• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা। তিনি বলেন, রাজধানীর বাড্ডা থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের অনুসারী আমজাদ হোসেন সোহেল ওরফে চাক্কু সোহেলসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে বাড্ডা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে চাক্কু সোহেল জানায়, জনৈক মোহাম্মদ রহিমের নিকট একটি বিদেশি রিভলবার রয়েছে। মোহাম্মদ রহিম আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল বাশারের একনিষ্ঠ সহযোগী এবং অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণকারী।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৯

ইউটিউব দেখে জাল নোট তৈরি, দুই কোটি টাকা ছড়িয়েছে জিসান
ইউটিউব দেখে জাল নোট তৈরি এবং তা সরবরাহের অভিযোগে জিসান হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার জাল নোট ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।      শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‍্যাব-১০ এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, উচ্চাভিলাষী জিসান ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি নিজেই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছিলেন। প্রায় ২ কোটি সমমূল্যের জাল টাকা বাজারে ছেড়েছেন তিনি। জিসানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, জাল টাকা সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজ ও গ্রুপে সংযুক্ত হয় সে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে জাল টাকা তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করতো জিসান। অ্যাপসে এ টাকা বিক্রির পন্থা বলে দিত চক্রের সদস্যরা। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে নোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়ার পর আগ্রহীদের কমেন্টে মেসেঞ্জারে চ্যাটিংয়ে আসতে বলা হতো। সেখানেই হতো লেনদেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করা হতো। মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, জাল নোটগুলো ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চক্রের সদস্যদের কাছে সরবরাহ করতো জিসান। প্রতি ১ লাখ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের জাল নোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন তিনি। এরপর চক্রটি মাছ বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করতো। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাপিয়ে মজুদ করতেন জিসান। জাল নোট প্রিন্টিংয়ের সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয়ে ফেলতেন তিনি। যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারেন।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়