• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছুটির ৫ দিনে পদ্মা সেতুতে যত টাকার টোল আদায়
৯ থেকে ১৩ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে পদ্মা সেতু হয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩টি। এতে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পার হয়েছে। একইভাবে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পার হয়েছে। সব মিলিয়ে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। সেতু বিভাগের তথ্য বলছে, গেল বছরের তুলনায় এবারের ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে টোল আদায়ের পরিমাণও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা। সেই হিসেবে এ বছর সেতুতে যানবাহন পারাপার কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। এর ফলে গত বছরের তুলনায়  ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা কম টোল আদায় হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৩

টাকার বিনিময়ে অক্ষয়ের নায়িকা হওয়ার সুযোগ!
প্রেক্ষাগৃহে খুব একটা ভালো চলছে না ‘বড় মিঞা ছোট মিঞা’। সিনেবিশেষজ্ঞদের কথায়, এবারেও হয়তো ব্লকবাস্টার অধরা থেকে যাবে অক্ষয় কুমারের। বক্স অফিসে ভাঁটার মাঝেই এবার বিপাকে খিলাড়ি! তার নাম ভাঙিয়ে কাস্টিংয়ের ফাঁদ! অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থার নামে প্রতারণা চালাচ্ছিল জনৈক। টাকা দিলেই নাকি খিলাড়ির নায়িকা হওয়া যাবে কিংবা তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা যাবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়া কাস্টিং এজেন্সি খুলে বসেছিল ওই ব্যক্তি। এবার হাতেনাতে ধরা পড়ল মুম্বাই পুলিশের হাতে। সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম প্রিন্স কুমার সিনহা। ২৯ বছর বয়সি ওই যুবক পূজা আনন্দানী নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং নিজেকে অক্ষয়ের প্রযোজনা সংস্থা ‘কেপ অব গুড ফিল্মস’-এর কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই নারীকে এও বলেছিলেন যে নির্ভয়া মামলার উপর একটি সিনেমা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে পূজাকে কাজ দেওয়া হবে। সেই সিনেমার প্রলোভন দেখিয়ে সে মেয়েটিকে জুহুতে ডেকে তার সঙ্গে দেখা করে। দু’জনেরই প্রথম দেখা হয়েছিল একটি কফি শপে। শুধু তাই নয়, তিনি মেয়েটিকে বিগ বি অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের ফটোগ্রাফারের সঙ্গেও দেখা করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিও যদিও ভুয়া। যদিও সেই প্রতারণায় ফাঁদ পা দেননি পূজা আনন্দানী। তিনি সরাসরি মুম্বাইয়ের জুহু থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই অক্ষয়ের নাম করে ভুয়া কাস্টিং এজেন্সি চালানো ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। যদিও এই প্রতারণা জাল চলাকালীন এইসব বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি খিলাড়ি কুমার নিজে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১২

বিরামপুর সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে সোয়া কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জানান, ঘাসুড়িয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাতে ভারতে সাপের বিষ পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের সমন্বয়ে ঘাসুরিয়া বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দলকে ঘাসুড়িয়া সীমান্তে অভিযানে পাঠানো হয়। এ সময় বিজিবির দলটি সীমান্তের ২৮৯ এর ১নং সাব পিলার থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড় নামক স্থানে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে ১ কেজি পরিমাণ সাপের বিষ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।  ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

যত টাকার মালিক নাগার্জুনা আক্কিনেনি
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা। বর্তমানে নাগার্জুনার বয়স ৬৩। কিন্তু এই বয়সে এসেও রীতিমতো পর্দা কাঁপান তিনি। অভিনয়ে খ্যাতি কুড়ানোর পাশাপাশি অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিকও হয়েছেন নাগার্জুনা। তবে কত টাকার মালিক নাগার্জুনা? সে প্রশ্ন হরহামেশাই উঁকি মারে অভিনেতার ভক্তদের মনে। আসলে তারকাদের লাইফস্টাইল, অর্থ-সম্পদ ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে বরাবরই মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। লাইফস্টাইল এশিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে নাগার্জুনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০১০ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি। সিনেমায় অভিনয় করে এবং বিভিন্ন টিভি শো সঞ্চালনা করে এই অর্থের বেশিরভাগ আয় করেছেন তিনি। জানা গেছে, প্রতি সিনেমার জন্য ২০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন  নাগার্জুনা। টিভি শোয়ের প্রতি এপিসোডের জন্য ৫ কোটি রুপি নেন। এ ক্ষেত্রে কখনও পারিশ্রমিক আরও বেশিও নিয়ে থাকেন। আবার কোনো কোনো সিনেমা থেকে পারিশ্রমিক নয়, লভ্যাংশ নেন নাগার্জুনা। অন্যদিকে বিজ্ঞাপন থেকে ২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন নাগার্জুনা। প্রতি মাসে তার  আয় ৪ কোটি রুপিরও বেশি। প্রতি বছরে দাঁড়ায় ৪৮ কোটি রুপি।  গেল পাঁচ বছরে সিনেমা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন নাগার্জুনা। ২০১৯ সালে সিনেমা থেকে নাগার্জুনা আয় করেন ৩০ কোটি রুপি, ২০২০ সালে আয় করেন ৩৭ কোটি রুপি, ২০২১ সালে আয় করেন ৪৮ কোটি রুপি, ২০২২ সালে আয় করে ৪২ কোটি রুপি, ২০২৩ সালে আয় করে ৪৬ কোটি রুপি আয় করেন তিনি।   শুধু সিনেমায় অভিনয় নয়, ব্যবসাতেও বেশ সফল নাগার্জুনা। বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে এই অভিনেতার। স্টারের কাছে বিক্রি করার আগে তেলেগু মা টিভির মালিক ছিলেন তিনি। বর্তমানে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অন্নপূর্ণা স্টুডিওস দেখাশোনা করছেন নাগার্জুনা। এছাড়া হায়দরাবাদের হাই-টেকে একটি কনভেশন সেন্টার এবং ভারতের রাজধানীতে অন্নপূর্ণা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া রয়েছে তার।  পাশাপাশি হায়দরাবাদেও একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। তার একটির মূল্য ৪২ কোটি রুপি। অভিনেতার জুবলি হিলসে বাড়িটির মূল্য ৫০ কোটি রুপি। অন্নপূর্ণা স্টুডিওস ৭ একর জমির ওপরে প্রতিষ্ঠিত, যার মূল্য ২০০ কোটি রুপি।      তবে শুধুমাত্র অর্থ-সম্পদ কিংবা বাড়িই নয়, বিলাসবহুল গাড়িও নাগার্জুনার। অভিনেতার গ্যারেজে বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে— বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ (মূল্য ১.৭৫ কোটি রুপি), অডি এ৭ (মূল্য ৯০.৫ লাখ রুপি), বিএমডব্লিউ এম৬ (মূল্য ১.৭৬ কোটি রুপি), পোর্শে (মূল্য ২ কোটি রুপি), বিএমডব্লিউ ৫ সিরিজ (মূল্য ১.৫ কোটি রুপি)।     
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায়
বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪৭ হাজার ৭৫৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের সেতু অংশে ৩৩ হাজার ১৩১টি যানবাহন উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬২৪টি যানবাহন ঢাকার দিকে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা। যানবাহন পারাপারের মধ্যে বাস ১২ হাজার ৯২৬টি, ট্রাক ৭ হাজার ৯২০টি, মোটরসাইকেল ৯ হাজার ৩২৪টি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫টি।  আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মাছ লুট
বরগুনার পাথরঘাটার সগির কোম্পানি মালিকানাধী এফবি তারেক-১ নামের একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৫ লাখ টাকার মাছ ও রসদসামগ্রী লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ট্রলার মালিকের বাড়ি উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে। জেলেদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডাকাতি হওয়া এফবি তারেক-১ ট্রলারের মালিক সগির হোসেন বলেন, সোমবার (১ এপ্রিল) পাথরঘাটা ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায় ১৭ জন জেলে। কদিনে অনেক মাছ পায় জেলেরা। ঘটনার সময় রাতে ট্রলারটি সাগরে জাল ফেলে নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে জেলেরা। কিছুক্ষণ পর ডাকাতরা আকস্মিক ট্রলারে উঠে জেলেদের মারধর করে এবং ট্রলারে থাকা জাল, তেল, আহরিত ইলিশসহ অন্যান্য মাছ লুটে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ট্রলারের মাঝি লিটন তাকে জানায়, ডাকাতদের ব্যবহৃত ট্রলারের নাম এফবি আল্লাহর দান এবং তাদের ভাষায় মনে হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা হবে। ট্রলারটিসহ ১৭ জন জেলে সাগর থেকে রওনা হয়েছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারসহ জেলেরা কূলে আসতে রাত হতে পারে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থায় বছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি (ভিডিও)
নাজুক ট্রাফিক ব্যবস্থা, অনিয়ন্ত্রিত যান, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা দখলসহ নানা করণে নিয়ন্ত্রণহীন রাজধানীর যানজট। এর সাথে প্রতিদিন বাড়ছে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর এখন ঢাকা। এতে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। আর বছরে তা ৫৫ হাজার কোটির বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। সবগুলো রুট চালু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।  চারদিক স্থবির, নড়ছে না যানবাহনের চাকা, ট্রাফিক পুলিশের প্রাণান্তকর চেষ্টা। তবে সবই যেন ব্যর্থ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকাই যেন রাজধানীবাসির নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহরের রেকর্ড গড়েছে রাজধানী ঢাকা। যানজট নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের গবেষণা বলছে, ২০২২ সালে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের গড় গতি নেমেছ ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে।  অপ্রতুল ও সরু রাস্তাঘাটের কারণে যানজট বাড়ছে। সাথে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তা ও ফুটপাথ দখল, বিশৃঙ্খল যান চলাচল পরিস্থিকে আরও নাজুক করেছে।  বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, যানজটের কারণে রাজধানীতে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কর্ম-ঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলে প্রতিদিনের ক্ষতি ১৫২ কোটি টাকার বেশী। যানজটের কারণে বছরে জিডিপির ক্ষতি ২.৯ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গত ১২ বছরে আমার ঢাকায় অনেক অবকাঠামো তৈরি করে ফেলেছি। এর মধ্যে  ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। মেট্রোও চালু করে ফেলেছি কিন্তু যানজটের যে পেরেনিয়াল পরিস্থিতি তা থেকে বের হতে পারিনি। আমরা একটা বৃত্তের মধ্যে পড়ে গেছি। গবেষণা বলছে ২০১৭ সালে যানজটে  প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতো, তা এখন দেড়শ কোটিতে ঠেকেছে। একদিকে বিনিয়োগ বাড়ছে অন্যদিকে যানজটের কারণে গতি কমছে। যানজট নিরসনে ১৮টি সংস্থা থাকলেও তারা আশার আলো দেখাতে পারছে না।  ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি সড়কের প্রায় ৬৪ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখে। মানে একটি গাড়ি একজন মানুষ। এসব মানুষকে আমরা যদি মেট্রো মাস ও মেট্রো ট্রেনে শিফট করতে পারি, তাহলেই আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার সুফল পাব। তবে যানজটের নগরীতে আশার আলো দেখাচ্ছে মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি রুট চালু হলে যানজট কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গণপরিবহনকে আমরা যদি ঢেলে সাজাতে না পারি তবে মেট্রো দিয়ে ঢাকা শহরে যানজট নিরসন করা যাবে না। ২০৩৫ সাল নাগাদ আমরা যদি পুরো মেট্রোর নেটওয়ার্কও তৈরি করে ফেলি তাও ১৫ শতাংশের বেশি যাত্রী আমরা মেট্রোতে পরিবহন করতে পারব না। সড়কের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর কথা ভুলে গেলে এতো হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ কোন কাজে আসবেনা।  তিনি বলেন, যানজট নিরসনে আমাদের নীতির পরিবর্তন আনতে হবে। রাজধানীর ৩০ শতাংশ মানুষ হেটেই অফিসে যান। ফুটপাতগুলোকে ঠিক করলে নিরবিচ্ছিন্ন ফুটপাত করলে যানযট ৩০ শতাংশ কমে যাবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩২

ঈদের আগে নতুন টাকার হাটে বেড়েছে ভিড়, দাম কেমন পড়ছে
ঈদের এক অনন্য অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামিতে নতুন নোটের জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকার নোট। পাশাপাশি বখশিশ, ফিতরা বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন নোট বিতরণ করে থাকেন। তাই এখনও অনেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন। ফলে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে নতুন নোট বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান। সময় যত গড়াচ্ছে, নতুন নোটের ব্যবসা তত জমে উঠছে। ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক তা-ই করছে। বাজারে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। গত ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিতরণ শুরু হয়েছে; আগ্রহী সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্যাংকে বিতরণ করা এসব নোট সংগ্রহ করতে অনেক সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ঝামেলা এড়াতে অনেকে ছোটেন ফুটপাতের টাকার দোকানে। রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার এসব দোকানে বেড়েছে ভিড়। তবে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে নতুন নোটের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাথার ওপর একটি ছাতা আর সামনে টাকার বাক্স নিয়ে ফুটপাতে বসে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পুরনো ও ছেঁড়া টাকার নোট বিনিময়ের এ দোকানগুলো ঈদের আগে পরিণত হয় নতুন টাকা কেনাবেচার বাজারে। এ সময় নতুন করে যোগ দেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। অনেকে এ বাজারগুলোকে ‘নতুন টাকার হাটও’ বলেন। রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতের সারি সারি দোকানে দৃষ্টি কাড়ে চকচকে নতুন নোট। হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণে ব্যস্ত বিক্রেতারা। অর্ধশতাধিক দোকানি এখানে দুই টাকা থেকে শুরু করে ১০০ ও ২০০ টাকা পর্যন্ত নোটের নতুন বান্ডিল বিক্রি করছেন। গুলিস্তান টাকার হাটে দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আহসানুল হক। তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক ভিড় থাকে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে পাওয়াও যায় না। এখানে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে হলেও ভোগান্তি নেই। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন। প্রতি বান্ডিলে বাড়তি ২০০-৩০০ টাকাও দাবি করছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই টাকার প্রতি বান্ডিলের (১০০টি নোট) দাম ৩৫০ থেকে ৩৭০ পর্যন্তও হাঁকা হচ্ছে। পাঁচ টাকার বান্ডিলের দাম ৫০০ টাকার বদলে হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। কোথাও কোথাও আরও বেশি। ১০ টাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০ টাকার বান্ডিল ২ হাজার ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার বান্ডিলে বাড়তি খরচ পড়ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ১০০ টাকার বান্ডিলে ২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রাখা হচ্ছে। এবার বাড়তি দামে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জানালেন গুলিস্তানের টাকার ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে সারাদিন খোলা জায়গায় বসে আমরা টাকা বিক্রি করি। এতে দিনে কারও ৫০০ টাকা, কারও ৭০০ টাকা লাভ থাকে। এতেই সংসার চলে। আরেক বিক্রেতা মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের প্রধান ব্যবসা ছেঁড়া-ফাটা নোট পরিবর্তন। এতে রোজগার বেশি। নতুন টাকায় সেভাবে লাভ হয় না। ঈদের আগ মুহূর্তে একটু বাড়তি আয় হয়। এবার সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন টাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৩১ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারছেন গ্রাহকরা। এবার ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ নোট বিনিময়। গুলিস্তানের একজন ক্রেতা মো. হান্নান ফিরোজ অভিযোগ করেন, ব্যাংকে গেলে যা চাওয়া হয় তার অর্ধেক ধরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ হাটে টাকার অভাব নেই। এগুলো তাহলে আসছে কোথায় থেকে। তার ওপর ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। টাকার দাম এত হারে বাড়ে কীভাবে। এটা তো আর পেঁয়াজ-রসুন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। এ টাকার বান্ডিলে লাভ রেখে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেন।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি : জানা গেল লুট হওয়া টাকার পরিমাণ
বান্দরবানের থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ডাকাতির ঘটনায় কত টাকা লুট হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন। এ সময় ডাকাতরা ব্যাংক দুটির ভল্ট খুলতে পারেনি বলেও জানান তিনি।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব তথ্য দেন ইউএনও মামুন। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত ডাকাতি করে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তবে ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।’  এ সময় ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা যায়নি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

তুলা চাষে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা 
দেশে তুলার উৎপাদন বাড়াতে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।  সোমবার (১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের ২৬টি জেলার ১২ হাজার ৩৭৫ জন কৃষক জনপ্রতি এক বিঘা জমিতে তুলা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় হাইব্রিড তুলা বীজ, ২৬ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার এবং বিভিন্ন রকমের বালাইনাশক ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক বিনামূল্যে পাবেন। এসব উপকরণের বাজারমূল্য ৮ হাজার টাকা। এদিকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফখরে আলম ইবনে তাবিব জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো তুলা চাষে কৃষকদের  প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।  কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়