• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশন এলাকা থেকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত (৪৫) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় হিলি স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী নীলসাগর ট্রেনের সঙ্গে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ক্রসিংয়ের সময় পঞ্চগড় ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে রেলওয়ে পুলিশে খবর দেন।  হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে আসা মরদেহের দুই পা থেঁতলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তবে তার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল ২ শিশুকন্যা ও মায়ের মরদেহ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মা ও তার দুই শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর স্বামী আরিফ রাঢ়িকে আটক করা হয়েছে।  এ ঘটনায় মৃতরা হলেন, ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫), তার মেয়ে আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামের রাঢ়ির বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সীমার পিতা পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, সামাজিকভাবে গত ছয় বছর পূর্বে আরিফের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাইতে যান। গত একমাস পূর্বে বাড়িতে এসেছেন। তার মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে কি না এমন কথা মেয়ে কখনো জানায়নি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এ বিষয়ে বক্তব্যর জন্য আরিফের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দুপুরে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। প্রবাস ফেরত আরিফের দালান ঘরে এসে আমরা তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হয় কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। দরিদ্র পরিবার মনে হয়নি। তাদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ়। তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তার স্ত্রী স্বামী আরিফ পরকীয়া লিপ্ত আছে বলে সন্দেহ করত। ওসি আরও বলেন, আমাদের ধারণা পরকীয়া বিষয়টি কেন্দ্র করেই এই আত্মহত্যার ঘটনাটি হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর পর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি, ওসি তদন্ত, সেকেন্ড অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সামনেই নিহত সীমা ও আরিফের স্বজনদের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। কিছুক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়।   
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, দেবর আটক
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দেবর মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়াডে আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত মেহেরুন্নেছা ওই গ্রামের বশির আহাম্মদের পুত্র প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী এবং উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ির আবদুল কাদেরের মেয়ে।  পুলিশ সূত্র ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের পর ছুটি শেষে মঞ্জু দেড় মাস পূর্বে বিদেশে কর্মস্থলে ফিরে যায়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মত খাবার শেষ করে নিজের রুমে ঘুমাতে যায় ওই গৃহবধূ। বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যায়।  এদিকে বেলা ১০টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছা তার শয়ন কক্ষের রুম না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থা তার দেহ ঝুলছে।  খবর পেয়ে মডেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।  হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক আলি আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবরকে আটক করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

রডের সঙ্গে ঝুলছিল শিশু ফারজানার মরদেহ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফারজানা আক্তার (৯) নামের এক শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানায়। যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া মালিবাড়ী এলাকায় পরিবারসহ থাকেন। জানা গেছে, নিহতের বাবা নুর উদ্দিন কাঁচামালের ব্যবসায়ী এবং তার মা রাবেয়া পোশাকশ্রমিক। মঙ্গলবার মেয়েকে রেখে তারা কাজে যান। রাতে রাবেয়া বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মেয়েকে সিলিংফ্যানের রডের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।  এরপর ফাজানাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশোনা করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

চেয়ারের সঙ্গে স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা, ফ্যানে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে চোখের সামনেই আহাদ (২৮) নামে এক যুবক সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে পৌরসভার খরাবর এলাকায় আলিম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আহাদ নাটোর জেলার লালপুল থানার যুগাদা ইশ্বরদী গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। পরিবার নিয়ে সে পৌরসভার খরাবর এলাকায় আলিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কাজ করতেন প্রাণ আর এফ এল এর উপজেলা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। জানা গেছে, আহাদ তার স্ত্রী লিমা খাতুনকে (২০) নিয়ে ১ মাস যাবত ঘাটাইল পৌরসভার খরাবর এলাকায় আলিম উদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাদের ২ মাস বয়সি একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।  প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এর জের ধরেই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আহাদ তাদের থাকার ঘরে দরজা দিয়ে স্ত্রী লিমা খাতুনের হাত-পা চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীর সামনেই সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় স্ত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে সাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে আহাদকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে স্ত্রী লিমা খাতুন কোনো মন্তব্য করেনি। ঘাটাইল থানার এস আই রফিকুল ইসলাম জানান, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০

গোয়ালে পড়ে ছিল মায়ের মরদেহ, গাছে ঝুলছিল সন্তান
পাবনার চাটমোহরে দিঘুলিয়া গ্রামে লাবনী খাতুন (৩৫) ও তার শিশু ছেলে রিয়াদ হোসেনের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময়ে তাদের হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- লাবনী খাতুন ও রিয়াদ হোসেন দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী-সন্তান। রশিদ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফৈলজানা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এমনি কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তাদের। কে বা কারা তাদের এভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা প্রশাসন ভালো বলতে পারবেন। স্থানীয় মেম্বার মো. নান্নু বলেন, ওই বাড়িতে ওই নারী ও তার শিশু ছেলে ও শ্বাশুড়ি বসবাস করতেন। বাড়ির ভবন তৈরি কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে- কেউ হয়তো টাকা-পয়সা চুরি বা ডাকাতি করতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।  চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়