• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বিএনপি নেতারা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ  নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে গুলশানের খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৬

খালেদা জিয়ার হাতে তার জীবনীগ্রন্থ তুলে দিলেন ফখরুল
‘বেগম খালেদা জিয়া : হার লাইফ, হার স্টোরি’ নামে ইংরেজি বই লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। বইটির বাংলা নামকরণ করা হয়েছে ‘বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ও সংগ্রাম’। বইটি  বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় সাক্ষাৎ করে বইটি উপহার হিসেবে বেগম জিয়ার হাতে তুলে দেন ফখরুল। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর লেখা ইংরেজি বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। বইটির একটি সংখ্যা রাতে চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও তার স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আফরোজা খানম রিতা প্রমুখ।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৯

সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। যেদিন তার মৃত্যু হবে, সেদিন আর কোথাও না হলেও গণভবনে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনকে দেখতে সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গয়েশ্বর। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।   এ সময় গয়েশ্বর বলেন, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে সরকার তিলে তিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ছাত্ররাজনীতি চায়। কিন্তু সেটি একদলীয় ছাত্র সংগঠন নয়। জোর করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা ঠিক হবে না জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, বুয়েটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে রাজনীতি উন্মুক্ত হবে কি না। গয়েশ্বর বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন চলছে, স্বাভাবিক রাজনীতি করা যাচ্ছে না। দমন-পীড়ন করেই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।    বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেননি তারা। বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ যাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীর; ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে শারীরিক অবস্থার।  এর আগে গত ১৩ মার্চ জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে সেখানে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা জেঁকে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৮

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না। এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।  ৭৮ বছর বয়সী বিএনপির এই নেত্রী হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়ে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে যে আবেদনটি করা হয়েছে তা পড়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও আমার মতামত দিইনি। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার (১৮ মার্চ) আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আবেদন ও সংশ্লিষ্ট ফাইল তার কাছে সোমবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পাশাপাশি আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে সোমবার (১৮ মার্চ) আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে, এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। শর্ত ছিল, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ রাতেও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমদিকে কারাবন্দি ছিলেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করে তার পরিবার।  এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনও ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এবারের মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।  আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতিও চাওয়া হয়। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে কী করা হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এছাড়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। আমার কাছে আজকে সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটি দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে, একটা বিষয় বলতে পারি, সেটি হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।  এর আগে, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এ দুটি শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। এই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে গত ১৪ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর আগে, ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এরপর একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও ৭ মেয়াদে বাড়ে তার এই মুক্তির মেয়াদ। 
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:২১

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন আমীর খসরু
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় বেগম জিয়ার গুলশানের বাসভবনে যান তিনি। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে বের হন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। এ ছাড়া বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লাউবেচার, ইউএসএআইডির এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার। বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু বলার নেই। তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, আমরা এসেছি। কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সময় মত জানানো হবে। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান আমীর খসরু।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়