• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দল পিএনসির বড় জয়
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ চলে। এরমধ্যেই বেশির ভাগ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পায়  পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। খবর এএফপি। রোববার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন ৯৩টি আসনের মধ্যে ৮৬টির ফলাফল ঘোষণা করে। এসব আসনের মধ্যে ৬৬টিতে জয় পেয়েছে পিএনসি। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি। মাত্র আটটি আসন ছিল বিদায়ী পার্লামেন্টে পিএনসি ও তাদের শরিকদের। এবারের নির্বাচনকে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর জন্য কঠিন পরীক্ষা ছিল। কেননা চীনপন্থী মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হলেও পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার পূর্বসূরি ভারতপন্থী ইব্রাহিম মোহামেদ সালেহর দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) হাতে। ফলে চীনপন্থী মুইজ্জুর দল এবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে কি না, তা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে বিজয়ী হন মোহামেদ মুইজ্জু। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের মতো চীনপন্থী অবস্থান নেন। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে আদালত এ সাজা বাতিল করে। চলতি মাসে যখন পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রচারণা চলছিল, তখন মালদ্বীপে অবকাঠামো নির্মাণে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তি করেছেন মুইজ্জু। তার প্রশাসন মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুইজ্জুর একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী এএফপিকে বলেন, নির্বাচনে এবার ভূরাজনীতির বড় ধরনের প্রভাব ছিল। ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতিতে তিনি (মুইজ্জু) ক্ষমতায় এসেছেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫

পাঞ্জাবকে হারিয়ে গুজরাটের চতুর্থ জয়
আইপিএলের গত দুই আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ফাইনালে উঠেছিল গুজরাট টাইটান্স। তবে চলতি আসরে সেই ভালো ছড়াতে পারেননি শাহা-গিলরা। এখনও পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে মাত্র চারটিতে জয় পেয়েছে গুজরাট। নিজের অষ্টম ম্যাচে পাঞ্জাবকে উইকেটে হারিয়েছে শুভমান গিলের দল। রোববার (২১ এপ্রিল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে গুজরাটকে ১৪৩ রানের সহজ দেয় পাঞ্জাবকে। জবাব দিতে নেমে ৫ বল এবং তিন উইকেট হাতে থাকতেই হেসে খেলে জয় তুলে নেই গুজরাট। এতে টানা চার ম্যাচ হারের স্বাদ পেলো পাঞ্জাব। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। ১১ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন ‍ঋদ্ধিমান শাহা। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার শুভমান গিল।  ২৯ বলে ৩৫ রান করে ক্যাচ আউট হন গুজরাট অধিনায়ক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ডেভিড মিলারও। ৬ বলে ৪ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৩৪ বলে ৩১ রান করে সুদর্শন আউট হলে বিপাকে পড়ে গুজরাট। ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। এরপর শাহরুখ খানকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের জন্য লড়াই করতে থাকেন রাহুল তাওয়াতিয়া। ৪ বলে ৮ রান করে শাহরুখ আউট হলেও তাওয়াতিয়ার ১৮ বলের হার না মানা ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ বল এবং তিন উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্শাল প্যাটেল। এ ছাড়াও এবং লাইম লিভিংস্টোন দুটি, আর্শদীপ সিং এবং স্যাম কারান নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার স্যাম কারান এবং প্রাভসিমরান সিং। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। ২১ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রাভসিমরান। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি রাইলি রুসোও। ৭ বলে ৯ রান করে নুর আহমেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এরপর ১৯ বলে ২০ রান আরেক আফগান স্পিনার রশিদ খানের শিকার হন স্যাম কারান। এতে ১৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় পাঞ্জাব। সেই সঙ্গে উইকেট মিছিল শুরু করেন লাইম লিভিংস্টোন (৬), জিতেস শর্মা (৩), আশুতেশ শর্মা (৩) ও শাশাঙ্ক সিং (৮)। শেষ দিকে হারপ্রীত সিংকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হারপ্রীত ব্রার। ১১ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন ব্রার। শেষ পর্যন্ত হারপ্রীত সিংয়ের ১৯ বলের ১৪ রানে ভর করে দশ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পাঞ্জাব।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৪

শেখ জামালকে গুঁড়িয়ে আবাহনীর বিশাল জয়
চলমান ডিপিএলের দশম রাউন্ডের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই ম্যাচে সোহানের শেখ জামালকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তাসকিন-শরিফুলরা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১০ ওভার ২ বলেই জয় তুলে নেয় আবাহনী। এতে ১১ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে তারা। ৮ জয় নিয়ে তাদের পরের অবস্থানে শেখ জামাল।   টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কোনো মোটামুটি ভালোই হয়েছিল শেখ জামালের। ৫০ রান তুলতে তারা হারিয়েছিল তিন উইকেট। পরের ৩৮ রানে হারায় সাত উইকেট। আবাহনীর তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে নেন সাত উইকেট।   সাইফ হাসান (১৬), সৈকত আলী (২৩), তাইবুর রহমান (১৪) এবং ইয়াসির আলী করেন ২৭ বলে ১৭ রান। আবাহনীর হয়ে ৭ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৩৫ রান দিয়ে চার উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ৫ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তানজিম। এছাড়া স্পিনার তানভীর ইসলাম দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন পান এক উইকেট।   ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনীর জন্য জয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। কত দ্রুত তারা কাজটি সারতে পারেন সেটিরই ছিল অপেক্ষা। ১০ ওভার ২ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২২ বলে ৩৭ রান করে এনামুল হক বিজয় ও ৪০ বলে ৫৩ রান করে নাঈম শেখ অপরাজিত থাকেন।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৬

গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিল্লির রেকর্ড জয়
চলতি আইপিএলে ‍খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল। অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল। বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি। নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বেশ তাড়াহুড়োই দেখিয়েছে রিশভ দিল্লি ক্যাপিটালস। তাতে ৪ উইকেট হারালেও লক্ষ্যটা ভালোভাবেই পেরিয়ে গেছে রিশভ পন্তের দল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদে গুজরাটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি। গুজরাটের দেয়া ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ বল হাতে রেখে জয় পায় দিল্লি। শুরুতেই গুজরাটের বোলারদের ওপর চড়াও হন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তবে ১০ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি ফ্রেজার। দলীয় ৩১ রান নিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ'ও।  নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দিল্লিও। কেউই ২০ রানের বেশি করতে পারেনি। এক কথায় অভিষেক পোরেল, রিশভ পন্ত এবং শাই হোপদের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দিল্লি।  ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় গুজরাট। উএকট হারানোর শুরুটা শুভমান গিলকে দিয়ে। দলীয় ১১ রানে ইশান্ত শর্মার বলে ফেরেন তিনি। চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ২ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা।   ঋদ্ধিমান আউট হওয়ার ১ বল পরেই রান আউট হন সাই। একই ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডেভিড মিলার। নবম ওভারে পরপর ২ বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরেছেন অভিনব মনোহর এবং শাহরুখ।  রশিদ খান এবং রাহুল টেওয়াটিয়া সপ্তম উইকেটে ১৮ রানের জুটি গড়েন। এটিই ছিল গুজরাটের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। দ্বাদশ ওভারে অক্ষরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টেওয়াটিয়া। ২৪ বলে ৩১ রান করেন রশিদ খান। তার লড়াকু ইনিংসেই ৮৯ রানে থামে গুজরাট।  দিল্লির হয়ে সফল মুকেশ কুমার। ২ ওভার ৩ বলে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইশান্ত শর্মা এবং ত্রিস্তান স্টাবস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।  আইপিএল ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গুজরাটের। এর আগে দলটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ১২৫ রান।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৫

এবার মাহির সঙ্গে গোপন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন জয়
মাহিয়া মাহি ও জয় চৌধুরীর মাঝে বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে সম্পর্ক বন্ধুত্বের হলেও গোপন রেখেছিলেন তারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারা প্রকাশ করেন নিজেদের গোপন এই বন্ধুত্বের কথা। এরপর ‘মাহি-জয়ের গোপন সম্পর্ক ফাঁস’ শিরোনামে সংবাদ হয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এতে অনেকেই মনে করেন প্রেম চলছে তাদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে সে সময় বিরক্তি প্রকাশ করেন মাহি। এবার জয় খুললেন মুখ।  সংবাদমাধ্যমকে জয় বলেন, সত্যি বলতে, এই নিউজের বিষয়ে আমিও জানি না। আপনাদের ভাবি একটু আগে আমাকে ইনবক্স করেছে। মাহি আমাকে করেনি এখনও। কারণ, মাহির সঙ্গে তো আমি সাক্ষাৎকার দিয়েই এসেছি। মাহির সঙ্গে আমার প্রেম–ট্রেম তো প্রশ্নই আসছে না। আমরা খুব ভালো বন্ধু। আমি, মাহিসহ যারা আমাদের গ্রুপে আছেন, সবাই পরিবারের মতো। এতে আমার পরিবার থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের এমন কোনো সম্পর্ক নেই, যেটা নিয়ে কথা-চালাচালি হবে। আমাদের অনেক পবিত্র একটি সম্পর্ক। অনেক ভালো বন্ধু। এর আগে বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে লিখেছিলেন, আমি খুব অবাক নামীদামি পত্রিকারও আজব আজব হেডলাইন দেখে। খুব বিরক্ত, রাগান্বিত। জাস্ট কিছু রিচ বাড়ানোর জন্য আপনাদের এমন টেকনিক আমাকে বিব্রত করছে। সবাই তো নিউজ পড়ে না জাস্ট হেডলাইন দেখেই জাজ করে ফেলে। এই অশান্তি আর ভালো লাগে না।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫০

রাজস্থানকে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন বাটলার
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিকে ম্লান করে ৬ এপ্রিল নায়ক হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তিনি। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনিল নারিনের সেঞ্চুরিকে বিফল করে দিলেন বাটলার। নারিনের সেঞ্চুরির সুবাদে কলকাতার ৬ উইকেটে ২২৩ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে পাল্টা শতক হাঁকিয়ে রাজস্থানকে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন বাটলার। ৬০ বলে করেন ১০৭ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। প্রথমে ইডেন গার্ডেনসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ঝড় তোলেন নারিন। রাজস্থানের বোলারদের তুলোধুনো করে ঝড়ো ব্যাটিং এ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। ৫৬ বলে করেন ১০৯ রান। ১৩ বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ৬টি ছক্কা। এছাড়া আংক্রিস রঘুভানশী ১৮ বলে করেন ৩০ রান। যার ফলে ২২৩ রানের বড় স্কোর দাঁড়ায় কলকাতার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন বাটলার। নিজের কবজায় রাখেন চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৯ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কার মারে ১০৭ রানের ইনিংসে ছিল তার। শেষ দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। বাটলারকে সঙ্গে রিয়ান পরাগ পেয়েছেন ৩৪ রান ও রভমান পাওয়েল পেয়েছেন ২৬। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪

সোহানের ফিফটিতে দুর্দান্ত জয় শেখ জামালের
ঈদের ছুটি শেষে আবারও শুরু হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়রথ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দশম রাউন্ডের খেলা শুরুর প্রথম দিনে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় শেখ জামাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬১ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে মোটামুটি একটি অবস্থানে নিয়ে যান সৈকত আলি। বাকি কাজটি করেন অধিনায়ক সোহান ও ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তাইবুর রহমান। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৫ রানের দারুণ জুটি করেন তারা। ৭৫ বলে ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সোহান। তার ইনিংসে ছিল ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কার মার। ৬৩ বলে ৩৯ রান করে বিজয়ী বেশে মাঠ ছাড়েন তাইবুর। এর আগে পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন আহরার আমিন। ৪৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাহিদুজ্জামান খান। এছাড়া তানভীর হায়দার ৩০ ও আজমির আহমেদ ২৫ রান করেন।  বাকিরা উইকেট মিছিল শুরু করলে ১০ বল বাকি থাকতেই ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স। এই ম্যাচে শেখ জামালের একাদশে ছিলেন না টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সব কিছু ঠিক থাকলে পরের ম্যাচে দেখা যেতে পারে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৭

তুষারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের জয় রূপগঞ্জের 
ঈদের ছুটি শেষে মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। মাঠে ফিরেই গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ম্যাচে জয়ের নায়ক রূপগঞ্জের ওপেনার তাওফিক খান তুষার।   সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে গাজী টায়ার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। ইফতিখার হোসাইন ইফতি এবং মোহাব্বত হোসেন রোমানের উদ্বোধনী জুটি থেকে রান আসে ৪১। ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রোমান। ওপেনিং জুটি ভাঙার উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী টায়ার্সের ব্যাটিং লাইন-আপকে ধসিয়ে দিতে থাকেন রূপগঞ্জের বোলাররা।  শেষ পর্যন্ত ৪৪.২ ওভারের মাথায় ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী টায়ার্স। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইফতেখার। দুই ওপেনার বাদে আর মাত্র একজনই ছুঁতে পেরেছেন ২০ রানের কোটা, ৫৩ বলে ২০ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। ১০৯ রানের মধ্যে শেষ ৯ উইকেট হারায় গাজী টায়ার্স। রূপগঞ্জের হয়ে ৪ উইকেট নেন শুভাগত হোম চৌধুরী। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং আবদুল হালিম নেন দুটি করে উইকেট। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেধড়ক পিটুনি শুরু করেন রূপগঞ্জের ওপেনার তাওফিক খান তুষার। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও তুষার ছিলেন আগুনে রূপে। মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটির পরেও চলেছে তাণ্ডব। বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তুষার। ৬৬ বলে ১১৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে ৫১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাদমান। ১০ উইকেট এবং ১৮৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

মুস্তাফিজের বাজে দিনে চেন্নাইয়ের জয়
ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ফেইল করেছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের কোটার ৪ ওভারে প্রায় ১৪ গড়ে রান খরচ করেছেন তিনি। ৫৫ রান খরচের বিনিময়ে পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। তবে এদিন নিজের সেরা পারফরম্যান্সই উপহার দিলেন চেন্নাইয়ের লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা। চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন এই পেসার। রোববার (১৪ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিভাম দুবের জোড়া ফিফটি, এবং শেষ দিকে ধোনির হ্যাটট্টিক ছয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল চেন্নাই। এদিন ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। রুতুরাজ গায়কোয়াড় করেন ৬৯ রান। শিভাম দুবে করেন ৬৬ রান। শেষ মুহূর্তে ধোনি ৪ বলে করেন ২০ রান। জবাবে ব্যাট হাতে দারুন ভাবে জ্বলে ওঠেন রোহিত শর্মা। করেন ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস; কিন্তু তার এই ইনিংসটি কোন কাজেই লাগলো না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারতে হলো ২০ রানের ব্যবধানে। রোহিত শর্মা ছাড়া মুম্বাইয়ের আর কোনো ব্যাটার‌ই দাঁড়াতে পারেনি চেন্নাই বোলারদের সামনে। প্রথমে ৭.১ ওভারে ৭০ রানের জুটি গড়ে তোলেন রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশান। ১৫ বলে ২৩ রান করে ইশান আউট হয়ে গেলে পেছনের পায়ে চলে যায় মুম্বাই। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। তিলক ভার্মা ২০ বলে ৩১ রান করলেও দলকে পরাজয় থেকে বাঁচাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। ৬৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১০৫ রান করেন তিনি।    
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৭

মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার : জয়
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। জয় লিখেছেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। সকল প্রকার ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরে আমাদের অঙ্গীকার। এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাই-বোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন।’ শুভ নববর্ষ।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়