• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, একদিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১৮৩
জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। রমজানের শুরু থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন। তবে মঙ্গলবার এক দিনেই এ রোগে ১৮৩ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও বয়স্ক। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে শুয়েই তাদের সেবা নিতে হচ্ছে।  বুধবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ডায়রিয়া জনিত ১৬ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুম, রমজানে ভাজাপোড়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং পৌরসভার সরবরাহ করা পানির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, শুধু জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালেই রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৫০ থেকে ৫৫ জন ডায়রিয়ার রোগী। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কনসালটেশন সেন্টারেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তবে মঙ্গলবার একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) ১৮৩ জন রোগী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই জয়পুরহাট পৌরসভা একটি ঘোষণায় জানায়, পৌরসভার রাস্তা সম্প্রসারণ কাজের কারণে পানির লাইনের পাইপ কেটে বা ফেটে যাওয়ায় সরবরাহ করা পানি দূষিত হতে পারে। এ জন্য গ্রাহকদের সাময়িকভাবে পানি ফুটিয়ে পান করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ডায়রিয়াজনিত রোগে হাসপাতালে রোগীরা আসছেন। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যা, মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রয়েছে। তারা প্রচন্ড জ্বর, শরীর ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও পেটের ব্যথায় ভুগছেন। জয়পুরহাটের হাউজিং এস্টেট এলাকায় বসবাস করেন জাকির হোসেন ও নাজমা বেগম দম্পতি। দুই দিন ধরে ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে দেখি আমার মতো অনেকে ডায়রিয়া জনিত রোগে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পৌরসভার সরবরাহ করা সাপ্লাই পানি খেয়ে থাকি। আর এ পানি পান করার কারণে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছি। জয়পুরহাট পৌর শহরের পশ্চিম জানিয়ার বাগান এলাকার মুক্তামহল ছাত্রাবাসে থাকেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন। তিনি ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, পৌরসভার সরবরাহ করা সাপ্লাই পানি খেয়ে আমি ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছি। অন্য কোন কারণে নয়। কালাই উপজেলার এলতা গ্রামের রকি হোসেন ডায়রিয়া জনিত রোগে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন। তিনি গত চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের এলাকার অনেক শিশুও এখানে রয়েছে। আজ আরও কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। অবস্থার অবনতি হলে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স থেকে তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জয়পুরহাট পৌরশহরের নতুনহাট এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ইফতারের পর হঠাৎ তার স্ত্রী কোহিনূর বেগমের পেটে ব্যথার পাশাপাশি বমি শুরু হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে আসার পর তিনিও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই খারাপ। রোগীর চাপে মেঝেতে পা রাখার জায়গা নেই। পৌরশহর এলাকার আরাফাত নগরের বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, তিন দিন ধরে ডায়রিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। প্রথমে পেটে ব্যথা, এরপর পাতলা পায়খানা শুরু। সেহরিতে খাওয়ার সময় পানি ঘোলা দেখেছি। আমার ধারণা, পৌরসভার সরবরাহ করা পানির কারণেই আমার ডায়রিয়া হয়েছে। জায়গার অভাবে মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক  ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, শুষ্ক মৌসুম, রমজানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও পৌরসভার পানির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। শহরে রাস্তার কাজ চলছে, পানির লাইন লিকেজ হওয়ার কারণে সরবরাহ করা পানি দূষিত হয়ে এ সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের মাত্রাটা বেশি। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া আক্রান্ত প্রায় ৩০০ নারী-পুরুষ ও শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. তুলশী চন্দ্র রায় বলেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণটা জানি না। হতে পারে, রমজান মাসে বাহিরের অনিরাপদ ভাজাপোড়া খাবার খাচ্ছে সেটাও একটা কারণ হতে পারে। অথবা পৌরসভার ভেতরে চারলেনের রাস্তার কাজ চলছে। এতে পৌরসভার সরবরাহ করা সাপ্লাই পানির লাইন লিকেজ হওয়ার কারণেও ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার সরবারহ করা সাপ্লাই পানির স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৭

জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
জয়পুরহাটে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির। নিহত অর্ক জয়পুরহাট সদর উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের শয়ন মণ্ডলের মেয়ে।  ওসি হুমায়ূন কবির জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্ক নিজ বাড়ির বারান্দায় খেলাধুলা করছিলো। এ সময় পূজা দেওয়ার সন্ধ্যাবাতির আগুন লেগে দগ্ধ হয় অর্ক। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যায় শিশু অর্ক। তার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।  শিশুটির মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১৯

জয়পুরহাটে ট্যাপেন্টাডলসহ গ্রেপ্তার ৪
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর এলাকা থেকে ৭০ পিস ট্যাপেন্টাডলসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে র‌্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- আক্কেলপুরের রুকিন্দিপুর এলাকার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৩), জয়পুরহাট সদরের মধ্য জামালপুর এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সানোয়ার হোসেন (৩৬) ও আক্কেলপুরের জগদীশপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (৪৫)। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদ পেয়ে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুকিন্দিপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বেচাকেনার সময় হাতেনাতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছে ৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আসামি সাইফুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রফিক, সানোয়ার ও আবু তাহেরের মাধ্যমে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৮

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কৃষক নুরুল হত্যা মামলায় ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের মৃত ফেরাজ উদ্দিনের ছেলে আ. রউফ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, আবদুর রউফের ছেলে আলী হোসেন, খোকন হোসেন, মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন, আক্তারুজ্জামানের ছেলে রোকন হোসেন, বাবু হোসেন, মৃত আবু সাঈদের ছেলে মিজানুর রহমান তার ছেলে সিরাজুল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমি গ্রামের কৃষক নুরুল হক দিনমজুরদের নিয়ে হিচমি মাঠে ধান কাটতে যায়। এ সময় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা দলবদ্ধভাবে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে নুরুল হক গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

জয়পুরহাটে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
জয়পুরহাট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় চত্ত্বরে এসব নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। জানা যায়, অনুষ্ঠানে জয়পুরহাট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ৫ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারের মাঝে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। নগদ অর্থ পেয়ে খুশি মৃত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হাসান সাবু, সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক শামীম সরদার, দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সড়ক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক ফারুক হাসান, সদস্য কদম আলী।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪২

জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালকের মৃত্যু 
জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় চন্দ্র বর্মন নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে আহত হন ট্রাকের চালক।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী বাইপাস সড়কের হানাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ূন কবির।  নিহত অতুল জয়পুরহাট পৌর এলাকার বামনপুর দত্তপাড়ার মৃত স্ববেশ্বর বর্মনের ছেলে। ওসি হুমায়ূন কবির জানান, ভ্যানচালক অতুল বামনপুর চারমাথা থেকে ভ্যানে আলু নিয়ে হিচমী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কৃষি কলেজের সামনে তার ভ্যানের এক্সেল ভেঙে ভ্যানটি অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ সময় ট্রাকটি ওই ভ্যান ও আরও একটি অটোকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় আহত ট্রাকের চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।   
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

জয়পুরহাটে মাদকের বিরুদ্ধে ম্যারাথন দৌড় 
মাদকের বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে পুলিশ সুপার কাপ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলি ব্রিজ থেকে দৌড় শুরু হয়ে কালেক্টরেট মাঠে এসে শেষ হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতি। জেলা পুলিশের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় কিং কুইন জিম এই প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করে।   দৌড় শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এড সামছুল আলম দুদু। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ লেবু প্রমুখ। পাবনা জেলার ইমরান হোসেন, জয়পুরহাটের আহসান হাবিব ও নীলফামারী জেলার শ্যামল চন্দ্র রায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে। খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলার মোট ১৫০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ভূমি অফিসের নারী কর্মচারীর মৃত্যু
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক রেশমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পাকারমাথা-বগুড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রেশমা খাতুন জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত মিরাজ হোসেনের স্ত্রী। তিনি ক্ষেতলাল ভূমি অফিসের অফিস সহায়কের চাকরি করতেন। ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, জয়পুরহাট শহর থেকে রেশমা খাতুন কালাই উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী কোরবান আলীর মোটরসাইকেলে করে ক্ষেতলাল অফিসে যাওয়ার পথে বটতলী হাটখোলায় অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে রেশমা খাতুন পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু 
জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় তামিম হোসেন (৪) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চকশ্যাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির। নিহত তামিম হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামের জনি হোসেনের ছেলে। ওসি হুমায়ুন কবির জানান, শিশু তামিম তার বাড়ির সামনে থেকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক্টর পেছন থেকে তামিমকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় শিশু তামিম। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫২

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে আবু হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক নুরুল ইসলাম।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার রব্বানী, রাফিউল, মোজাফ্ফর হোসেন, মোছা. সহিদা বেগম ও মোছা. আমিনা বেগম। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে বাড়ির সামনে গাদা থেকে খড় খোলার সময় আবু তাহেরকে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা হামলা করেন। এ সময় আবু তাহেরের ছেলে আবু হোসেন এগিয়ে এলে আসামিরা তাকেও মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে পালিয়ে যান আসামিরা।  পরে স্থানীয়রা আবু হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে বগুড়ার শজিমেকে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসেনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু তাহের ওই বছরের ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় ৯ জনের নামে মামলা করেন। শুনানি শেষে পাঁচজনের ফাঁসির রায় দেন বিচারক। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। পাঁচজনের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, আবু হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে খুশি বাদীপক্ষ। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়