• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরাগের দুর্দান্ত ফিফটিতে জিতল রাজস্থান
আইপিএল দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১২ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেন রাজস্থান। ডেভিড ওয়ার্নারের ৪৯ রানের পর শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবস ঝড়ো ৪৪ রান করলেও ম্যাচ জিততে পারেনি দিল্লি। শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। মাত্র ১১ রানেই বাটলারকে থামান কুলদীপ যাদব। ফেরেন যশস্বী জাইসওয়াল। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। ১৪ বলে ১৫ রান করে খলিল আহমেদের বলে রিশাভ পান্টকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সঞ্জু। মাত্র ৩৬ রানেই রাজস্থান রয়্যালস হারায় তিন উইকেট। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন রিয়ান পরাগ। এরপর অফ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিনকে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামায় তারা। ক্রিজে এসেই বড় শট খেলতে শুরু করেন অশ্বিন। রিয়ান পরাগের সঙ্গে জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেয় রাজস্থান। ১৯ বলে তিনটি ছক্কায় ২৯ রান করে পরাগের জুটি। অশ্বিন অক্ষর প্যাটেলের শিকার হলে ভাঙে তার ও পরাগের ৫৪ রানের জুটি।  পঞ্চম উইকেটে ধ্রুব জুরেল ও রিয়ান পরাগ জুটি রাজস্থানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। মাত্র চার ওভারে ৫২ রান তোলেন তারা। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন পরাগ। ১২ বলে তিনটি চার মেরে ২০ রান অর্জনের পর আনরিখ নরকিয়ার শিকার হন জুরেল।  শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান তোলে রাজস্থান। আনরিখ নরকিয়ার করা ইনিংসের শেষ ওভারেই ২৫ রান তোলেন পরাগ। শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের সংগ্রহ দাড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৮৫ রান। ৪৫ বলে সাতটি চার ও ছয় ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন রিয়ান পরাগ। জবাবে রাজস্থানের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ হন মারমুখী। নান্দ্রে বার্গারের প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান তোলেন মার্শ। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মার্শকে আউট করেন বার্গার। যদিও ১২ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করেন মার্শ। একই ওভারে বার্গার আউট করেন রিকি ভুইকেও। এরপর অধিনায়ক রিশাভ পান্টের সাথে জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। পান্ট কিছুটা ধীরে এগোলেও ওয়ার্নার রান তুলছিলেন দ্রুতগতিতে। কিন্তু সন্দীপ শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে মাত্র একরানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ২৬ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করেন দিল্লির অধিনায়ক রিশাভ পান্ট। ফেরেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় অভিষেক পোরেল। চাহালকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।  শেষ পাঁচ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৬৬ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১৯ রান তোলেন ত্রিস্টান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেল। ১৮তম ওভারে একটি চারসহ নয় রান তোলেন তারা। তবে শেষ দুই ওভারে ৩২ রানের প্রয়োজন পড়ে দিল্লির। ১৯তম ওভারে চার ও ছক্কায় ১৫ রান তোলেন স্টাবস ও অক্ষর। ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস। শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের। শেষ সময়ে দারুণ বোলিং করেন পেসার আবেশ খান।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৬

মুস্তাফিজের ২ উইকেটে জিতল চেন্নাই
চেন্নাই সুপার কিংস  অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল ব্যাটিংয়ে । ব্যাট হাতে বড় লক্ষ্য দেয় গুজরাটকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা চেপে ধরে বোলিংয়েও। শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুস্তাফিজের চেন্নাই। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) চেন্নাইয়ের চিপাক স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সকে ৬৩ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের দেয়া ২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থেমেছে গুজরাট। ৪ ওভার বোলিংয়ে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ।   গুজরাটের শুরুটা  ভালো হয়নি । পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে শুভমান গিলের দল। দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার।  শুরুতে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চেন্নাই। জবাবে চেন্নাইয়ের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে গুজরাটকে চাপে ফেলতে থাকে। ১৬ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন ডেভিড মিলার।ইনিংস ধরে খেলতে না পারায় ৮ উইকেটে করতে পারে ১৪৩ রান পায় গুজরাট । মোস্তাফিজ ছাড়াও ২১ রানে তুশার দেশপান্ডে  নিয়েছেন দুটি উইকেট। আর ২৮ রানে দুটি নিয়েছেন দীপক চাহারও। একটি করে নিয়েছেন ড্যারিল মিচেল ও মাথিশা পাথিরানা। শুরুতে টস হেরে ব্যাট করার সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে চেন্নাই। ৬ উইকেটে করেছে ২০৬ রান। তিনটি ইনিংসে ভর করে সমৃদ্ধ হয়েছে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ড। ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রাচিন রবীন্দ্র । তবে রবীন্দ্রর ইনিংস ২০ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন । ৩৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন অধিনায়ক গায়কোয়াড়। ২৩ বলে শিভম দুবের বিস্ফোরক ৫১ রানের ইনিংসে স্কোরবোর্ড বড় হয়ে ওঠে। ম্যাচসেরাও হন তিনি। ২টি চার ও ৫টি ছয় ছিল তার ইনিংসে। ৬ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে অবদান রাখেন সামির রিজভি। তাছাড়া ড্যারিল মিচেল ২০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। গুজরাটের হয়ে রশিদ খান ৪৯ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। সাই কিশোর, স্পেন্সার জনসন ও মোহিত শর্মা  নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৫

ফোডেনের জোড়া গোলে ডার্বি জিতল ম্যানসিটি
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ম্যানচেস্টার ডার্বিতে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিটি। রোববার (৩ মার্চ) ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। ম্যাচের ৮ মিনিটে রাশফোর্ডের করা গোলে লিড নেয় ম্যানইউ। বক্সের বেশ বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে রেড ডেলিভসদের লিড এনে দেন ইংলিশ এই স্ট্রাইকার। ওই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধে সিটিজেনদের আর আটকে রাখতে পারেননি রাফায়েল ভারানে, হ্যারি মাগুইয়েরা ও কাসেমিরোরা। ম্যাচের ৫৬ ও ৮০তম মিনিটে ইউনাটেডের জালে জোড়া আঘাত হানেন ফিল ফোডেন। এতে ম্যানচেস্টার ডার্বির গল্পে নায়ক বনে যান তিনি। অতিরিক্ত সময়ে সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন হলান্ড। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যানচেস্টার ডার্বি জয় নিয়ে লিগ শিরোপার দৌড়ে লিভারপুলের আরও কাছে পৌছে গেল সিটি।  এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিটিজেনরা। আর সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাবটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ৮৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। এর আগে, মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডে ৮ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে ২৯ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপটা আরও দীর্ঘায়িত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিডনিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। দুই অভিষিক্ত ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (১০) ও জশ ইংলিশকে (৯) ফেরান পেসার আলজারি জোসেফ। এরপর চারে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে ৫ রানে বিদায় দেন পেসার ম্যাথু ফোর্ড। বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়ে ক্যামেরুন গ্রিন ৩৩, মার্নাস ল্যাবুশেন ২৬, ম্যাথু শর্ট ৪১ ও অ্যারন হার্ডি ২৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এতে দলীয় ১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২শ’র নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে অজিরা। এরপর অষ্টম উইকেটে অভিষিক্ত উইল সাদারল্যান্ডের সঙ্গে ৬৫ বলে ৫৭ এবং নবম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পাকে নিয়ে ১৭ বলে ২৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন অ্যাবট। ৯ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকেরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম ম্যাচে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পাওয়া অ্যাবট শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৯ রান করেন। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে স্পিনার গুডাকেশ মোতি ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। টপ-অর্ডারে ব্যর্থতার পর মিডল-অর্ডারে লড়াইয়ের আভাস দেন তিন ব্যাটার- অধিনায়ক শাই হোপ, কেসি কার্টি ও রোস্টন চেজ। কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। হোপ ২৯, কার্টি ৪০ ও চেজ ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটাররাও ব্যর্থ হলে ৩৯ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রানেই অলআউট সফরকারীরা। অজিদের হয়ে জশ হ্যাজেলউড ও অ্যাবট তিনটি করে এবং সাদারল্যান্ড দুটি উইকেট নিয়েছেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে নামবে অজিরা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩২

১২ ম্যাচ পর জিতল মেসির মায়ামি
সবশেষ ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ম্যাচ জিতেছিল ইন্টার মায়ামি। এরপর থেকেই অধরা জয়ের খোঁজে ছিল মেসির মায়ামি। ঘরের মাঠে টরেন্টো এফসির বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের পর টানা ১২ ম্যাচে জয় বঞ্চিত ছিল তারা। অবশেষে এই অচলাবস্থার অবসান হলো। প্রায় ১৩৬ দিন পর জয়ের স্বাদ নিলো মেসি-সুয়ারেজরা।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) হংকং একাদশকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মেসি-সুয়ারেজবিহীন মায়ামি। কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে মেসি-সুয়ারেজবিহীন মায়ামিকে ম্যাচের ৪০তম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, ৪০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রবার্ট টেলর। তবে মিনিট তিনেক পরই গোল করেন হংকং একাদশের হ্যানরি। এতে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। মাঠে উপস্থিত সমর্থকরা হয়তো ভেবেছিলেন, বিরতির পর মাঠে দেখা যাবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। আগের ম্যাচের অল্প সময়ের জন্য খেললেও আজ মেসি বা সুয়ারেজকে মাঠে নামাননি মার্তিনো। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫০তম মিনিটে মায়ামিকে লিড এনে দেন লসন কনারি সান্ডারল্যান্ড। এর ৬ মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-১ করেন লিওনার্দো কাম্পানা। এরপর লম্বা সময় গোল না হলেও ম্যাচের ঠিক শেষ মুহূর্তে ৮৫তম মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করেন রায়ান সেইলর। প্রাক-মৌসুমে ৫ ম্যাচে এটি মায়ামির প্রথম জয়। এর আগে, ৪ ম্যাচে এক ড্রয়ের বিপরীতে তিন ম্যাচে হেরেছে তারা। মৌসুম শুরুর আগে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মায়ামি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জাপানিজ ক্লাব ভিসেল কোবে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠে নিউওয়েল'স ওল্ড বয়েজের মুখোমুখি হবে তারা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা
কলম্বোতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড সর্বনিম্ন ৮২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৫ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখেই সহজ জয় পায় লঙ্কানরা। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে তিনাশে কামুনহুকামুয়ি ও ব্রায়ান বেনেটের জুটিতে আসে ৩২ রান। ১২ রানে তিনাশে ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। ১৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানেই গুটিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন বেনেট। সেটাও আবারও মাত্র ১২ বলে। এ ছাড়া উইলিয়ামস ১৫ ও সিকান্দার রাজা ১০ রান করে আউট হয়েছেন। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি। লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গা একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও মাহিশ থিকশানা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। দিলশান মাদুশঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার একটি করে উইকেট। সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় লঙ্কানরা। কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কার ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৪ রান। এরপর ৩৩ রানে মেন্ডিস ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাঙ্কা। এ ছাড়া ১৫ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া। জিম্বাবুয়ের হয়ে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেছেন টেন উইলিয়ামস। ২০২২ সালে এশিয়া কাপ শিরোপার পর লঙ্কানদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এটি। এই জয়ে রেকর্ডও গড়েছে লঙ্কানরা। রান তাড়া করতে নেমে লঙ্কানদের সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে, ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা। 
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ভারত
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও আফগানদের গুঁড়িয়ে এক ম্যাচে হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে আফগানরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করে জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি জুটি। ১৬ বলে ২৯ রানে কোহলি ফেরার পর শিভম দুবেকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৯২ রানের জুটিতেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় স্বাগতিকেরা। তবে জয় থেকে কিছুটা দূরে থাকতে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৪ বলে ৬৮ রানে থামেন ভারতীয় এই ওপেনার। এরপর স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন জিতেশ শর্মা। এরপর রিঙ্কু সিংকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন শিভম দুবে। ৩১ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন দুবে। অন্যদিকে ৯ বলে ৯ রানে তাকে সঙ্গ দেন রিঙ্কু। আফগানদের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেছেন করিম জানাত। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি ও নাভিন-উল-হক। এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে গুলবাদিন নাইবের ৩৫ বলে ৫৭ রানের মারকুটে ইনিংসে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল সফরকারীরা। এ ছাড়া স্কোরবোর্ডে নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৩, করিম জানাত ২০ ও মুজিব উর রহমান ২১ রান যোগ করেন। এই চার ব্যাটার ছাড়া বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলেই ব্যস্ত ছিলেন। ভারতের হয়ে আর্শদীপ সিং তিনটি এবং রবি বিষ্ণই ও অক্ষর প্যাটেল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন দুবে। উল্লেখ্য, সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগামী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মাঠে নামবে ভারত ও আফগানিস্তান।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়