গে তার চেহারার অদ্ভুত সাদৃশ্য। অ্যামি তখন জানত না যে, নাচতে থাকা মেয়েটিই তার বোন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৯

বাংলাদেশে টিকটক নিষিদ্ধ নিয়ে যা জানা গেল
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার কথা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে ‘বাংলাদেশে টিকটক চিরতরে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে’ এমন শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়। পেজ ও গ্রুপ গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘এডুকেশনাল নিউজ অব বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’। ওই পোস্টগুলোর নিচে হাজার হাজার মানুষ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে, এসব নামে চলা ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪২ মিনিটে এমন একটি পোস্ট ‘এডুকেশনাল নিউজ অব বাংলাদেশ’ নামের ফেসবুক পেজে করার পর তা ভাইরাল হয়েছে। সেখানে লেখা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, বাংলাদেশ থেকে চিরতরে ব্যান করা হোক জনপ্রিয় টিকটক। অন্যদিকে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ গ্রুপ থেকে এই পোস্টটি শেয়ার করা হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই গ্রুপের পোস্টে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে চিরতরে ব্যান করা হচ্ছে জনপ্রিয় টিকটক, সোর্স: বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’। যা সম্পূর্ণ গুজব। বাংলাদেশ সরকারের অফিশিয়াল মনোগ্রাম এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের মনোগ্রাম ব্যবহার করা এমন বহু গ্রুপ ও পেজ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কোন কোন পেজে কয়েক লাখ ফলোয়ার এবং কিছু কিছু গ্রুপে দুই লাখের বেশি সদস্য রয়েছে।  এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো পেজ বা গ্রুপ নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কিছু মানুষ এসব পরিচালনা করে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। অপপ্রচারে জড়িতদের শনাক্ত করতে সংশ্লিষ্ট আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিটিআরসিকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি টেলিফোনে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়