• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রবাসীর স্ত্রীকে টার্গেট করে প্রতারণা, হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা
প্রথমে নারীদের টার্গেট করেন। বিভিন্নভাবে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের মোবাইলে কপি করে নেন। এরপর ব্লাকমেইল কতরে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার নাম নুরুল ইসলাম ভুটো (৪০)। বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভুটোকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবিসহ মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে সিরাজপুর ইউনিয়নের বড় রাজাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রী (৩২) বসুরহাট আরডি শপিং মলে মোবাইল মেরামত করতে যান। এসময় নুরুল ইসলাম মেকানিক সেজে তার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে রাখেন। পরে ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। পরে তিনি শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর ব্যক্তিগত ছবি টিকটকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম ভুটো। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে

জয়ের স্ত্রীর দাবি, সালমান শাহর মতোই তার স্বামীকে টার্গেট করা হলো
সম্প্রতি বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নায়ক জয় চৌধুরীকে বয়কট করেছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। তবে এই নায়কের স্ত্রী রোমানা ইসলাম নীড়ের দাবি তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নীড় বলেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় কারও সঙ্গে কোনোদিন বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবে না। এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সঙ্গেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় পাশে থেকেছে। এতোটাই ভালোবাসা পেয়েছে সে যে শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কী এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা নীড়ের ভাষ্য, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কি কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভিতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য। সেটা দেখে আর একজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে! এটাইতোহ শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না তো?  সালমান শাহ, শাকিব খানদের মতোই টার্গেট জয়, এমনটাই মনে করে নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয় আসেন সমান বিচার করতে শিখি? ওখানে কি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল? আরও সহজভাবে বলি ওখানে কি এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর কারও সঙ্গে এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে যে একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে আসলো এই জয় চৌধুরী! শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছে! মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সব থেকে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনে! জয়ের কি হবে জানি না! তবে একটা কথা বলতে পারি জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদেরকে ভালোবাসে। সর্বোপরি বলতে চাই এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কি কাল হলো? চোখে পড়ে গেলো? চারদিকে এতো প্রশংসা এটাই কি কাল হলো?  আমি নিজে বলতে শুনেছি অন্য শিল্পীরা বলছে আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছে এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেতো! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সঙ্গে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কি কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলবো সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নেবেন এটা বিশ্বাস রাখি। নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচণায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই। তাই ভাই ভাইয়ের সঙ্গে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সব শেষে আমরা একটা পরিবার।
১১ ঘণ্টা আগে

কেন ইরানের ইস্পাহানকেই টার্গেট করল ইসরায়েল 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্পাহানে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোররাতে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা মার্কিন মদদপুষ্ট দেশটি।  ইস্পাহান শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর শহরের পূর্ব দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সেনা কর্মকর্তা। তবে, ইরানের ভেতর ঢুকে অনুপ্রেবশকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইসরায়েল থেকেই নিক্ষেপ করা হয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।   এদিকে ইরানে হামলার ক্ষেত্রে দেশটির রাজধানী বাদ দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইস্পাহানকেই কেন বেছে নিলো ইসরায়েল, সে বিষয়ে জানতে একজন পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।  হামিশ ডে ব্রেটন গর্ডন নামে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বাহিনীর সাবেক ওই কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, ইস্পাহানকে টার্গেট করা খুবই উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়। ইরানের এই শহর ঘিরে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তার একটি লক্ষ্য করেই ভোররাতে হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গর্ডন বিবিসিকে বলেন, ইরান যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, সেই পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইরানে হামলা করার সক্ষমতার বিষয়ে জানান দিতে চেয়েছে ইসরায়েল। ইরানের নিক্ষেপ করা তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবকটিই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সবকটি সফলভাবে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলে। ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক এ কমান্ডারের মতে, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ইসরায়েল। সে কারণেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বেশি আগ্রহী।  ইরানের পক্ষ থেকে হামলার এ ঘটনাকে ছোট হিসেবে দেখানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইরানের পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করে ফেলেছে, এটা তেহরান স্বীকার করতে চাইছে না।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫

বাংলাদেশকে টার্গেট করে বিদেশি গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল  
বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে কিছু ইউটিউব চ্যানেল তাদের নিজস্ব উপায়ে তৈরি খবর প্রচার করে আসছে। বিদেশি এবং বাংলাদেশি বেশ কিছু গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল এগুলো। সেখানে ভুয়া খবর বানিয়ে নিজেদের ভিউ বাড়িয়ে আয় করে এসব চ্যানেল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট লিমিটেডের (ডিআরএল) তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করেছে। মুলত বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্য প্রচার করে আয় করা হয় বলে জানায় ডিসমিসল্যাব।  প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন বলছে, সাত দিন আগে ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখা গেছে জনপ্রিয় উপস্থাপক হিউ এডওয়ার্ডস বাংলায় সংবাদ পাঠ করছেন। মুলত তার ছবি ব্যবহার করে অন্য একজনের কণ্ঠ বসিয়ে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যানেল বিবিসির লোগোর আদলে তৈরি।  ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেলের খোঁজ পেয়েছে যেগুলো বিদেশি ও বাংলাদেশি সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের কার্যত নকল। চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের দর্শকদের লক্ষ্য করে খবর প্রচার করে। কেউ সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নামের আদলে নিজেদের নাম দিয়েছে, কেউ লোগো নকল করেছে, কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সুপরিচিত উপস্থাপকের ছবি ব্যবহার করে ভিডিও ছাড়ছে। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদন বলছে, নকল ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মূল কাজ হচ্ছে নিজেদের ভিউ বাড়ানো এবং আয় করা। তবে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়। ভিডিও প্রচারের ক্ষেত্রে তারা বেছে নেয় সংবেদনশীল বিষয়গুলো। যেমন বিবিসি-নিউজ বিডি নামের একটি চ্যানেলে গত ৩ জানুয়ারি খবর (ভিডিওর থাম্বনেইলে) দেওয়া হয় যে, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনীর থাবা, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল ঘোষণা’। যদিও খবরটি ভুয়া।  ডিসমিসল্যাব বলছে, যেহেতু তারা সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নকল, সেহেতু পাঠক বিভ্রান্ত হয়। আবার এসব চ্যানেলে প্রচারিত ভুয়া ও চটকদার খবরের কারণে সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমগুলো দর্শক থেকে বঞ্চিত হয়। গবেষকেরা সংবাদসংশ্লিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে ইউটিউবে খোঁজ (সার্চ) করে দেখেছেন, যেসব প্রতিবেদন সামনে আসে, তার অর্ধেকই এসব নকল চ্যানেলের। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুনের মতামত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সংবেদনশীল সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।  তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় গণমাধ্যম-জ্ঞান (মিডিয়া লিটারেসি) ততটা বেশি নয়। আমরা যা দেখি, যাকে দেখি, তা যাচাই করি না। এরপর এমন হতে পারে যে মানুষ একপর্যায়ে বিশ্বাস করতে শুরু করে অপতথ্যগুলো সত্য। ডিসমিসল্যাব জানাচ্ছে, যে ৫৮টি চ্যানেল তারা খুঁজে পেয়েছে, তার মধ্যে ৩৭টিই বিবিসিকে নকল করেছে। নকলের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন ও এবিসি, যুক্তরাজ্যভিত্তিক রয়টার্স, কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা এবং বাংলাদেশের সময় টেলিভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশনের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো। যেমন একটি চ্যানেলের নাম আল-জাজিরা বাংলা। ডিসমিসল্যাব বলছে, এই নামে আল-জাজিরার কোনো চ্যানেল নেই। এটি আসলে আল-জাজিরার লোগো নকল করে তৈরি করা চ্যানেল। বিবিসিকে নকল করা ১২টি চ্যানেলের ১৬৮টি ভিডিও বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, একটিরও শিরোনামের (থাম্বনেইল) সঙ্গে ভেতরের কোনও মিল নেই। ডিসমিসল্যাবের পক্ষ থেকে বিবিসির কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জবাবে বিবিসির প্রেস অফিস থেকে বলা হয়, অতীতে তাদের আইন শাখা থেকে ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘অ্যাকাউন্টে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া সংবাদ বা ফেক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হবেন এর পাঠক নিজেরা। সুতরাং যেকোনো সংবাদ দেখে বিশ্বাস করার আগে বা পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করার আগে সেটির উৎস ভালো করে যাচাই করে নেয়া উচিত।    
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

আইএমএফের টার্গেট কখনও পূরণ করা যাবে না : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মন্তব্য করেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে টার্গেট (লক্ষ্যমাত্রা) দিয়েছে, তা কখনও পূরণ করা যাবে না বলে।   মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ যে টার্গেট (লক্ষ্যমাত্রা) দিয়েছে, তা কখনো পূরণ করা যাবে না। আইএমএফ কী টার্গেট দিয়েছে? বলুন। ১২ দিনের ইনকাম হলো আমাদের লায়াবিলিটি। আমাদের যে রেমিট্যান্স আসে সেই পরিমাণও তো আমরা লোন নিচ্ছি না, ১৩০ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমাদের কত আছে, রেমিট্যান্স যা আসে আরও ডাবল করা যায়। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির প্রাণবিন্দু, মূল এলাকা যা আছে, তা হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের রিজার্ভ ভালো অবস্থায় আছে। আমি দাবি করব ভালো।   দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমরা রিফর্ম এনেছি। এই রিফর্মের কারণে এখনো জীবিত আছি আমরা। যদি আমাদের ৬-৯ সুদের হার না থাকত, আমরা যদি আগের মতো সুদের হার ২২-২৪ শতাংশ রাখতাম, তাহলে এতদিন আমরা কোথায় চলে যেতাম, হারিয়ে যেতাম। দেশের অর্থনীতি হারিয়ে যেত দেশের মানুষ হারিয়ে যেত। কিন্তু আজকে আমরা সেই কাজটি করতে দিইনি। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এটা সম্ভব। এর আগে গেল বছরের ৬ জুলাই জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আইএমএফের এখানে কী? তারা যে ঋণ দিয়েছে, তা এই যে কয়েকজন আছেন এখানে, আমরা নিজেরাই শোধ দিতে পারব। আমরা কয়েকজন মিলেই (শোধ দিতে পারব)...। আইএমএফ নামটা অনেক বড়, কিন্তু কী দিয়েছে, জানেন? সেটা আমাদের দুই মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণ। দুই মাসের রেমিট্যান্স হলো তাদের কাছ থেকে পাওয়া আমাদের ঋণ।’  
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়