• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মসজিদুল হারাম ও নববীতে রমজানের শেষ জুমা পড়াবেন যারা
রমজানের শেষ জুমার নামাজ আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এদিন সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারামে জুমার নামাজে ইমামতি করবেন হারামাইন শরিফাইন পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস। অন্যদিকে মদিনার মসজিদে নববীতে জুমার নামাজে ইমামতি করবেন মসজিদটির ইমাম ও খতিব শায়েখ বুয়াইজান। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীবিষয়ক ওয়েবসাইট হারামাইন শরিফাইন থেকে এ তথ্য জানায়। জানা গেছে, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে বেশ কয়েকজন ইমাম ও খতিব রয়েছেন। তারা হারামাইন শরিফাইনের পরিচালনা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ পর ইমামতি করেন। রমজানে শেষ জুমায় অংশ নিতে মসজিদুল হারাম ও নববীতে মুসল্লিদের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হযরত আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বাইতুল মাকদাসে এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’-(মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/১১)
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

মাহে রমজানের প্রথম জুমা আজ
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমা আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ)। রহমতের দশকের চতুর্থ রোজায় পড়েছে বরকতময় এ জুমা। দিনটির বিশেষ গুরুত্ব কোরআন হাদিসে এসেছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমা, (৬২), আয়াত, ৯-১০) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- সূর্য উদিত হয় এমন সকল দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান হয়। এই দিনেই তাকে তা থেকে বের করা হয়। আর এই জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। - সহিহাহ ১৫০২, সহিহ আবু দাউদ ৯৬১, মুসলিম, তা’লীক সহিহ ইবনু খুজাইমাহ ৩/১১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী] আগে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ  দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস, ৮৮২) দোয়া কবুল : জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)
১৫ মার্চ ২০২৪, ১১:১৩

আম বয়ান দিয়েছেন সাদের ছোট ছেলে, জুমা পড়াবেন বড় ছেলে
এবারের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক শুরুতে আম বয়ান দিয়েছেন ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভি। শুক্রবার বাদ ফজর তিনি বয়ান শুরু করেন। এ বয়ানের বাংলা তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি তুরাগতীরে বৃহৎ জুমার জামাতের ইমামতি করবেন। এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভি না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। তিনি বলেন, গত বুধবার নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪ জনের একটি দল নিয়ে মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ সাদ, মেজ ছেলে মাওলানা সাঈদ সাদ এবং ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস সাদ ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান। আশা করা হচ্ছে শুক্রবারের জুমার জামাতে ময়দান ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ছয় লাখ লোক সমবেত হবেন। সকালে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভির পর ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু বয়ান করেছেন। পরে জুমার ফাজায়েলের ওপর বয়ান করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বাদ জুমা বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি)। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ মনসুর। বাদ আসর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। এসব বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমার মুসল্লির যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। ২. অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ৩. ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। ৪. ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। ৫. ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ৬. উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন। ৭. ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লি হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন। ৮. বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে। ৯. নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীগণ ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে। গাড়ি পার্কিংসংক্রান্ত তথ্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ। সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : ১০নং ব্রিজ, ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে ও বউবাজার মাঠ। বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন। ঢাকা মহানগরী পার্কিং : ৩০০ ফিট রাস্তা-সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা। পার্কিং করা যাবে না খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে। ডাইভারশনসংক্রান্ত তথ্য আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে ডাইভারশন স্থান– ধউর ব্রিজ, ১৮নং সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব ও মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে মুসল্লিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আগামী রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার শেষ পর্ব।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়