• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জেল থেকে বেরিয়ে কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন জুলফিকার
‘দে ধাক্কা’ ও ‘ডায়মন্ড’ নামে দুটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন জুলফিকার আলী ও তার সহযোগীরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুলফিকার আলী (৩৭), তার অন্যতম সহযোগী মো. হারুন অর রশিদ (৩৮), মো. শামছুদ্দিন বেপারী (৪৮), কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮) ও মো. সুরুজ মিয়া (৩৯)। তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুটি চাপাতি ও সাতটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব জানায়, জুলফিকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন ওয়ার্কশপে কাজ করার পর নারায়ণগঞ্জে পিকআপ ভ্যানে হেলপারের কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় মালামাল চুরির দায়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় তার নামে মামলা হয়। এরপর তিনি পালিয়ে সৌদি চলে যান। এরপর ২০২১ সালে দেশে আসার পর গ্রেপ্তার হয়ে দুই মাস জেল খেটে জামিনে বের হন। জেলে বসে হারুনের সঙ্গে জুলফিকারের সখ্যতা গড়ে ওঠে।  জুলফিকার জামিনে মুক্ত হয়ে হারুনকে নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টিউবওয়েলের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাদক সেবনের আড্ডার মাধ্যমে কৃষ্ণ শামছুদ্দিন ও সুরুজসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয়। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২২ সালে জুলফিকার ‘ডায়মন্ড’ নামে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেন। পরে ‘দে ধাক্কা’ নামে আরও একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেন তিনি। কিশোর গ্যাং বাহিনী দুটিকে দিক-নির্দেশনা দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করতে থাকেন জুলফিকার। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাং দুটির সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতেন। তাদের নির্দেশনা দেওয়াসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র সরবরাহ করতেন জুলফিকার। কিশোর গ্যাং দুটির সদস্যরা এলাকায় নিয়মিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাই, মাদক, ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধ করতেন। এ ছাড়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

পাথরঘাটায় বন উজাড় করে দখল, তিনজনের জেল
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা ও বাদুরতলা সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে জমি দখলের মামলায় তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জামিনের জন্য হাজির হলে দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩৮), একই গ্রামের ওয়ারেচ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৯) ও মৃত মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে সুলতান (৫২)। জানুয়ারি মাসে বন আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে বন বিভাগ। ওই মামলায় আসামিদের আদালত সমন জারি করলে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ১৪ জানুয়ারি এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বন বিভাগ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ বিষয়ে বন বিভাগের কৌঁসুলি সোহরাব হোসেন বলেন, বনবিভাগের তৎপরতায় একাধিক অভিযানসহ মামলা করা হয়েছে।  অপর একটি মামলায় ১১ ফেরুয়ারি হাজির হওয়ার  জন্য ২ জনকে সমন জারির আদেশ দেন আদালত।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫

নৌকায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে যুবকের ৫ বছরের জেল
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে মাহাতাব হোসেন রুদ্রকে (২২) ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উলিপুরের বড়াবুড়ি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাট উচ্চবিদ্যালয় ১১১ নম্বর কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে উলিপুরের রামেশ্বর গ্রামের ওহিয়ার রহমানের পুত্র মাহাতাব হোসেন রুদ্র নৌকা মার্কায় জাল ভোট দিতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। খবর পয়ে তাৎক্ষণিক বিচার আদালত, নির্বাচন এলাকা-২৭ কুড়িগ্রাম-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে এসে আদালত বসিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করায় বিজ্ঞ বিচারক মাহাতাব হোসেনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুর্তজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাহাতাব হোসেন রুদ্র এবং প্রত্যাহারকৃত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়