• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অধিক আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার ৭৬ শতাংশ মার্কেট-শপিংমল
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। প্রতিটি ঘটনার পরই বেরিয়ে আসছে গাফিলতি ও তদারকির অভাবের চিত্র। ঝুঁকি সম্পর্কে না জেনে মানুষ খেতে যাচ্ছে, কেনাকাটা করছেন, সেই সঙ্গে বসবাসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছে, মারাও যাচ্ছে। একটি ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন নড়েচড়ে বসে ফায়ার সার্ভিসসহ প্রশাসন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই, আর কার্যক্রম চলতে থাকে এসব ঝুকিপূর্ণ মার্কেট, শপিংমল ও ভবনে। সারা দেশে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৩৩৭টি মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে আছে ২ হাজার ৮১টি ভবন। আর এর মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে রাজধানীর ২ হাজার ৬০৩টি ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৬টি মার্কেট-শপিংমল। তালিকায় রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ভবন। ফায়ার সার্ভিসের ২০২৩ সালে পরিদর্শন প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমল অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার ১ হাজার ২০৯টি ভবনের মধ্যে ১২৭টি ছিল অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আর সাধারণ ঝুঁকিতে ছিল ৬০২টি। পরিদর্শন করা মার্কেট ও শপিংমলের মধ্যে প্রায় ৭৫ দশমিক ৯০ ভাগই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থাপনায় যে কোনো সময় আগুন লাগতে পারে।  অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো : রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, বরিশাল প্লাজা মার্কেট, আলাউদ্দিন মার্কেট, শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, শহিদুল্লাহ মার্কেট, শরীফ মার্কেট, মায়া কাটরা (২২ মার্কেট) ও সিদ্দিকবাজারের রোজনীল ভিস্তা।  মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভবনগুলো হলো : আলম সুপার মার্কেট, উত্তরা মার্কেট (খিলগাঁও), সালেহা শপিং কমপ্লেক্স, মনু মোল্লা শপিং কমপ্লেক্স, লন্ডন প্লাজা শপিংমল, এ কে ফেমাস টাওয়ার, রোজভ্যালি শপিংমল, মেহের প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, চিশতিয়া মার্কেট, নেহার ভবন, ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স, ইসমাইল ম্যানশন সুপার মার্কেট এবং সুবাস্তু অ্যারোমা শপিংমল। সাধারণ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ভবনগুলো হলো : বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেট, তিলপাপাড়া মিনার মসজিদ মার্কেট, হাজী হোসেন প্লাজা, ইসলাম প্লাজা, নিউমার্কেট (কোনাপাড়া, ডেমরা), আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, এ হাকিম কমপ্লেক্স, বাচ্চু মিয়া কমপ্লেক্স, ড্রিমওয়্যার, এশিয়ান শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, ফেয়ার প্লাজা, শেপাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড, নাসা মেইনল্যান্ড, জাকারিয়া ম্যানশন, হাজী আব্দুল মালেক ম্যানশন, ইপিলিয়ন হোল্ডিং লিমিটেড, গ্লোব শপিং সেন্টার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট (উত্তর ডি ব্লক), নুরজাহান সুপার মার্কেট, হযরত বাকু শাহ হকার্স মার্কেট, ইসলামিয়া বই মার্কেট, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, সিটি প্লাজা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, হান্নান ম্যানশন, নগর প্লাজা, রোজ মেরিনাস মার্কেট এবং দুকু টাওয়ার। জানা গেছে, কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিককে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কিছুই করার থাকছে না। তবে ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের আছে। তবুও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই মামলার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। নারীদের কাছে জনপ্রিয় মার্কেট ঢাকার গাউছিয়া ও উল্টো দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে যান। অথচ তারা জানেন না মার্কেট দুটি আগুনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। গাউছিয়া ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটকে ২০১৯ সালে অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিলে আগুন লাগে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে। গাউছিয়া মার্কেটের দোকানমালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, কমিটি বিষয়টি বলতে পারবে। তিনি কিছু জানেন না। সাধারণ ঝুঁকিতে থাকা খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আমাদের এখনো কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কেন আমাদের ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে জানি না। তবে যতটুকু জানি, আমাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার লিটার। এটা খুবই অপ্রতুল। কম করে হলেও এখনে এক লাখ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন রিজার্ভ ট্যাংক প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও লাভ হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবেই ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করি। যেসব ভবনে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে, সেসব ভবন কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নোটিশ দিই। আইনে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় আমরা এসব ভবনের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে এসব ভবনে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে মামলা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়না। যেমন বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয়না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিল গালা করতে পারিনা। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন  মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।’
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

বেড়িবাঁধ সংস্কারে বন উজাড়, ঝুঁকিতে সমুদ্র উপকূলের মানুষ
ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে সমুদ্র উপকূলকে রক্ষায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকলেও হয়েছে তার বিপরীত। বাঁধ নির্মাণে ধ্বংস করা হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। কাজের মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। বাঁধে ব্যবহার করা হয়েছে বালু মিশ্রিত সংরক্ষিত বনের মাটি। উজাড় করা হয়েছে প্রায় শত একর বনভূমি। বনের জমিতে দিঘি কেটে বানানো হয়েছে মাছের ঘের। বন ধ্বংস বন্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো সুফল আসেনি। উল্টো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ৪৮নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-১ প্রকল্পের আওতায়, প্যাকেজ-২ এর কাজ শেষ করার কথা ছিলো ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি। পরবর্তীতে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা রয়েছে। শুরুতে এ কাজ চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআইসিও (সিকো) শুরু করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তারপরই শুরু হয় নানা অনিয়ম, ওঠে নানা অভিযোগ। উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করেছে। এমনকি বালু মিশ্রিত মাটি আনা হয়েছে সংরক্ষিত বনের ভেতর থেকে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষের জানমালের রক্ষাকবচ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিশালাকৃতির হাজার হাজার গাছ উপড়ে বড় বড় দিঘি তৈরি করা হয়েছে। বনের মালিকানা দাবিতে এসব দিঘিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন। ফলে সমুদ্র বেষ্টিত উপকূলের সবুজ বেষ্টনী দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ভেস্তে গেছে সরকারের মূল পরিকল্পনা। এসব অনিয়মে জড়িত রয়েছেন পাউবো ও বনবিভাগের কর্তাব্যক্তিরা এমন দাবি ভুক্তভোগীদের। বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীদের অভিযোগের শেষ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল সিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে এসব মাটি বালু মিশ্রিত। গঙ্গামতি সংরক্ষিত বনের গাছ বেকু দিয়ে উপড়ে ফেলে মাটি আনা হয়েছে। বন উজাড় করে মাটি এনে ব্যবহার করা হয়েছে বেড়িবাধেঁ। এ বিষয় তারা বিভিন্ন সময় বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা দেখছি, দেখবো বলে আশ্বস্ত করলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগ বন উজাড় করার পেছনে বন বিভাগের কর্মকর্তারাই দায়ী। বনের উপকারভোগী মো. হেমায়েত ফকির বলেন, বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে শত শত একর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে। বন বিভাগ শুধু কয়েকটি মামলা করেই তাদের দায়িত্ববোধ শেষ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সাব ঠিকাদাররা বন ধ্বংস করে মাটি এনে বেড়িবাঁধে ব্যবহার করেছে। হাজার কোটি টাকার বনভূমি উজাড় করা হয়েছে দাবি তার। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে জীবন নাশের। কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদ দেওয়ান বলেন, সাব ঠিকাদাররা বেড়িবাঁধে সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। মাটির চেয়ে বালুর ব্যবহার বেশি করা হয়েছে। রাতের আঁধারে বাঁধের ঢাল থেকে বালু উঠিয়ে বাঁধের মধ্য দিয়ে ওপরে শুধু মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এ কাজ বন্ধ করে দেন এবং পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে আবার কাজ শুরু করা হয়। এ ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বন উজাড় করার কারণে ঝড় বন্যার সময় ঝুঁকি বেড়েছে। মাটির পরিবর্তে বাঁধে বেশির ভাগই বালু ব্যবহার করায় বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে। বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, জনবল সংকটের মধ্যেও তারা বন রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বন রক্ষায় তারা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তারা কয়েক দফা পরিদর্শন করেছেন।   পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উপকূলীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে বেশ কিছু অভিযোগ ছিলো। সেগুলো সমাধান করেই কাজ চলমান রয়েছে। তবে বাঁধে ২৫ ভাগ বালু ব্যবহার করার বিধান রয়েছে। বাঁধে বনের মাটি ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানান, বাঁধে মাটি কিনে ব্যবহার করা হয়েছে। সাব ঠিকাদাররা কোথা থেকে মাটি এনেছে এটা তাদের জানার কথা নয় বললেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন রক্ষার জন্য বনবিভাগকে আরও সর্তক থাকতে হবে। তার কাছে এমন অভিযোগ এলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে কয়েকটি ডাম্প ট্রাক ও বেকু জব্দ করা হয়েছে। বনের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে বনের জমির মালিকানার প্রশ্নে তিনি জানান, কীভাবে তারা বনের জমির মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা মামলাসহ নানামুখী উদ্যোগের কথা বললেও ইতোমধ্যে কুয়াকাটার গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন, লেম্বুর বনসহ উপকূলের কয়েক শত বনভূমি উজাড় হয়ে গেছে। বনপ্রেমীদের মতে হাজার কোটি টাকার বন ধ্বংস করা হয়েছে। এর দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন উপকারভোগীদের। উপকূলের রক্ষাকবচ খ্যাত সংরক্ষিত বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জোর দাবি স্থানীয়দের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে মেট্রোরেল
বিদ্যুতের ঘাটতি ও সিগন্যাল সিস্টেমে ত্রুটির কারণে শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে মেট্রোরেল। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিডিউল অনুযায়ী মেট্রোরেল পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্বে থাকা এএসআই মাহদি হাসান জানিয়েছেন, মেট্রোরেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ার কারণে আজকে এমনটা হয়েছে। এই সমস্যার স্থায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ২ মিনিটেও ঠিক হতে পারে আবার ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে।   আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চারটি ট্রিপ শেষে শিডিউলের এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে মেট্রো চলাচল স্থগিত করা হয়নি। মেট্রোরেলের একজন নিয়মিত যাত্রী নাসিমা খাতুন। তিনি জানান, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শাহবাগ যাওয়ার জন্য মিরপুর-১০ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন আসে ৮টা ১৩ মিনিটে। কিন্তু যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়ের কারণে তিনি তাতে উঠতে পারেননি। পরের ট্রেনটি আসে আরও ১০ মিনিট পর। এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেওড়াপাড়া বা কাজীপাড়া এলাকায় মেট্রোর তারে ঘুড়ি জড়িয়ে পড়ায় মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মেট্রো চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সমস্যার সমাধান করে চলাচল শুরু হয়।   এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে সমস্যার কারণে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে সিগন্যাল সিস্টেমে অসুবিধার কথা বলেছিলেন ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া। এদিকে রাজধানীতে মেট্রোর যাত্রার পর বিদ্যুৎ লাইনে তার পড়া এবং ফানুস আটকে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।    
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭

রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঝুঁকিতে আরও ১৩ কোটি
২০২৩ সালে রেকর্ড ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। শুধু তাই নয়, আরও ১৩ কোটি মানুষ আশ্রয় হারানোর ঝুঁকিতে আছেন ২০২৪ সালে। এছাড়া বিগত এক দশকের মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। বিদায়ী বছরটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ২৯টি দেশ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এতে ২০২৩ সালের বড় এবং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটি তালিকাও করেছে সংস্থাটি। তালিকায় স্থান পেয়েছে ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক আইএসএফের সংঘাত, মে মাসে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোচা, গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধসহ বিভিন্ন ঘটনা। সংস্থাটি বলছে, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে— তত সংখ্যক বিপর্যয় বা দুর্যোগ গত এক দশকের মধ্যে ঘটেনি।  ইউএনএইচসিআরের এক্সটার্নাল রিলেশনস বিভাগের পরিচালক ডমিনিক হাইড, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন কোটি কোটি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করার পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার জন্য হাত পাততে বাধ্য করেছে। বস্তুত ২০২৩ সালে দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বের অজস্র মানুষকে যে ভয়াবহ ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে— তা এক কথায় অবর্ণনীয়।’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট বাস্তুচ্যুত ও শরণার্থীর সঙ্গে যোগ হয়েছে মোট ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। এর আগে কখনও বিশ্বে এক বছরে এত সংখ্যক মানুষ আশ্রয়হীন হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আশঙ্কার বিষয় হলো, চলতি বছর এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউএনএইচসিআরের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন আরও ১৩ কোটি মানুষ। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। একই বছর লিবিয়ার ৫ প্রদেশে প্রবল বর্ষণ এবং হড়কা বানে বাড়িঘর, সহায় সম্পদ হারিয়েছেন ৯ লাখ মনুষ। ঘুর্ণিঝড় মোচার জেরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ১ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে সুদানে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘাতে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৭০ লাখ মানুষ। এছাড়া অক্টোবরে হেরাত প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে বাড়িঘর হারিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। একই মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ক্ষুধা-তৃষ্ণা ও ওষুধের অভাবে অবর্ণনীয় জীবন অতিবাহিত হচ্ছে তাদের। চলমান আগ্রাসনে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। উপরন্তু গাজায় এই হামলা ও অভিযান ২০২৪ সাল জুড়েই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।   এছাড়া আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাতের কারণে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার ১ লাখেরও বেশি মানুষ। মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক(ডি আর) কঙ্গোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।  ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বছরজুড়ে এসব দুর্যোগের ক্ষেত্রে সংস্থার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেওয়া এবং সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে ইউএইএইসিআর পরিচালিত শরণার্থী শিবিরগুলোতে বর্তমানে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আশ্রিত অবস্থায় রয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।  
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮

তীব্র শীত / ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্করা, ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু
পুরো দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। চলতি জানুয়ারি মাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে শিশুদের ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। শীতের সময় শিশু ও বয়স্করা বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। রয়েছেন বয়স্করাও। এছাড়া অনেকে আবার বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করাচ্ছেন। অর্থাৎ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর ভিড় বাড়ছে। আলী আহমেদ। বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। পরিবার নিয়ে থাকেন মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায়। ৮ বছরের ছেলে শান্তকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, ছেলেটার তিন চারদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। প্রথমে বুঝতে পারিনি। এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাইয়েছি। গ্যাসও (লেবু লাইজার) দিয়েছি। ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আজ অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তিনি আরও বলেন, ডাক্তার দেখিয়েছি। কিছু টেস্ট করিয়েছে ডাক্তার। রিপোর্ট ভাল। এখন আল্লাহর রহমতে ভাল আছে। বাসায় চলে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের শিশু মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান গণমাধ্যমকে জানান, এখানে অন্যান্য সময় যত শিশু রোগী আসতো, শীতের প্রকোপে জানুয়ারির শুরু থেকে তার দ্বিগুণের বেশি আসছে। প্রতিদিন যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ শিশু রোগী আসতো, সেখানে গত কয়েক দিনে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসছে। জানুয়ারি মাসে শিশু হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন। যেটা সাধারণ সময়ে ৩০০ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের রেকর্ড থেকে জানা যায়, গত ১৫ দিনে শুধু ৮০টির মতো শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাজধানীর শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়েটিক রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রোগী আসছে। যাদের বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীতের প্রকোপের কারণে এখন শিশুরা নিউমোনিয়া, রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১৪ দিনে এ হাসপাতালে ২২৩টি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৯৮টি। হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে গত ১৪ দিনে ৩৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়