• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
শোচনীয় হারের পর আরও এক দুঃসংবাদ পেলো টাইগাররা
সিলেট টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে টাইগাররা। ৩২৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে শান্ত-মিরাজরা। এরপর আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের জায়গা হারিয়েছে তারা। তালিকার চার থেকে সাতে অবনমন হয়েছে টাইগারদের। অন্যদিকে, বিশাল জয়ে তলানি থেকে ছয়ে ওঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ১৮২ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। এতে চতুর্থ দিনে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হারে বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। যেখানে শ্রীলঙ্কা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে।  ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্ট। তবে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এই টেস্টই ছিল সবার চেয়ে পিছিয়ে। ওয়ানডেতে বিশ্বকাপের পাশাপাশি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টি-টোয়েন্টির জন্য ছিল বিশ্বকাপ। সঙ্গে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর তো নিয়মিত দর্শক টানছে শর্টার এই ফরম্যাটে। বাকি ছিল টেস্ট। সেটাকেও প্রতিযোগিতার মোড়কে এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।  আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তবে আইসিসির নিয়মের কারণেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নতুন এক রঙ পেয়েছে। বেশি টেস্ট খেলা দলগুলো বাড়তি সুবিধা যেন না পায়, সেই ভাবনায় এখানে পয়েন্টের বদলে বিবেচনায় আনা হচ্ছে পয়েন্ট শতাংশের হিসেব। আর তাতেই জমে উঠেছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। প্রতিনিয়ত রদবদল হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থান। এই মুহূর্তে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। এখনও অবধি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে ৯টি ম্যাচ খেলে ৬টিতে জিতেছে ভারত। দুটি হার ও এক ড্র। ভারতের পয়েন্ট ৭৪। পয়েন্টের শতাংশ  ৬৮.৫১।  এ ছাড়া দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১২টি টেস্টের মধ্যে ৮টিতে জিতেছেন তারা। তিনটি ম্যাচ হেরেছেন। আর একটি ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৯০। তাদের পয়েন্টের শতাংশ ৬২.৫০। এ ছাড়াও ৬ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে সেরা তিনে আছে নিউজিল্যান্ড। সেরা এই তিন দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে শীর্ষস্থান দখল করা নিয়ে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী, একেকটি দল প্রতিটি জয়ের জন্য ১২ পয়েন্ট, টাই করলে ৬ পয়েন্ট ও ড্র করলে ৪ পয়েন্ট করে পায়। হারলে কোনো পয়েন্ট যোগ হয় না। আর মন্থর ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৪

লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের খরা কাটাতে মাঠে নামবে টাইগাররা
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের পর এবার ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় মাঠে নামবে দুই দল। ২০২২ সালে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ২০২৩ সালে কোন টেস্ট সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে নিজেদের প্রথম টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই টাইগাররা। ঘরের মাঠে খেলা তিন সিরিজের মধ্যে দুটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয় পেলেও, শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে টাইগাররা। সবশেষ সিরিজগুলোর ফল দেখে টেস্টে টাইগারদের উন্নতির চিত্র ফুটে উঠেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটিই হবে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। গত বছর ঘরের মাঠে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তর অধীনে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তিন ফরম্যাটে দায়িত্ব নেওয়ার পর টেস্ট ফরম্যাটে দেশের বাইরে প্রতিপক্ষের সাথে সমানতালে লড়াই করা এবং ঘরের মাঠে যতটা সম্ভব ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য স্থির করেন শান্ত। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে কখনও টেস্ট জিততে পারেনি টাইগাররা। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট জয়ের জন্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৭ সালে কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ।  অবিস্মরণীয় ঐ টেস্ট জয়ের দুই নায়ক সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে এই ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। চোখের সমস্যার কারণে আগেই সিরিজ থেকে সরে গেছেন সাকিব। আর তামিমের আন্তর্জাতিক ভবিষ্যৎ প্রায় শেষের দিকে। একমাত্র জয়ের সাথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮টিতে হার এবং পাঁচটি টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কার জয় ৭টিতে এবং বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়। সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতি এবং টেস্ট থেকে আগেই অবসর নেওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ না থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে প্রধান ভরসা ছিলেন মুশফিক। ওয়ানডেতে বিপর্যয়ের মুখ থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করে নিজের সেরা পারফরমেন্স দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন মুশফিক। তার অভিজ্ঞতা টেস্ট সিরিজেও বড় ভূমিকা রাখতে পারতো। মুশফিকের জায়গায় টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া তাওহিদ হৃদয়কে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তরুণদের চেয়ে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি প্রয়োজন। মুশফিকুরের শূন্যস্থান হৃদয় কিভাবে পূরণ করতে পারেন, সেটিই দেখার বিষয়। বাংলাদেশ টেস্ট দলে নতুন মুখ হিসেবে আছেন এই মুহূর্তে দেশের দ্রুততম পেসার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নাহিদ রানা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের গতির বোলিং করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। চারজন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ দল সাজানোয়  ধারনা করা হচ্ছে সিলেটের উইকেট পেস সহায়ক হবে । অন্যদিকে, দলে সেরা মানের স্পিনারদেরই রেখেছে লঙ্কানরা। কিন্তু সফরকারীদের শক্তির জায়গাকে কাজে লাগাতে দিবে না বাংলাদেশ।  বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মোমিনুল হক, তাওহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ. মুশফিক হাসান, নাহিদ রানা। শ্রীলঙ্কা দল : ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), দিমুথ করুনারতে, নিশান মাদুশকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দিনেশ চান্দিমাল, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, লাহিরু উদারা, প্রবাথ জয়সুরিয়া, রমেশ মেন্ডিস, নিশান পেইরিস, কাসুন রাজিথা, বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও চামিকা গুনাসেকারা।
২১ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

জয় দিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা
জয় দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর লক্ষ্যে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে, দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে লঙ্কানরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানে রোমাঞ্চকর জয় পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পেসার নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। সিরিজে প্রথম খেলতে নেমে ২০ রানে ৫ উইকেট নেন থুসারা।   এদিকে ইনজুরি আক্রান্ত মাথিশা পাথিরানার জায়গায় ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ পেয়েছেন থুসারা। এজন্য থুসারাকে সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ানডে খেলতে নামতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ভাষ্য, আত্মবিশ্বাস পেতে হলে আমাদের ভালো শুরু করতে হবে। আশা করি, আমরা নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে পারবো। এদিকে দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ ওয়ানডেটি ‘টাইম আউট’ ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং পরবর্তীতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রভাব ফেলে এটি। প্রথম ম্যাচে লঙ্কান ওপেনার আবিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করে ‘টাইম আউট’র অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। পুরো সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা ও সম্পর্ক যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আউট হবার পর লঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাওহীদ হৃদয়ের। পরবর্তীতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবার পর প্রতিপক্ষকে খোঁচা মেরে ‘টাইম আউট’ উদযাপন করে সফরকারীরা। যা বাংলাদেশ শিবিরে ক্ষোভের জন্ম দেয়। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে শান্তর দাবি, ‘টাইম-আউট’ ঘটনা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, তবে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। শান্তর ভাষ্যমতে, আমি মনে করি, এটি থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। তাদের বর্তমানে থাকা উচিত। আমরা নিয়মের মধ্যে ছিলাম (টাইম-আউট নিয়ে)। কিন্তু এটি নিয়ে তারা মেতে আছে। আমি এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই। তবে পরিস্থিতি যেমন অবস্থায় আছে, তাতে এটি স্পষ্ট যে ওয়ানডে সিরিজেও ‘টাইম আউট’ বিষয়টি বড় আকার ধারণ করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ‘টাইম আউট’র মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউসকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৮২ রানের আক্রমণাত্মক এক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তখনকার টাইগার অধিনায়ক সাকিব। এখন পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে টাইগাররা ১০টিতে এবং লঙ্কানরা ৪২টি জিতেছে। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরটি লঙ্কানদের জন্য হতাশার ছিল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো সিরিজই জিতেছে দলটি। এ ছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং এশিয়া কাপ জয়ের নজির আছে তাদের। বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে জয় ও ৬টিতে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে। কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শ্রীলঙ্কার আধিপত্য চুরমার করে বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফল বিবেচনায় ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিট বাংলাদেশ।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯

জয়ের পথে হাঁটছে জুনিয়র টাইগাররা
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে জুনিয়র টাইগারদের ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দ্য গ্রিন ম্যানরা। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৫ রানেরই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এতে ১৫৬ রানের লক্ষ্য পায় শিবলি-রাব্বিরা। সেমিতে উঠতে ৩৯ ওভারের মধ্যে এই লক্ষ্য ভেদ করতে হবে টাইগারদের। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে  দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১২ বলে ১৯ রান করে জিশান আউট হলে, ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শিবলি। এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটারও। ২০ বলে ৩০ রান করে কট আউট হন তিনি। এতে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি আমিন। ২৩ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আমিনের বিদায়ের পর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরিফুলও। ২০ বলে ১৪ রান করে পয়েন্টে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এই প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত ২৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ রান। মাহফুজুর রহমান রাবিব ১২ ও শিহাব জেমস ২৫ রানে ব্যাট করছেন।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়