• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায় ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।  বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের নাম উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার ও কৃষ্ণ বলে জানা গেছে। তারা সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা এবং এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান ওরফে রাফি।  লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ওই চার কিশোর দুটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। বহিরাগত জানতে পেরে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে আরও দুই শিক্ষার্থী এসে ওই চার কিশোরকে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যান এবং মারধর করেন। সেখানে তাদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষার্থী। এ সময় টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় তাদেরকে। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদের কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা উঠিয়ে নেন। এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তিনি বলেছেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরে একপ্রকার জোর করে টাকা ও ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের বাইকে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করি। লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। না হলে তারা টাকা ফেরত দিতেন না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

জাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার-সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেই সম্মানের জায়গা আজ নেই। জাবিতে নিপীড়ক শিক্ষক জনি ও সাবেক প্রক্টর ফিরোজ যেভাবে নিপীড়কদের আশ্রয় দেয়, তাদের প্রতি শিক্ষক হিসাবে শ্রদ্ধার জায়গা কতটুকু থাকবে তা নিয়ে আমরা সংকিত। এরকম শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ পায় তা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত। আমরা অবন্তিকার আত্মহুতি ভুলবো না। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করে নাই, তাকে কাঠামোগতভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন শিক্ষক যাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনি কীভাবে একজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও অশ্লীলভাবে গালাগাল করে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন মুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের সময় গুন্ডা মাস্তানকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তাদেরকে আবার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে নিরাপত্তা পাবে? মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮

জাবিতে হলের তালা ভেঙে কক্ষ দখলের চেষ্টা, শিক্ষার্থীকে মারধর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের একটি কক্ষের তালা ভেঙে দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের অষ্টম তলার ৮০৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কক্ষের বাসিন্দারা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ৪৯ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শী-সূত্রে ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনুরাগ দাসের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ৮০৮ নং কক্ষের দরজা ও তালা ভেঙে হামলা করে কক্ষ দখলের চেষ্টা করে। সেসময় ওই কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিতে গেলে দুইজন গুরুতর আহত হয়।  এ সময় অভিযুক্ত রাফি উচ্চস্বরে চেচিয়ে জানায় হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে সে তালা ভাঙতে এসেছে। তালা ভাঙার সময় তাদের হাতে রড দেখতে পায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এ সময় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারায় আমার পা কেটে যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনুরাগ দাস বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটি মিস ইনফরমেশন ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তা মাথা পেতে নিবো।’ কক্ষ বণ্টন ও ফাঁকার খোঁজ রাখার দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষের, আপনি কেন তা করতে গিয়েছেন জানতে চাইলে অনুরাগ বলেন, ‘চারতলা ও পাঁচতলা তো ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি পোর্শন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্লকে যারা এলোটেড তারা অনেকেই নন-পলিটিকাল। আবার নন-এলোটেড অনেকেই পলিটিক্যালি এখানে এসেছে, সিট নিয়েছে। এই একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রশাসন শুরু থেকে চার ও পাঁচতলা ফাঁকা করে নাই। এলোট দিয়ে ফেলেছে। এখন নন-পলিটিকাল যাদের আর্জেন্সি আছে ও ব্লকে থাকতে চায় না তাদের থাকার জন্য ওই কক্ষটিতে ব্যবস্থা করতে গিয়ে তালা ভেঙেছি।’ অপর দুই অভিযুক্ত রাফি ও আরমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবীর বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরই রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাতেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

জাবিতে নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করত: তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন। এদিকে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চাপে পড়ে গত ১৩ মার্চ পদত্যাগপত্র জমা দেন সাবেক প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। প্রক্টরের পদত্যাগে সন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধর্ষককে সহায়তাকারীর স্থান নেই। তার পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডার খুশি হয়েছেন। মাহমুদুর রহমান জনির মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগর প্রক্টরের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে করে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এরকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়। নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, আমার এ পথ চলায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও দোয়াকামনা করছি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৭

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করতে হবে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে, অটোমেশন চালু করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসা মেহনতি কর্মজীবী কৃষিজীবীদের সন্তানরা যেন পড়তে না পারে তারই একটা পাঁয়তারা করছে প্রশাসন। এ ছাড়া ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই যে,  বিল্ডিংগুলো করছে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে  রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এই টাকাগুলো যেন ফেরত নেওয়া হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসফার সাদী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

ভুল চিকিৎসায় সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, জাবিতে মানববন্ধন
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে অ্যান্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪২ ব্যাচের (২০১২-১৩) শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তার স্বজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ বলেন, এ ঘটনায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মাস সময়ের মধ্যেই যেন রিপোর্ট আদালতে পেশ করার দাবি জানাই। তদন্ত চলাকালে শুধু ল্যাবএইড বা ডাক্তারের বক্তব্য প্রাধান্য না দিয়ে আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে সেগুলোও যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পেশ করা হয়।  আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় ডা. স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের উভয়ের লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, কেন মৃত্যু হয়েছে তার কারণটা খুঁজে দেখা দরকার। ভালো চিকিৎসার জন্য আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে যাই। তারপরেও কেন আমরা অরাজকতার শিকার হবো? তার মধ্যে ভালো হাসপাতালগুলোতে কেন অরাজকতা হচ্ছে? এটার যদি বিচার না হয় তাহলে এটি চলতেই থাকবে। ভুক্তভোগীর বোন নিভিন রেজা বলেন, এ ঘটনার আগে ও পরে ল্যাবএইড কতৃর্পক্ষ ও ডাক্তার আমাদের কাছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। ঘটনার পরপর ডিজিএইচএসের একটি অফিসিয়াল তদন্ত দল ল্যাবএইডে গেলেও তারা প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে আমরা মন্ত্রণালয়, ডিজিএইচএস, বিএমডিসি, ল্যাবেইড এবং ডাক্তার বরাবর ‘জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ’ পাঠিয়েছিলাম; তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে অ্যান্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার মৃত্যু হয়। রাহিবের মৃত্যুতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতালের গাফিলতির দাবি করেছেন স্বজনরা। শিক্ষাজীবন শেষে রাহিব রেজা রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দুই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

উপাচার্যের আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম তিন কার্য দিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পূর্বের দিনের মতো এদিনও প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া আসেননি উপাচার্যও। ফলে প্রশাসনিক ভবন গত তিন দিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ডিনদের মধ্যস্থতায় বিকেল তিনটায় আলোচনায় বসে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের পক্ষে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে আলোচনায় বসেছিল। সেখানে আগামী ১৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত প্রক্টর ও প্রভোস্টের অব্যাহতির বিষয়ে সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মধ্যে প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্বেছায় পদত্যাগ করবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুসারে উপাচার্য তাদের অপসারণ করবেন। এছাড়া অছাত্রদের তালিকা তৈরি ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে কি আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য বলেছেন অছাত্রদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ১৮ তারিখের পরে তিনি আমাদের হাতে তালিকা হস্তান্তর করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি ১৮ তারিখের মধ্যে আমাদের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না করেন তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পুনরায় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, তিনদিনের অবরোধের পর ভিসি আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন আজ। তিনি আমাদেরকে কথা দিয়েছেন ১৮ তারিখ দুপুরের আগেই আমাদের দাবির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবেন। প্রভোস্ট এবং প্রক্টরকে সড়িয়ে দিবেন। যদি তা না করেন তাহলে আমাদেরকে আবার অবরোধ করতে বলেছেন। তাই আমরা তার প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখে আন্দোলন আপাতত মুলতবি রাখছি। যদি তিনি তার কথা না রাখেন তাহলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে এবং এর সকল দায়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।  এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রববানী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম, নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য-সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ প্রমুখ।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:০০

ধর্ষণকাণ্ড : জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জাবিতে সংঘর্ষ
দুই হলের মধ্যে বিদ্যমান দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হল ও নবনির্মিত শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৮টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।   প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, নবনির্মিত হলগুলোর উদ্বোধনের পর থেকেই বিদ্যমান এ দেয়ালের কারণে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তবে মঙ্গলবার রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা সেই দেয়ালে চিত্র আঁকতে গেলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। এরপর শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সে দেয়াল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে দুই হলের শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী নবনির্মিত কাজী নজরুল হলের দ্বিতীয় তলা থেকে পেট্রোল বোমা সদৃশ আগুন ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষে গণিত বিভাগের ৪৯ ব্যাচ ও রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রেজাউল করিম আহত হন। তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়।  এদিকে খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও চলতে থাকে সংঘর্ষ। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে রাত ১২টায় সেখানে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রক্টর এ সময় রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে ভিসির বাসভবন বা ডেইরি গেইটে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেয়। শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, ‘আমি হলে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, ‘আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। এখন হলে এসেছি। আমার শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

জাবির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক, পুনরায় প্রকাশ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে পুনঃনিরীক্ষণের পর পুনরায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা পরিবর্তন হলেও মূল মেধাক্রমের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ। পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পূর্ববর্তী মেধাতালিকায় ছাত্রদের মাঝে ৬০৭ জন ও ছাত্রীদের মাঝে ৩২৫ জন অর্থনীতি বিভাগে মনোনীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও ফল পুনঃনিরীক্ষণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬২২ ও ৪৯০ জনে। তবে পূর্ববর্তী ও পরিবর্তিত মেধাতালিকা অপরিবর্তিত রয়েছে। বি ইউনিটের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের বিষয়ে মেধাতালিকার প্রতিটি শিক্ষার্থীদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে অবগত করা হবে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে সব তথ্য জানতে পারবে। এ ছাড়া পুনঃনিরীক্ষণে মেধাতালিকার কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। মেধাক্রম অনুসারে সকলের ভর্তি নেওয়া হবে তাই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে বিষয়ভিত্তিক নাম্বার দেখানো হয়েছে। সে জায়গায় এক সেগমেন্টের নাম্বার অন্য সেগমেন্টে চলে যাওয়ায় ফল পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। ভুল ইনপুটের জন্য সাধারণ জ্ঞানের নাম্বার গণিতে এবং গণিতের নাম্বার সাধারণ জ্ঞানে পরিবর্তন হয়। তবে এতে মেধাতালিকার কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু অর্থনীতি বিভাগে মনোনীত হওয়ার যোগ্যতার তালিকা পরিবর্তন হয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এ ছাড়া সিরিয়াল অনুযায়ীই বাকি বিভাগগুলোতে ভর্তি নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা উপাচার্যের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি ভর্তি পরীক্ষার ফলসংক্রান্ত যেকোনো জটিলতা গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, শুক্রবার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ হয়। ফলাফলে ছাত্রদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি মোট ৮৩ নম্বর পেয়েছেন। অপরদিকে ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোসাম্মৎ মারিয়া জাহান। তিনি মোট ৭৪ দশমিক ২০ নম্বর পেয়েছেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়