• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুক্তির পর যে কারণে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘেরা হলো কাঁটাতারে
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করেছে। জাহাজটি বর্তমানে ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে বলে জানা গেছে। মুক্তির পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘেরা হয়েছে কাঁটাতারে। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প ও সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা এবং ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ জলসীমায় আনার আগ পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছে দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন। এদিকে এখনও জাহাজটি এখনও উচ্চঝুকিপূর্ণ নৌ-সীমার মধ্যে থাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সেটিকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তিনটি দ্রুতগতির টহল বোট। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জানা গেছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং দস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সূত্র জানায়, জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন নাবিকরা। আগামী ২০ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর শনিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কাছাকাছি থাকা ইইউ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের দিকে। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আশা করছি ২২ এপ্রিল সেখানে নোঙর করবে এটি। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩

‘আর্মড-গার্ড থাকলে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আল্লাহর ভেতরে আর্মড-গার্ড থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার) দেশে হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো বিষয়টি আগে পরীক্ষা করতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২

মুক্তির পর ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন জিম্মি জাহাজের চিফ অফিসার
ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিক। এরপর জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে মালিকপক্ষ ও সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাতে থাকে। অবশেষে ৩১ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাতে মুক্তি পায় জাহাজ ও নাকিকরা।  এদিকে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দেন জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকউল্লাহ খান। সেখানে তিনি লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা পুরো যাত্রায় আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ। আতিকউল্লাহ খানের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গেই রয়েছেন ইইউ নেভির কমান্ডোরা। এ ছাড়া এমভি আবদুল্লাহর পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধ জাহাজও দেখা যায়। উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পরে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১১

ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করল ইরান
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ কমান্ডোরা হরমুজ প্রণালীর কাছে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট এমএসসি এআরইএস কন্টেইনার জাহাজ জব্দ করেছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রথম প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কমান্ডোরা হেলিকপ্টারে করে গুরুত্বপূর্ণ জলপথের কাছে একটি জাহাজে অভিযান চালাচ্ছে। জাহাজটি ছিল পর্তুগিজ পতাকাবাহী এমএসসি মেষ, লন্ডন ভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইমের সাথে যুক্ত একটি কন্টেইনার জাহাজ। জোডিয়াক মেরিটাইম ইসরায়েলি ধনকুবের আইয়াল ওফারের জোডিয়াক গ্রুপের অংশ। জোডিয়াক গ্রুপ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে এবং এমএসসিকে প্রশ্নগুলি উল্লেখ করেছে, যা তাত্ক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এমএসসি মেষ সর্বশেষ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুবাই থেকে হরমুজ প্রণালীর দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটি তার ট্র্যাকিং ডেটা বন্ধ করে দিয়েছিল, যা এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েল-অনুমোদিত জাহাজগুলির জন্য স্বাভাবিক বিষয়।   Video purportedly from the IRGC boarding of the Israeli-linked MSC ARIES container ship in the Strait of Hormuz. pic.twitter.com/UXOS2EuxKU — Emanuel (Mannie) Fabian (@manniefabian) April 13, 2024 ভিডিওতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এই হামলার কথা জানিয়েছিল। আমিরাতের বন্দর নগরী ফুজাইরাহের কাছে ওমান উপসাগরে জাহাজটি ‌‘আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে’ বলে জানিয়েছে তারা। ভিডিওতে দেখা যায়, কমান্ডোরা জাহাজের ডেকে বসে থাকা কন্টেইনারের স্তূপের ওপর নেমে পড়েন। জাহাজে থাকা এক ক্রু সদস্যকে বলতে শোনা যায়, 'বাইরে এসো না। ক্রু মেট তখন তার সহকর্মীদের জাহাজের সেতুতে যেতে বলে কারণ আরও কমান্ডো ডেকে নেমে আসে। একজন কমান্ডোকে সম্ভাব্য কভার ফায়ার সরবরাহের জন্য অন্যদের উপরে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে এপি যাচাই না করলেও বিস্তারিত তথ্য মিলেছে এবং এতে জড়িত হেলিকপ্টারটি ইরানের আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের ব্যবহৃত হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করেছে বলে মনে হচ্ছে, যারা অতীতে অন্যান্য জাহাজে অভিযান চালিয়েছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাস কম্পাউন্ডের একটি ভবনে হামলা চালানোর পর ইসরায়েল তেহরান থেকে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড ফোর্সের বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন। ইরান তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জাহাজ আটকের কথা স্বীকার করেনি এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও এ ঘটনা সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে, ২০১৯ সাল থেকে ইরান বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকে রেখেছে এবং তার দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে জাহাজগুলিতে হামলা চালিয়েছে। ওমান উপসাগর হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত, যা পারস্য উপসাগরের সংকীর্ণ মুখ, যার মধ্য দিয়ে সমস্ত তেলের এক পঞ্চমাংশ প্রবাহিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ফুজাইরাহ এই অঞ্চলের একটি প্রধান বন্দর যেখানে জাহাজ নতুন তেলবাহী জাহাজ গ্রহণ করতে পারে, রসদ সংগ্রহ করতে পারে বা ক্রুদের বাণিজ্য করতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে ফুজাইরাহ উপকূলের জলসীমায় একের পর এক বিস্ফোরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন নৌবাহিনী ট্যাংকারের ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে লিমপেট মাইন হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৪

রূপসায় কার্গো জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ১ জনের মরদেহ উদ্ধার
খুলনার রূপসা নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের গ্রিজার সাখায়েত মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের চেষ্টায় জাহাজের কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত সাখায়েত মুন্সির গ্রামের বাড়ি নড়াইল।   নৌবাহিনীর ডুবুরি মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কার্গো জাহাজের কেবিন থেকে গ্রিজার সাখায়েত মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বাবুর্চি আবুল কালামের সন্ধানে উদ্ধার চালানো হচ্ছে। এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর ৭৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন টিএসপি সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। এতে কার্গো জাহাজের দুইজন নিখোঁজ হন। জাহাজের ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকা মো. রাজিব বলেন, ইঞ্জিন হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আমাদের দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।  কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গো জাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। কার্গো জাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি আবুল কালাম ও গ্রিজার সাখায়েত মুন্সি নিখোঁজ হন।  তিনি জানান, টিএলএন-১ নামে কার্গো জাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সারবোঝাই করে তারা নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩২

‘এ মাসেই জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ উদ্ধার সম্ভব হবে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি ২৩ জন নাবিকসহ জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ চলতি মাসেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করতে পারিনি সেটা ব্যর্থ হয়েছে। তবে আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা আশা করি এই মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই জিনিসটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজখবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব অপহৃত নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা না, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। তবে আমরা বলতে পারি, সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আশা করছি, আমরা নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তিনি আরও বলেন, নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌ-অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। তবে বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’   নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নৌ-অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। তবে বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এরআগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে গেলো, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম। এমভি আব্দুল্লাহ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

রেলসেতুতে ধাক্কা লেগে ডুবল কার্গো জাহাজ, নিখোঁজ ২
খুলনায় রূপসা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে এমভি থ্রি লাইট-১ নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় জাহাজে কর্মরত ১৩ জনের মধ্যে দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।  রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজরা হলেন কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত। জাহাজ থেকে সাঁতরে কূলে আসা একজন শ্রমিক বলেন, আমরা ইঞ্জিন রুমে ছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ পেয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে দেখি জাহাজ ডুবে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপসা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, কার্গোতে থাকা ১৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

জিম্মি জাহাজ নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জিম্মি হওয়ার ২৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ এবং জলদস্যুদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি তারা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাহাজটির মালিকপক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। তবে আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। নাবিকদের স্বার্থ সুরক্ষাকারী সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, সমঝোতার পর মুক্তিপণ পরিশোধ, জাহাজটি কাছাকাছি নিরাপদ বন্দরে নেওয়া পর্যন্ত যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো করতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এর আগে ২০১০ সালে জিম্মি হওয়া এমভি জাহান মণি মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। আশা করি, তার চেয়েও কম সময়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলবে। এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে খোঁজখবর রাখছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, সমঝোতা নিয়ে আগে জাহাজটির মালিক পক্ষ এবং জলদস্যুদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল, সেটি কমে এসেছে। জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি বেশ ভালো। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

শঙ্কা-প্রতীক্ষায় দিন কাটাচ্ছে ২ নাবিকের পরিবার  
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে জিম্মি নোয়াখালীর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু (২৭) ও ছালেহ আহমদের (৪৩) পরিবারে নেই ঈদের আমেজ। ঈদকে সামনে রেখে তাদের পরিবারে হচ্ছে না কোনো ধরনের কেনাকাটা। নেই ভালো কিছু রান্নার প্রস্তুতিও।  সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় দুই অপহৃত নাবিকদের স্বজনদের সঙ্গে। অন্যান্য ঈদগুলো খুশির থাকলেও এবার ঈদ তাদের কাছে নীরব কান্নার। একই সঙ্গে বয়ে বেড়াচ্ছে শঙ্কা ও প্রতীক্ষা। পরিবারের উপার্জনশীল প্রিয় ব্যক্তিদের বন্দিদশায় মহাসাগরে তলিয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঈদুল ফিতরের আগে ২৩ নাবিকের মুক্তির আকুতি স্বজনদের।  জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। অপর জিম্মি ছালেহ আহমদ চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত।  গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিল নোয়াখালীর এই দুই যুবক। রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার বলেন, রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত নভেম্বরের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর গত ২০ দিন ছেলের বন্দিদশায় বদলে গেছে পরিবারের চিত্র। ঈদের আগেই যেন আমার সন্তানসহ সকল নাবিকের মুক্তির ব্যবস্থা করে সরকার। রাজুর মা দৌলত আরা বেগম বলেন, আমরা খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। প্রধানমন্ত্রী ঈদের আগেই যেন আমার ছেলেসহ জিম্মি সবাইকে ছাড়িয়ে আনে। ছেলে ছাড়া আমাদের কোনো ঈদ আনন্দ নেই।   রাজুর বড় বোন কামরুন নাহার রুমি বলেন, বাড়িতে নতুন ঘরের কাজ চলছে রাজুর বিয়েকে উপলক্ষ করে। ছেলের স্মৃতি চারণ করে এখন বাবা-মা শোকে মুহ্যমান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পালা করে চলছে মাতম।  অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবে। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহের স্ত্রী তানিয়া আক্তার। যেন তারা বেঁচে থেকেও মৃত। তানিয়া ছোট ছোট তিন মেয়েকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বামীর। একেবারে নিকট আত্মীয় ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। স্থানীয়রা বলেন, অপহৃত নাবিকদের ভাগ্যে কি ঘটেছে সেই শঙ্কায় ঈদের আনন্দ নেই জিম্মি নাবিকদের পরিবারে। তবে সবার প্রত্যাশা এমন উৎকণ্ঠার সময় পেরিয়ে ফিরে আসুক তাদের স্বজন।  ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, এখন নিজেরা নিজেদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছি এই ভেবে যে এখনো সময় আছে স্বামী ফিরবে। সরকার ২৩ জন নাবিককে ঈদের আগে ফিরিয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪১

মোংলায় ৬ হাজার চালের বস্তা নিয়ে ডুবে গেল জাহাজ
ঈদ উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য আনা ৬ হাজার বস্তা সরকারি চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেড জাহাজ ডুবে গেছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মোংলায় পশুর নদী ও মোংলা নদীর মোহনায় বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয় এমভি শাহজাদা-৬ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজ। এতে ডুবে যায় চালভর্তি বাল্কহেড জাহাজটি।  তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হননি বলে নিশ্চিত করেছেন মোংলা নৌপুলিশের ইনচার্জ এসআই সৈয়দ ফকরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ কার্গো জাহাজটিকে রোববার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসআই সৈয়দ ফকরুল বলেন, ঈদ উপলক্ষে গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য রোববার সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৬ হাজার বস্তায় ১৭৫ টন চাল নিয়ে মোংলার খাদ্য গুদামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমভি সাফিয়া।  তিনি আরও বলেন, দুপুরের পর এটি মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর মোহনায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা এমভি শাহাজাদা-৬ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে চাল নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড জাহাজ। তবে এ সময় বাল্কহেডে থাকা ৫ জন স্টাফ-কর্মচারী সাঁতরে কূলে উঠে আসেন। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড জাহাজ থেকে সোমবার সকালে চাল ওঠানো শুরু হবে বলেও জানান নৌপুলিশের এ কর্মকর্তা।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়