• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুরে ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেছেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের অভিযান কঠোরভাবে পালিত হয়েছে। জেলেদের নদীতে নামতে দেওয়া হয়নি। ফলে জাটকা চাঁদপুর অতিক্রম করে আবার সাগরে যেতে পেরেছে। সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করায় আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রার ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের তিন নদীর মোহনা ও আশপাশের এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০টি স্পিডবোট দিয়ে দিনেরাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রমজান মাসেও জেলা-উপজেলা প্রশাসন, আমাদের মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নদীতে অবস্থান করেন। যে কারণে অন্য জেলার জেলেরা নদীতে নামতে পারেনি। এরপরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অভিযান চলাকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সদরের আনন্দবাজার জেলেপল্লি এলাকায় জেলেদের সঙ্গে অভিযান সম্পর্কে মতামত জানেন এবং তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগে

২ টন কফি পাউডারসহ চালক-হেলপার আটক     
নোয়াখালীর হাতিয়াতে ট্রাকবোঝাই ২ টন কফি পাউডারসহ চালক-হেলপারকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চোরাই মালভর্তি আরও একটি ট্রাক পালিয়ে যায়।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মুছাহে কালীর ছেলে ট্রাকচালক মো. শহীদুল ইসলাম (৪৫) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাঘপাচরা গ্রামের মৃত সফিউল্যার ছেলে হেলপার মো. শাহজান (৩৫)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের দিকে ভাসানচর থেকে আসা একটি জাহাজ থেকে চোরাকারবারিরা জনতা ঘাট থেকে দুটি কাভার্ডভ্যানে মাল বোঝাই করে। এরপর একটি কাভার্ডভ্যান অন্য একটি রাস্তা দিয়ে চলে যায়। অপর কাভার্ডভ্যানটি উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার পথে সড়কে থাকা ব্রিজ ভেঙে আটকা পড়ে। পরে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ টন কফিসহ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করে। একই সময়ে চালক-হেলপারকেও আটক করা হয়। নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চোরাকারবারিরা ভারত অথবা বার্মা থেকে কফি পাউডারগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে এখানে নিয়ে আসেন। তবে তারা এখন পর্যন্ত এর বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭০০ টন আলু আমদানি
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানির প্রথম দিনেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৭ ট্রাকে ৬৯৪ টন আলু আমদানি হয়েছে। তবুও বেড়েছে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম। হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ছোট আলু ৪০ টাকা এবং বড় আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে হিলির বাজারে দেশি বড় জাতের আলু ৪৫ টাকা এবং ছোট জাতের আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে আলুর সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত আলুগুলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য থেকে আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ২০০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন।  হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আশরাফ তালুকদার বলেন, আলু প্রতিদিন খাবারের তালিকাতে রাখতে হয়। যার জন্য আলুর চাহিদা অনেক বেশি। তবে প্রতিদিন যেভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে তো আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে। গত সপ্তাহে আলু কিনেছিলাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যেই। এখন সেই আলু কিনতে হলো ৫০ টাকা দরে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন করে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।  তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর জোর দাবি জানান এ ক্রেতা।  হিলি বাজারের আলু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, দেশের আলুর অধিকাংশই কৃষকরা স্টরে রেখে দিয়েছে। যার ফলে মোকামে আলুর সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে দেশি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় প্রশাসন আমাদের খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু মোকামে তো অভিযান পরিচালনা করে না। যদি প্রশাসন মোকামে অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমে যেতো। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ৪০৫ টন আলু আমদানি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি সপ্তাহের ২ কর্মদিবসে ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০৫ টন আলু আমদানি হয়েছে। এরপরও কমছে না খুচরা বাজারে আলুর দাম। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি বড় জাতের আলু ৩২ টাকায় এবং দেশি ছোট জাতের আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ৩০ টাকা দরে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি মোকামে বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।  হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তবুও খুচরা বাজারে দাম কমছে না। আমরা সাধারণ মানুষ আলু কিনতে গিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়ছি। ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে আলুর দাম অনেকটাই বেশি।  এ দিকে কিছু কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।  এ বিষয়ে হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তবুও মোকামে আলুর দাম বেশি। কারণ অনেক কৃষক আলু বিভিন্ন স্টরের রেখে দিয়েছেন। যার ফলে মোকামে আলুর চাহিদা বেশি হয়েছে। আমরা বেশি দামে আলু কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২১

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসতে যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে আগামীকাল শুক্রবার।   বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে ২৯ মার্চের (শুক্রবার) মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায় দেশের বাজারে।   কিন্তু পরবর্তীতে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দেশের বাজারে কমতে থাকে পণ্যটির দাম।  অবশেষে গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

ভারত থেকে এলো ১ হাজার টন আলু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৪টি চালানে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ১৩ মার্চ ৮ ট্রাকে ২০০ টন, ১৪ মার্চ ৮ ট্রাকে ২০০ টন, ১৯ মার্চ ১২ ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন এবং শেষ ২৪ মার্চ রাতে আরও ১২ ট্রাকে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস।  তিনি আরও বলেন, আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আশা করি, দ্রুতই খালাস হয়ে যাবে। এ দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানিকৃত আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন এরইমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়করণ করা হয়েছে। শেষ চালানের ১২ ট্রাকের ৩০০ টন আলু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।  উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বর তিন ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবার বেসরকারিভাবে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন।  প্রথম পর্যায়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনুমোদন দেওয়া হবে। খাদ্য সচিব জানান, দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা এক লাখ মেট্রিক টন। মূলত বাজার সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানির এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে হঠাৎ করে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমনের মৌসুম শেষ এবং বোরো চাষ শুরু হবে। মাঝে এক থেকে দেড় মাসের একটি গ্যাপে চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করতে পারে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। তাই আমদানির এই অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এদিকে চাল আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনুমোদন পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চাল পুনরায় প্যাকেটজাত না করে বিক্রি করতে হবে মূল বস্তাতে করেই।   
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

ভারত থেকে আরও ৩০০ টন আলু আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও একটি চালানে ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১২টি ট্রাকে এই আলু আমদানি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান।  আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালানটি খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার রাতে ভারত থেকে আমদানি করা ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রাতে ১১টি ট্রাকে আলুর চালান প্রবেশ করেছে। আরও একটি ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানিকারক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে দ্রুত ছাড় করার জন্য সহযোগিতা করা হবে। এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই চালানে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

১০ হাজার টন চিনি কিনবে সরকার
রমজান উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  বুধবার (২০ মার্চ) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ১৬০ টাকা কেজি দরে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে এই চিনি কেনা হবে। টিসিবি এসব চিনি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই চিনি কেনা হবে। যেহেতু বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কিছু স্টক রয়ে গেছে। ওই স্টক থেকে আপতত কেনা হবে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করতে একটু সময় লাগছে। এখন যেহেতু এক কোটি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাই সাময়িকভাবে সরকার টু সরকার ১৬০ টাকা কেজি দরে চিনি কেনা হচ্ছে। এই চিনি সরকারি মিলে উৎপাদিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়